কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
জবার এই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি খুশি তার স্বামী পরম। ‘সাড়ে তিন বছর ধরে জবার এই বিচারক হওয়ার জার্নিতে পরমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এতদিন ধরে দর্শক যে ভাবে ধারাবাহিকটাকে ভালোবেসে যাচ্ছেন সেটা সত্যি অভাবনীয়। জবার সাফল্যের আড়ালে আসলে কে আপন কে পর-এর সাফল্যকেই সেলিব্রেট করা হচ্ছে’, বললেন পরম রূপী বিশ্বজিৎ ঘোষ। ধারাবাহিকে একটানা অভিনয় অনেক সময় একঘেয়েমি আনে। সাড়ে তিন বছরে কখনও সে রকম কিছু হয়নি? ‘বিগত এক বছর ধরে দিনের চোদ্দো ঘণ্টা পরম হয়ে থাকছি। তার আগে তো প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই পরম হয়ে থাকতে হতো। সেট থেকে বেরলেই আমি অবশ্য চরিত্রের খোলসটা ছেড়ে ফেলি। হ্যাংওভার রাখি না। আর অভিনেতা তো, তাই নানা ধরনের কাজের খিদেও রয়েছে। তবে ধারাবাহিকটা যেভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে তাতে এখনও পর্যন্ত জার্নিটা আমি উপভোগ করছি!’ বললেন তিনি। জবার চরিত্রাভিনেত্রী পল্লবী শর্মা অবশ্য সেটে কিংবা সেটের বাইরে এখন পুরোপুরি জবা হয়েই উঠেছেন। ‘ধারাবাহিকটা বারোশো পর্ব ছুঁয়ে ফেলল। এতদিনের শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও বিপুল। সেটটা এখন আর আমার সেকেন্ড হোম নয়, বরং ফার্স্ট হোম হয়ে গিয়েছে। আমার যদি কোনও দিন শ্যুটিং না থাকে, আমি সেদিন খুব মিস করি। এমনকী হয়তো একবার সেটে এসে ঘুরে গেলাম। জবা একেবারে আমার রক্তে মিশে গিয়েছে। ওর জন্য আলাদা করে ভাবতে হয় না। কোনও একঘেয়ে ব্যাপার নেই। বরং বলব জবার হ্যাংওভারটা আমার মধ্যে সবসময় থাকে। বাড়িতে থাকলেও আমি জবাকে ক্যারি করি। আসলে পল্লবী এখন অনেকটাই জবা হয়ে উঠেছে।’
দর্শকের ভালোবাসাই বলি বা জবা-পরমের রসায়ন, অথবা ‘কে আপন কে পর’ টিমের কঠিন পরিশ্রম-সাফল্য যে তাদের কাছে বাধা পড়েছে সে কথা স্বীকার করতেই হবে। আর এই সাফল্যের উদযাপন হবে আজ রাতে এক ঘণ্টার বিশেষ পর্বে।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়