যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হাবড়ার আশরাফাবাদ কলোনির বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল তাঁর দুই ছেলে গৌরব ও চন্দন দৈনিক সঞ্চয়ের একটি প্রকল্প খোলেন। সেখান থেকে ক্ষুদ্র ঋণও দেওয়া হতো। তবে সেই সংখ্যা নগন্য। কাউকে বলা হয়, দৈনিক সঞ্চয় করলে দেড় বছরের মাথায় দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেবেন। দোকানদার, ফেরিওয়ালা, দিনমজুর, টোটোচালকরা টাকা জমিয়ে এখন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় গৌতম ও তাঁর দুই ছেলে বিভিন্ন জায়গায় টাকা সংগ্রহ করতেন। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় দৈনিক সঞ্চয়ের ওই প্রকল্পে অনেকেই টাকা জমিয়েছিলেন। ডিসেম্বর মাসে বহু আমানতকারীর সঞ্চয়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে। টাকা কবে ফেরত পাবেন তা জানতে দিন কয়েক আগে এজেন্টদের কাছে গেলে, দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু হয়নি। পরে আমানতকারীরা জানতে পারেন গৌতম, তাঁর দুই ছেলে গৌরব ও চন্দন বেপাত্তা। অনেকেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গৌতম ও তাঁর ছেলেদের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ ছিল। বাড়ি সংলগ্ন অফিসও বন্ধ রয়েছে।
প্রতারিত আমানতকারীরা তখন হাবড়া থানার দ্বারস্থ হন। বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে পুলিস রবিবার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত নামে। জানা যায়, প্রতারিতের সংখ্যা একশো জনের বেশি। গৌতমের শাশুড়ি ও এক পুত্রবধূকে পুলিস আটক করেছে। আমানতকারী জয়ন্তী দাস বলেন, আমি ফেরি করি। মেয়ের বিয়ের জন্য দৈনিক সঞ্চয়ের টাকা ওদের দিয়েছিলাম। ডিসেম্বরে সেই টাকা ওঠার কথা। কিন্তু তার আগেই গায়েব হয়ে গিয়েছে ওরা। জানি না টাকা ফেরত পাব কি না। সুবিচারের দাবিতে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রতারিত খোদাবক্স সাহাজি বলেন, আমি বই করেছিলাম। ৫ লক্ষ করে মোট ২০ লক্ষ টাকা আমার পাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই শুনলাম মালিক পালিয়ে গিয়েছে।
এদিকে, পুলিস প্রতারিতদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে। পলাতক গৌতম ও তাঁর দুই ছেলের খোঁজে পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে পরিবারের দুই মহিলাকে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদও করে। নিজস্ব চিত্র