Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চিত্র ১: বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। অবশ্য ক্লাস সেরে। এত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা টিউশন ফি দিচ্ছে... ক্লাস না করে শুধু আন্দোলন করলে ওদের বাবা-মায়েরাও কি ছেড়ে দেবে? আরও কয়েকজনকে বিশ্বাসবাবু চেনেন... তাঁরাও আন্দোলনে যাচ্ছেন। একজন আবার তাঁদের মধ্যে সরকারি কর্মীও। সই করে চলে আসছেন অবস্থানে। পরে আবার ঢুকে মুখ দেখিয়ে কাজ সেরে ফেলছেন। মাসের শেষে এঁদের সবার মাইনে পাকা। পেটে কিল মেরে এঁদের কেউ আন্দোলনে নেই। পেট ভরছে, প্রতিবাদ হচ্ছে, আবার স্টেটাসও থাকছে। তাই বিশ্বাসবাবুও গিয়েছিলেন ‘আন্দোলনে’। বৃষ্টি ভিজে ফিরেছেন। তারপর থেকেই নাক ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ, আর গায়ে ঘুসঘুসে জ্বর।
চিত্র ২: রিনা সাউ আর যাবেন না মিছিলে। সেবার ওই লাল পার্টির লোকজন নিয়ে গিয়েছিল। বাড়ি বাড়ি কাজ করে, এমন অনেকেই ছিল ওদিনের মিছিলে। এমন একটা পোস্টারও বানিয়ে দিয়েছিল পার্টি থেকে। কিন্তু দুটো কাজের বাড়ি সেদিন যেতে পারেননি রিনা। খুব মুখ করেছিল। আর যাবেন না রিনা। যদি কাজ চলে যায়, টাকা কি ওরা দেবে?
চিত্র ৩: একের পর এক ফোন ঘুরিয়ে যাচ্ছেন ভদ্রলোক। বড়বাজারে তাঁর শাড়ির পাইকারি দোকান। দেড় লক্ষ টাকার মাল তুলেছেন। অন্য বছর এর থেকে বেশিই তোলেন। অন্তত আরও দু’বার স্টক ঢুকে যায় বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্যে। এবার প্রথম লটের স্টকই শেষ হচ্ছে না। গোডাউন ভর্তি মাল। যারা শাড়ি নেয়, তাদের ফোন করেও লাভ হচ্ছে না। কেউ নিতে চাইছে না। কারণ, বিক্রি নেই। লোকে নাকি কিনতে চাইছে না। মাথা কাজ করছে না ভদ্রলোকের। গোটা বছর এই সময়টাই তো ব্যবসা হয়। আর কিছুটা পয়লা বৈশাখের আগে। কিন্তু পুজোর বাজার যদি এভাবে মার খায়, সারা বছর চলবে কীভাবে! এত টাকা দেনা... সুইসাইড করা ছাড়া গতি থাকবে না।
অভয়ার জন্য ন্যায় বিচার। পাঁচ দফা দাবি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল বদল। পুলিস কমিশনারের পদত্যাগ। এই সবই সমাজের ‘ভালোর জন্য’। মানুষের জন্য। আর এখানে মানুষ একটু ‘ত্যাগ’ করবে না? কী হয় এক বছর উৎসব না করলে? নতুন জামা না কিনলে? অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন। কিন্তু এই ত্যাগ কি আমাদের সমাজের সব শ্রেণির ‘অ্যাফোর্ড’ করার ক্ষমতা আছে? পারবে তো তারা বহন করতে? কোভিডের ঘা এখনও শুকায়নি। আমরা পদে পদে টের পেয়েছি কাজ না থাকার... ব্যবসা না থাকার যন্ত্রণা। অগ্নিমূল্য জিনিসপত্রের দাম, অবসাদ, আত্মহত্যা। আমরা কি সেগুলো এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলাম? যে ভদ্রমহিলা আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছেন, এখন আমাদের অশৌচ। মাথায় তেল বা শ্যাম্পুও দেব না। তিনিই তারপর দেওয়াল ভরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর পার্লারের বিজ্ঞাপনে। চেপে ধরলে বলছেন, ওটা তো আমার পেশা। ম্যাডাম এবং সেই সঙ্গে আম জনতার থেকে ত্যাগের প্রত্যাশী প্রত্যেক স্যারের জন্য একটা প্রশ্ন রইল, আপনাদেরটা পেশা। আর বাকিদেরটা? মাস গেলে আপনাদের বেতন বা ব্যবসা থেকে উপার্জন নিশ্চিত থাকবে, আর যাঁরা এই পুজোর সময়টাকে আঁকড়ে সারা বছরের জন্য বাঁচেন? তাঁদের দোষ কী? আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে নতুন জামা কিনতে বারণ করছেন। কিন্তু সেই বারণের জন্য কত হাজার গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা হচ্ছে, সেই হিসেব কে করবে? এই প্রশ্ন তোলার জন্য হয়তো এই অধম প্রতিবেদককে আন্দোলনের বিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, আন্দোলনকারী এবং সরকার ছাড়াও এখানে আর একটা পক্ষ রয়েছে—সাধারণ গরিব মানুষ। এই পক্ষে থাকার জন্য যে কোনও বিশেষণই গায়ে মাখা যায়। অচলাবস্থার জন্য তাঁদের ভোগান্তি, যন্ত্রণা, হতাশা এবং দূর ভবিষ্যতের আশঙ্কায় তিলে তিলে মৃত্যুর অপেক্ষা... এটাই কিন্তু আজকের ছবি, যা দেখতে পাচ্ছি না আমরা। বা দেখেও দেখছি না। আন্দোলনকারীরা হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, অচলাবস্থায় সরকারের ক্ষতি হয় না। ক্ষতি হয় সাধারণ গরিব মানুষের। সেটাই এখন চোখে আসছে না। তাই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনের মাঝে উপস্থিত হন, তখন তাঁর প্রতি উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ ঘটছে। কিন্তু যখন তিনি তাঁর আসন্ন ছবির প্রচার করেন, সেই স্বস্তিকাই হয়ে ওঠেন ‘আন্দোলনের শত্রু’। কেন? কী অপরাধ করেছেন তিনি? সিনেমা তো তাঁর পেশা! তাঁর উপার্জনের পথ। ইমন, লোপামুদ্রা, সৃজিত... এঁদের সবার। এখন অশৌচ চলছে, তাই কাজ বন্ধ রাখুন... এটা কি বলা যায়? নাকি বলাটা মানবিক? স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যদি তার জন্য বলেন, ‘খালি পেটে বিপ্লব হয় না সাথী! ভাতের জন্যও লড়তে গেলে স্বাদ জানতে হয়। তাই যদি বেঁচে থাকার পন্থাকে আপনারা নিন্দা করতে শুরু করেন, তাহলে খুনের জন্য বিচার চাওয়াটা হিপোক্রেসি নয় কি?’... কোন কথাটা ভুল বলেছেন তিনি। সমাজ এবং সরকারের পা যাতে নড়ে না যায়, তার জন্য প্রতিবাদ প্রয়োজন। জল মাথার উপর উঠে গেলে চাই আন্দোলনও। ঠিক যেভাবে ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির বিরুদ্ধে খেপে উঠেছিল মানুষ। কিন্তু দেখতে হবে, আমার বিপ্লব যেন সমাজের খেটে খাওয়া, পিছনের সারির মানুষগুলোকে খাদের কিনারায় ঠেলে না দেয়। আন্দোলনে আমি যোগ দেব। কাজ করে, নাকি কাজ ফেলে... সেটা সম্পূর্ণ আমার নিজের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে আমি পারি না। মুখে আমরা গণতন্ত্রের কথা বলব। সিস্টেম নিয়ে মতামত জানাব। পুরসভায় বা সরকারি দপ্তরে কোনও কাজে গেলে আবার আমরাই অফিসারের হাতে কিছু গুঁজে দেব। কাজ মিটে গেলে বলব, সব দুর্নীতিবাজ। এখনই বিপ্লব চাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে সব দাবি ছাত্রসমাজ তুলেছে, তার সমাধান প্রশাসনিক দিক থেকে‌ই সম্ভব। শুধুমাত্র রাজনীতি জিইয়ে রাখার জন্য সেই উদ্যোগ বারবার মাঠে মারা গিয়েছে। কাজে ফেরার কথা, আলোচনার কথা বহুদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন। ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার আরও বেশি নমনীয়তা দেখিয়েছে। বারবার চিঠি দিয়ে আন্দোলনকারীদের আসতে বলা হয়েছে। কখনও নবান্নে, কখনও কালীঘাটে। কিন্তু শর্তের ঠেলায় বারবার প্রশাসনের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এসেছে আলোচনার আবহ। কথায় বলে, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছেন বৈঠকে। ছাত্র হোক বা সমাজ, একটা বিষয় বুঝতে হবে—যে দাবি তাঁরা করছেন, তার কোনওটাই মিটে যাওয়া একদিনে সম্ভব নয়। শুরুটা করা যায়। আজ, এই মুহূর্তে। সেটা রাজ্য সরকার করেছে। আন্দোলনে গলা মেলানো এক সেলেবও কিন্তু বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নমনীয়তার সঙ্গে আন্দোলনের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে, তা প্রশংসনীয়। অন্য কোনও রাজ্যে এমন হয় না।’ তাঁর মন্তব্য টেনেই বলা যায়, ঠিক এই কারণে কোথাও আন্দোলনও এভাবে দানা বাঁধে না। তার কোমর ভেঙে দেওয়া হয়।
লোকসমাজ থেকে উঠে এলেই একমাত্র প্রতিবাদ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ছাত্রদের মধ্যে গড়ে ওঠা প্রতিবাদ আজ সাধারণ মানুষের কণ্ঠ পেয়েছে। কারণ কিন্তু ওই মেয়েটা। আমার, আপনার, সবার ঘরে আছে অভয়া। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি লোকসমাজ। তারা আজও আছে জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনে। ঩বিচার চাইছে তাঁর জন্য। গ্রামেগঞ্জে না হলেও, অন্তত কলকাতা শহরে তো বটেই। কিন্তু রাজনীতি, ক্ষমতার লড়াই, ডিএসও, পিডিএস... এসব দেখার পর তাঁরা থাকবে তো? যখন জানতে পারবে, কোনও আন্দোলনকারী মেডিক্যাল রাজনীতিতে পা মজবুত করার জন্য আবার কেউ আইএমএ’তে তাঁর পরম পরিজনের জায়গা পাকা করার জন্য লড়ছেন... এই ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা থাকবে? বামেরা ভাবছে, দারুণ ইস্যু পেয়ে গিয়েছি। এটা হাতছাড়া করা যাবে না। সামনে বড়সড় নেতৃত্ব কেউ আসছে না। পিছন থেকে সাংগঠনিক সাপোর্ট দিয়েই বাজিমাত হবে। ভোট আসবে আমাদের ঝুলিতে। বিজেপি ভাবছে, যেমন চলছে চলুক। এতে তৃণমূলের ভোট কমবে। আর তখনই মেরুকরণটা হবে। কারণ, মুসলিম ভোট সিপিএমের দিকে যাওয়ার পরিস্থিতিই নেই। গেলে সামান্য অংশ। বাকি রইল হিন্দু ভোট! তৃণমূল থেকে সরলেও সেটা সিপিএমের দিকে যাবে না। কারণ, গত তিন বছর ধরে তাদের সাম্প্রদায়িক ঘেঁষাঘেঁষি। যদি দু’-তিন শতাংশ হিন্দু ভোটও গেরুয়া শিবিরে চলে আসে, তাতে কেল্লা ফতে বিজেপির। 
ভিড় বাড়ছে হাসপাতালের আউটডোরে। মরিয়া হয়ে উঠেছেন গরিব মানুষ। ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে হলেও ডাক্তার দেখাতে হবে। ভর্তি না নিক, ওষুধ লিখিয়ে আনতে হবে। অবরোধ, রাস্তা বন্ধের ভয় কাটিয়ে যেতে হবে নিউ মার্কেট, হাতিবাগান বা গড়িয়াহাটে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। এটাই সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরের জগৎ। গণতন্ত্র মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়, মত চাপানোর নয়। তাই প্রতিষ্ঠানের উপর, রাষ্ট্রের উপর ভরসা রাখতেই হবে। দু’বছর পর মানুষই দেখিয়ে দেবে, কে ঠিক ছিল, আর কে ভুল।
17th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
একনজরে
আর জি কর কাণ্ডের পর সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেইমতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও বাড়তি পুলিস মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। ...

৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট। তার আগে বুধবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে হরিয়ানায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের মাসে দু’হাজার টাকা করে অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিল হাত শিবির। ...

দুর্গাপুজোর বাজার ধরতে পুরোদমে নেমে পড়েছে রিলায়েন্স স্মার্ট বাজার। খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে পুজোর জামাকাপড়—উৎসবকেন্দ্রিক নতুন স্টক ইতিমধ্যেই চলে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের স্টোরগুলিতে। ক্রেতাদের তরফেও ভালো ...

গ্রামের প্রত্যেকের বাড়িতেই ঢুকেছে বন্যার জল। তাই বুধবার বন্যার দ্বিতীয় দিনেও হাঁড়ি চড়ল না অনেক পরিবারে। আবার সরকারি ত্রাণ এসে না পৌঁছনোই হতাশার সুর ভরতপুর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৯- ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াকলানে প্রথম বাণিজ্যিক লন্ড্রি চালু হয়
১৮৬৫- প্রতিষ্ঠিত হয় আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়
১৮৯৩- নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো নারীদের ভোটাধিকার দেয়
১৮৯৪-  বাঙালি চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্রনাথ মজুমদারের জন্ম
১৯০৩- কল্লোল যুগের বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম
১৯০৭- প্রথম তাপ ও জ্বালানী উৎপাদনকারী উপাদান আবিস্কৃত হয়
১৯১৯- অভিনেতা জহর রায়ের জন্ম
১৯২১- সাহিত্যিক বিমল করের জন্ম
১৯২৪- সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের জন্ম
১৯৩৬- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রথিতযশা পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডের মৃত্যু
১৯৬৫- মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৪৮/০ রাত্রি ১২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৬/৩০ দিবা ৮/৪ পরে রেবতী নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষ রাত্রি ৫/১৫। সূর্যোদয় ৫/২৮/২, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৯ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
২ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ৬/২৩ পরে দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১১/১৬। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১/০ মধ্যে।
১৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভোপালে নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

11:28:00 PM

শনিবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগদানের আশ্বাস আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের

11:12:14 PM

বিহারে তল্লাশি অভিযানে এনআইএ, উদ্ধার প্রচুর টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র

11:11:32 PM

তৃণমূল বিধায়ক খুন: বেকসুর খালাস মুকুল-জগন্নাথ
নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে বেকসুর ...বিশদ

10:47:00 PM

আগামীকাল থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করা হবে, জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:33:00 PM

আগামীকাল দুপুর ৩টের সময়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:16:00 PM