উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
পড়ার ফাঁকে বা অবসর সময়ে আজকের জেন ওয়াই প্রজন্মের কচিকাঁচাদের আড্ডায় এই কথাগুলোই উঠে আসে। প্রযুক্তির যুগে মানুষের জীবনযাত্রার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মোবাইল ফোন। হাতের মুঠোয় থাকা যন্ত্রটি হয়ে উঠেছে কথা বলার থেকেও অন্য কাজের মুশকিল আসান। অনলাইন টিউশন থেকে বিনোদন, গেমিং থেকে ব্যাংকিং তার জুড়ি মেলা ভার। আর এই এত কাজের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে শক্তিশালী ব্যাটারির।
কিন্তু বন্ধুরা আমরা কি জানি, কী এই শক্তিভাণ্ডার? কখনও কি ভেবে দেখেছি, সেই ভৌত বিজ্ঞানের বইয়ে থাকা টর্চের ব্যাটারি আজ কীভাবে বিবর্তিত হয়ে পাওয়ার হাউসে পরিণত হল? কত ধরনের ব্যাটারিকে আমরা ফেলে এসেছি, আজ তা নিয়েই আমাদের আলোচনা।
কার্বন-জিঙ্ক সেল: সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্যাটারি। ড্রাইসেল নামেও পরিচিত। লাইট, খেলনা, রেডিও ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়। এখানে থেকে জিঙ্ক বা দস্তার সিলিন্ডার আকারের টিউব, যা ক্যাথোড বা নেগেটিভ টার্মিনাল। আর থাকে ম্যাঙ্গানিজ-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন পাউডারের মিশ্রণে আবৃত একটি কার্বন রড। সেটাই অ্যানোড বা পজিটিভ টার্মিনাল। জলে দ্রবীভূত জিঙ্ক ক্লোরাইড ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের পেস্ট ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অ্যালক্যালাইন সেল: এটি জিঙ্ক-কার্বন ব্যাটারির চেয়ে উন্নত, দামি ও দীর্ঘস্থায়ী। দেওয়াল ঘড়ি, পকেট ক্যালকুলেটর, ক্যামেরা ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়। এখানে অ্যানোড হল জিঙ্ক পাউডার এবং ক্যাথোড হল ম্যাঙ্গানিজ-ডাই-অক্সাইড পাউডার। আর ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয় পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড।
বোতাম বা কয়েন সেল: জিঙ্ক, লিথিয়াম ব্যবহার হয় ক্যাথোড হিসেবে। আর অ্যানোড হিসেবে কাজ করে ম্যাঙ্গানিজ-ডাই -অক্সাইড, সিলভার অক্সাইড, কার্বন মনোফ্লুরাইড, কিউপ্রিক অক্সাইড বা মারকিউরিক অক্সাইডের মতো যৌগ। ঘড়ি, পকেট ক্যালকুলেটর, হিয়ারিং এইড ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।
নিকেল ক্যাডমিয়াম সেল: এটি সাধারণ পেন্সিল ব্যাটারির মতোই, তবে এগুলো চার্জ দিয়ে বার বার ব্যবহার করা যায়। কর্ডলেস ফোন, খেলনা, ইমারজেন্সি লাইটি ইত্যাদিতে বেশি ব্যবহার হয়। এই ব্যাটারিতে ক্যাথোড হিসেবে নিকেল অক্সাইড হাইড্রোক্সাইড এবং অ্যানোড হিসেবে মেটালিক ক্যাডমিয়ামের অ্যাকুয়াস ব্যবহৃত হয়।
নিকেল মেটাল হাইড্রাইড সেল: নিক্যাড বা নিকেল ক্যাডমিয়ামের থেকে উন্নত। ক্যাডমিয়ামের বদলে হাইড্রোজেন অ্যালয় ব্যবহার হয়। নিক্যাডে যেখানে ৬০০-৭০০ মিলিআম্পায়ার থাকে, সেখানে নিকেল মেটাল হাইড্রাইডে ১১০০-২৯০০ মিলিআম্পায়ার থাকে।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি: এখানে ক্যাথোড হিসেবে লিথিয়াম অক্সাইড এবং অ্যানোড হিসেবে কার্বন কম্পাউন্ড ও গ্রাফাইট ব্যবহার হয়। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা, ল্যাপটপ, ব্যাটারিচালিত গাড়ি ইত্যাদিতে ব্যাপক ব্যবহার হয়।
ফুয়েল সেল: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যাটারি। এটি এখনও গবেষণাধীন। বিভিন্ন ধরনের হাইড্রোজেন যৌগ অ্যানোড (ফুয়েল) ও ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যানোড ও ক্যাথোড রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।