Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

রাত্রিটা ভালো নয়

বিনতা রায়চৌধুরী: এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বাইরে এসে পথিক দেখল ফুটপাতের দোকানগুলোও খোলা নেই। শুধু একজন ফলওয়ালা ল্যাম্পপোস্টের নীচে বসে দোকান আগলাচ্ছে। পথিক ভাবল, মাসিমণির জন্য একটু ফল কিনে নেবে কি না। অবশ্য কিনেই বা কী লাভ? উল্টে মাসিমণি তাকে বকাবকিই করবে। চোখ পাকিয়ে বলবে, ‘কেন এনেছিস এসব? কার জন্য এনেছিস?’
যাক, এতদিন পর যাদের কাছে যাচ্ছে, তাদের কাছে পৌঁছতে পারলেই ভাববে ঢের হয়েছে। কিন্তু পথ চিনে যেতে পারবে না পথিক। রাত হয়েছে। দিনের আলো থাকলেও না হয় হতো। একটা রিকশ তার খুবই দরকার। মাসিমণি সবসময় বলত, রিকশওয়ালাকে ‘জনপদ নগর’ বললেই ঠিক পৌঁছে দেবে। আর পৌঁছতে পারলে বাড়িটা ও চিনে নেবে।
রাস্তার ওপর ফুটপাতে তিনটে সাইকেল রিকশ দাঁড়িয়ে আছে দেখতে পেল পথিক। এদিকটা সাইকেল রিকশরই চল। খাল পেরলে আর টানা রিকশ চলে না। বেশ অন্ধকার অন্ধকার জায়গাটা। তাতে অবশ্য পথিকের অসুবিধে নেই। রিকশটা যেতে রাজি হলেই সে খুশি।
প্রথম রিকশটায় কেউ নেই। চালক অদৃশ্য। তার পিছনে যে রিকশটা দাঁড়িয়ে আছে তার চালক গাড়িতে বসেই চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমচ্ছে। ‘ও ভাই, ও ভাই’ করে কয়েকবার ডাকলেও সে উঠল না। নড়া-চড়াই করল না। আর একটা মাত্র রিকশ দাঁড়িয়ে আছে। একটু পেছনে। তার মধ্যেও ঘুমন্ত রিকশওয়ালা বোধহয়। কারণ, যে রয়েছে, সে কম্বলে আপাদমস্তক ঢেকে রিকশর পাদানিতে শুয়েই আছে। পথিক সেখানে গিয়ে মরিয়া হয়ে ডাকল, ‘ও রিকশওয়ালা, রিকশওয়ালা। সবাই ঘুমচ্ছে কেন? এমন কী রাত হয়েছে? আমাকে একটু পৌঁছে দেবে?’
কম্বলের ঢাকা সরল না। পথিক বলল, ‘না হয় একটু বেশি ভাড়াই নিও। তবু চল না বাপু।’ কয়েকবার অনুরোধ করার পরও যখন রিকশওয়ালার হুঁশ ফিরল না তখন পথিক হাল ছেড়ে দিয়ে পেছন ফিরল। নিরুপায় হয়ে সে যখন পা বাড়াচ্ছে তখন পেছন থেকে ঘড়ঘড়ে গলায় সে ডাকল, ‘কোথায় যাবেন?’
‘এই যে জনপদ নগর। নিয়ে যাবে?’
‘জনপদ নগর? এই রাতে কেউ সেখানে যায় নাকি? কে আপনি?’
‘ধরে নাও আমি রাত্রির যাত্রী। আর জনপদ নগরই আমার গন্তব্যস্থল। যাবে কি?’
কম্বলটা এতই অল্প সরাল রিকশওয়ালা যে তার মুখ ভালো করে বোঝা গেল না। সে ফর্সা না কালো, রোগা না মোটা, বুড়ো না জোয়ান কিছুই বোঝা গেল না। তবে সে উঠে সাইকেলের সিটে বসল।
‘তুমি চেন তো জায়গাটা? ভাড়া কত?’
‘জগু রিকশওয়ালা চেনে না এইদিককার কোনও জায়গা নেই গো। চাইলে ভবের খালটাও পার করে দিতে পারি। জনপদ নগর তো কোন ছাড়! হে হে খ্যা খ্যা।’
‘হাসি থামাও বাবু জগু। ভাড়া কত নেবে বল।’
‘একশো টাকা দিয়ে দেবেন।’
‘একশো? মাসিমণি বলেছিল তিরিশ-চল্লিশ টাকা ভাড়া?’
‘মাসিমণি? আপনার মাসি কী জানত শুনশান রাতে রিকশ নেবেন? অমন মড়ক শেষে জনপদে যেতে হবে। তাছাড়া আজকের রাত্তিরটা মোটেই ভালো নয়।’
‘মড়ক? কীসের মড়ক জগু?’
‘বাঃবাঃ। করোনার পর জনপদ নগর তো সাফ। কোথায় যে যাচ্ছেন কে জানে?’
‘ঠিক আছে একশো-ই দেব। কিন্তু পথে...।’
‘আর পথে কিংবা বিপথে, হেঁ হেঁ হেঁ।’
‘বলছি, যাওয়ার পথে কোনও পেট্রল পাম্প পড়বে?’
‘তা পড়বে, দুধের ডিপো ছাড়ালেই একটা পেট্রল পাম্প পড়বে। এদিকে আসা-যাওয়া আছে?’
‘না, মাসিমণির নির্দেশ মতো বলছি। সেই পাম্পের পাশের গলিতে ‘খাওয়া-দাওয়া’ বলে একটা ভাতের হোটেল আছে। তুমি চেন? ওইখানে একটু থামতে হবে।’
‘ওই দেখ, ওখানে গিয়ে আবার বসে যাবেন নাকি? এই রাতে আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না, বলে দিচ্ছি। আর দাঁড়ালে একশো পঁচিশ টাকা ভাড়া লাগবে।’
‘ওফ জগু, কে বলেছে আমি বসে যাব? আমি যাবই না। ‘খাওয়া-দাওয়া’র মালিক দুর্দিনে মাসিমণিকে দেখেছিল, তাই তার আদেশে সাড়ে তিনশো টাকা তাকে দিয়ে আসতে হবে। আমি বরং রিকশতেই বসে থাকব, তুমি টাকাটা দিয়ে আসবে। তুমি স্থানীয় লোক, চট করে পেয়ে যাবে। আমি তো এপাশটা চিনিই না। রিকশ ভাড়া নেওয়ার এটাও একটা কারণ আমার।’
‘আমি কি আপনার মাসিকে চিনি? তাঁর ঋণ কী করে শুধব?’
‘না-না, বলবে জনপদ নগরের লাবণ্যদেবী এই টাকাটা পাঠিয়েছেন। তাঁর নিজের আসার উপায় নেই। আমার কথা না হয় না-ই বললে।’
‘অঃ, ঠিক আছে চলুন। আগে তো দুধের ডিপো অবধি যাই।’ এই বলে প্যাডেলে চাপ দিল জগু। খানিকক্ষণ যাওযার পর বলল পথিক, ‘চারপাশের দোকান-টোকানগুলো বন্ধ? না, রাত হয়েছে তাই?’
‘দোকান? অর্ধেক দোকান তো বেবাক বন্ধ হইয়ে গেছে। লক-ডাউন সামলাতে পারে ছোট ছোট দোকান? ওরা হল দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। দোকানি হল মজুর, সাপ্লায়ার হল ঝাড়ুদার, মালিক হল সব্জিওয়ালা। একেবারে তছনছ। যা হল কাল করোনায়! সে আর কী বলব!’
পথিক আপন মনে হাসল। এই কথা তার চেয়ে বেশি আর কে জানে।
‘আচ্ছা জগু, তুমি এমন করে কম্বল মুড়ি দিয়ে সাইকেল চালাচ্ছ কেন? অসুবিধে হচ্ছে না? খুব ঠান্ডা লাগছে? শীত অবশ্য পড়েই গেছে। রাতও হয়েছে।’
জগু একটু হাসল। গান গাইতে লাগল, চাপাসুরে এবং অবশ্যই বেসুরে। তারপর বলল, ‘রাতের সওয়ারি ভাই, আপনার মতো গরম জিকেট তো আর নাই যে গলা মাথা ঢেকে নেব। এই কম্বলই সম্বল। গায়ের চাদর, শোওয়ার বিছানা, চেহারা ঢাকনি, স-ব।’
পথিক ভাবল জগুর রসবোধ বেশ গনগনে। হেসে বলল, ‘আমার বাড়ি গেলে একটা জ্যাকেট তোমাকে না হয় উপহারই দিয়ে দেব।’
পেট্রল পাম্পের পাশে এসে রিকশ দাঁড়াল। জগু বলল, ‘এই গলিতে ‘খাওয়া-দাওয়া’। আপনি যাবেন নাকি, আমি যাব?’
‘তুমিই যাও। আমি বসি রিকশয়।’
‘সেই ভালো। আপনি গেলে আবার দেরি করে ফেলবেন আসতে। আমি ঝট করে দিয়ে আসি।’ পথিক সাড়ে তিনশো টাকা বার করে সাইকেলের সিটে রাখল। টাকাটা তুলেই জগু পা চালাল। যাওয়ার আগে বলে গেল, ‘অনেকটা পথ এসে গেছি। নেমে যাবে না যেন। কোনও লাভ হবে না! জগু ছাড়া আর কেউ যাবে না জনপদ নগর।’
একটু পরেই জগু ফিরে এল। সাইকেলে উঠে প্যাডেলে চাপ দিয়ে বলল, ‘লোকটা টাকা পেয়ে খুশি হল আবার  অবাকও হল। বলল, জনপদ নগরের লাবণ্যদেবী পাঠিয়েছেন? আশ্চর্য কথা!’ পথিক ঘাড় নাড়ল, ‘একটা কাজ করে দিলে আমার জগু। আসলে বকেয়া পাওনা আর কে যেচে পড়ে মেটায় বল? মাসিমণি নিতান্তই ভালো মানুষ। অপরের ঋণ রাখতে চায় না। চল।’ জগু জোরেই চালাচ্ছে তার সাইকেল রিকশ। একটু বেশিই জোরে। রাত হয়েছে, খুব শুনশান চারদিকে। জগুর সাইকেলের ঘণ্টি ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই। আলোও নেই এদিকটা তেমন। পথিক হঠাৎ কান খাড়া করল। কেউ যেন কাঁদছে বিনিয়ে-বিনিয়ে। নাকি গান গাইছে কেউ নাকি সুরে? তাজ্জব তো! সে জগুকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কেউ কি কাঁদছে নাকি, নাকি সুরে?’ ‘ও সবে কান দেবেন না বাবু। ও হল পেত্নীর কান্না। কেউ কেউ শোনে। কেউ কেউ শুনতে পায় না। আমি যেমন শুনতে পাই না। জনপদ নগরে পরপর ঘরে করোনায় শেষ হয়ে গেছে। কাঁদবেই তো। আছে হয়তো এখনও বেঁচে এক-দু’ঘর। হয়তো আপনার মাসিমণির মতো। দেড়শো টাকা ভাড়া না পেলে আমি এদিকে আসতাম না। আজ যেন রাত্তিরটা ভালো ঠেকছে না।’
‘দেড়শোই নেবে? বড্ড বেশি নিচ্ছ জগু। যাই বল। আরও পঁচিশ বাড়াচ্ছ।’
‘ও সব কথা ছাড়েন। দেখুন কোনটা আপনার মাসির বাড়ি। আমাকে ফিরতে হবে তো।’
‘আর একটু চল, আর একটু চল। হ্যাঁ হ্যাঁ আর একটু জোরে।’
‘জোরে কী বলছেন, উড়েই যাচ্ছি তো। গাছের পাতাগুলো কেমন দুলছে, হাসছে যেন।’
‘গাছের কথা বলায় মনে পড়ে গেল। জোড়া নারকেল গাছের পাশের বাড়িটাই মাসির। চিন্তা হল মাসিকে পাব কি পাব না। আরে, আরে, ওই তো জোড়া নারকেল গাছ। আর ওই হল মাসির বাড়ি। মনে পড়ে গেছে। থাম জগু। এসে গেছি, থাম।’ জগু সাইকেল রিকশখানা থামিয়ে বলল, ‘আপনার মাসির বাড়ি তো ঘুটঘুটে অন্ধকার দেখছি! ভেতরে মানুষজন আছে তো? যাক নেমে পড়ুন, আমার রিকশখানা হাল্কা হোক।’
‘মানুষজন থাকুক আর যেই থাকুক। ভেতরে তো যাই আগে।’
‘আমার ভাড়াটা দিয়ে যান। দেড়শো টাকা, এক টাকাও কম নেব না।’
‘হ্যাঁ, তুমি তো এক টাকাও কম নেবে না জানি। আমার কাছে অতটা খুচরো টাকা নেই। তুমি একটু দাঁড়াও। ভেতর থেকে এনে দিচ্ছি আমি। দরকার হলে না হয় মাসিমণির কাছ থেকে চেয়ে আনছি।’
‘ওই দেখ। বোঝো ঠ্যালা। এখন টাকা আনতে ভেতরে যাবেন, কখন ফিরবেন কে জানে? আমি সঙ্গে যাব?’
‘ভেতরে যাবে? মাথা খারাপ তোমার? ভয় নেই, দেড়শো টাকা তোমার মার যাবে না। দিচ্ছি।’
পথিক ভেতরে চলে গেল লাফিয়ে।
জগু অপেক্ষা করছে। একবার রিকশ থেকে নামছে, একবার উঠছে। বাড়িগুলো যেন আঁধারে হারিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দিনের বেলাতেই এদিকে খদ্দের আসে না। রাতের সওয়ারি তো দূরের কথা। কেউ ফিসফাস করে কথা বলছে নাকি? না, গাছের পাতায় হাওয়া লেগে অমন শব্দ হচ্ছে। এক মিনিটও যেন কুড়ি মিনিট মনে হচ্ছে। কেমন যেন রাতটা! অধৈর্য হয়ে জগু সাইকেলের ঘণ্টি বাজাল জোরে।
বাড়িটার দোতলার বারান্দায় এসে পথিক দাঁড়াল, ‘আরে জগু, এত রাতে কেউ অমন সাইকেলের ঘণ্টি বাজায়? এতদিন পর মাসিমণির সঙ্গে দেখা হল, কথা বলব না? এই নাও তোমার ভাড়া। দেড়শো মতোই আছে। হাতটা বাড়াও, আর নীচে নামতে ইচ্ছে করছে না।’
‘আমি এখান থেকে দোতলার বারান্দায় হাত বাড়াব? নেমে এসে দাও না।!
‘তুমি না বাড়ালে আমাকেই বাড়াতে হবে হাতটা। এই নাও।’
জগু দেখল দোতলার বারান্দা থেকে পথিকের হাতটা ইয়া লম্বা হয়ে তার সামনে চলে এসেছে। হাতের তালুতে দেড়শো টাকা। জগুর চোখ কপালে। ঝাঁপিয়ে উঠল রিকশর সিটে। প্যাডেলে চাপ দিল সমস্ত শক্তি দিয়ে। রিকশ দু’বার গড়িয়েই থেমে গেল। জগু ভাবল ওই হাতটা আরও লম্বা হয়ে নিশ্চয়ই তার পেছনে আসছে। চাকাটা চেপে ধরেছে নিশ্চয়ই। তাই তো প্যাডেল করলেও চাকা নড়ছে না।
জগু চেঁচিয়ে উঠল, ‘চাই না টাকা। ক্ষমা করে দাও। ছেড়ে দাও।’
রাতের বাতাস যেন বলে উঠল, ‘তাই কী হয়? আমরা কারও ঋণ রাখি না। দেখলে না?’
জীবনপণ করে জগু তার সাইকেলের চাকায় চোখ রাখল। মরতে হলে শেষ চেষ্টা করেই মরা ভালো। দেখল কোনও হাত নেই, ওর নিজেরই কম্বলটা গা থেকে খুলে চাকার মধ্যে জড়িয়ে গেছে। এক হ্যাঁচকা টানে খুলে নিল কম্বল। তারপর সাইকেলে উঠে আপ্রাণ চাপ দিল প্যাডেলে। তরতর করে সাইকেল এগল।
জগুর মনে হল কে যেন তার পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে পাশ থেকে বলে উঠল, ‘তোমার ওই কম্বল ছিঁড়ে গিয়েছে। একদিন সময় করে এসে একটা জ্যাকেট নিয়ে যেও জগুদাদা। রাত্রিটা তেমন খারাপও নয়, কী বল? ভেবেছিলাম তুমিও আমাদেরই একজন। তাই তো হাত বাড়াতে বলেছিলাম।’ 
15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
কলকাতার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, কলেজ স্কোয়্যার , শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব অথবা একডালিয়া— ভিড়ের বহর সকলের জানা। বিগ বাজেটের এইসব পুজোর চিরাচরিত ভিড়কে গত কয়েক ...

৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট। তার আগে বুধবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে হরিয়ানায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের মাসে দু’হাজার টাকা করে অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিল হাত শিবির। ...

গ্রামের প্রত্যেকের বাড়িতেই ঢুকেছে বন্যার জল। তাই বুধবার বন্যার দ্বিতীয় দিনেও হাঁড়ি চড়ল না অনেক পরিবারে। আবার সরকারি ত্রাণ এসে না পৌঁছনোই হতাশার সুর ভরতপুর ...

আর জি কর কাণ্ডের পর সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেইমতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও বাড়তি পুলিস মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৯- ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াকলানে প্রথম বাণিজ্যিক লন্ড্রি চালু হয়
১৮৬৫- প্রতিষ্ঠিত হয় আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়
১৮৯৩- নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো নারীদের ভোটাধিকার দেয়
১৮৯৪-  বাঙালি চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্রনাথ মজুমদারের জন্ম
১৯০৩- কল্লোল যুগের বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম
১৯০৭- প্রথম তাপ ও জ্বালানী উৎপাদনকারী উপাদান আবিস্কৃত হয়
১৯১৯- অভিনেতা জহর রায়ের জন্ম
১৯২১- সাহিত্যিক বিমল করের জন্ম
১৯২৪- সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের জন্ম
১৯৩৬- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রথিতযশা পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডের মৃত্যু
১৯৬৫- মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৪৮/০ রাত্রি ১২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৬/৩০ দিবা ৮/৪ পরে রেবতী নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষ রাত্রি ৫/১৫। সূর্যোদয় ৫/২৮/২, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৯ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
২ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ৬/২৩ পরে দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১১/১৬। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১/০ মধ্যে।
১৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভোপালে নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

11:28:00 PM

শনিবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগদানের আশ্বাস আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের

11:12:14 PM

বিহারে তল্লাশি অভিযানে এনআইএ, উদ্ধার প্রচুর টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র

11:11:32 PM

তৃণমূল বিধায়ক খুন: বেকসুর খালাস মুকুল-জগন্নাথ
নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে বেকসুর ...বিশদ

10:47:00 PM

আগামীকাল থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করা হবে, জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:33:00 PM

আগামীকাল দুপুর ৩টের সময়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:16:00 PM