গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
বহরমপুরের ভাগীরথী নদীর জলস্তরের বিপদসসীমা হল ১৭.২ মিটার। বুধবার সকাল ৯টায় সেখানে জলস্তর ছিল ১৫.১৪ মিটার। দ্বারকা নদের জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। বুধবার বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে জল। শঙ্করঘাট এলাকায় নদীর জলের বিপদসীমা ২০.৪০ মিটার। সেখানে ২১.১৭ মিটার জলস্তর রয়েছে নদীতে। রণগ্রামেও নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি। সেখানে বিপদসীমা ১৭.৩৬ মিটার। বর্তমানে জল রয়েছে ১৬.৯৩ মিটারের কাছাকাছি। তারাপুরের কাছে কুয়ে নদীর বিপদসীমা ২২.৭১ মিটার। এখন সেখানে জল রয়েছে ২২.৪৭ মিটার। নারায়ণপুরে ময়ূরাক্ষী নদীর জলস্তর রয়েছে ২৩.৩২৫ মিটার।
ফরাক্কা ব্যারেজের জলে গঙ্গা ও ভাগীরথীর জলস্তরও বেড়েছে। নিমতিতার গঙ্গার বিপদসীমা ২১.৯০ মিটার। বুধবার সকালে সেখানে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২০.৭৩ মিটার। গেরিয়ার কাছে গঙ্গার বিপদসীমা নির্ধারিত রয়েছে ২০.৯৪ মিটার। বর্তমানে জলস্তর রয়েছে ১৯.৫৪ মিটার। নুরপুরের কাছে গঙ্গার বিপদসীমা ২১.০৩ মিটার। বর্তমানে জলস্তর রয়েছে ২০ মিটারের কাছাকাছি। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় কিছুটা জল কমেছে। না হলে পরিস্থিতি এখনই ভয়াবহ হতো বলেই মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
বড়ঞা থানার সোনাভারুই গ্রামে কুয়ে নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। ভরতপুর থানার আঙারপুর গ্রামের কাছে কুয়ে নদীর জলে ভেসে গিয়েছে চাষের জমি। খড়গ্রামে দ্বারকা নদের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় পদমকান্দি, কাদিগ্রাম ও ঝিল্লি পঞ্চায়েতের একাংশ। এদিকে ব্রাহ্মণী নদীর যাদবপুরের নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। একটু জল কমতেই বাঁধ মেরামত করছে সেচদপ্তর। দ্বারকা নদের জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে খড়গ্রামের পারুলিয়া পঞ্চায়েতের পলাশী গ্রামে ঢুকে যায়। অপরিদকে স্লুইস গেট ভেঙে কুয়ে নদীর জলে প্লাবিত মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার আঙারপুর গ্রামের একাংশ।
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, কান্দি মহকুমার তিনটি ব্লক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সকাল থেকে ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছি। বড়ঞা, খড়গ্রাম ও ভরতপুরের বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে।