গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, সুবর্ণরেখা তীরবর্তী এলাকার কৃষিজমিগুলি নদীর জলে ডুবে গিয়েছে। তবে অনেক জায়গায় জল নামছে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। ঝাড়গ্ৰামের নয়গ্ৰাম, গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ ব্লকের পলী নদীর দুই তীরবর্তী পলি সমৃদ্ধ মাটিতে ধানের সঙ্গে নানা ধরনের সব্জি চাষ হয়। জমিতে এবারও ধানের চারা লাগানো হয়েছিল। অনেক জমিরই ধান পেকে গিয়েছিল। নিম্নচাপের জেরে গত শুক্রবার থেকে ঝাড়গ্ৰামেও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতে সুবর্ণরেখা, তারফেনি, ডুলুংয়ের মতো নদীগুলোতে জলস্রোত বেড়ে যায়। ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল ড্যাম ও গালুডি ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। নদীর জল উপচে ও ছোট খাল দিয়ে ঢুকে নয়াগ্ৰাম, গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি ডুবিয়ে গিয়েছে। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সাসরা, আলমপুর, ধরমপুর, গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের মহাপাল, নয়াগ্ৰাম ব্লকের নরসিংহপুর, সুখদেবপুর, যাদবপুর, মলমগ্ৰাম, পাতিনার মতো এলাকার কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বৃষ্টির জমা জলে সাঁকরাইল ব্লকের কিছু জমি ডুবছে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জলে ডুবে যাওয়া কৃষিজমি পরিদর্শন করেন। সাসরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের হুমটিয়া গ্ৰামের চাষি বিষ্ণু সাহু বলেন, সুবর্ণরেখা নদীর ধারেই গ্ৰাম। বৃষ্টির জলে যে সব্জিগুলো লাগিয়েছিলাম সেগুলো নষ্ট হয়েছে। এবার নদীর দেড় বিঘা জমির ধানও পুরোটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধান পেকে কাটার সময় হয়ে গিয়েছিল। চাষে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পুজোর মুখে এই এলাকার সব চাষি কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়লাম। প্রশাসন যদি সাহায্য করে তাহলে কিছুটা হলেও সুরাহা হবে। সারিয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ডুমুরিয়া গ্ৰামের চাষি তুষার মাহানা বলেন, আমার দশ কাঠা মতো ধানের জমি ডুবে গিয়েছে। বেশিরভাগ ধানই পচে যাবে। ক্ষতি কীভাবে সামলাব জানি না। নয়াগ্ৰাম ব্লকের মলম গ্ৰামের চাষি সীতারাম করণ বলেন, এই এলাকার বেশিরভাগ কৃষিজমি জলের তলায়। ধানের সবটাই পচে যাবে। জল ছাড়ার কথা আগেভাগে জানালে প্রস্তুতি নিতে পারতাম। ঝাড়গ্ৰাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, নয়গ্ৰামে ব্লকের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। নৌকা করে এদিন মলম, পাতিনা এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলেছি। চাষিরা যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান সেটা দেখা হবে। জেলার কৃষি আধিকারিক অজয় শর্মা বলেন, দপ্তরের আধিকারিকরা এদিন নয়গ্ৰাম, গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ ব্লকের জলে ডুবে যাওয়া কৃষিজমি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কাল পরশুর মধ্যে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ক্ষতিগ্ৰস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।