Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। ২৭ আগস্টের ওই ঘটনায় মৃত সাবির মল্লিক ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা যথারীতি ‘গোরক্ষক’ বাহিনী। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক-নির্যাতনে সম্প্রতি খাতা খুলেছে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। নিপীড়নের শিকার এই গরিব মানুষগুলি মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে গিয়েছেন। এই মানুষগুলির কেউ স্বর্ণশিল্পী, কেউ অন্য ছোটখাট কাজ করেন কিংবা ফেরিওয়ালা। ওইসব রাজ্যে শুধু বাংলার গরিব লোকজনই যাননি, গিয়েছেন বিহার, ওড়িশা, অসম প্রভৃতি রাজ্য থেকেও। তাঁদের উপর এই নৃশংস আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। আরও লক্ষণীয় যে, তিনটি ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থল মোদি-শাহদের সাধের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য। তাই ঘটনাগুলি বেশি নিন্দনীয় এবং উদ্বেগজনক। এক রাজ্যের মানুষ কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে যাবেন এটাই স্বাভাবিক, এবং এ এক পুরনো প্রবণতা। তবে যে-রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাজের খোঁজে অন্যত্র পাড়ি দিতে হয়, সেখানকার অর্থনীতির স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিরূপ প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
অর্থনীতি, শুধুমাত্র পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেই বেহাল নয়। ছবিটা সারা ভারতে উনিশ-বিশ। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটককে দেশের সবচেয়ে ‘উজ্জ্বল’ দুটি রাজ্য বলে ভাবা হয়। গতবছর কৃষক বিদ্রোহে মলম লাগাতে গিয়ে মোদি সরকার কৃষকদের ‘অন্নদাতা’ সম্বোধনে সম্মানিত করেছে। অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা সংস্থা ‘স্ট্যাটিসটা’ জানাচ্ছে ২০২৩ সালে দেশে সর্বাধিক সংখ্যক (২,৭০৮) কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রে! এই মর্মান্তিক ছবিতে তারপরেই জায়গা করে নিয়েছে কর্ণাটক—গতবছর দক্ষিণের ওই রাজ্যে আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যা ছিল ১,৩২৩। দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক খবর প্রকাশিত হয়েছে সোমবারের কাগজে: দুই কন্যাসন্তানকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা। ঘটনাটি প্রয়াগরাজের। এক পরিবারের তিন তিনটি তাজা প্রাণ একসঙ্গেই ঝরে যাওয়ার কারণ এই লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি, তাই সেই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য নয়। তবে, পরিবারটি কোনওভাবেই যে সুখী ছিল না, তা হলফ করেই বলা যায়।
ভালো থাকার জন্য পরিবার পিছু অন্তত একজন রোজগেরে মানুষ চাই। কিন্তু দেশে কাজের পরিবেশ কেমন? বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিএমআইই’র তথ্য বলছে: দেশে বেকারত্বের হার গত মে মাসের ৭ শতাংশ বেড়ে জুনে হয়েছে ৯.২ শতাংশ। কনজিউমার পিরামিডস হাউসহোল্ড সার্ভে অনুসারে, বেকারত্বের হার মেয়েদের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ। অর্থাৎ মহিলা বেকার বাহিনীর আকার পুরুষের অন্তত দ্বিগুণ! সাম্প্রতিক অতীতের পরিসংখ্যান পাশে রাখলে বেকারত্বের বর্তমান হার আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। ফোর্বস ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, বেকারত্বের হার ২০২৩-এ ছিল ৮.০০৩ শতাংশ। সংখ্যাটি ২০২২ ও ২০২১-এ ছিল যথাক্রমে ৭.৩৩ ও ৫.৯৮। ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) যৌথভাবে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশে কর্মক্ষম যুব বাহিনী ২০১১ সালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে ২০২১-এ। ওয়ার্কিং পপুলেশন ৬১ থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে তা ৬৫ শতাংশ হতে যাচ্ছে! অতএব, দেশে পর্যাপ্ত নতুন কাজের সুযোগ বৃদ্ধিই কাম্য। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো—২০২২ সালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুবদের অংশগ্রহণের সুযোগ কমে হয়ে গিয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশ! মোদিযুগে দেশজুড়ে যুবদের মধ্যে বেকারত্বের বহরটা এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
সরকারি চাকরি কার্যত ডুমুরের ফুল! বেসরকারি ক্ষেত্রেও স্থায়ী বা রেগুলার চাকরির জোগান নগণ্য। অতএব, ভরসা অসংগঠিত কর্মক্ষেত্র। স্ট্যাটিসটা’র মতে, ভারতে ৯০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারী অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। জিডিপির ২৭ ভাগ আসে যে এমএসএমই সেক্টর থেকে সেখানকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীও অসংগঠিত ক্ষেত্রের লোক বলে গণ্য হন। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার কোনও বালাই নেই। চলতি অর্থবর্ষ শেষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু জিডিপি বৃদ্ধির সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি দেখে প্রমাদ গুনছে স্টেট ব্যাঙ্ক, তারা মনে করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অনুমান মিলবে না, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ শেষে বৃদ্ধির হার বড় জোর ৭ শতাংশ দাঁড়াবে।
পরিষ্কার যে, জিডিপির স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি কোনও সংগঠিত ক্ষেত্র এনে দিতে পারবে না। তারা আপাতত চূড়ান্ত স্তরেই অবস্থান করছে। তাই অসংগঠিত ক্ষেত্রই অগতির গতি। স্বাধীনতার গোড়ার দিকে, জিডিপিতে কৃষিক্ষেত্রের অবদান থাকত ৫০-৬০ শতাংশ। সেটা কমতে কমতে ২০২২-২৩ সালে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। শিল্প এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্যই এটা হয়েছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু অবশিষ্ট কৃষিক্ষেত্র কেমন আছে? পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ নানা জায়গার কৃষকদের নাছোড় আন্দোলনেই রয়েছে এর উত্তর। তাই অর্থনীতির সর্বনাশ রুখতে হলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বাকি দিকগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা ছাড়া উপায় কী? তার মধ্যে পড়ে রাস্তার ধারে খাবার, জামাকাপড়, প্রসাধন ও হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি। ওইসঙ্গে আছে প্যান্ডেল সজ্জা, পরিবহণ, অতিথি সেবা, নানা ধরনের বিনোদন, পর্যটন প্রভৃতি। এগুলির বেশিরভাগই মরশুমি এবং আঞ্চলিক উৎসব নির্ভর। আমাদের বাংলায় যেমন দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মাসাধিক কালের শারদোৎসব, তেমনি মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী, উত্তর ভারত জুড়ে দশেরা, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল কিংবা অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিহু। এটি বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেও সত্য। যেমন রিও কার্নিভ্যাল (ব্রাজিল), চেরি ব্লোসম ফেস্টিভ্যাল (জাপান), এডিনবার্গ ফেস্টিভ্যাল (স্কটল্যান্ড), গ্লাস্টনবারি ফেস্টিভ্যাল (ইংল্যান্ড) প্রভৃতি উৎসব দ্বারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও দেশের অর্থনীতি বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়।
দুর্গাপুজো তো আর কলকাতাসহ বঙ্গদেশের একার গৌরবের বিষয় নয়, বিশ্ব-ঐতিহ্যের মুকুট এখন তার মাথায়। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ শিরোপা লাভের পর থেকে এনিয়ে ভিন রাজ্যের পর্যটকদের পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলিরও আগ্রহ বেড়েছে। গতবছরও কলকাতার পুজোয় অন্যান্য রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বহু বিদেশি অতিথির সমাগম লক্ষ করা গিয়েছিল। প্রাচীন বনেদি বাড়িগুলির পুজোর অন্যরকম আকর্ষণ সবসময়ই থাকে। বারোয়ারি বা সর্বজনীন পুজো আয়োজনের বাড়তি আকর্ষণ বাড়ছে তারই পাশে পাল্লা দিয়ে। সেখানে নিত্যনতুন থিমের ছড়াছড়ি। একদিকে বিচিত্র সব প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা, সঙ্গে থাকে অভিনব আলোর জাদুবাস্তবতা। অভাবনীয় শিল্প নির্মাণ এবং প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সেসব দর্শনের আশ্চর্য আগ্রহ বাংলাকে এক অনবদ্য অর্থনীতিও উপহার দিয়ে চলেছে।
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোর অর্থনীতি একদশক যাবৎ পণ্ডিত মহলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশি একাধিক সংস্থা এর উপর তাদের যেসব রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেগুলি আমাদের পক্ষে বিশেষ আশার সঞ্চার করে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের আহ্বানে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল এক গবেষণা করে। রাজ্যের অর্থনীতির উপর ‘ওয়ার্ল্ডস লার্জেস্ট পাবলিক আর্ট ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রভাব কী? এই ছিল তাদের অনুসন্ধানের বিষয়। মূলত যে-দশটি ‘ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি’ এই উৎসবকে সম্ভব করে তোলে, বিদেশি সংস্থাটি তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলির উপরেই গুরুত্ব দিয়ে। তাদের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, শুধুমাত্র ওই দশটি শিল্পক্ষেত্রেই সে-বছর ব্যবসার মোট পরিমাণ ছিল ৩২,৩৭৭ কোটি টাকা (৩.২৯ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৪.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান)! অঙ্কটি বহু ছোট দেশের সমগ্র অর্থনীতির আকারের সঙ্গেই তুলনীয়। রাজ্যের জিডিপির ২.৫৮ শতাংশ আসে উৎসবের মাত্র একসপ্তাহের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে। রাজ্যে ৩ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছিল সেবারের পুজোয়। অন্য এক সমীক্ষার দাবি, ২০২২ সালের পুজোর অর্থনীতির মোট পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অঙ্কটা ৫০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছিল গতবছর। এবার প্রত্যাশিত ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো। ই-কমার্সেও বিশেষ গতিসঞ্চারের আশায় আছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।
পুজোর বাকি আর মাত্র তিনসপ্তাহ। কিন্তু অন্যবারের চঞ্চলতা এখনও অধরা। কোনও সন্দেহ নেই, আর জি কর কাণ্ডে বহু মানুষের মন ভালো নেই, বিচারের সংগত দাবি নিয়েই নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন তাঁরা। কিন্তু আমাদের এই বাৎসরিক উৎসব নিছক কোনও আনন্দ বা বিনোদনের প্রহর নয়, রাজ্যের অসংখ্য মানুষকে আর্থিকভাবে বাঁচাবারও একটি বড় উপায়। খালি পেটে ধর্মকথা যেমন অমৃতের স্বাদ এনে দেয় না, তেমনি দুর্বল আর্থিক সামর্থ্যও যুদ্ধজয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা সবাই কিন্তু জীবনেরও যুদ্ধে লিপ্ত সবসময়। তাই রুটিরুজিকে অবহেলা করার অবকাশ কোথায়? সাম্প্রতিক সমস্যার প্রেক্ষিতে বাংলাসহ দেশের রুগ্ন অর্থনীতি আরও ধসে পড়লে তার শীঘ্র মেরামত সম্ভব হবে কি? তাই আসুন, বিচারের দাবিতে অনড় থেকেই অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখি আমরা।
11th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান পদে আকস্মিক রদবদল ঘটাল অন্তর্বর্তী সরকার। গত সপ্তাহে এই কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন  মহম্মদ ইউনুস। যার মাথায় রাখা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহাদীন মালিককে। ...

কলকাতার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, কলেজ স্কোয়্যার , শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব অথবা একডালিয়া— ভিড়ের বহর সকলের জানা। বিগ বাজেটের এইসব পুজোর চিরাচরিত ভিড়কে গত কয়েক ...

গ্রামের প্রত্যেকের বাড়িতেই ঢুকেছে বন্যার জল। তাই বুধবার বন্যার দ্বিতীয় দিনেও হাঁড়ি চড়ল না অনেক পরিবারে। আবার সরকারি ত্রাণ এসে না পৌঁছনোই হতাশার সুর ভরতপুর ...

মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপে সোনার বুট জয়ী ইতালিয়ান স্ট্রাইকার সালভাতোর স্কিলাচি। মারণরোগ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৯- ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াকলানে প্রথম বাণিজ্যিক লন্ড্রি চালু হয়
১৮৬৫- প্রতিষ্ঠিত হয় আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়
১৮৯৩- নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো নারীদের ভোটাধিকার দেয়
১৮৯৪-  বাঙালি চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্রনাথ মজুমদারের জন্ম
১৯০৩- কল্লোল যুগের বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম
১৯০৭- প্রথম তাপ ও জ্বালানী উৎপাদনকারী উপাদান আবিস্কৃত হয়
১৯১৯- অভিনেতা জহর রায়ের জন্ম
১৯২১- সাহিত্যিক বিমল করের জন্ম
১৯২৪- সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের জন্ম
১৯৩৬- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রথিতযশা পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখন্ডের মৃত্যু
১৯৬৫- মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৪৮/০ রাত্রি ১২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৬/৩০ দিবা ৮/৪ পরে রেবতী নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষ রাত্রি ৫/১৫। সূর্যোদয় ৫/২৮/২, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৯ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
২ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ৬/২৩ পরে দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১১/১৬। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩১ গতে ১/০ মধ্যে।
১৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভোপালে নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

11:28:00 PM

শনিবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগদানের আশ্বাস আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের

11:12:14 PM

বিহারে তল্লাশি অভিযানে এনআইএ, উদ্ধার প্রচুর টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র

11:11:32 PM

তৃণমূল বিধায়ক খুন: বেকসুর খালাস মুকুল-জগন্নাথ
নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে বেকসুর ...বিশদ

10:47:00 PM

আগামীকাল থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করা হবে, জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:33:00 PM

আগামীকাল দুপুর ৩টের সময়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

10:16:00 PM