গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
১৬ সেপ্টেম্বর শেষ বৃষ্টি হয় ইংলিশবাজার শহরে। এখনও সেই জল জমে রয়েছে অনেক ওয়ার্ডে। বৃষ্টির জমা জল পেরিয়েই মানুষকে আসতে হচ্ছে পুজোর বাজার করতে। ছাত্রদের যেতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ।
বুধবার সকালে ইংলিশবাজার পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপল্লি ও বাবুজি কলোনিতে জল জমে থাকতে দেখা যায়। পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনির বিস্তীর্ণ অংশে এদিন সকালেও জল জমে ছিল। ইংলিশবাজারের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াপীর গান্ধীপার্ক এলাকাতেও জল জমে রয়েছে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীরা হালদার বলেন, বেশকিছুদিন ধরে এলাকায় জল জমে রয়েছে। বাচ্চারা নোংরা জল পেরিয়েই স্কুলে যাচ্ছে। কবে যে জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মনীষা সাহা বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে নেতাজি কলোনির একটা অংশে জল জমে আছে। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের বিশেষ কিছু করার নেই।
ইংলিশবাজার শহরের কমবেশি ১৪ টি ওয়ার্ডে এই সমস্যা রয়েছে। জল-যন্ত্রণা থেকে বাসিন্দাদের মুক্তি দিতে ৫৮ লক্ষ টাকা খরচ করে পুরসভা বড় নিকাশিনালা তৈরি করছে।
চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, শহরের জমা জল আগে আমজামতলা দিয়ে যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে মহানন্দায় চলে যেত। নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণের পর সেই নিকাশিনালার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা জাতীয় সড়ক বরাবর বিশাল নিকাশিনালা তৈরি করছি। আম বাজারের ভিতর দিয়ে গিয়ে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করে নদীতে জল ফেলে দেব। সেচদপ্তর ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা এখন কাজ করছি।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বৃষ্টির জমা জল নিষ্কাশনের আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই ইংলিশবাজার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। সামনেই পুজো। নিকাশিনালার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাহলে কি জলমগ্ন হয়ে থাকবে ওয়ার্ডগুলি? বাসিন্দাদের আক্ষেপ, পুরসভা কেন পাম্প চালিয়ে জমা জল বের করে দেওয়ার উদ্যাগ নিচ্ছে না।
ইংলিশবাজার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজি কলোনি জলমগ্ন। -নিজস্ব চিত্র