Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। উপ মহাদেশের তৎকালীন রাজধানী হিসেবে ১৮৮৭ সালের এই উৎসবে কলকাতার উৎসাহ স্বাভাবিক কারণেই একটু বেশি থাকার কথা। কিন্তু এই এত বছর পরে সেই উদ্দীপনার কোনও স্মৃতি কি আজও পাওয়া যায় শহর কলকাতার আনাচেকানাচে? আসুন খুঁজে দেখি।  
মহাবিদ্রোহের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার ভিক্টোরিয়ার হাতে আসার পরেই রানির ঘোষণায় সুশাসন, প্রজাপালন ও প্রজার ধর্মরক্ষার অঙ্গীকার করা হয়। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে খুব যত্নে ভিক্টোরিয়ার মমতাময়ী মাতৃসম মূর্তি গড়ে তোলা হয় সাধারণ ভারতীয়দের মনে। কোম্পানির আমলের সঙ্গে রানিমা-র আমলের পার্থক্য সকলকে বোঝানোয় ত্রুটি করাও হতো না। 
সেই আবহেই এসে পড়ে ১৮৮৭ সাল। মানে রানির সিংহাসনে বসার সুবর্ণ জয়ন্তী। মহারানির আমলে ভারতে রেলপথ বিস্তার ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের মতো সুফলের কথা মনে করিয়ে সাম্রাজ্য ও সম্রাজ্ঞীর মূর্তি পূজার আরও এক সুযোগ এনে দেয় জুবিলি উৎসব। সমকালীন রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, রানাঘাটে তো এক মন্দির স্থাপন করে সেখানে ভিক্টোরিয়ার মূর্তিকে পূজাও করা হতো। 
তবে জুবিলি উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে বাজি প্রদর্শনী, আলোকসজ্জার মতো সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এদেশে রানির জনহিতকর শাসনের স্মৃতিকে অক্ষয় করার উদ্দেশ্যে লর্ড ডাফরিনের প্রশাসনের তরফে ভারতীয়দের উৎসাহ দেওয়া হল পুর ও জনহিতকর কাজে নিজেদের অর্থ ও শক্তি নিয়োগ করতে। লেডি ডাফরিন তার হাসপাতালের জন্য বেশি করে অনুদান জোগাড়ে নেমে পড়লেন। ‘জুবিলি ব্রিজ’ নামে নতুন সেতু উদ্বোধন করা হল গঙ্গার উপর।
সাধারণ প্রজারা রানির প্রতি স্থায়ী শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পথ খুঁজে নিলেন বাড়ির দেওয়ালে পঙ্খের কাজে (পলস্তরা কেটে ডিজাইন) রানির মুখের পার্শ্বচিত্র (face profile) ফুটিয়ে তুলে। জুবিলি উৎসব উপলক্ষে জারি করা সরকারি স্মারক গ্রন্থের প্রচ্ছদ থেকে নেওয়া মাথায় রাজমুকুট শোভিত সেই ছবির পাশে খোদাই করা থাকত ‘কুইন’স জুবিলি-১৮৮৭’ কথাগুলি। 
এর পাশাপাশি এই ফলক বসানোর আরও একটি দৃষ্টিকোণের কথা পাওয়া যায় মাইলস টেলরের লেখা ‘এম্প্রেস: কুইন ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ বইটিতে। টেলর দেখিয়েছেন যে, ১৮৫৮ সালের সনদ ঘোষণার পর ভারতীয়দের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করা হলেও সরাসরি মহারানির সমালোচনা অত্যন্ত বিরল ঘটনা। কিন্তু দেখা গেল যে, জুবিলির সুযোগ নিয়ে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অগ্রগতিকে প্রশাসনিক স্তরে মহারানির ব্যক্তিগত জীবনের মাইলফলকের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। তাই অনেক সময় প্রজারা যেমন রাজভক্তি প্রকাশে সরকারের পরিবর্তে রানিকে বেছে নিলেন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে।  এর সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে, ১৮৮৫ সালে স্থাপিত জাতীয় কংগ্রেসও কিন্তু নিজের অস্তিত্বের প্রাথমিক বছরগুলিতে নিজেদের দাবিদাওয়াগুলি রাজানুগত্যের মোড়কেই পেশ করত। সুতরাং মনে করা হয়, মহারানির ফলক বসানোর পেছনে অনেকগুলি কারণ কাজ করেছিল সে সময়। 
তবে জুবিলি উৎসবের বেশ কড়া সমালোচনা কিন্তু প্রকাশিত হয়েছিল এই শহরে থেকেই। কৃষ্ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গবাসী’ পত্রিকার পাতায় জুবিলি উৎসবকে শিশুদের ভয় দেখানোর কাল্পনিক ‘জুজু’র উৎসব আখ্যা দিয়ে লেখা হয়— ‘জুজুবিলি’ উদ্‌যাপন। লেখা হল যে, ভারতীয়দের মতো এমন অদ্ভুত জাতি পৃথিবীতে সম্ভবত আর নাই। কারণ তারা নিজেদের ঘরের আগুন লাগিয়ে বহ্ন্যুৎসবের আনন্দ উপভোগ করে। উৎসবের মোহে মানুষকে নেশাগ্রস্ত করার জন্য শাসকের তীব্র সমালোচনা করে পত্রিকা সম্পাদক খেদ প্রকাশ করেন যে, দেশবাসীও কতও সহজে নিজেদের দুর্দশা ভুলে গা ভাসিয়ে দিলেন অনুগত্য দেখানোর গড্ডলিকায়।
১৮৮৭ সালের দশ বছর পর রানির হীরক জয়ন্তী উৎসবের ডঙ্কা আবার বেজে উঠল। দুর্ভিক্ষ, কলেরা, মহামারীর মতো সমস্যা সত্ত্বেও ভিক্টোরিয়ার নামের ম্যাজিক অটুট ছিল। কিন্তু উদযাপনের ঠিক আগে কলকাতায় আঘাত হানল এক বড় ভূমিকম্প। ওল্ড মিশন চার্চের চূড়া ভেঙে পড়ল তার অভিঘাতে।  ফলে উদযাপনের জৌসুলের উপর কিছু প্রভাব পড়লই।  
সাধারণ মানুষের মনে রানির প্রতি এই ভক্তি শ্রদ্ধার অবিচল ছিল ১৯০৩ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। তাঁর জীবনের শেষ কয়েক দশক রানি যেন ভারতীয়দের কাছে আরও আপন হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর হিন্দুস্তানি ভাষা শেখার চেষ্টা বা দু’জন ভারতীয় পার্শ্বচর নিয়োগের মধ্যে দিয়ে একটি নির্দিষ্ট বার্তা পৌঁছেছিল ভারতে। তাই তাঁর মৃত্যুর পরেও দেখা যায় যে, লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে রানির স্মরণে সেন্ট পল’স গির্জায় অ্যাঙ্গলিকান প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রাজা বা রানির মৃত্যুতে প্রজাদের শ্রাদ্ধ করার শাস্ত্রীয় অধিকারের উদ্ধৃতি দিয়ে  ঠিক সেই সময়েই ময়দানে রীতিমতো মহারানির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন কলকাতার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এমনকী,  কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে গরিব মানুষদের রীতিমত পাত পেড়ে খিচুরি, কপির তরকারি, বোঁদে সহ ভোজে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন যতীন্দ্রমোহন ঠাকুররা। শুধু হিন্দুরাই নন, শিয়ালদহ এলাকার মুসলমানরাও আলাদাভাবে শোক জানাতে মিছিল বের করেছিলেন শহরের পথে। 
হিন্দুস্তানি ভাষা শেখা, আবদুল করিমকে সচিব হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, রানির যত বয়স বেড়েছে, তত যেন তিনি ভারতীয় ঘেরাটোপের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। বিষয়টা লোকের দৃষ্টিও এড়ায়নি। আর তাই হয়তো তার শাসনের শেষ কয় দশকে রাজভক্তি প্রদর্শনের উপায় হিসেবেও গড়ে উঠেছে বাড়ির দেওয়ালে রানির মুখ ফুটিয়ে তোলার সংস্কৃতি। ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে খেতাব পাওয়া জমিদার ভূস্বামী শ্রেণির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাড়ির দেওয়ালেও জুবিলির বছরের প্রোফাইল বা পার্শ্বচিত্র ছাড়াও তার মৃত্যুর পর পুষ্প স্তবকের মাঝে রানির আবক্ষ মূর্তি বসিয়েও শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আজও বউবাজার বা বড়বাজারের মতো অঞ্চলের দেখা যায় সে সব শিল্পকর্ম। দৈবাৎ এমন ফলকের উপর নজর পড়লে কথা বলে ওঠে ইতিহাস। কিন্তু আমরা সেই ফিসফিস শুনতে পাই কি? 
30th  June, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
বিট্রেনের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্যে হার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসেরও। মাত্র ৪৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর এমপি পদ ধরে রাখতে পারলেন ...

১০ জুলাই বাগদা বিধানসভায় উপ নির্বাচন। মাত্র ২৫ বছর এক মাস বয়সি মহিলাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে তাঁকে জেতানোর ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...

রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘ধূসর জল ব্যবস্থাপনা’ চালু করবে রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সমীক্ষা চালায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। তার মধ্য থেকেই এই সমস্ত স্কুলগুলিকে বেছে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চালু করতে উদ্যোগ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM