Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোনিয়া গান্ধী কি গ্রেপ্তার হবেন?
হিমাংশু সিংহ

পরতে পরতে নাটক দেখছে দেশের জনগণ। যার স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে সাততারা দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের ঝাঁ চকচকে অফিসের কনফারেন্স রুমে। তারই প্রতিফলন আজ দিল্লির রাজপথ থেকে রাজ্যে রাজ্যে অলিগলি তস্য গলিতে। মঞ্চস্থ নাটকের নাম ‘বিরোধী ধরো জেল ভরো’। আর টাকা ছড়িয়ে বিধায়ক কিনে সরকার ভেঙে দাও। ইন্দিরা ৩৫৬ ধারা দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে সরকার বদলে দিতেন, তাঁর সমালোচনা বড় কম হয়নি। সংসদ থেকে সড়ক, সেই পরিসংখ্যান আজও জনসমক্ষে উপুড় করে দেন অমিত শাহরা। অথচ বাস্তব দেখাচ্ছে যাঁরা বলছেন, তাঁরাও সেই একই দোষে দোষী। শুধু পথটা আলাদা। অস্ত্রটা ভিন্ন। গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী বর্তমান শাসক ওপথে না গিয়ে দলটাকে বেমালুম আড়াআড়ি ভেঙে দিচ্ছেন। পার্থক্য বলতে শুধু ওইটুকুই। গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে বিজেপির বিধায়ক কিনে সরকার কায়েমকে মোটেই নৈতিকতার কষ্টিপাথরে পাশ নম্বর দেওয়া যায় না। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের ঢক্কানিনাদের অভিযাত্রায় একে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা কঠিন। নেহরু গান্ধী পরিবারের সঙ্গে আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক হলেও একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মৌতাতে এখানেই দু’তরফের আশ্চর্য মিল! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল, সঞ্জয় রাউতের গ্রেপ্তার থেকে দিল্লিতে সোনিয়া-রাহুলকে বারবার জেরা, ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিস সিল করা, ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার, পরপর সেই চিত্রনাট্যেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সবগুলোকে এক ক্যানভাসে মেলালে শাসকের ক্ষমতার উন্মত্ত দানবীয় আস্ফালন স্পষ্ট। বাংলাকে না হয় এ যাত্রায় বাদই দিলাম। সে তো গত এক দশক ধরে নিত্য লেগে আছে। দুর্নীতি কেউ সমর্থন করে না, কিন্তু ইডি, সিবিআইয়ের অতি তৎপরতা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, বঙ্গ বিজেপিকে দিয়ে কিচ্ছুটি হবে না বুঝেই সেই ভূমিকায় অভিনয় করতে পাঠানো হয়েছে গোয়েন্দা কর্তাদের। ওরা যেন এই বঙ্গে আগমার্কা গেরুয়া। অন্তত কাজে তো বটেই। এজেন্সি দিয়ে এ রাজ্যের নেতানেত্রীদের একটু সমঝে দেওয়ার কু-নাট্য। কান টানলে মাথা আসবে, এই থিয়োরি একুশের ভোটে ব্যর্থ হলেও চেষ্টার ত্রুটি নেই। চলছে তো চলছেই। কড়া নাড়ছে চব্বিশ। ভোট এলেই স্রোত জাগে, তারপর আবার সব নিস্তরঙ্গ, শান্ত নদীটি।
দেশজুড়ে এই মুহূর্তে সরকারের অগ্রাধিকার কোনটা? মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিয়ে গরিবের খিদে মেটানো, চাকরি দেওয়া, উন্নয়নের ঘোড়া ছোটানো, নাকি বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের জব্দ করা আর চব্বিশে বিরোধীশূন্য রাষ্ট্রে ফের ক্ষমতা দখল করে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’র পথ প্রশস্ত করা? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গোল বাঁধারই কথা। তাই এদেশে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস, সবের দাম লাফিয়ে বাড়লেও কারও কোনও হেলদোল নেই। মানুষের অসহায়তার সুযোগে এ সম্প্রদায়কে ও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দাও, হাঙ্গামা বাধাও, বিভাজনের তাস খেলো আর গোটা কয়েক চোখ ধাঁধানো ধর্মস্থান গড়তে পারলেই সাতখুন মাফ। উল্টে দ্বিগুণ ভোট ঘরে আসবে। তৃতীয়বারও দিল্লি দখল কে আটকায়! কে দেখতে যাচ্ছে অর্থনীতি কতটা সফল, গরিবের থালায় ভাত আছে না নেই, আর পাশ করেও কাজ না পেয়ে যুব সমাজের নিষ্পলক হতাশ দৃষ্টির অব্যক্ত যন্ত্রণা।
আট বছর আগে ক্ষমতা দখল করেই কংগ্রেস মুক্ত ভারতের ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। রাজকীয় রাম মন্দির নির্মাণ যেমন এখন শেষ পর্যায়ে, তেমনি কংগ্রেসকে বহরে ও তাৎপর্যে ক্রমে শূন্যের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার অন্তহীন প্রচেষ্টাও ক্লাইম্যাক্সে। ন্যাশনাল হেরাল্ড সম্পত্তি হস্তান্তর মামলায় গুরুতর অভিযোগের সামনে নেহরু-গান্ধী পরিবার। দশ জনপথের বাইরে প্রচুর পুলিস, নিরাপত্তা বাহিনী। লাখ টাকার একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, গ্রেপ্তার কখন, কবে? মামলাটা করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। মোদি ক্ষমতায় আসার আগে ২০১২ সালে। অভিযোগ ছিল, এর মাধ্যমে ঘুরিয়ে দলেরই কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পরিবার। ন্যাশনাল হেরাল্ড কাগজের পরিচালন ভার ছিল নেহরুর হাতে গড়া অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড (এজেএল) নামে একটি সংস্থার উপর। সেটির উৎপত্তি স্বাধীনতারও আগে, ১৯৩৭ সালে। প্রতিষ্ঠাতা জওহরলাল নেহরু। অফিস ৫-এ, বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ। কাগজটিকে বাঁচাতে সংস্থাটি কংগ্রেস দলের কাছ থেকে বিনা সুদে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা ফেরত দেওয়া হয়নি। উল্টে কাগজের আধুনিকীকরণে এক পয়সা খরচ হয়েছে বলেও প্রমাণ নেই। ২০১০ সালের পর কাগজটি আর প্রকাশিত হয় না। তাহলে ওই টাকা গেল কোথায়? অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালের প্রচুর জমি জায়গা সম্পত্তি ছিল। বিজেপি এমপি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেড নামে একটি নয়া সংস্থা খুলে সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পরিবার ওই সংস্থার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। অনৈতিকভাবে হাতবদল হয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। বিতর্কটা এইখানেই। কিন্তু দশ বছর আগের মামলাকে হঠাৎ এভাবে চব্বিশ সালের সাধারণ নির্বাচনের দু’বছর আগে জাগিয়ে তোলায় যাবতীয় সন্দেহ ও প্রশ্ন উঠছে। সোনিয়ার গায়ে হাত দিয়ে কংগ্রেসকে অভিভাবক শূন্য করে দেওয়ার ঝুঁকি কি শেষ পর্যন্ত নেবেন নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল? উত্তরটা সময়ই বলবে। তবে রাজনীতিতে স্বাভাবিক মৃত্যুর তুলনায় কাউকে গুরুত্ব দিয়ে শহিদ বানালে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে পাল্টা প্রতিক্রিয়া ও অভিঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ইতিহাস বারে বারে সেই শিক্ষা দিয়েছে। কৌশলী সঙ্ঘ পরিবার ও নরেন্দ্র মোদি চূড়ান্ত কিছু করার আগে নিশ্চয়ই সেই হিসেব কষছেন।
সেই সুবাদে ভারতীয় রাজনীতির এই সন্ধিক্ষণে লাখ টাকার প্রশ্ন একটাই, চব্বিশের লড়াই ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছনোর আগে কি সোনিয়া, রাহুল গ্রেপ্তার হবেন? মোটামুটি সামান্য কয়েকটি রাজ্য বাদে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক লুট হয়ে গিয়েছে। ভল্টে যেটুকু রাখা আছে তাও কমছে। কয়েক বছর আগেও পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে যেটুকু সামান্য জনসমর্থন ছিল, সেটা আরও ক্ষয়ে যাওয়ার নিশ্চিত আশঙ্কা। মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানে ঘুরপথে সরকার দখলের ছক পাকা। ছত্তিশগড়েও ডামাডোল তুঙ্গে। কংগ্রেসকে অণু-পরমাণুতে ভেঙে ছোট ছোট আঞ্চলিক দলের মধ্যে সেই ভোটব্যাঙ্কের বিতরণ ও বণ্টন সঙ্ঘ পরিবারের ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের অঙ্গ। সার্থকভাবেই তা চলছে। 
এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সামান্য খোঁজ যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানেন ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে স্বাধীনতা উত্তর সময়ের প্রথম বড় ধাক্কাটা খেয়েছিল কংগ্রেস। ইন্দিরা গান্ধী গোহারা হন। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মোরারজি দেশাই। দেশের প্রথম অকংগ্রেসি সরকার। দেশজুড়ে চরম ইন্দিরা ও কংগ্রেস বিরোধী হাওয়া। সেই হাওয়াতেই পালাবদলের মাত্র সাত মাসের মধ্যে গ্রেপ্তার হন নেহরু কন্যা। হইচই পড়ে যায়। ৩ অক্টোবর, ১৯৭৭। অন্য আরও পাঁচটা কারণের সঙ্গে ওই একটা গ্রেপ্তারই নিমেষে হাওয়া ঘুরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় রাজনীতির। পায়ের তলার মাটি একটু একটু করে ফিরে পায় দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটি। এরপর মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনে সাড়ে তিনশো আসন নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হয় কংগ্রেসের। মুছে যায় কিছু কংগ্রেস ছেড়ে আসা, কিছু সোশ্যালিস্ট দল আর জনসঙ্ঘের মিলিত ফ্রন্ট। জরুরি অবস্থার পটভূমিতে যার রূপকার ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। তাই রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণের জন্য এবারও হঠাৎ অসুস্থ সোনিয়া-রাহুলকে গ্রেপ্তার করলে হিতে বিপরীত হবে না তো? ঘুমন্ত কংগ্রেসকে শহিদ করে শেষে নরেন্দ্র মোদিকে হাত কামড়াতে হবে না তো! রাজনীতিতে কিন্তু শেষ কথা বলে কিছু হয় না!
07th  August, 2022
পূর্বসূরিদের কলঙ্ক মুছতে প্রয়াসী বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

বেলাগাম হয়ে ছুটছে মূল্যবৃদ্ধির অশ্বমেধের ঘোড়া। মানুষকে দলিত করে, আহত করে সে ছুটছে আপন খেয়ালে। তাকে রোখার ক্ষমতা নেই রাজাধিরাজের।
বিশদ

ধন্যি রাজনৈতিক অধ্যাবসায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শ্রদ্ধেয় নীতীশবাবু, রাষ্ট্রপতি আর উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সৌজন্যে বিরোধী জোট রাজনীতির উনুনটা কেমন যেন নিবু নিবু হয়ে পড়েছিল। আচমকা আপনি তাতে জোরদার একটা ফুঁ মেরেছেন।
বিশদ

09th  August, 2022
আমি যে বক্তব্য
রাখতে পারতাম
পি চিদম্বরম

এই বিতর্ক কয়েকদিন আগে হওয়া উচিত ছিল। বিধি ২৬৭-র অধীনে আলোচনা এবং অন্যকোনও নিয়মের মধ্যে ‘বাস্তবিক’ পার্থক্য বুঝতে আমি ব্যর্থ হয়েছি। সরকার একগুঁয়ে, জনগণ এজন্য তার হামবড়া ভাবকে দায়ী করে।
বিশদ

08th  August, 2022
ভয় থেকেই কি সিআইডি তদন্তে বাধা
তন্ময় মল্লিক

‘এমন সুযোগ আর আসবে না কোনো দিন/ বাছবাছাই না করে হাতের কাছে যা পাস/ তাই দিয়ে পোঁটলাপুঁটলি বেঁধে নে হুট করে।/ বেরিয়ে পড়,/দেরি করলেই পস্তাতে হবে/’ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘উদ্বাস্তু’ কবিতার ভূষণ পাল এভাবেই গোটা পরিবারটাকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশদ

06th  August, 2022
মাননীয় অর্থমন্ত্রী, মূল্যবৃদ্ধি কাকে বলে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মূল্যবৃদ্ধিকে ঠিক কেমন দেখতে? জিডিপির মতো? পেট্রল ডিজেলের দামের মতো? ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মতো? ডলার ও টাকার বিনিময় মূল্যের মতো? আমদানি রপ্তানি শুল্কের কঠিন অঙ্কের মতো? রেপো রেটের মতো? কেমন হয় মূল্যবৃদ্ধি? সরকার কী বলে আমাদের? বিশদ

05th  August, 2022
বিজেপি কি ধোয়া তুলসী পাতা!
মৃণালকান্তি দাস

গত বছর কর্ণাটকের স্টেট কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বেঙ্গালুরুতে যে কোনও নির্মাণকাজ শুরু করতে গেলে আগে টেন্ডারের মূল্যের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিতে হয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিল ক্লিয়ার করার জন্য উপরি ৫ শতাংশ।
বিশদ

04th  August, 2022
এই দুর্দিনে সোনার
ছেলেমেয়েরাই প্রেরণা

হারাধন চৌধুরী

বরং আমাদের প্রেরণা হয়ে উঠুন মীরাবাঈ চানু, জেরেমি লালরিনুঙ্গা, অচিন্ত্য শিউলিরা। তাঁরাই প্রকৃত সোনার মেয়ে ও সোনার ছেলে। আলোচনা চলুক কমনওয়েলথ গেমসে, আন্তর্জাতিক পরিসরে তাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতি নিয়ে। রাজনীতিকরা রোজই কোনও-না-কোনওভাবে আমাদের আশাহত করছেন, মুখ কালো করে দিচ্ছেন। সেই কালো মুখে এইটুকু আশার আলোর মূল্য মোটেই ন্যূন নয়।‌
বিশদ

03rd  August, 2022
পাকিস্তান নয়, আসল বিপদ চীন
পি চিদম্বরম

গত ২৬ জুলাই জাতি ২৩তম কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করল। বীরযোদ্ধা, বিশেষ করে শহিদদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যে দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে।
বিশদ

01st  August, 2022
শুধু পার্থকে সরালেই হবে
না, দিতে হবে চাকরি
হিমাংশু সিংহ

কেলেঙ্কারি এই প্রথম দেখছে না দেশের মানুষ। টাকা উদ্ধারও নতুন নয়। কোনও নেতা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত দুর্নীতি এবং বিচ্যুতি বাম ডান সব জমানাতেই সমান দস্তুর। কিন্তু যে দ্রুততায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক সেই পাঁক সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন, সেটাও কিন্তু নিঃসন্দেহে একটা দৃষ্টান্ত।
বিশদ

31st  July, 2022
অগ্নিশুদ্ধ হওয়াই অঙ্গীকার হোক তৃণমূলের
তন্ময় মল্লিক

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেই ‘দোষী’কে আড়ালের চেষ্টা, আর কড়া পদক্ষেপ করলেই ‘বলির পাঁঠা’। এটাই বিরোধী রাজনীতির বাঁধা গত। ইডি তল্লাশি চালিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’র ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াটাই ছিল বিরোধীদের মূল দাবি। বিশদ

30th  July, 2022
ইডির সক্রিয়তা ও তদন্তের ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাকরি দিয়ে টাকা জমানোর অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে এখন থেকেই তাদেরও খুঁজে খুঁজে চিহ্নিত করা দরকার যে, কারা সেইসব চাকরি পেল! কারণ, তারা যে চাকরি করছে, সেই চাকরি আসলে পাওয়ার কথা ছিল কোনও যোগ্য কর্মপ্রার্থীর। তৃণমূল আমল শুধু নয়, বামফ্রন্ট আমলে পার্টিকর্মীর স্ত্রী অথবা কর্মী হওয়ার সুবাদে এ পর্যন্ত কতজন চাকরি পেয়েছেন? সেই অভিযোগও তো নতুন নয়! ৪৪ বছরের তদন্ত করা হোক।
বিশদ

29th  July, 2022
মহোৎসবে অমৃত কোথায়?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের তেরঙা জাতীয় পতাকা কখনওই হিন্দুদের আপন, শ্রদ্ধার হয়ে উঠতে পারে না। লিখেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নেতা মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর।
বিশদ

28th  July, 2022
একনজরে
স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্প ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে  খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক এব্যাপারে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা, মহিলা এবং ...

স্ত্রী’র প্রেমিক সন্দেহে এক ব্যক্তিকে কাটারি দিয়ে কোপালেন ওই বধূর স্বামী। এতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির বাঁশবেড়িয়া গড়পাড়ে। সুব্রত মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটে। ...

কেতুগ্রামের আনকোনা গ্রামে পবিত্র মহরমের শোভাযাত্রায় খঞ্জরের আঘাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম সাহিরুল শেখ(১৯)।   ...

দীর্ঘ টালবাহানার পর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছেন একনাথ সিন্ধে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জুটি। মন্ত্রিসভা তৈরির পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এরইমধ্যে তিনমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শাসক জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬০- বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডের জন্ম
১৮৯৪- ভারতের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরির জন্ম
১৯৩৬-  বিশিষ্ট  সঙ্গীতশিল্পী ইলা বসুর জন্ম
১৯৬৩- ‘ডাকাত রানি’ ফুলন দেবীর জন্ম
১৯৮০- পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৭.৬৯ টাকা ৮১.২০ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৬৯ টাকা ৯৮.২৬ টাকা
ইউরো ৭৯.০১ টাকা ৮২.৮৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  August, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৯,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৯,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ শ্রাবণ, ১৪২৯, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২। ত্রয়োদশী ২২/৩২ দিবা ২/১৬। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ১১/১ দিবা ৯/৪০। সূর্যোদয় ৫/১৫/১১, সূর্যাস্ত ৬/৮/৫৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৯/৩২ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৪ গতে ৯/৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৬ গতে ১০/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫১ মধ্যে। 
২৪ শ্রাবণ, ১৪২৯, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২। ত্রয়োদশী দিবা ১২/২১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৮/৩৮। সূর্যোদয় ৫/১৪, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৬ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫১ মধ্যে। 
১১ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাখি পূর্ণিমায় কম চলবে মেট্রো
আগামীকাল রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে কমবে মেট্রো পরিষেবা। কবি সুভাষ থেকে ...বিশদ

06:57:59 PM

বীরভূমের রাইপুরে বজ্রাঘাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু

06:47:00 PM

এসএসসি মামলা: এস পি সিনহা, অশোক সাহাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই

06:13:01 PM

বাংলার পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরানো হল কৈলাসকে
বাংলার পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। তার ...বিশদ

04:59:38 PM

মোহন বাগান ক্লাবের নতুন টেন্টের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:40:14 PM

নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব

02:39:00 PM