গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং পাহাড় তো বটেই রাজ্যে পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম আকর্ষণ টয় ট্রেন। এবার ভারী বর্ষায় দার্জিলিংয়ে ধসের জেরে বিধ্বস্ত হয় রেল লাইন। যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে এনজেপি থেকে দার্জিলিং রুটে টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে ২৬ মাইল এবং ৪১ মাইলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় টয় ট্রেনের লাইন। সেই থেকেই পরিষেবা বন্ধ। একাধিকবার আলোচনা করে ২১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট লাইনে পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)। তারা এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। আবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে ডিএইচআর পিছু হটেছে।
ডিএইচআরের ডিরেক্টর বলেন, ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ মাইল ও ৪১ মাইলে ট্র্যাক মেরামতির কাজ চলছে। শীঘ্রই সেই কাজ শেষ করা হবে। আগামী ৩০ তারিখ সংশ্লিষ্ট লাইনে টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল টয় ট্রেন পরিষেবা। এরপর কোভিড মহামারীর জেরেও টয় ট্রেন পরিষেবা ধাক্কা খায়। মহামারীর দাপট কমার পর সেই পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এবার বর্ষার মরশুমে আবার ধাক্কা খায় এই পরিষেবা। প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ। এনিয়ে ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, টয় ট্রেনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দেওয়া হয়েছে। এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ে দু’টি ট্রেন চলে। এটা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় তিনমাস ধরে এই পরিষেবা বন্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসা মার খাচ্ছে। পর্যটকরাও হতাশ।
অন্যদিকে, তিস্তা নদীর ভাঙনের জেরে সিকিম ও কালিম্পংয়ের ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দু’দিন ধরে বন্ধ। পূর্তদপ্তর পাহাড় কাটিংয়ের কাজে নেমেও রাস্তা স্বাভাবিক করতে পারেনি। পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা জানান, এখন বৃষ্টির দাপট নেই। নদীর জলস্তরও কম। তা হলেও নদীর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বেতীঝোরা এলাকাটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তাই সেখানে রাতে পাহাড় কাটার কাজ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট এলাকাটি পুরোপুরি ‘রক জোন’ বা পাথুরে। তাই পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করতে কিছুটা সময় লাগছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তাটি বন্ধ থাকায় সিকিম ও কালিম্পং ভ্রমণ নিয়ে পর্যটকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। দ্রুত রাস্তাটি ও টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করতে না পারলে পুজোয় পর্যটন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই মনে হচ্ছে। ফাইল চিত্র।