উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছ’বছর আগে রাজকুমারের সঙ্গে নবগ্রাম থানার অনন্তপুর গ্রামের প্রিয়াঙ্কা পালের বিয়ে হয়। তাঁদের এক পুত্রসন্তান আছে। অভিযোগ, পণ সহ অন্যান্য দাবিতে বিয়ের পর থেকেই প্রিয়াঙ্কার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার চালাত। প্রিয়াঙ্কার মা বুলবুলি পাল বলেন, ওরা বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য শুধু চাপ দিত। মেয়ে সেটা মেনে নিতে পারেনি বলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওর উপর অত্যাচার করত। এরপর মেয়েটাকে মেরেই ফেলল ওরা।
গত ২৯ জুলাই রাত ২টো নাগাদ শ্বশুরবাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হন প্রিয়াঙ্কা। এরপর প্রতিবেশীরা তাঁকে প্রথমে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে পরের দিন সেখানেই মারা যান। ৩ আগস্ট খড়গ্রাম থানায় মৃতার মা মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর থেকেই পরিবারের লোকজন পলাতক ছিল। মৃতার মা আরও বলেন, জামাই কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় জামাই ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে মেয়েকে ফোনে চরম গালিগালাজ করে। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন উৎসাহিত হয়ে রাতে মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর পর থেকেই বাড়ির সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে অভিযুক্ত রাজকুমার কেরল থেকে বাড়ি ফেরে। তারপরই খড়গ্রাম থানার পুলিস সোমবার বাড়ি থেকেই মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে। এব্যাপারে কান্দি মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী শুভ্রকুমার রুজ বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪৯৮ ৩০৪ বি ও ৩৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
বহরমপুরে ট্রেকারের ধাক্কায় প্রৌঢ়ের মৃত্য: বহরমপুরের কুমড়োদহ ঘাটে ট্রেকারের ধাক্কায় জখম প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল। মৃতের নাম আবু তাহের শেখ(৫৩)। গত ৫ আগস্ট দুর্ঘটনার পর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। একদিন থাকার পর কলকাতার এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়ি নিয়ে চলে যান। সোমবার ফের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি।