স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
এই হাতের কাজটা বোতল দিয়ে তৈরি করতে হয়। কাচের বোতল এখন খুবই ট্রেন্ডিং। প্লাস্টিক ছেড়ে সকলেই কাচে ফিরছেন। তাই এবার যে হাতের কাজটা শেখাবেন ডিজাইনার বিদিশা বসু, সেটাও ওই কাচের বোতল দিয়েই তৈরি। এখন দোকানে কাচের নানা আকারের বোতল পাওয়া যায়। জল রাখার জন্য উপযুক্ত তেমনই একটা বোতল কিনে তার উপর পাটের দড়ির নকশা করলে তা দেখতেও ভালো লাগবে, কাচটাও মজবুত থাকবে। বাইরের আঘাতে সহজে তা ভাঙবেও না। এই যে পাটের দড়ির নকশা, এটা দু’ভাবে করা যায়। রঙিন পাটের দড়ি কিনে তা দিয়ে করা যায়। অথবা সাধারণ পাটের দড়ি কিনে তার উপর নিজের ইচ্ছেমতো রং করা যায়। তবে বোতলে পাটের নকশা করার জন্য দু’রকম পাটের দড়ি লাগে। একটা সরু। অন্যটা মোটা। প্রথমে সরু দড়ি বোতলের গায়ে পুরু করে জড়িয়ে নিতে হবে। তারপর মোটা দড়ি দিয়ে বোতলের নীচের অংশ জড়াতে হবে। মনে হবে যেন বোতলটায় কেসিং করা রয়েছে। কেমন লাগল নকশাটা? সহজ অথচ সুন্দর তাই তো? তাহলে শিখবে নাকি নকশাখানা? আগে বলি কী কী লাগবে এর জন্য।
উপকরণ: একটা কাচের বোতল, পাটের সরু ও মোটা দড়ি এক বান্ডিল করে, আঠা এক টিউব, পোস্টার কালার ও মোটা তুলি প্রয়োজন অনুযায়ী।
পদ্ধতি: বোতল ধুয়ে শুকনো করে নাও। এবার তার গায়ে বাজার থেকে কেনা ভালো আঠা লাগিয়ে দাও। আঠা লাগানোর পর বোতলটা একটু শুকিয়ে নাও। তবে খেয়াল রাখতে হবে আঠা যেন সম্পূর্ণ শুকিয়ে না যায়। আঠা লাগিয়েই যদি তার গায়ে কিছু জড়াতে যাও তাহলে তা ধরবে না, হড়কে খেয়ে খুলে আসবে। তাই আঠা আধশুকনো করে নিতে হবে। এরপর সরু পাটের দড়ি আস্তে আস্তে বোতলের নীচ থেকে উপরে গোল করে জড়াতে হবে। গায়ে গায়ে জড়াবে যাতে কোনও জায়গা ফাঁকা না থাকে। এরপর তা রেখে দেবে যাতে বোতল শুকিয়ে যায় এবং দড়ি বোতলের গায়ে লেগে যায়। যদি রঙিন দড়ি দিয়ে বোতলাটা জড়াও তাহলে আলাদা করে রং করতে হবে না। নয়তো নিজের পছন্দ মতো রং দিয়ে বোতল রাঙিয়ে নিতে পার। এরপর রং শুকিয়ে যেতে দাও। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে বোতলে নীচের দিক থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত আবারও আঠা লাগাও। আবারও তা আধশুকনো করে নাও। তারপর মোটা পাটের দড়ি আস্তে আস্তে বোতলের নীচ থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত জড়িয়ে নাও। একদিন রেখে দাও। শুকিয়ে গেলে এবং পাটের মোটা দড়ি সম্পূর্ণ আটকে গেলে তার উপর ফুল বা জ্যামিতিক নকশা আঁকো। ব্যস, বোতলে পাটের নকশা রেডি।