Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। আর অতীতের এই দুর্গ যেমন ইতিহাসের দলিল, তেমনই এরসঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু অলৌকিক অধ্যায়। যা সেই স্থানের আকর্ষণ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। তেমনই এই স্পেডলিনস টাওয়ার।
১৪৫০ সাল নাগাদ নির্মিত হয়েছিল এই টাওয়ার। যদিও উপরের তলার আর অন্যান্য কিছু অংশের কাজ শুরু হয় ১৬০৫ নাগাদ। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের রাজত্বকালে এই প্রাসাদ-দুর্গ ছিল অ্যাপলগার্ণের ব্যারোনেট স্যর আলেকজান্ডার জার্ডিনের অধিকারে। জমিদারদের সঙ্গে প্রজাদের দ্বন্দ্ব চিরকালের। ব্যতিক্রম ছিল না জার্ডিনের ক্ষেত্রেও। মিলহাউসব্রিজ গ্রামের জেমস ‘ডান্টি’ পোর্টিয়াস ছিল স্পেডলিনস টাওয়ারের ব্রেড অর্থাৎ পাউরুটি সরবরাহকারী। এলাকায় জেমস এমনিতেই খিটখিটে হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই লোকজন তাঁকে ডান্টি বলে ডাকত। প্রাচীন ইংরেজিতে ‘ডান্টি’ শব্দের অর্থ ছিল ‘আর্গুমেন্ট’ অর্থাৎ তর্ক। যাইহোক একবার কোনও কারণে ডান্টি পোর্টিয়াস আর আলেকজান্ডার জার্ডিনের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। শোনা যায়, পোর্টিয়াস  নিজেরই ময়দা কলে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন জার্ডিন। খবর পাওয়ামাত্রই পোর্টিয়াসকে পেয়াদা পাঠিয়ে বন্দি করার আদেশ দিলেন তিনি। দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিশেষ খোঁজখবর না নিয়েই পোর্টিয়াসকে দুর্গের মাটির নীচের অন্ধকার কারাগারে আটকে রাখা হয়। মূলত সেটি ছিল মদের পিপে রাখার ভাঁড়ার। সেখানেই তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় পোর্টিয়াসকে। আর তার চাবি আলেকজান্ডার জার্ডিন নিজের জিম্মায় রাখেন। শুধুমাত্র দু’বেলা তাঁকে জল আর খাবার দিয়ে আসা হয় সময়ে সময়ে। অন্যদিকে পোর্টিয়াসকে কী সাজা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনায় জার্ডিন। নিজের হলেও ময়দা কলে আগুন লাগানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে জার্ডিন ঠিক করলেন পোর্টিয়াসকে আরও দিনকয়েক আটকে রেখে শায়েস্তা করবেন। আর তারপর যখন সে প্রাণভিক্ষা চাইবে তখন তাঁকে বেশ কয়েক ঘা চাবুক মেরে মুক্তি দেবেন।
কিন্তু বাস্তবে ঘটল অন্যরকম। হঠাৎই জমিদারি সংক্রান্ত জরুরি দরকারে জার্ডিনকে যেতে হল স্কটল্যান্ডে। এদিকে পোর্টিয়াস আটকে রইল ওই অন্ধকারে। কিছুদিন পর যখন জার্ডিন এডিনবরায়, তখন তাঁর মনে পড়ল পোর্টিয়াসের কথা। আর আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন জার্ডিন। কারণ প্রাসাদ থেকে বেরোনোর সময় সব ক’টা ঘরের এমনকী মাটির নীচের ওই ভাঁড়ারের চাবিও ভুল করে তিনি নিজের সঙ্গে এনেছেন। চাবির অন্য জোড়াও প্রাসাদে নেই। অর্থাৎ অনাহারে তেষ্টায় ওখানে কষ্ট পাচ্ছে বেচারা পোর্টিয়াস। তাঁর অবিবেচনার ফল ভোগ করতে হচ্ছে অন্যজনকে। এই খবর যদি রাজার কানে যায় তার ফলাফল কী হবে ভেবেই শিউরে উঠলেন জার্ডিন। মানসম্মান, জমিদারির সঙ্গে নিজের প্রাণটাও না যায়। 
নিজের কাজ শেষ হতে তখনও বাকি। তাই অবিলম্বে জার্ডিন নিজের বিশ্বস্ত এক লোকের হাতে ওই ঘরের চাবি ফেরত পাঠালেন ক্যাসেলে। কিন্তু সেই চাবি  আসার আগেই খাদ্য আর জলের অভাবে মাটির নীচেই প্রাণ দিয়ে ভুলের মাশুল দিয়েছেন পোর্টিয়াস। জার্ডিনের বিশ্বস্ত লোক পোর্টিয়াস মারা গেছে দেখে নিজের কর্তব্য স্থির করে ফেলল। পাইক বরকন্দাজদের সঙ্গে মিলে রাতারাতি পোর্টিয়াসদের মৃতদেহ স্থানীয় গির্জার সমাধিক্ষেত্রে কবর দিল। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে গির্জার পাদ্রিদের হাত করে নিল সে। ক’দিন পর জার্ডিন প্রাসাদে ফিরে পোর্টিয়াসের মৃত্যু সংবাদ শুনে গুম হয়ে রইলেন। আবার যখন জানতে পারলেন যে, দুর্ঘটনার আসল কারণ বিশেষ কেউ জানে না তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। যারা জানত সত্যটা তাঁদেরও টাকার বিনিময়ে নিজের দিকে টেনে নিলেন।
ব্যাপারটা পুরোপুরি মিটতে না মিটতেই দেখা দিল অন্য সমস্যা। অশরীরী পোর্টিয়াস আস্তানা গাড়ল মাটির নীচের সেই ভাঁড়ারে। সেখানে ঘুলঘুলি থেকে নাকি তাঁর আর্তনাদ কানে আসে সারাক্ষণ। সেই আর্তনাদ খিদে তেষ্টার। নতুন এই আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে রইল প্রাসাদের সবাই। ঘুম উড়ে গেলে জার্ডিনের।
এদিকে ভূত দেখার জন্য, বলা ভালো শোনার জন্য প্রাসাদের আশপাশে ভিড় জমায় অল্পবয়সিরা। ভাঁড়ারের পিছনের পোড়ো জমি থেকে ভূতের আর্তনাদ তাঁদের নতুন নিষ্ঠুর বিনোদন। অনেকে আবার ভূতের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে বাসি পাউরুটি  ঘুলঘুলি দিয়ে দেয় ভূতের উদ্দেশে। ভিতর থেকে আসে শুকনো পাউরুটি চিবোনোর আওয়াজ। এভাবেই চলতে থাকে।
একটা সময় ভূতের আর্তনাদে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন জার্ডিন। তারপর বুঝতে পারেন, ভূতকে সন্তুষ্ট  না করলে মুক্তি নেই। তাই তিনি প্রাসাদের সবাইকে আদেশ দেন, শুকনো পাউরুটি এনে ওই গুদাম বোঝাই করতে। ঘুলঘুলি দিয়ে দেওয়া টুকরো পাউরুটি পোর্টিয়াসের ভূত খেল বটে, কিন্তু তাতে সে শান্ত হল না।  খিদের সঙ্গে তাঁর চিৎকার আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেল। আরও মাসখানেক চলল এইভাবে। এমনকী প্রজারা এসে তাঁর কাছে ধর্না দিল বিহিত চেয়ে। সবাই অতিষ্ঠ ভূতের চিৎকারে। ভূতকে তুষ্ট না করতে পেরে জার্ডিন এবার শরণাপন্ন হলেন গির্জার পাদ্রির। গির্জার বড় পাদ্রি সব শুনে হেসে বললেন, ‘এ আর এমন কী কাজ আপনি বিদেশে থাকতে ওই বাসি মৃতদেহের সৎকারের মন্ত্রও আমিই পড়েছি। মন্ত্র পড়ে আমি ওকে লোহিত সাগরের ওপারে পাঠাব।’ জার্ডিন পাদ্রিকে বললেন, বরং কম খরচে কোনও উপায় বাতলাতে। ভূত প্রাসাদের ভাঁড়ার ছেড়ে বেরলেই হবে। সেই শুনে পাদ্রি একটা ছোট চৌকো বাক্স বের করলেন তাঁর আলখাল্লার ভেতর থেকে। সেটা জার্ডিনের হাতে দিয়ে বললেন, ‘এর ভিতর একখানা ছোট বাইবেল আছে, যা ১৬৩৪ সালে ছাপানো হয়েছিল। এই খুদে বাইবেলের এক বিশেষ ক্ষমতা আছে। এই বই যেখানে থাকে তার হাজার গজের ভেতর কোনও ভূতপ্রেত ঘেঁষতে পারবে না।’ বড় পাদ্রির দেওয়া সেই  বাইবেলখানা শোওয়ার ঘরে রাখলেন জার্ডিন। আর সেদিন থেকেই বন্ধ হল পোর্টিয়াসের ভূতের উপদ্রব। অবশেষে স্বস্তি পেলেন জার্ডিন।
যদিও পরকালে গিয়েও আগের মতো নাছোড়বান্দা ছিল পোর্টিয়াস। একবার পাদ্রির দেওয়া সেই ছোট্ট বাইবেল খানা ছিঁড়ে যাওয়ায় সেটা বাঁধাই করতে দেওয়া হয় এডিনবরার এক দপ্তরীর কাছে। বাইবেলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পোর্টিয়াসের ভূত আবার ফিরে আসে প্রাসাদে। রাতের অন্ধকারে সস্ত্রীক ঘুমন্ত জার্ডিনকে খাটসুদ্ধু উল্টে দেয় সে। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি জার্ডিন সেই রক্ষাকবচ বাইবেলখানা ফেরত নিয়ে আসেন। আবার পোর্টিয়াসও পগারপার। জার্ডিন বেঁচে থাকতে আর প্রাসাদ মুখো হয়নি সে। জার্ডিন মারা যাওয়ার বহু বছর পর ১৮৮৪ সালে তাঁর বংশধররা স্পেডলিনস টাওয়ার বিক্রি করে দেয়। তারপর হাতবদল হলেও সেই রক্ষাকবচ খুদে বাইবেলখানি আজও সযত্নে রয়েছে সেখানে।
তারপর কেটে গেছে কয়েকযুগ, সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে অনেককিছুই। সেদিনের ওই দুর্গ-প্রাসাদ আজ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। সুদীর্ঘ মাঠ, বাগান, হ্রদ নিয়ে এই চত্বর দেখার মতো। আর আন্নান নদী তো আছেই। প্রাসাদের ওক কাঠের মূল প্রবেশদ্বার পেরলেই মনে হবে মধ্যযুগীয় স্বপ্নরাজ্য। যাকে ঘিরে রয়েছে ইতিহাস আর কয়েক শতাব্দী ব্যাপী কাহিনি। তবে ৮০ ফুট এই চারতলা প্রাসাদের মধ্যে রয়েছে অতিথি সেবার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত। ইতিহাসকে অনুভব করা আর সুন্দর সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা এই হলিডে হোম। আছে ছোট্ট অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত, নানা আমোদপ্রমোদ, আছে অনেক কিছুই। আর আছে সবচেয়ে পুরনো বাসিন্দা ‘ডান্টি’ পোর্টিয়াস। যদিও সে একদম নিরুপদ্রব আর শান্তভাবে জীবনযাপন করে নিজের ঘরেই। সুতরাং এমন জীবন্ত ইতিহাস অনুভব করতে হলে যেতেই হবে স্পেডলিনস দুর্গে।
23rd  June, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘ধূসর জল ব্যবস্থাপনা’ চালু করবে রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সমীক্ষা চালায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। তার মধ্য থেকেই এই সমস্ত স্কুলগুলিকে বেছে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চালু করতে উদ্যোগ ...

১০ জুলাই বাগদা বিধানসভায় উপ নির্বাচন। মাত্র ২৫ বছর এক মাস বয়সি মহিলাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে তাঁকে জেতানোর ...

গত মার্চেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র ওয়াইকার। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা আসন থেকে কোনওক্রমে জিতেছেন তিনি। তারপরই এল স্বস্তির খবর। ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM