পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
কবিতা পাঠ, শ্রুতি অভিনয় শেখানোর শুরু এক কঠিন সময়। চায়ে চুমুক দিয়ে সুজয় বললেন, ‘কোভিডের সময় আমার কোনও জীবিকা ছিল না। ভাবলাম, রোজগারের জন্য কী করতে পারি? কবিতা পাঠ, শ্রুতি অভিনয় শেখাব বলে ফেসবুক লাইভ করেছিলাম। প্রচুর সাড়া পেলাম। এসপিসি ক্রাফ্ট-এর জন্ম তখন। যেখানে শুধু উচ্চারণ নয়। তারও আগে মনন ও বোধ তৈরি করানো হয়। এই দুটোর চর্চা সকলে করাতে পারেন না।’
নতুন প্রজন্মের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করেন সুজয়। তাদের সমৃদ্ধিই বা কী, দ্বন্দ্বই বা কোথায়? স্পষ্ট বললেন, ‘আমি একজন মাস্টারমশাইয়ের কাছে অর্থনীতি পড়তাম। তিনি বুঝতেন আমার অর্থনীতির প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। রবীন্দ্রনাথের ‘বন্দী বীর’ কবিতা দিয়ে অর্থনীতি বুঝিয়েছিলেন। আমি আজও সেই পড়াটা ভুলিনি। আজ এমন মাস্টারমশাইরা কোথায়? আজ আমরা দেখি বেশি, পড়ি কম। এটা প্রযুক্তির অভিশাপ। এর তল কোথায় আমরা কেউ জানি না। কোনও শব্দের মানে খুঁজতে গুগলে যাব কেন? অভিধান দেখব তো! ’
সুজয় শুধুমাত্র বাচিকশিল্পী নন। অভিনেতাও বটে। ‘শাহজাহান রিজেন্সি’, ‘বিদায় ব্যোমকেশ’-এর মতো ছবি, ‘নকল হীরে’র মতো ওয়েব সিরিজ তাঁর সিভিতে রয়েছে। অথচ অভিনেতা হিসেবে নিয়মিত কাজ করেন না। কেন?
প্রশ্ন শুনে হেসে বললেন, ‘চারটে কারণ। আমি মুখের উপর কথা বলি। আমি খুব পেশাদার। এখানে সকলে একটা বাক্সবন্দি করে রেখেছে। আর চার নম্বর কারণ, আমার কোনও গোষ্ঠী নেই। এই গোষ্ঠী পালন বাংলা ছবির মারাত্মক ক্ষতি করছে।’
নিজে থেকে কাজ চাইতে কোনও দ্বিধা নেই সুজয়ের। কিন্তু তার পরিণতি? ‘সৃজিত মুখোপাধ্যায়, মৈনাক ভৌমিক, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়— প্রত্যেকের কাছে কাজ চেয়েছি। কাজ চাইতে লজ্জা কীসের? ওরা বলে ভেবে বলব। একটা চরিত্র আমার মতো করে ভেবেও তো লেখা যায়, নাকি?’ পাল্টা প্রশ্ন যেন টলিউডকেই করলেন তিনি।
একসময় টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন সুজয়। সেসব দিনের স্মৃতি মনে করে বললেন, ‘কলকাতায় বাংলা ধারাবাহিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা তৈরি করে। বাংলা ছবি, ওটিটি ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ায়।’
নানা কাজের ভিড়ে থিয়েটারে অভিনয় ব্যক্তিগত ভাবে সবথেকে বেশি উপভোগ করেন তিনি। বললেন, ‘মঞ্চে আলোকবৃত্তের একাকীত্ব আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।’