গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
প্রত্যেক বছর বর্ষার সময় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৩টি ব্লকের ১৬৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়। গবাদি পশু মারা যায়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী করার বিষয়ে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী(দেব) সংসদে বহুবার প্রশ্ন তুলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও গুরুত্ব দেয়নি। কেন্দ্রের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির আরামবাগের সভা থেকে দেবকে সামনে রেখে রাজ্যের উদ্যোগেই মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করেন। সেই প্রতিশ্রুতির কথা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে সাধারণ মানুষ শুনতে পেয়ে অত্যন্ত আশ্বস্ত হন। ঘাটালবাসী আশায় বুকও বাঁধতে শুরু করেছেন।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও জলাধার থেকে ধারাবাহিক জল ছাড়ার জন্য ঘাটাল মহকুমার দু’টি পুরসভা এবং ১৬-১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত। বহু পরিবার জলবন্দি। ঘাটাল ব্লকের বরদার চৌকানের সামনে ঘাটাল-আরামবাগ রাস্তার উপরে জলের স্রোত বইছে। এর ফলে গাড়ি চলাচলও বন্ধ। সেই পরিস্থিতি দেখতেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন হুগলির আরামবাগ হয়ে আরামবাগ-ঘাটাল রাস্তা দিয়ে ঘাটাল ব্লকের রানির বাজারে আসেন। সেখানে রাস্তার উপরে বন্যার জল বইছে। মুখ্যমন্ত্রী পিচ রাস্তা বরাবর জলের উপর দিয়ে বেশ কিছুটা হেঁটে যান। তাঁর আসার কথা জানাজানি হতে বন্যার জল পেরিয়ে বহু মানুষ তাঁকে দেখার জন্য ভিড় করেন। তাঁদের মধ্যে বন্যার্তরাও ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে তাঁরা তাঁদের দাবির কথা জানান। অনেকেই জানান, তাঁরা পর্যাপ্ত পানীয় জল পাচ্ছেন না। কেউ ত্রিপল, পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের দাবি তোলেন। কয়েকজন সরকারি আবাসনের বাড়ি পাননি বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানান। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অভিযোগের বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। এদিন পূর্ণিমার ভরা কোটাল। পাশাপাশি জলাধার থেকে জল ছাড়ছে। তাই জেলাশাসককে অন্তত আরও তিনদিন ঘাটালের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেন। সেই সঙ্গে মহালয়ার সময় জোয়ারের প্রভাব পড়তে পারে বলেও বিষয়টি জেলাশাসককে মনে করিয়ে দেন। ঘাটাল ব্লকেরই বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত। ওই পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বিকাশ কর। তিনি বেশি পরিমাণ ত্রিপল এবং বন্যা পরিস্থিতির আপদকালীন কাজ চালানোর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।