কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
সমগ্র ছবি জুড়ে অগুণতি অসংগতি। কয়লাখনির দলিত বালিকা থেকে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার প্রুফ রিডারের যাত্রাপথটা দীর্ঘ। এমন একজন আলোকপ্রাপ্তা নারী শুধুমাত্র লেডিজ হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছে বলে স্বামী ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের সান্নিধ্য পায়নি, এমন যুক্তি লাফটার চ্যালেঞ্জ শো-এই মানানসই। একগাদা ভুল হিন্দি বানানে লেখা পোস্টার আর ব্যানারই কি বিহার-রাজনীতির একমাত্র রূপকল্প? পরিচালকের ব্যক্তিগত উন্নাসিকতাই এক্ষেত্রে প্রতীয়মান। মেকিয়াভেলিয়ান সিডিউসারের চরিত্রে যিশুর মতো নিষ্পাপ মুখের একজন অভিনেতা যথেষ্ট বেমানান। ‘ইন্ডিয়া অনলাইন’ বস্তুটি কী, সেটাও স্পষ্ট হল না। পূর্ণাঙ্গ সংবাদপত্র নাকি মূলত ওয়েবসাইট? যার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক মাসের পর মাস এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায় (নিখিলেশ), সেটির পরিচালন পদ্ধতিই বা কেমন?
অ্যান্টাসিড ও ইসবগুলে চোবানো বাঙালিয়ানায় অনবদ্য অনির্বাণ ভট্টাচার্য। উচ্চারিত সংলাপ ও অব্যক্ত যন্ত্রণার ধ্রুপদী যুগলবন্দিতে তিনি এক মায়াবী শিল্পলোক নির্মাণ করেছেন। বৃন্দার হয়তো অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু পরিচালিকার উদাসীনতায় তার অন্তরমহল একটি অন্ধকার গৃহকোণে পর্যবসিত হয়েছে। যেখানে আলোক-সম্পাত প্রায় ঘটেইনি। ‘আসছে আবার শবর’ ছবির পর তুহিনার এটি দ্বিতীয় ছবি। দর্শক-মনে প্রায় নবাগতা তুহিনার তেমন কোনও জোরালো পূর্ব-স্মৃতি না থাকায় বৃন্দার চরিত্রে তাঁর তাজা ও স্নিগ্ধ উপস্থিতি মন ভালো করে দেয়। বৃন্দার ছোট বয়সের চরিত্রে কয়লাখনির ধুলো মাখা রূপকথার মাত্রাজ্ঞানে ভরপুর স্বরক্ষেপণ ও ছন্দময় অঙ্গ সঞ্চালন উচ্চ প্রশংসার দাবি রাখে। নিজের ইমেজ ও চেহারার সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী চরিত্রেও যথাসাধ্য খেটেছেন যিশু।
প্রয়াত গৌরী লঙ্কেশকে উৎসর্গীকৃত ও শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবিতে সৌমিক হালদারের সিনেমাটোগ্রাফি ও রবিরঞ্জন মৈত্রের সম্পাদনার নিখুঁত যুগলবন্দি প্রাণচঞ্চল তরঙ্গ নির্মাণ করেছে। নীল দত্তের সুরের মূর্ছনায় বৃন্দা ও সন্দীপের অন্তরঙ্গ মুহূর্তটি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে।