গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
আর জি কর ইস্যুতে কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাঁচদফা দাবিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে রাস্তা বন্ধ করে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। গান, বাজনা, আড্ডায় সেখানে রীতিমতো উৎসবের মেজাজ। রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে মটন রোল, চিকেন-ফ্রাইড রাইসের প্যাকেট। প্রথমদিকে ঐক্য থাকলেও ফাটল শুরু হয়েছে গত দু’দিন ধরে। তাই ফাঁকা হচ্ছে অবস্থান। চলে গিয়েছেন বহু মানুষ। কেন দ্বন্দ্ব? সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি মেনে, পুলিস কমিশনার, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধির্কতাকে বদলি করার কথা বৈঠকেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। নিরাপত্তা সহ সমস্ত আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনেকেই ভেবেছিলেন, রাতেই অবস্থান উঠে যাবে। কিন্তু, রাতে কালীঘাট থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ফিরে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তার নির্দেশ বের হলে তাঁরা অবস্থান তোলার কথা ভাববেন। মঙ্গলবার সকালেই ওই চারজনের বদলির নির্দেশিকা বের হয়। বিকেল থেকে জিবি শুরু হলেও, আন্দোলনকারী রাত দেড়টা পর্যন্ত ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি। অনেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার পক্ষেই সাওয়াল করেন। রাতেই আন্দোলনকারী বেশকিছু চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা অবস্থান ছেড়ে চলে যাবেন। আর থাকবেন না। উত্তরবঙ্গের অনেকে ফিরেও যান। বুধবার সকাল হতে শহরতলির কিছু আন্দোলনকারীও অবস্থান ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
অবস্থান ওঠেনি। এদিন ই-মেল পাঠিয়ে সন্ধ্যায় নবান্নে ফের বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার কী উঠবে অবস্থান? এই প্রশ্নে এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘আর কবে? অবস্থান না উঠলে জিবিতেই এবার প্রতিবাদ হবে দেখে রাখুন। অনেকের তো দু’মাস পর পরীক্ষা। তাঁদের জোর করে রাস্তায় কতদিন বসিয়ে রাখা হবে? আমাদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি রয়েছে। সেই সেন্টিমেন্টকে সামনে রেখেই অনেকে আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চাইছেন’! এবার জুনিয়র চিকিৎসকরাই বলছেন—অবস্থান উঠবে কবে?