Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। এখন বেরিয়ে যাচ্ছে বোধহয়। কে জানে রাতে কখন এসে ঢুকেছিল। এখনই গিয়ে হাতেনাতে ধরবে? বিছানায় উঠে বসল সুকৃতি। উফ,  এই হাঁটু! চাইলেই কি চট করে ওঠা যায় নাকি? 
এই সুযোগটাই তো নেয় মেয়েটা। বিষ্ণুপ্রিয়া। নামের সঙ্গে যার স্বভাবের মিল নেই। নিরু নিজে পছন্দ করেছিল মেয়ে। ছোট ঠাকুরঝির ননদের মেয়ে। বাবার আর্থিক অবস্থা তেমন বলার মতো নয়,  আরও দুটো ছোট বোন আছে। একমাত্র ছেলের জন্য সুকৃতির এমন সাধারণ মেয়ে পছন্দ ছিল না। সরকারি চাকরি না হলেও নিরঞ্জনের বড় কোম্পানিতে চাকরি, চাকরিসূত্রে দেশে বিদেশে ঘোরা, পরপর প্রোমোশন। ভালো ভালো সম্বন্ধ আসছিল। রূপ,  রুপো দুইয়ের জৌলুসের সম্বন্ধ। অথচ এই মেয়েকে পছন্দ হল নিরুর। 
স্বামী বেঁচে থাকলে কিছুতেই এ বিয়ে হতে দিত না সুকৃতি। কিন্তু বৈধব্যের মানে শুধু স্বামী হারানোই নয়,  আরও অনেক কিছু। স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে সংসারে জোরের জায়গাটাও হারিয়ে যায়। উনত্রিশ বছর আগের কথা,  এখনও মনে পড়ে,  মনে হয়েছিল নিজের পরিচয়টাই হারিয়ে ফেলেছে। নিজেকে অসহায়,  অরক্ষিত মনে হতো। স্বামীকে শেষ সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার স্বভাব ছিল সুকৃতির। সেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ব্যাপারে হঠাৎ একা পড়ে যাওয়াটা যে কী অনির্বচনীয় নিরালম্ব অবস্থা,  কাউকে বোঝানো যাবে না। রাতের পর রাত ঘুম হতো না। ক্লান্ত শ্রান্ত। কী করব না করব,  তা বুঝে উঠতেও কষ্ট। দিনের পর দিন নিরুর দিকেও খেয়াল রাখা হয়নি। নিরু তখন সাত বছরের। দুঃখ কাটিয়ে ওঠার সেই দীর্ঘ সময়টা ভুলিয়ে দিয়েছিল নিরুই। বাবাকে ছাড়া,  কোনও অভিভাবকের পরামর্শ ও পথনির্দেশ ছাড়া,  একা একা জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে এবং মাকে সামলে রাখা নিরু। বিয়ে নিয়ে,  নিজের জীবনসঙ্গিনী নিয়ে নিরুর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়েছিল তাই। 
ছোট ঠাকুরঝি অবশ্য বারবার বলেছিল,  ‘নামেও লক্ষ্মী, স্বভাবেও লক্ষ্মী। ছোট থেকে দেখছি তো, খুব ভালো মেয়ে।’
মামাশ্বশুর বলেছিলেন,  ‘নিরঞ্জন আর বিষ্ণুপ্রিয়া। লক্ষ্মী-নারায়ণ। নারায়ণের নাম নিরঞ্জন,  জানো তো? আর বিষ্ণুপ্রিয়া মা লক্ষ্মীর আরেক নাম।’
পাড়ার গিন্নিরা বলাবলি করছিল,  ‘সুকৃতির কপাল দেখ,  সাক্ষাত্‍ লক্ষ্মীঠাকরুন বউ হয়ে এলেন।’
তা,  বিয়েবাড়িতে অমন আদেখলাপনা,  প্রশংসার কথাবার্তা অনেক হয়। তবে এ বাড়ি ও বাড়ির মেয়েগুলো দশবার ‘নতুন বউদি’ করে এসে পড়ছিল। কলেজে পড়া ছেলেগুলো পর্যন্ত বশ। এমনি এমনিই বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে লোক, নতুন বউ জানলায় দাঁড়ালে তো কথাই নেই। নিরুর বন্ধুরা আড্ডা দিতে জাঁকিয়ে বসছিল। বছরের পর বছর তাদের এ বাড়িতে দেখা পাওয়া যায়নি। নিরুর বিয়ে হয়ে হঠাত্‍ সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিল এ বাড়ি।
নতুন বউমার ঘোমটা তুলে মুখখানা দেখে মন ভরে উঠেছিল সুকৃতিরও। ফর্সা লাল লাল একখানা ঝলমলে মুখ। লাল বেনারসী, কপালে সিঁথিমৌর, হাতে গাছকৌটো। এত সুন্দর হয় কোনও মানুষ? আত্মীয়মহলেই বল, পাড়া-পড়শিদের ঘরেই বল,  এ তল্লাটে এমন সুন্দর বউ কারও নেই। দরজার ওপর আমপাতা, ফুলের মালা। দরজার বাইরে পূর্ণকলস, দেয়ালে স্বস্তিকচিহ্ন। বড় ঠাকুরঝির হাতে শাঁখ, ছোটপিসিমার হাতে বরণের থালা। চোখে ঘোর লেগেছিল। সাক্ষাত্‍ মা লক্ষ্মী। 
সেদিনের প্রতিটা মুহূর্ত মনে পড়ে আজকাল। 
...
বিয়ের পর দেড়বছর। ভালোবাসা, যত্ন, সম্মান দিয়ে নতুন বউকে ঘিরে রেখেছিল নিরু। বিষ্ণুপ্রিয়া হেঁটে গেলেও পদ্মফুল ফুটে ওঠে এমন ভাব। নিরুর বন্ধুরা, অফিসের কলিগরা, তাদের বউরা— বেশ একটা দল। আড্ডা, হাসি, গান। সবটাই বড্ড ভালো। বড্ড আলো।
কে জানত এত তাড়াতাড়িই সব আলো মুছে যাবে। নিরঞ্জনের প্রাপ্য টাকা আর বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্য একটা চাকরির তদ্বির অফিস থেকেই করছে। অফিসিয়াল কাজে গিয়েই দুর্ঘটনা। তাই সব দায়িত্ব অফিসের।
সুকৃতি অবশ্য দায়ী করে বউকেই। ও মেয়ের কপালের দোষেই নিরু অকালে চলে গিয়েছে। কথাতেই আছে, ‘অতি বড় সুন্দরী না পায় ঘর’। অফিসের চাকরির কথা ভেবেই ওর এ বাড়িতে থাকা মেনে নিয়েছে। যদিও রোজই মনে মনে বলে, ‘ও বাপের বাড়ি ফিরে যাক।’
নিজের অজান্তেই চোখের জল নেমে এসেছে গাল বেয়ে, আঁচল তুলে মুছে নিল সুকৃতি। হাসিমুখের নিরুকে মনে পড়ে গেল। নিরু নেই, বাড়িটা খাঁ খাঁ করে। হঠাত্‍ যে কী হয়ে গেল! বিশ্বনাথ চলে যাবার দিনটা যেমন। একেবারে হঠাত্‍। দুপুরে খেয়েদেয়ে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল মানুষটা। বাড়ি ফেরার পথে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল। ব্যস, চিকিত্‍সা করার সময়টুকুও দিল না। 
নিরুর জন্যে অবশ্য বউ করেছিল। মাথায় চোট, ডান পা বাদ দিতে হয়েছে, বুকের পাঁজরে অপারেশন। রাত দিন জেগে শুশ্রূষা করেছে বউ। যত্নে, মায়ায়। নিরু যেদিন সব মায়া কাটিয়ে চলে গেল, বউ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তারপর এই সাত মাসে আরও দু’বার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। পরের কয়েক সপ্তাহ কেমন ভয় পেয়ে থাকত। অনবরত শরীরে যন্ত্রণা হতো ওর।
ডাক্তার শরীরে কোনও রোগ খুঁজে পাননি। বলেছিলেন,  ‘মনের মধ্যে দুঃখ চেপে রেখে এমন। ওকে কাঁদানোর চেষ্টা করুন।’ খবর পেয়ে ওর বাবা-মা এসেছিলেন, নিয়ে যেতে চাইলেও বউ যায়নি। সুকৃতি দেখেছে, শোবার ঘরে নিরুর জামাকাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে আছে। 
নিজের কষ্ট, নিরুকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণায় বউয়ের দিকে তাকাবার অবকাশ হয়নি সুকৃতির। এত বড় বাড়ি, দুটো ঘরে মাত্র দু’জন মানুষ। যে যার দুঃখ নিয়ে একাকিনী। 
তবে আজকাল কিছুদিন ধরে বউ একটু ছটফট করছে। একদিন কবিতা পড়ছিল, সুকৃতি স্পষ্ট শুনেছে।
‘একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চ’লে
ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে
সে আসবে মনে হয়; আমার দুয়ার অন্ধকারে
কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে!...’
সুকৃতিকে ঘরের বাইরে দেখে চুপ করে গেল। মনের এই অবস্থায় এমন সব ভাবের কবিতা পড়ার মন হয়? জীবনানন্দের কবিতার বই। নিরুর বই। নিরুর বইটা নেবার আগে একবার সুকৃতির অনুমতি পর্যন্ত নেবে না?
পাড়ার অল্পবয়সি মেয়েগুলো আসছে মাঝে মাঝে। তাতে সুকৃতির খারাপ লাগার কিছু নেই। কিন্তু সেদিন দত্তদের নতুন বউ এসে বাহারি খোঁপা বেঁধে গেল বউমার কাছে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর গান প্র্যাকটিস করে গেল ছেলেমেয়েরা। ভাগ্যিস বউ জলসায় গাইতে যায়নি। কিন্তু পড়শিরা কি দেখছে না যে,  বউয়ের মনে দোলা লেগেছে? স্বামীর মৃত্যুর একবছরও তো হয়নি।

আর এই ব্যাপারটা। কেউ আসে। রোজ রাতে দরজা খোলা, দরজা বন্ধ হওয়ার আওয়াজ পায় সুকৃতি। ‘নিরু রে’... বুকের মধ্যে থেকে কান্নাটা বেরিয়েই এল। দ্বিচারিণী বউ ফাঁকি দিচ্ছে নিরুকে। সেই নিরু, যে চোখে হারাত তার বিষ্ণুপ্রিয়াকে। 
বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল সুকৃতি। আজ হাতেনাতে ধরতেই হবে। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে, বাদলা হাওয়ায় গাছের ডালগুলো শব্দ করে দুলছে। তার মধ্যেই শব্দ হল একটা। বারান্দায় গ্রিলের শব্দ না? কে যেন কথা বলল। দূরে রাস্তাটা নিঝুম, স্ট্রিট-লাইটের আলো পড়ে আছে জায়গায় জায়গায়। নকশা-কাটা জলের পুকুরের মতো দেখাচ্ছে। রাতজাগা একটা পাখি ডেকে উঠল। 
একটু চমকেই উঠেছে সুকৃতি। এই জল-ঝরঝর রাতে পাখিটা জেগে আছে?
নিরুর ঘরের দরজায় শব্দ হল আবার। অনেকদিন তেল দেওয়া হয় না, কব্জাগুলোয় আওয়াজ হয় আজকাল। সুকৃতির মাথায় আগুন জ্বলে উঠল। এত তাড়াতাড়ি নিরুকে ভুলে গেল মেয়েটা? অবশ্য পরের বাড়ির মেয়ের কাছে বেশি চাহিদা থাকাই উচিত নয়। এ বাড়িকে নিজের বাড়ি করে নেবার আগেই তো নিরু চলে গেল। তবু এখানেই আছে যখন, বাড়ির সম্ভ্রমের কথা ভাববে না? 
আস্তে আস্তে নিরুর ঘরের দিকে এগিয়ে গেল সুকৃতি। দরজাটা অল্প অল্প দুলছে। কেউ কী ভেতরে আছে? ‘বউমা’,  চাপা গলায় ডাক দিল।
হালকা একটা আওয়াজ এল। ঘরের ভেতর কেউ আছে। চাপা গলায় কিছু বলল কেউ? 
‘বউমা,  দরজা খোল, ’ জোরে ডেকে উঠল সুকৃতি। তারপরই থমকে গেল। চারদিক নির্জন। বৃষ্টির শব্দ ছাড়া কোনও শব্দ নেই। জোর গলার আওয়াজে যদি কেউ জেগে ওঠে? পাশের বাড়ির মুখুজ্জেগিন্নি ঘুম না হওয়ার অসুখে ভুগছে। সামনের বাড়ির সাহাদের ছেলেটা ভোর ভোর উঠে মাঠে প্র্যাকটিস করতে যায়। চ্যাটার্জিদের মেয়েটা রাত জেগে ডাক্তারির পড়া করে।
‘বউমা!’  
‘কে?’ চাপা গলা, ধরা ধরা। যেন ঠান্ডা লেগেছে। ঘরের মধ্যে থেকে এল আওয়াজটা? নাকি গ্রিলের দিক থেকে? আর ধৈর্য রাখা গেল না। হাত বাড়িয়ে দরজাটা খুলে দিতে গেল সুকৃতি।
‘মা! কী হয়েছে? শরীর খারাপ?’ পেছন থেকে গলার আওয়াজ। 
বিষ্ণুপ্রিয়া। হাতে একটা লম্বা সাদা মোমবাতি। 
‘তুমি এদিকে কোথায় গেছিলে?’ বউ এখানে, তাহলে ঘরের মধ্যে কে?
‘কারেন্ট চলে গেছে মা। রান্নাঘরে গেছিলাম। মোমবাতি...’
‘তোমার ঘরে কে এসেছে?’ সুকৃতি তীব্র গলায় বলে উঠল।
‘ঘরে? কে এসেছে মা? কী করে ঢুকল?’ ভয়ে দু’চোখ বড় হয়ে উঠল বিষ্ণুপ্রিয়ার। 
আর তখনই চোখে পড়ল সুকৃতির, মেয়েটার চোখে জল, গালেও জলের ধারা লেগে রয়েছে। কাঁদছিল ও? তাই বুঝি গলাটা ধরা ধরা?
মনটা নরম হয়ে আসছিল,  পলকে কঠিন হল সুকৃতি,  ‘কে এসেছে ঘরে, তুমিই তো বলবে। গ্রিল খুলেছিলে কেন? রোজ দরজা খোল, বন্ধ কর। কেন? কে আসে?’
‘গ্রিল? গ্রিল খোলা?’ 
ঠিক তখনই ঝোড়ো হাওয়ার একটা জোরালো ধাক্কা দিল দু’জনকেই, আর গ্রিলটা আওয়াজ করে কেঁপে উঠল। সামনে বিষ্ণুপ্রিয়ার ঘরের দরজাও সেই ধাক্কায় হাট হয়ে খুলে গেল, আবার বন্ধ হয়ে এল। দু’বারই দরজায় লোহার কব্জাগুলো আওয়াজ করে উঠল। হাওয়ার ধাক্কায় শব্দ করে কেঁপে উঠল দেয়ালের ছবি, আলমারির কাঠের পাল্লা।
‘আমার খুব ভয় করে মা।’ কান্নাভেজা গলায় বলে উঠেছে বিষ্ণুপ্রিয়া,  ‘দরজা বন্ধ করলেই ভয় করে। তাই দরজাটা খোলা রাখি। রাত হলেই বড্ড ভয় করে। বড়...’ কথা শেষ না করেই চোখ নামিয়ে নিল। 
‘একা লাগে। বড় একা লাগে’...না বলা কথাটা সুকৃতির বুকের মধ্যে বেজে উঠল। 
তাই তো। হঠাত্‍ বৈধব্য। কী করতে হবে, বুঝতে না পেরে মনের দুঃখ মনে চেপে রেখে কষ্ট সহ্য করছে মেয়েটা। ও যাতে নিজের বৈধব্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য কী সাহায্য করেছে নিরুর মা? আহা, বড্ড ভালোবাসা ছিল দু’টিতে।
হাত বাড়িয়ে মোমবাতিটা হাতে নিল সুকৃতি, মোমের আলোয় মেয়ের মুখখানা আলো আলো। তেল তেল, ঠিক লক্ষ্মীঠাকুরের মতো। ধরা গলায় বলল, ‘আয় মা। আজ থেকে রাতে তুই আমার কাছে থাকবি।’
অঙ্কন: সোমনাথ পাল
23rd  June, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...

রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘ধূসর জল ব্যবস্থাপনা’ চালু করবে রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সমীক্ষা চালায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। তার মধ্য থেকেই এই সমস্ত স্কুলগুলিকে বেছে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চালু করতে উদ্যোগ ...

বিট্রেনের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্যে হার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসেরও। মাত্র ৪৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর এমপি পদ ধরে রাখতে পারলেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM