Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

—মাসিমা, আমি চললাম।
মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি।
কাজের বউটা বিদায় হতেই আবার ফোনে মন দিলেন কৃষ্ণকলি। বাবুসোনা অফিসের কাজে মাস ছয়েকের জন্য বাইরে যেতেই শুরু হয়েছে যত বিপত্তি। নিজের অমন সুন্দর দোতলা বাড়ি ছেড়ে ছেলের এই ছোট্ট দু’কামরার ফ্ল্যাটে এসে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু কী আর করা যাবে, ছেলের অনেক কষ্টের পয়সায় কেনা ফ্ল্যাট, এখন মা যদি একটু দায়িত্ব নিয়ে দেখাশোনা না করে, তাহলে আর কেই বা করবে। বাবুসোনা অবশ্য বলেই ছিল, ‘এই ক’মাস ঘরদোর একটু বন্ধ থাকলে কিছু হবে না, তাছাড়া আমার বন্ধুরা তো কাছাকাছিই থাকে, যদি দরকার পড়ে তাহলে তারাই না হয় মাঝে মাঝে এসে একটু দেখভাল করে যাবে।’ কিন্তু কৃষ্ণকলি কিছুতেই রাজি হননি ছেলের প্রস্তাবে। পাছে মায়ের অনুপস্থিতিতে ছেলে কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তাই ছেলে ঘর বন্ধ করে বাইরে যাওয়ার দিন দুয়েক আগে থাকতেই নিজের ঘরদোরের সব দায়িত্ব বিশ্বস্ত পরিচারিকা চম্পার হাতে সঁপে দিয়ে কর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ছেলের এখানে এসে উঠেছেন।
কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত কৃষ্ণকলি ছিলেন ওই অঞ্চলের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। স্থানীয় চেনা-পরিচিতদের সবার কাছে বড়দিদিমণি। আর তাঁর পতিদেবতাটি ছিলেন ওখানকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার। ব্যাঙ্কে যাতায়াত করা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বড়বাবু। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বড়বাবুদের সঙ্গে সরকারি স্কুলের বড়দিদিমণিদের তফাত অনেকটাই। বড়বাবুদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সামনে থাকা মানুষজনদের সঙ্গে হেসে কথা বলতে হয়। কিন্তু বড়দিদিমণিদের ইচ্ছে থাকলেও কারও সঙ্গে হেসে কথা বলার উপায় নেই। বেশি হাসাহাসি করলে সামনে দাঁড়ানো সবাই ‘খেলো’ বলে মনে করবে। তাই ছেলের ফ্ল্যাট পাহারা দেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি কৃষ্ণকলি। ভেবেছিলেন, নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন করে বন্ধু পাতাবেন। অন্যান্যদের মতো তিনিও সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মনের কথা বলবেন।  
কিন্তু সে গুড়ে বালি। নতুন জায়গায় এসে প্রথমদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েই ব্যাপারটা আঁচ করলেন কৃষ্ণকলি। এখানে ওঁর বয়সি কেউই ওঁর মতো শাড়ি পরে হাঁটতে বের হননি। সবার পরনে হয় সালোয়ার-কামিজ নয়তো ঢিলেঢালা প্যান্ট-জামা। বেঢপ চেহারার কেউ কেউ তো আবার স্ফীত মধ্যাঙ্গটিকে একেবারে অগ্রাহ্য করে বেশ টাইট ট্র্যাকস্যুট পরে খুব স্বচ্ছন্দে ব্রিস্ক ওয়াকিং করে বেড়াচ্ছেন। পুরনো পাড়ায় সবাই কৃষ্ণকলিকে বেশ সম্ভ্রমের চোখে দেখত, সৌজন্যের হাসি হাসত। কিন্তু এখানে কেউ ওঁর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। দীর্ঘ অনভ্যাসের ফলে তিনিও আগ বাড়িয়ে আলাপ করতে পারলেন না কারও সঙ্গে।
কর্তার ব্যাপারস্যাপার অবশ্য আলাদা। তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সমবয়সি বন্ধু জুটিয়ে ফেলেছেন। আগের মতোই এখানেও প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেরার পথে সেইসব বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন, পায়ের ধারে ঘুরঘুর করা সারমেয়দের বিস্কুট কিনে খাওয়ান।
কৃষ্ণকলিরও যে একেবারেই কোনও বন্ধু জোটেনি তা নয়। সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়ে প্রথমদিনেই ফ্ল্যাট বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট লাইব্রেরির হদিশ পেয়েছিলেন কৃষ্ণকলি। গাছপালায় ঘেরা ঘরটার বন্ধ দরজার পাশে দেওয়ালে ঝোলানো আধময়লা বোর্ড দেখে জানতে পেরেছিলেন লাইব্রেরিটি সপ্তাহে দু’দিন খোলা হয়। রবিবার সকালে ও বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। সকালের দিকে কৃষ্ণকলির হাতে সময় তেমন থাকে না, তার ওপর রবিবার সকালে পাড়ার পাঠাগারে পাঠিকার চেয়ে পাঠকের আনাগোনার সম্ভাবনাই বেশি। কৃষ্ণকলির জীবনের বেশিরভাগটাই কেটেছে বিভিন্ন বয়সি মেয়েদের ধমকধামক দিয়ে তাই অনাত্মীয় পুরুষের সঙ্গে হেসে কথা বলতে এখনও একটু অস্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধেটাকেই পঠনপাঠনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই দেখা হয়েছিল শ্যামলবাবুর সঙ্গে। শ্যামল মৈত্র। ওই ছোট্ট লাইব্রেরির ছোটখাট লাইব্রেরিয়ান। শ্যামলবাবু প্রতি বৃহস্পতিবারে পাঠাগারের দরজা খুলে ঘণ্টাখানেক বসে থাকেন পাঠকের আশায়। শান্ত, ভদ্র, বিনয়ী, কম কথা বলা, দোহারা, উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের মাঝারি উচ্চতার এই মানুষটিই এই নতুন জায়গায় কৃষ্ণকলির একমাত্র বন্ধু, যাকে দেখার জন্য কৃষ্ণকলি সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করে থাকেন। 
এখন লক্ষ্মীবারে সন্ধে হতে না হতেই কৃষ্ণকলি তড়িঘড়ি মা লক্ষ্মীকে ধূপ দেখিয়ে পাঁচালি পড়া সেরে ফেলেন। তারপর বেশ কড়া করে মাড় দিয়ে ইস্ত্রি করা চওড়া পাড়ের তাঁতের শাড়িটাকে অনেকক্ষণ ধরে বেশ যত্ন করে শরীরে জড়িয়ে নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। লাইব্রেরিতে আলো জ্বলে উঠলেই বাহুমূলে পারফিউম ছড়িয়ে, আরও একবার মুখে পাউডারের পাফ আর মাথায় চিরুনি বুলিয়ে নিয়ে বই হাতে উপস্থিত হন লাইব্রেরিতে। ছোট্ট লাইব্রেরিটার বেশিরভাগ বই-ই কৃষ্ণকলির পড়া আর যেগুলো পড়া নয় সেগুলো তিনি পড়তেও চান না। তবুও শুধুমাত্র কিছুক্ষণ সময় একটু ভালোভাবে কাটানোর জন্য, শ্যামলবাবুকে দু’চারটে মনের কথা বলার জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে চলে যান লাইব্রেরিতে।
আর এই লাইব্রেরি যাওয়া নিয়েই হয়েছে যত সমস্যা। আর সেই নিয়েই কৃষ্ণকলি এখন বেশ চিন্তায় আছেন। 
কৃষ্ণকলির মাথায় যেমন ঘন চুল সারা গায়েও তেমনই ঘন লোম, তাই প্রতি মাসে নিয়ম করে ঠোঁটের ওপরে, চিবুকে, গালের দুপাশে আর ভুরুতে একটু ধারালো সুতোর ছোঁয়া না লাগালে কৃষ্ণকলির নিজেকে মানুষ নয়, কেমন যেন বনমানুষ বলে মনে হয়। তখন আর একদম আয়নার সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছা করে না। পাছে ছাত্রীরা বা তাদের অভিভাবিকারা দেখে ফেলেন এই ভয়ে কৃষ্ণকলি কোনওদিনই বিউটিপার্লারে যেতেন না। ওখানে টুম্পা নামে একটি মেয়ে প্রতিমাসে বাড়ি এসে তাঁকে বিউটি-সার্ভিস দিয়ে যেত। কিন্তু এখানে সে সুযোগ কোথায়? অগত্যা কৃষ্ণকলি ঠিক করলেন একবার গিয়েই দেখবেন বিউটিপার্লারে। তাছাড়া এখানে কেউ তো আর তাঁকে বড়দিদিমণি হিসাবে চেনে না, তাই দেখে ফেললেও তেমন দোষের কিছু নেই। 
এ পাড়ায় একটা ছোট  বিউটিপার্লার আছে। কৃষ্ণকলি সময় করে একবার ঢুঁ মেরে এসেছেন সেখানে। লাল গদিওয়ালা চেয়ারের একটি খালি আর একটির হাতলে দু’হাত ছড়িয়ে চোখে ভেজা তুলো আর মুখে মুলতানি মাটি লাগিয়ে বেশ আরাম করে বসে ছিল একজন মহিলা। মুখ দেখা না গেলেও পরনের জামাকাপড় দেখে কৃষ্ণকলি তাকে বেশ ভালোমতোই চিনতে পারলেন। মহিলাটি তাঁদের সামনের ফ্ল্যাটের ‘রান্নার মাসি’। রোজ ওই একই পোশাক পরে রান্না করতে আসে। পার্লারের মেয়েটি একগাল হেসে কৃষ্ণকলিকে খালি চেয়ারটায় বসতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কৃষ্ণকলি ‘একটু পরে আসছি’ বলে সেই যে ওখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তারপর আর ওমুখো হননি। 
কর্তাকে অনেকবার অনলাইনে গাড়ি ভাড়া করতে দেখেছিলেন, এবার অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পর তিনি প্রথমবার অনলাইনে স্যাঁলো সার্ভিস বুক করলেন। কৃষ্ণকলির শুধু ভুরু আর সারা মুখের লোম ছাঁটা মানে থ্রেডিং করার দরকার ছিল। কিন্তু এইসব অনলাইন বিউটি-পার্লারের ন্যূনতম খরচ আগে থেকেই ধার্য করা থাকে। নির্দিষ্ট টাকা খরচ না করলে বিউটিশিয়ান পাওয়া যায় না। উপায় নেই দেখে কৃষ্ণকলি মুখের লোম ছাঁটার সঙ্গে মাথার মালিশও বুক করলেন। কিছুক্ষণ আগে কৃষ্ণকলির মোবাইলে বিউটিশিয়ানের হাসি মুখের ছবি আর কাজ শুরু করার পাসওয়ার্ড এসেছে। তিনি খুব মন দিয়ে সে সব দেখছিলেন, আর ঠিক সেই সময়ই মিনা কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান দিল। অন্যদিন হলে কৃষ্ণকলি ফাঁকিবাজ কাজের-বউটাকে মনের সুখে খানিক ধমকধামক দিতেন। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা একটু আলাদা, তাই কিছু না বলেই মিনাকে যেতে দিলেন।
মোবাইল রেখে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালেন কৃষ্ণকলি। সত্যি, কি বিশ্রী হাল হয়েছে মুখটার! এই মুখ নিয়ে শ্যামলবাবুর সামনে যাওয়া যাবে না। যাক বাবা, আজকের পর আর আয়নায় এই মুখ দেখতে হবে না। কিন্তু যে মেয়েটা আসবে সে কি টুম্পার মতো ভালো হবে? ভালো করে ভুরু প্লাক করতে পারবে? ধারালো সুতো দিয়ে ঠোঁটের উপর বা গালের পাশ থেকে শক্ত লোমগুলো তুলতে গিয়ে কেটে রক্ত বের করে দেবে না তো?
অজানা আশঙ্কায় দুরু দুরু বুকে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন কৃষ্ণকলি। চোখ চলে গেল লাইব্রেরির দিকে। দুটো ভুরু দু’রকম হলে, ঠোঁটের ওপর কাটা দাগ থাকলে সেই মুখ কি আর শ্যামলবাবুকে দেখানো যাবে?
দুই
‘উফ! উফ! লাগছে! লাগছে! এত জোরে জোরে চুল ধরে টানছ কেন?’ যন্ত্রণায় প্রায় কেঁদে ফেললেন কৃষ্ণকলি।
‘একটু প্রেশার দিয়ে ম্যাসাজ না করলে আপনার মাথায় ভালো করে ব্লাড সার্কুলেশন হবে না। আপনি যদি বলেন, তা হলে আমি প্রেশার কমিয়ে দিয়ে পারি। কিন্তু তাতে হেড ম্যাসাজের কোনও ফল পাবেন না।’ একটু দম নিয়ে ডলি নামের মেয়েটা একটা বিশাল বড় হাউসিং সোসাইটির নাম বলে আবার বলতে শুরু করল, ‘ওখানে আমার অনেক ক্লায়েন্ট আছেন। তাঁদের সবাইকে তো আমি এভাবেই ম্যাসাজ করি। তাঁরা তো বেশ এনজয় করেন, আপনার মতো এত কমপ্লেন করেন না।’
হাই-ফাই হাউসিং সোসাইটির নামটা শুনেই একটু কুঁকড়ে গেলেন কৃষ্ণকলি। বাজার যাওয়ার সময় ওই হাউসিং সোসাইটির সামনে দিয়েই যেতে হয়। মুখে রংচঙে মেক-আপ করা, আঁটোসাঁটো সাহেবি পোশাক পরা অনেক মহিলাকেই ওখান থেকে বের হতে দেখেছেন কৃষ্ণকলি। এই মেয়েটা তাদেরও মাথা ম্যাসাজ করে শুনে কৃষ্ণকলি একটু থমকে গেলেন। পাছে মেয়েটা তাঁকে গেঁয়ো মনে করে তাই মুখ বুজে মাথায় একের পর এক গাঁট্টা, কান ধরে টান, পিঠের ওপর কিল, ঘুসি সবকিছু চুপচাপ সহ্য করে গেলেন মিনিট দশেক ধরে।
কাজ শেষ করে বিদায় হওয়ার সময় একগাল হেসে মেয়েটা কৃষ্ণকলিকে বলল, ‘রেটিং-টা একটু ভালো করে দেবেন ম্যাডাম। আর দেখবেন আজ আপনার খুব ভালো ঘুম হবে।’
ভালো ঘুম হবে না ছাই! মালিশের ঠ্যালায় কৃষ্ণকলির মাথার ভেতরটা এখনও ঝনঝন করছে, কান দুটো টনটন করছে, পিঠে অসম্ভব ব্যথা। স্কুলে পড়ানোর সময় কৃষ্ণকলি অবাধ্য ছাত্রীদের অনেক মারধর করেছেন। কিন্তু তাই বলে এইভাবে পীড়ন! না, এভাবে নিরন্তর প্রহারের ক্ষমতা কৃষ্ণকলি কেন ওঁদের স্কুলের কোনও দিদিমণিরই ছিল না।
তিন
রাস্তায় এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ডলি। যাক বাবা, কৃষ্ণকলি দিদিমণি কোনওভাবেই ওকে চিনতে পারেননি। পারবেনই বা কী করে? মাধ্যমিক পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়েছিল বলে ওই স্কুলে আর উচ্চ মাধ্যমিক পড়া হয়নি। সেই ষোলো বছর বয়সের ডলির সঙ্গে আজকের এই ডলির অনেক তফাত। তবে কৃষ্ণকলি দিদিমণি খুব একটা পালটাননি। সেই কোঁকড়ানো চুল, মোটা মোটা ভুরু, ঠোঁটের ওপর গোঁফের রেখা সব একই রকম আছে, শুধু বয়সটাই যা বেড়েছে। 
ডলি পড়াশোনায় ভালো ছিল না বলে একসময় অনেক মার খেয়েছে এই হেড মিস্ট্রেস দিদিমণির হাতে। তাই আজ যখন দেখল দিদিমণি ওকে একেবারেই চিনতে পারেননি, তখনই ঠিক করে নিয়েছিল, আজ শোধ তুলবেই। থ্রেডিং খারাপ হলে ক্লায়েন্ট ওর নামে কমপ্লেন করতে পারবে। আর নতুন ক্লায়েন্ট একবার কমপ্লেন করলে ডলি আর নতুন কোনও কাজ পাবে না। তাই থ্রেডিংটা ও বেশ যত্ন করে করেছিল। আর তারপর...।
মনের ভেতর একরাশ ফুরফুরে আনন্দ নিয়ে রাস্তার দিকে পা বাড়াল ডলি। এখনও একজন ক্লায়েন্টের সার্ভিস বাকি আছে। 
30th  June, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...

বিট্রেনের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্যে হার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসেরও। মাত্র ৪৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর এমপি পদ ধরে রাখতে পারলেন ...

গত মার্চেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র ওয়াইকার। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা আসন থেকে কোনওক্রমে জিতেছেন তিনি। তারপরই এল স্বস্তির খবর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM