গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
এদিন সকালে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিতে ভোটারদের অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য নেতারাও সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন। ভোট পর্বেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও রাজ্যের তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপ সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। পাশাপাশি বেশি সংখ্যক মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আর্জি জানান তিনি।
ভোট ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক জঙ্গি হামলা, এনকাউন্টারের ঘটনায় তুমুল উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনের দিনও নাশকতার আশঙ্কা করেছিল প্রশাসন। সেকারণেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল বুথ ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলি। সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদিন কোনও হিংসার খবর মেলেনি। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক ভোটার বলেছেন, ‘এবারের ভোটটা অন্যরকম।’ কিন্তু, কেন? মধ্যবয়সী ওই কৃষকের জবাব, ‘আশা করছি, নতুন সরকার আমাদের সমস্যার কথা শুনবে। তার সমাধান করবে।’ প্রথমবার ভোট দিয়ে ১৯ বছরের আয়েশা বললেন, ‘আজ থেকে নতুন দিনের সূচনা হল।’ফি বছর এই সময়টা আপেল চাষের মরশুম। কাশ্মীরের অর্থনীতির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়ায় খুশি রাজনৈতিক মহল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সার্বিকভাবে ৫৮.৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। পুলওয়ামা, সোপিয়ান, কুলগাঁওতে ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৪৬.৩০, ৫৩.৬৪, ৬১.৫৭ শতাংশ। কিস্তোয়ার ও অনন্তনাগে ভোট পড়েছে ৭৭.২৩ ও ৫৪.১৭ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের পরও বুথের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘলাইন ছিল। ফলে ভোটের হার ৬০ শতাংশ ছাড়াতে পারে বলে অনুমান।