গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী এদিনই ডিভিসিকে তোপ দেগে বলেছেন, জলাধারে ৭০-৮০ শতাংশ ভরলেই কেন অল্প করে জল ছাড়া হয় না? জবাবে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, বোরো চাষের জন্য জল ধরে রাখতে গিয়েই বাড়তি জল জলাধারে রাখতে হয়েছিল। অন্যদিকে, ডিভিসি জল ছাড়া অব্যাহত রাখায় জল ছাড়া কমাতে পারছে না দুর্গাপুর ব্যারাজ। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এদিন বিকেলেও ২ লক্ষ ৩৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। ফলে, বন্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল।
দামোদর অববাহিকাকে ছ’টি সাব বেসিনে বিভক্ত। উপরের দিকে বরাকর ওয়েস্ট সাব বেসিনে মঙ্গলবার সকাল ছ’টা থেকে এদিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত মাত্র ০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। হাজারিবাগ, তিলাইয়া, গোনডা সহ ঝাড়খণ্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। বরাকর ইস্ট সাব বেসিনে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। এই সাব বেসিন মূলত বাংলা ঘেঁষা। ঝাড়খণ্ডের মাইথন, জামতাড়া, চিরকুণ্ডা, গোবিন্দপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। দামোদর ওয়েস্ট সাব বেসিনেও কোনও বৃষ্টিপাত নেই। যারমধ্যে তেনুঘাট, কোনার এই এলাকাগুলি রয়েছে। দামোদর ইস্ট সাব বেসিনে ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ০.১ মিলিমিটার গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে। লোয়ার ভ্যালি ওয়েস্ট ও লোয়ার ভ্যালি সাউথ সাব বেসিন বাংলার মধ্যে রয়েছে। সেখানেও কোনও বৃষ্টিপাত নেই। মূলত প্রথম চারটি সাব বেসিনের জলই মাইথন ও পাঞ্চেতে আসে। অথচ, এইসব বেসিন এলাকার মধ্যে কোনও বৃষ্টিপাতই নেই। তা সত্বেও সকালের দিকে এক লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক হারে এবং বেলা বাড়ার পর ১ লক্ষ ৪০ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েই চলেছে দু’টি বাঁধ। তারমধ্যে প্রথম দিকে মাইথন ৪০ হাজার কিউসেক হারে ছাড়লেও এখন ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে। পাঞ্চেত প্রথমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক হারে ছাড়ছিল। পরে তা কমিয়ে এক লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে ছাড়ছে।
স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী এই দু’টি বাঁধ ঝাড়খণ্ডের জন্য আশীর্বাদ হলেও বাংলার জন্য অভিশাপ? বন্যার সময় যেখানে জল ধরে রাখার কথা বাঁধগুলির, সেখানে বৃষ্টিপাত না হওয়া সত্বেও জল ছেড়ে বাংলাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টিপাত। অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, পলিতে মজে যাওয়া মাইথন ও পাঞ্চেত এখন শুধুই ঘুরতে যাওয়ার জায়গা। বন্যা নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকাই নেই। ছবি: উত্তম সামন্ত।