গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
কথিত আছে, একদিন মহানন্দা নদীর নিমতলি ঘাটে একটি পাথর চক্র ভেসে আসে। স্থানীয় এক বৃদ্ধা সেই পাথর চক্রটি দেখতে পান। তিনি সেই পাথর চক্র উদ্ধার করেন এবং মহানন্দার তীরেই সেটিকে দেবী চণ্ডী রূপে পুজো শুরু করেন। একবার প্রবল বন্যা হয়। সেই সময় ওই বৃদ্ধা পাথর চক্রটিকে মহানন্দার পাড় থেকে সরিয়ে টিয়াকাটি গারা নামে এক পুকুর পাড়ে রাখেন এবং সেখানেই পুজো শুরু করেন। ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর বহু বছর পর তৎকালীন জমিদার গিরিজাকান্তবাবু স্বপ্নাদেশ পান। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি পাথর চক্রটিকে পুকুর পাড় থেকে তুলে নিয়ে আসেন এবং তাঁর বাড়িতে স্থাপন করেন। জমিদারের আদেশে পাথর চক্রটিকে ঘিরে মহা সমারোহে শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা।
জমিদার গিরিজাকান্তের কোনও সন্তান ছিল না। তাহলে কি তাঁর অবর্তমানে মায়ের পুজো বন্ধ হয়ে যাবে? কোনও অবস্থাতেই যাতে মায়ের পুজো বন্ধ না হয় সেজন্য তিনি পুজোর দায়িত্বভার দেন আদি কংসবণিকদের পূর্ব পুরুষদের হাতে। সেই সময় পাথর চক্রটিও স্থাপিত হয় তাঁদের মন্দিরে। ১২৭৫ বঙ্গাব্দে আদি কংসবণিক দুর্গাবাড়ী মন্দির নির্মিত হয়। মন্দিরের পূর্বদিকে পাথর চক্রটির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় মা দুর্গার বেদি। বাপ্পা দত্ত আরও জানান, যুগ যুগ ধরে পরম্পরা মেনে চলে আসা আমাদের দুর্গাপুজো আজ এই বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী অন্যতম প্রাচীন পুজো। কালের নিয়মে বেশকিছু পরিবর্তন ঘটলেও পুজোর রীতিতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি। বর্তমানে এই মন্দিরের নামেই এলাকার নামকরণ হয়েছে ‘দুর্গাবাড়ি মোড়’। . নিজস্ব চিত্র