Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় আজ থেকে শ’দেড়েক বছর আগের কলকাতার কথা। এসি-কুলার ও রেফ্রিজারেটর ছাড়া কেমন কাটত শহরবাসীর গ্রীষ্ম? 
হ্যাঁ, জানি পাঠক বলবেন সে সময়ে এত গরম পড়ত না। কিন্তু ১৮৮৯ সালে কলকাতার আবহাওয়া নিয়ে সঙ্কলিত তথ্য অনুযায়ী এপ্রিল-মে মাসে শহরের সর্বাধিক তাপমান প্রায়ই ১০৫ বা ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছে যেত। মানে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেই তাপপ্রবাহে সমান নাজেহাল হতেন সাহেব, নেটিভ নির্বিশেষে আপামর শহরবাসী।  সাহেবদের মতো এদেশীয় ধনীরাও টানা পাখার হাওয়া, ভেজা খসখসের পর্দার আরাম বা আইস হাউস থেকে নগদে কেনা বরফের বিলাসিতায় খানিকটা সামাল দিতেন। স্বাভাবিকভাবেই সে সব তো ছিল সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে। তবে তাদের হাতে ছিল এক প্রাচীন পদ্ধতি।  সেটা হল ‘স্নান’। ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সকলেই গায়ে মাথায় জল ঢেলে গরমের জ্বালা জুড়োতেন।  
ভারতে স্নানের, বিশেষ করে গঙ্গা স্নানের মাহাত্ম্য ধর্মীয় আচারের পথ ধরে ব্যক্তিগত আচরণের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। শীত-গ্রীষ্ম বারো মাস মানুষ গঙ্গা স্নান করে এসেছেন। অমৃতলাল বসুর স্মৃতিকথায় পাওয়া যায় উত্তর কলকাতার ভোরে ‘শিব ধন্য কাশী’ ‘শিব ধন্য কাশী’ জপ করতে করতে যাওয়া এক নামহীন গঙ্গা স্নানার্থীর কথা। বনেদি বাড়ির মহিলারা গঙ্গা স্নানে যেতেন ঘেরাটোপ ঢাকা পালকিতে চড়ে। সেই পালকি সমেত গঙ্গায় ডুব দিয়ে আব্রু-সম্ভ্রম বজায় রেখে স্নানপর্ব মিটত নির্বিঘ্নে। আবার গঙ্গার তীর বরাবর যে সব বিত্তবান প্রাসাদ গড়তেন, তাদের অনেকে বাড়িতে সরাসরি জোয়ারের জল নির্দিষ্ট অংশে ঢুকে আসার জন্য সুড়ঙ্গ জাতীয় পরিকাঠামো তৈরি রাখতেন। দিনে দু’বার সেই জলে স্নান করার সুযোগ পেতেন বাড়ির বাসিন্দারা। তবে দৈনন্দিন ব্যবস্থা হিসাবে স্নানের জন্য ভারীদের এনে দেওয়া তোলা জলের উপরই ভরসা করা হতো। গ্রীষ্মের দুপুর পেরিয়ে সেই জলেই বিকেলের গা ধোয়া ছিল মেয়ে মহলের এক নিজস্ব শৌখিনতা।
সমাজের উঁচুতলার কথা ছেড়ে যদি সাধারণ মানুষের স্নানের কথা বলি, তাহলে গঙ্গা স্নান ছাড়াও প্রতিটি পাড়াতেই ছড়িয়ে থাকা পুকুরগুলি ছিল মানুষের স্নানের জায়গা। কিন্তু শহর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব পুকুরের জল দূষিত হয়ে নানা রোগের উৎস হয়ে উঠল। উনিশ শতকের শেষ দিকে পুরসভার হেলথ অফিসার ডাক্তার পেইন-এর উদ্যোগে এই বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ শুরু হয়। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮৮৩-’৮৪ সালে কলকাতা পুরসভা প্রচলন করে নিঃশুল্ক সর্বজনীন স্নানাগারের। ১৯১৪ সালে পুরসভার দেওয়া গঙ্গার অপরিস্রুত জল ব্যবহার করা কাঠামোগুলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১২।  
অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকেই শহরের বিশেষ কিছু জায়গায় ‘হামাম’ বা সর্বজনীন স্নানাগারের কথা জানা যায়। মধ্য কলকাতায় একটি রাস্তার নামই ছিল হামাম গলি। ঠিক টার্কিশ হামাম বলতে যে স্নান-বিলাসিতার ছবি মনের আয়নায় ভেসে ওঠে, ঠিক তেমনটা হয়তো নয়, তবে পুরসভার ব্যবস্থাপনায় পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা স্নান ও কাপড় কাচার জায়গাগুলি বিশ শতকের মাঝের সময়েও রীতিমতো কার্যকর ছিল। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ অতুল সুর তেমন তিনটি  হামামের কথা বলেছেন নিজের স্মৃতিকথায়। প্রথমটি ছিল শ্যামবাজার পোস্ট অফিসের সামনে মোহনবাগান লেনে ঢুকতে বাঁ-দিকে। দ্বিতীয়টি রাজাবাজারের সামনে আর তৃতীয়টি প্রিন্সেপ স্ট্রিটে। ঔপনিবেশিক শহরের স্বাস্থ্যবিধান ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি এই জায়গাগুলোকে স্থানীয়রা 
বলতেন ‘হৌস’।    
‘হৌস’ শব্দটি হয়তো চৌবাচ্চা বোঝাতেই ব্যবহার করা হতো। ‘কলিকাতা দর্পণ’ বইতে রাধারমণ মিত্র শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থার কথা বলতে লিখেছেন যে, ১৮২০ সালে চাঁদপাল ঘাটের পাশে একটি ছোট স্টিম ইঞ্জিন বসিয়ে গঙ্গার জল পাম্প করে তুলে এক প্রকাণ্ড হৌস বা চৌবাচ্চায় রাখা হতো। চৌবাচ্চা থেকে বেরনো সরু নালা বেয়ে সেই জল বিভিন্ন পাড়ায় যেত। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে একসময় এভাবে জল সরবরাহ করার প্রয়োজন ফুরল। তবে মজার কথা হচ্ছে যে, তখন সেই বিশাল চৌবাচ্চা, যাকে চৌবাচ্চা না বলে পুকুর বলাই ভালো, তার উপরেই গড়ে উঠল ‘ক্যালকাটা বাথ হাউস’।  প্রাচীন বাথ হাউসের সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে ১৮৮৭ সালে শহরের শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের স্নানকেন্দ্রিক সামাজিক মেলামেশার স্থান হিসাবে শুরু হয় সংস্থাটি। ‘বাথ হাউস’ হিসাবে শুরু হয়ে পরবর্তী সময়ে অবশ্য পরিচয় বদল করে হয় ‘ক্যালকাটা সুইমিং ক্লাব’।  সেই সাবেক পরিকাঠামো আজও টিকে আছে শহরের বুকে। তার উৎস এবং বিবর্তনের সঙ্গে শহরের গ্রীষ্মের সম্পর্কের কথা ক’জনই বা খোঁজ রাখে! 
পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি অপরিস্রুত গঙ্গার জল পৌঁছে দেওয়া ছিল শহরের পুর উন্নয়নের একটি ধাপ। বিশেষ করে ১৮৮৫ সালে মল্লিকঘাটে নতুন পাম্পিং স্টেশন বসানোর পর।  সেই জলে কাপড় কাচা বা ঘর ধোয়ার মতো কাজ চলত। আবার সেই পাইপে হাইড্রান্ট বসিয়ে জল দিয়ে রাস্তা ও ফুটপাত ধোয়ার মতো নাগরিক পরিষেবাও দেওয়া হতো। এক পর্যায় সেই হাইড্রান্টের সংখ্য ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। তারপর একসময় সেই কাজ পুরসভা বন্ধ করল। কিন্তু গঙ্গার জলের সেই কল কি একেবারেই মুছে গেল শহরের বুক থেকে? 
এই গ্রীষ্মের সকালে একবার উত্তর বা মধ্য কলকাতার কিছু অঞ্চলে ঘুরলেই  পেয়ে যাবেন এই প্রশ্নের উত্তর। দেখবেন প্রচুর মানুষ ফুটপাতের ধারে কোনও চৌবাচ্চা থেকে ঘোলা জল তুলে গরমের জ্বালা মেটাচ্ছেন। সেই জলে শীত-গ্রীষ্ম তাঁদের স্নান চলে। গ্রীষ্মে অবশ্যই একটু বেশি সময় ধরে। ব্রিটিশ আমলে বিনে পয়সায় পাওয়া পরিষেবা স্বাধীনতাত্তোর দেশে টাকার বিনিময়ে নিতে বাধ্য করতে একসময়ে এই স্নানার্থীদের পুলিস দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখেছে শহর! তারপর সময় বদলেছে সব অর্থেই। কিন্তু রয়ে গিয়েছে ফুটপাত ভরসা করে জীবনধারণ করা এই সব মানুষ আর তাদের ‘গঙ্গা কল’। যে জলের উৎস মা গঙ্গা। একটু আশ্চর্য লাগলেও, এটাই ঘটনা যে গঙ্গার জলের লাইন হিসেবে যে ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল উনিশ শতকে, তা আজও গ্রীষ্মের তাপ ক্লিষ্ট সহ নাগরিকদের কাছে শান্তির বারি পৌঁছে দিচ্ছে।  
26th  May, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM