Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? লোধির কাছে যেখানে ছিল কমপক্ষে এক লক্ষ সেনা। হ্যাঁ, এটা ঠিক, কামান এবং তুফাং নামক এক বন্দুক লোধিবাহিনী চোখেই দেখেনি তার আগে। ওই দুইয়ের ধাক্কায় বাবর দ্রুত ইব্রাহিম লোধির বিশাল বাহিনীকে পরাজিত করে স্থাপন করলেন সাড়ে তিনশো বছরের এক দীর্ঘ রাজত্ব। যার নাম হবে মোগল সাম্রাজ্য। বাবর আসার আগেও লোধিরা যে যুদ্ধবিগ্রহ করেনি, তা তো নয়। বহুধাবিভাজিত ছিল হিন্দুস্তানের এই উত্তর ও মধ্য অংশ। অসংখ্য স্থানীয় সামন্ত, জমিদার, রাজা। পরস্পরকে আক্রমণ করছে। একে অন্যকে ধ্বংস করার জন্য বহিরাগতকে সাহায্য করছে। তখন কি তারা ওই তাবিজ পরেই যুদ্ধ করতেন? তাই সাফল্য? 
কীসের তাবিজ? পারস্যের সবজওয়াড় থেকে এসেছেন এক সুফি সাধক। শেখ মাখদম সবজিওয়াড়ি। এসেছেন হিন্দুস্তানের দিল্লি নামের শহরে। যেখানে রাজত্ব করছে লোধি বংশের সুলতান। কোন সালে? কোন সুলতানের আমলে? বিতর্ক আছে। মতান্তর আছে। বাহলুল লোধির সময়কাল হল, ১৪৫১ থেকে ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দ। আর তাঁর পুত্র নিজাম খান সিকন্দর লোধি সাফল্যের সঙ্গে রাজত্ব চালিয়েছেন ১৪৮৯ থেকে ১৫১৭ পর্যন্ত। ১৫১৭ সালে সিকন্দর লোধির মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেছিলেন তাঁর পুত্র ইব্রাহিম লোধি। যে কথা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে ভিন্নমত, সেটা হল, এই অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন সন্ত মখদম শেখ কবে এলেন দিল্লি? কোনও অভিমত বাহলুল লোধির শাসনকালের শেষ অধ্যায়ে। আবার কেউ কেউ মতপ্রকাশ করেছেন যে, সিকন্দর লোধির রাজত্বকালের প্রথমার্ধে। 
মখদম শেখ পারস্যের সবজওয়াড়ে দৈব নির্দেশ পেয়েছিলেন স্বপ্নে। তাঁকে বলা হয়, হিন্দুস্তান নামক এক দেশের দিল্লি নগরীতে যাও। তোমার পরবর্তী সাধনজীবন ওখানেই সম্পন্ন হবে। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়েই মখদম শেখের দিল্লি আগমন। দিল্লিতে এসে নগরীতে নয়। গ্রামীণ এলাকার অরণ্যে কুটিরে কিছু ভক্ত আর শিষ্য সহ থাকতে শুরু করলেন সন্ত মখদম শেখ। এক সুফি বাবা এসেছেন জঙ্গলে। সবথেকে আশ্চর্য হল, জঙ্গলের যে অংশে গ্রামবাসী যেতে সাহস পায় না বন্য জন্তুর ভয়ে, সেখানেই আস্তানা এই সন্তের। ক্রমেই জানা হয়ে গেল, আজকাল ওই জঙ্গলে প্রবেশ করলেও ঩দেখা যাচ্ছে মানুষকে আক্রমণ করছে না বন্য জন্তুরা। এমনকী বাঘও নয়। কারণ কী? কারণ ওই সন্তের আশীর্বাদ এবং প্রভাব। তিনি যে অরণ্যে আছেন, সেখানে মানুষের ভীত হওয়ার কারণ নেই। তাঁর ইতিবাচক দৈব প্রভাবে সব বিপদ কেটে যায়।
স্বাভাবিকভাবে সুলতানের কানে যেতে দেরি হল না এই সংবাদ। অতএব তিনি দেখতে চাইলেন কে এমন নয়া সন্ত হাজির হল তাঁর রাজত্বের অন্দরে? যাঁকে আজকাল প্রজারাই ধন্য ধন্য করছে? সাধুই হোক অথবা সেনাপতি। যেকোনও মানুষের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই রাজা-মহারাজা সুলতানদের মধ্যে বরাবরই আশঙ্কার জন্ম হয়। কারণ জনপ্রিয়তার অর্থই হল মানুষের মধ্যে প্রভাব বৃদ্ধি। আর প্রভাবশালী মানুষের ক্ষমতাশালী হতে দেরি হয় না। অতএব শুরুতেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ডেকে পাঠানো হল মখদম শেখকে। সুফি সন্ত যেতে চান না সুলতানের দরবারে। তিনি একটি ধর্মশালা করেছেন। সেখানে আসে গ্রামবাসী। পথিকের দল। হয় ধর্ম আলোচনা। কিংবা সাধন ভজন। এভাবেই তো দিন কেটে যাবে। এর মধ্যে আবার সুলতানের দরবারে যাওয়ার দরকার কী? 
কিন্তু সুলতান ডাকলে তো আর ‘যাব না’ বলা যায় না। অতএব যেতেই হল। কিন্তু সুলতানের অবজ্ঞাসূচক কথাবার্তা তেমন ভালো লাগল না সন্তের। মুখে কিছু বলেননি। দুঃখিতচিত্তে ফিরে এলেন। অন্যদিকে ঝোঁকের মাথায় এবং ক্ষমতার দম্ভে হয়তো বাড়াবাড়ি অসৌজন্য হয়ে গিয়েছে, এতটা দরকার ছিল না, এরকম ভাবলেন সুলতানও। এখানে মনে রাখতে হবে ইনি কোন সুলতান সেটা নিয়ে মতান্তর আছে। অর্থাৎ বাবা বাহলুল লোধি? নাকি পুত্র সিকন্দর লোধি? কার দরবারে গিয়েছিলেন মখদম শেখ? স্পষ্ট নয় পুরোপুরি। 
যাই হোক। সুলতান এবার ভাবলেন আমি নিজেই একবার যাই। দেখে আসি। আর কিছুটা ক্ষোভ লাঘব করাও দরকার। হাজার হোক গ্রামবাসী বহুলাংশে একজন সাধককে এভাবে ভক্তিশ্রদ্ধা করে। তাঁকে এভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা উচিত নয়। সুলতান অরণ্যে ঘেরা ধর্মশালায় গিয়ে যা দেখলেন সে তো অবিশ্বাস্য! এক বাঘ বসে আছে সন্ত মখদম শেখের পাশে। আর সন্ত সেই বাঘকে ঘাস খাওয়াচ্ছে। যেন কোনও এক গোরু ঘোড়া ছাগলের মতো নিরামিষাশী প্রাণী বাঘও। 
সুলতানকে ঘোড়া থেকে নামতে দেখে সাধক মখদম বাঘকে নির্দেশ দিলেন, স্থানত্যাগ করতে। বাঘও অবনত মস্তকে চলে গেল। এরকম এক অলৌকিক দৃশ্য দেখে সুলতান বুঝলেন তিনি কী ভুলই না করেছিলেন সাধককে তচ্ছিল্য করে। অতএব তিনি কোনও দ্বিধা না করেই কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেন। প্রার্থনা করলেন দোয়া। 
সিংহাসন থেকে নেমে এসে সুলতান সাধকের কাছে এসে ঔদ্ধত্য বিসর্জন দিচ্ছে দেখে মখদম শেখ খুশি। এবার এই সুলতানের সার্বিক চিত্তশুদ্ধি হল। ইনি দেশ শাসনের উপযুক্ত যোগ্যতা অর্জন করেছেন। কারণ বিনীত হতে শিখেছেন। মক্কা থেকে এক রক্ষাকবচ নিয়ে এসেছিলেন মখদম শেখ। তাঁর বাহুতে বাঁধা ছিল সেই তাবিজ। নিজের তাবিজ খুলে মখদম শেখ পরিয়ে দিলেন সুলতানের হাতে। জানিয়ে দিলেন, যতদিন তোমার বংশ পরম্পরার উত্তরাধিকারী সুলতানরা এই তাবিজ পরে থাকবে, ততদিন তোমাদের বংশের রাজত্ব চলবে। তাই হয়েছিল। বহু বছর ধরে লোধিদের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছিল।
দক্ষিণ দিল্লির হৌজ খাসের জনবসতির আড়ালে আজও উজ্জ্বল একটি সমাধিস্থল। শেখ মখদম সাহিবের সমাধি। মেফেয়ার গার্ডেন এলাকায় গেলে দেখা যাবে নির্জন একাকী হয়ে আজও শুয়ে আছেন ইতিহাসের অজানা পৃষ্ঠায় সাধক মখদম সাহিব। সমাধিস্থল বটে । তবে কোনটা তাঁর সমাধি? সেও এক রহস্য। 
 তার থেকে বড় রহস্য হল,  ১৫২৬ সালে ইব্রাহিম লোধির পরাজয় ঘটল কেন? কোথায় সেই তাবিজ? তিনি কি পরেছিলেন বাবরের সঙ্গে যুদ্ধের সময়?  নাকি তাবিজ উধাও হয়েছিল তার আগেই? গেল কোথায়? 
26th  May, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

26th  May, 2024
মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM