Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন। 
গুরু হরগোবিন্দ: কোনও পার্থক্য নেই। আমার ঈশ্বর একজনই। তার নাম সত্য। সত্যই সৃষ্টিকর্তা ও ক্ষমাসুন্দর।
জাহাঙ্গির: আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কে আপনার কী অভিমত?
গুরু হরগোবিন্দ: ঈশ্বর বিশ্বের স্রষ্টা। আবার তিনিই একদিন এই পৃথিবী ধ্বংস করবেন। এরকম লক্ষ লক্ষ পৃথিবী আরও আছে। আমরা কেউ সেটা জানি না। তবে অনুভূতি তীব্র হলে অনেক সময় যেন টের পাওয়া যায়। আমরা জানি না যে, সংখ্যায় কত। ঈশ্বর জানেন। তিনি সর্বশক্তিমান। কতটা শক্তি তাঁর? আমরা জানি না। সেটাও তিনিই জানেন। 
জাহাঙ্গির: হিন্দু না মুসলিম? কাদের ধর্ম বেশি উন্নত?
গুরু হরগোবিন্দ: সত্যরূপী আলো নির্মাণ করেছেন। সেই আলো থেকে এই জগতের জন্ম। সৃষ্টিকর্তার মধ্যেই থাকে সৃষ্টি। সৃষ্টির মধ্যেই থাকেন সৃষ্টিকর্তা। সুতরাং ভালো অথবা মন্দ— সকলই সমান তাঁর কাছে। কে বেশি ভালো এরকম প্রশ্ন অবান্তর।
জাহাঙ্গির: কে যোগ্য শাসক?
গুরু হরগোবিন্দ: সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হল সত্য। অর্থাৎ ঈশ্বর। 

শিখগুরু হরগোবিন্দকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির। এই গুরুর প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। দূর দূরান্ত থেকে তাঁর কাছে সব ধর্মের মানুষ যায়। সন্দেহ হচ্ছে জাহাঙ্গিরের। প্রতিদিন সকাল ও বিকেল, দু’বার করে দরবার বসান গুরু। সেখানে শুধুই যে ধর্মযাপন নিয়ে কথাবার্তা হয় তা নয়। জীবনের প্রতিটি সমস্যা নিয়ে তাঁর শরণাপন্ন হয় মানুষ। এমনকী তিনি নিজে এক অসামান্য যোদ্ধা। বাবা অর্জন সিংকে দিল্লিতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিলেন জাহাঙ্গির। সেই ক্ষোভ তাঁর আজও আছে। এমনকী একবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠান মুঘল সম্রাট। সঙ্গে ছিল আরও ৫২ জন রাজা। গোয়ালিয়র দুর্গে আটক রেখেও গুরুর প্রভাব কাটানো যায়নি। প্রবল বিদ্রোহ হয়ে যায় অমৃতসর থেকে লাহোর পর্যন্ত। জাহাঙ্গির তাঁকে মুক্তি দিয়েছিলেন। 
 শিখগুরু হরগোবিন্দের শক্তি সম্পর্কে একটা সময় শ্রদ্ধাশীল তো বটেই, জাহাঙ্গির সমীহ করা শুরু করেন। কারণ একবার এই শিখ গুরুকে সঙ্গে নিয়েই জাহাঙ্গির গিয়েছিলেন শিকারে। দিল্লির ঠিক বাইরের এক জঙ্গলে। আচমকা জাহাঙ্গিরের সামনে এক বাঘ। জাহাঙ্গির কী করবেন? ঝাঁপ দিতে উদ্যত সেই বাঘ। হঠাৎ উড়ে এলেন যেন গুরু হরগোবিন্দ। তিনি দাঁড়ালেন বাঘ আর সম্রাটের মাঝখানে এবং তরবারি দিয়ে একাই লড়াই করলেন বাঘের সঙ্গে। জয়ীও হলেন। চমৎকৃত জাহাঙ্গির সেই প্রথম শিখ গুরুকে প্রণাম করলেন। জাহাঙ্গিরকে গুরু হরগোবিন্দ শিক্ষা দিয়েছেন প্রজাপালনে। বলেছিলেন, যে শাসকের অগ্রাধিকার প্রজাদের কষ্ট দূর করা, তিনিই ইতিহাসে চিরকালীন সম্মান পাবেন। এটাই মানবসভ্যতার নিয়ম।
কিন্তু এটা আসল গল্প নয়। এই কাহিনি বলার কারণ কী? কারণ হল দিল্লিতে জাহাঙ্গিরের সঙ্গে দেখা করার অথবা নিজের ভক্তদের দর্শন দেওয়ার জন্য গুরু হরগোবিন্দ যেখানে এসে থাকতেন, সেই স্থানের আশ্চর্য এক মাহাত্ম্য। যার নাম ‘মজনু কা টিলা’।
তিনটি ধর্মের এক বিস্ময়কর মিলনস্থল মজনু কা টিলায় আজ দু’রকম মানুষের ভিড়। প্রেমিক-প্রেমিকা। নিরালা সময়যাপনের জন্য। আর দ্বিতীয় পর্যটকদের প্রিয় হল খাদ্য। তিব্বতের খাবার খেতে হলে কোথায় আসতে হবে দিল্লিতে? মজনু কা টিলায়। কিন্তু কে এই মজনু?
ষোড়শ শতাব্দীর এক সুফি সাধক। আসল নাম আবদুল্লা। ঈশ্বরের কাছে নিজেকে নিবেদন করলেও আবদুল্লা নিজেকে ঈশ্বরের প্রেমিক হিসেবেই বিবেচনা করতেন। ডাক নাম নিয়েছিলেন মজনু। কিন্তু শুধুই একাকী সাধনা করব, এই জগতে এসেছি অথচ জীবজগতের কাজে আসব না— এই জীবনযাপন তো অর্থহীন। তাই সামান্য যেটুকু ক্ষমতা, সেই সাধ্য নিয়েই মজনু এক পন্থা আবিষ্কার করেছিলেন জীবসেবার। যমুনা নদীর নৌকার মাঝি হয়েছিলেন। গরিব মানুষকে বিনামূল্যে তিনি যমুনা নদী পার করিয়ে দিতেন। তখন দিল্লির শাসক সিকন্দর লোধি। হঠাৎ জানা গেল এক গুরুজি এসেছেন দিল্লিতে। যমুনা তীরে তিনি থাকছেন। ১৫০৫ সালের ২০ জুলাই। মজনুর জীবনের বাঁক বদল হল। তিনি দেখতে পেলেন সেই গুরুকে। যাঁর নাম গুরু নানক! 
শিখগুরু মহামানব গুরু নানকের সংস্পর্শে এসে প্রকৃত সাধনার সন্ধান পেলেন মজনু। আর গুরু বললেন, ‘এই যে তুমি স্বার্থহীনভাবে মানুষকে উপকার করে চলেছ, এটাই হল ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা। কোনও সাধনাই এর থেকে বড় হতে পারে না।’ মজনু গুরুকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন আর হলেন বিশুদ্ধ সাধক। গুরু নানক এই মজনুর ঘাটের কাছে এসেছিলেন। তারপর আবার গুরু হরগোবিন্দও এই স্থানকেই বেছে নিয়েছিলেন দিল্লিযাপনের জন্য। মজনুর কর্মস্থান তথা বাসস্থানের সেই পাহাড়ি অংশটির নাম হয়ে গিয়েছিল ক্রমেই ‘মজনু কা টিলা’। ১৭৮৩ সালে অকাল সেনার সেনাপতি যোদ্ধা বাঘেল সিং ধালিওয়াল শিখধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকজি এবং ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দের স্মৃতিধন্য মজনু কা টিলায় গড়ে তুললেন এক গুরুদ্বার। দিল্লিতে প্রাচীন যে কয়েকটি গুরুদ্বার রয়েছে, মজনু কা টিলার এই গুরুদ্বারটি তার মধ্যে অন্যতম। এই অঞ্চলেই মুসলিম সাধক আবদুল্লার সঙ্গে দেখা হয় গুরু নানকের। 
কিন্তু না, কাহিনি সমাপ্ত হল না। ১৯৫৯ সালে দলাই লামা তাঁর অনুগামীদের নিয়ে লাসা থেকে মধ্যরাতে পালিয়ে এসেছিলেন এক অবিস্মরণীয় সফর করে। গুপ্তঘাতকদের চোখ এড়িয়ে। আক্রমণকারীদের হাত এড়িয়ে। দীর্ঘ পরিক্রমার পর ভারতের দ্বারপ্রান্তে হাজির হন তিনি ও তাঁর অনুগামীর দল। এর পরের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। সেই যে দলাই লামার সঙ্গীরা, তারা একটা সময় ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। একটি বড় অংশ রাজধানী দিল্লির একটি বিশেষ অঞ্চলে তাঁরা বাসা গড়লেন। কোথায়? মজনু কা টিলা সংলগ্ন জনপদে। মুসলিম, শিখের পর মজনু কা টিলায় বহুত্ববাদের বহতা নদীতে মিশ্রিত হল তিব্বত থেকে আসা বৌদ্ধরা। 
 মজনু কা টিলায় অবিরত ভিড়। পর্যটকের। প্রেমিক-প্রেমিকার। খাদ্যরসিকের। ধর্মপ্রাণের। ইতিহাস সন্ধানীর। মজনু কা টিলা থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা এক মহাপ্রাণ বিশ্বকবি লিখেছিলেন ভারতের আত্মার বাণী! সেই বাণী যেন মজনু কা টিলায় জীবন্ত হয়ে দেখা যায়। কী সেই বাণী?
‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে’। 
09th  June, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
১০ জুলাই বাগদা বিধানসভায় উপ নির্বাচন। মাত্র ২৫ বছর এক মাস বয়সি মহিলাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে তাঁকে জেতানোর ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...

বিট্রেনের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্যে হার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসেরও। মাত্র ৪৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর এমপি পদ ধরে রাখতে পারলেন ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM