Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

বাবার ওপরে রাগটা সুস্মিতার আগাগোড়া।
ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। কত মানুষ খেতে পাচ্ছে না এ পৃথিবীতে,অর্থের মূল্য বুঝতে হবে সুমি।’ আর মা তো চিররুগ্ন মহিলা। স্বামীর বলা কথা তার কাছে বেদবাক্য। সুস্মিতা যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন থেকেই ও জানত, বিনতা বেশি দিন বাঁচবে না। আসলে সুস্মিতার ঠাকুরদা আর দাদু রেলের একই ডিপার্টমেন্টে চাকরি করত। সুস্মিতার ঠাকুরদা হঠাৎই স্ট্রোক হয়ে মারা যান। তখনও তার বছর তিনেক চাকরি বাকি। বিনতার বাবাই ওপর মহলে ছোটাছুটি করে শ্রী সুমঙ্গল রায়কে তার বাবার চাকরিটা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেন। সদ্য সায়েন্স গ্রাজুয়েট ছেলে সুমঙ্গল যেন হাতে চাঁদ পায়। আচমকা বাবা মারা যাওয়ায় মা আর বোনকে নিয়ে পথে বসতে হবেই ভেবেছিল। সেখানে বাবার বন্ধুর সহযোগিতায় রেলের চাকরি আর মায়ের পেনশন দুটোই চালু হয়েছিল মাত্র এক বছরের মাথায়। সত্যি বলতে কি, চাকরির ওই বাজারে অমন একটা কেন্দ্রীয় সরকারের শাসালো চাকরি বিনা পরিশ্রমে পেয়ে যাওয়ায় সুমঙ্গল বন্ধুবিহীন হয়ে যায়। সকলেই হিংসার চোখে দেখত। বোনের বিয়ে দেওয়ার সময়েও সাহায্য করেছিল, সুস্মিতার দাদু। তারপরেই দাদু গুরুদক্ষিণা চাওয়ার মতোই নিজের হার্টের রোগী মেজমেয়ে বিনতার বিয়ে দিতে চান সুমঙ্গলের সঙ্গে। সুমঙ্গলের পরিবার তখন কৃতজ্ঞতার ভারে ন্যুব্জ। তাই বিনতার সঙ্গে সুমঙ্গলের বিয়ে হয়ে যায়। বছরের মধ্যে চার মাস সুস্থ থাকলে আট মাস অসুস্থ থাকা বিনতা স্বামী আর শাশুড়ির কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়েই রয়ে যায়।
...
সুস্মিতার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই ওর মা মারা গেল। এটা ওর কাছে আকস্মিক কিছু ছিল না। ক্লাস নাইন থেকেই মায়ের শরীর এতটাই খারাপ হতে শুরু করেছিল যে মনে হতো এ রাতটা বুঝি কাটবে না। তাই বাড়িটাকে মনে হতো নার্সিংহোম। চারিদিকে ওষুধের গন্ধ। একজন আয়া মায়ের সবসময় দেখাশোনা করত। রোজই স্কুলে বেরনোর সময় মা ঘর থেকে বলত, দুর্গা দুর্গা। এছাড়া আর কিছুই করার ক্ষমতা ছিল না মায়ের। বাবা প্রায়ই বলত, তোর মা যখন সুস্থ হয়ে যাবে তখন আমরা বেড়াতে যাব। সুস্মিতার মাধ্যমিকের পরে সব বন্ধুরা পুরী, দার্জিলিং, সিমলা ঘুরতে গেলেও বিনতার অসুস্থতার কারণে সুস্মিতা শুধু পিসির বাড়ি টাটানগর গিয়েছিল এক সপ্তাহের জন্য। সত্যি বলতে কী একটু বড় হতেই অসুস্থ মায়ের হাঁপানির আওয়াজ শুনতে শুনতে এ বাড়িটার প্রতিই একটা বিতৃষ্ণা জন্মে গিয়েছিল সুস্মিতার।
...
তবে মা মারা যাবার পরে বাবার মধ্যে অদ্ভুত একটা পরিবর্তন এসেছিল। বাবা অফিসের অতিরিক্ত যতক্ষণ বাড়িতে থাকত, মায়ের ঘরটাতেই কাটাত। 
সুস্মিতা বড় হচ্ছিল নিজের মতোই। রাঁধুনি রান্না করে দিয়ে যেত, বাবা আর সুস্মিতা নিজেদের সময় মতো বেড়ে খেয়ে নিত। বাবা ওকে পড়াশোনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে এলেও সুস্মিতা একটু কাঠ কাঠ ভাবেই উত্তর দিত, ‘থাক না বাবা, আমি তো আমার ছন্দেই বড় হলাম, শুধু শুধু আর এসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করছ কেন?’
কলেজে ভর্তি হবার পরেও সেভাবে বন্ধু হয়ে ওঠেনি সুমির।তাই কলেজের পরে নিজের বাড়ির ছাদই ছিল ওর একান্ত অবসর যাপনের জায়গা। মা চলে যাবার পরে বাড়িটাতে ওষুধ ওষুধ গন্ধটা চলে গেলেও নিঝুম ব্যাপারটা থেকেই গেল। 
ওদের তিনতলা বাড়ির একতলাতে হঠাৎই এক মা আর ছেলে ভাড়াটে হয়ে এল। সুস্মিতা কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই, বাবা কৈফিয়তের সুরে বলেছিল, ‘বাড়ির একতলাটা পড়েই আছে তাই ভাবলাম ভাড়া দিয়ে দিই।’
সুস্মিতা তখন থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। অবাক চোখে তাকিয়ে বলেছিল, ‘তোমার বাড়ি তুমি কাকে ভাড়া দেবে সেটা একান্ত তোমার ব্যাপার। আমায় কেন বলছো? আমি জানি অর্থের মূল্য। সারাটা জীবন সাধারণভাবে কাটাতে কাটাতে বুঝে গেছি, আমার বাবার অর্থের ওপরে আমার কোনও অধিকার নেই। যদিও দাদুর চাকরির ওপরে তোমার অধিকার ছিল।’
কথাগুলো শুনে বাবা চুপ করেই বসেছিল। কিন্তু কথাগুলো বলতে পেরে অনেকটা হালকা হয়েছিল সুস্মিতা। 
বইপত্র, পড়াশোনার খরচ ছাড়া বাবা সেভাবে কিছুই দিত না সুস্মিতার হাতে। কত ছোট ছোট শখকে ও গলা টিপে মারতে বাধ্য হয়েছে টাকার অভাবে। সুস্মিতার অনেক বন্ধুই গরিব, তাদের ওটাই সান্ত্বনা, কিন্তু সুস্মিতা জানে ওরা অবস্থাপন্ন তারপরেও সামান্য ইচ্ছেগুলোও অপূর্ণ রয়ে গেল ওর।
এখন আবার আদিখ্যেতা করে ওর পারমিশন নিচ্ছে বাবা, এ বাড়িতে ভাড়াটে রাখবে কি না সে ব্যাপারে। 
...
সুস্মিতা রাতে ঘুমের ঘোরেও মাঝে মাঝেই শুনতে পায় বাবা কাশছে। কাশির বেগটা বেশ বেশি। কিন্তু ওদের দুজনের মধ্যে মানসিক দূরত্ব এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সুস্মিতা কখনও ছুটে গিয়ে জল এগিয়ে দিলে বাবাও অবাক হতো, আবার ওরও মনে হতো বেশিই বাড়াবাড়ি করছে। কারণ আর সকলের মতো বাবা ওর বন্ধু হয়ে ওঠেনি কোনওদিন।
তবে বাবা যে অসুস্থ সেটা সুস্মিতা বেশ টের পাচ্ছিল। একদিন বিকেলে ইতস্তত করেও বাবার ঘরে ঢুকে বলছিল, ‘ভালো একজন ডাক্তার তো দেখাতে পার। নাকি সাধারণ জীবনযাপন করা মানুষরা ডাক্তারও দেখায় না।’ বাবা বিছানায় শুয়েই হাত বাড়িয়ে ডেকেছিল সুস্মিতাকে। নরম গলায় বলেছিল, ‘বাবার ওপরে তোর বড্ড রাগ তাই না রে? জানিস সুমি, সবাই মনে করত তোর দাদুই বুঝি আমায় টুপি পরিয়ে হার্টের রোগী বিনতার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছিল। শুধু আমার মা আর আমি জানতাম বিনতা একা রোগী নয়। রোগী আমিও। জন্ম থেকেই আমার ফুসফুসে সমস্যা। বিনতা জেনেছিল বিয়ের অনেক পরে। ধোঁয়া থেকে ধুলো সবেতেই কষ্ট পাই আমি। মাস পাঁচেক ধরে ইনফেকশনও হয়েছে। জানি আমি বাঁচব না। বিনতা হয়তো ডাকছে আমায় ওপরে। তোর কাছে একটা অনুরোধ করব? অতনু আর ওর মা রাজশ্রীকে এ বাড়িতেই একটু ঠাঁই দিস। তাড়িয়ে দিস না।’
সুস্মিতা ঠিক কী বলবে বুঝতে না পেরেই পিসিমণিকে ফোন করে বলেছিল, ‘বাবার তো ট্রিটমেন্ট দরকার। তুমি কি কিছু করতে পারবে?’ পিসিমণি বলেছিল, ‘ফুসফুসের ইনফেকশন নিয়ে বহু ট্রিটমেন্ট করানো হয়েছিল আগেই। কিন্তু ডাক্তাররা জবাব দিয়ে দিয়েছিল। তোকে বলতে বারণ করেছিল দাদা।’ সুস্মিতা ফোন রেখে চুপ করে ছাদে দাঁড়িয়েছিল।
মা চলে যাবার পরে বিশেষ কিছু মনে হয়নি সুস্মিতার। কিন্তু বাবা বাঁচবে না ভেবেই এই প্রথম অদ্ভুত একটা শীতল স্রোত নেমে গিয়েছিল ওর মেরুদণ্ড বেয়ে। এত বড় বাড়িতে ও একা! বাবা কোনওদিনই মেয়েকে সেভাবে আদরে-আবদারে রাখেনি ঠিকই কিন্তু স্কুলের গার্জেন মিটিং-এর দিন ঠিক অফিস থেকে পৌঁছে যেত ওর স্কুলে। প্রতিটা বোর্ড এগজামের সময় স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকত বাবাই। হয়তো এইভাবেই কিছুটা জায়গা করে নিয়েছিল সুস্মিতার মনে। নাহলে বাবা আর বাঁচবে না ভেবে এতটা কষ্ট কেন হচ্ছে! মাত্র একমাসের মধ্যেই সমস্ত ছোটাছুটি, সব ট্রিটমেন্টকে ব্যর্থ করে বাবা চলে গিয়েছিল। 
...
বাবার শ্রাদ্ধ-শান্তির পরে বাবারই এক কলিগ বলেছিল, ‘সুমঙ্গলদার চাকরি তো এখনো বছর পাঁচেক ছিল, তাই তার একমাত্র সন্তান হিসেবে চাকরিটা তুমিই পাবে। অফিসে এসে দেখা কর। সব ডকুমেন্ট নিয়ে আসবে। বাবার ডেথ সার্টিফিকেট থেকে সবকিছু।’
বুকটা ভারী হয়ে গিয়েছিল সুস্মিতার। বাবার সঙ্গে যতবারই তর্কাতর্কি হতো, ততবারই সুস্মিতা ঠাকুরদার চাকরিটা বাবা নিয়েছিল এই খোঁটা দিয়েই বাবাকে থামিয়ে দিত।
ডকুমেন্ট নিয়ে অফিসে যাবার আগেই দেখল এক উকিল নিয়ে নীচেতলার ভাড়াটে এসে হাজির। পিসিমণি, পিসেমশাই তখনও বাড়িতেই ছিল। সুস্মিতাকে একটু গুছিয়ে দেবে বলেই থেকে গিয়েছিল পিসিমণি। অতনু আর তার উকিল এসে পরিষ্কার বলল, এ বাড়ির ভাগ থেকে ওই সুমঙ্গল রায়ের সরকারি চাকরির ভাগিদার নাকি পুত্রসন্তান হিসেবে প্রথমে পাবে অতনু। এমনকী প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার ভাগ অর্ধেক অতনুর। ঘরের মধ্যে বাজ পড়লেও বোধহয় ওরা এতটা অবাক হতো না। সুস্মিতা কিছু বলার আগেই পিসিমণি চমকে উঠে বলল, ‘দাদার ছেলে মানে? আমার দাদার একটাই সন্তান সুস্মিতা রায়। ওরা আমাদের বাড়ির ভাড়াটে মাত্র।’
উকিল মশাই পিসিমণির হাতে অতনুর বার্থ সার্টিফিকেটটা ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘এই যে বাবার নামটা দেখুন। পরিষ্কার লেখা আছে সুমঙ্গল রায়। মা- রাজশ্রী রায়।’
ধপ করে বসে পড়ল পিসিমণি।
অফিসে পৌঁছেও সুস্মিতা দেখল, অতনু অলরেডি সব ডকুমেন্ট জমা দিয়ে চাকরির দাবি জানিয়েছে। সুস্মিতা বাড়ি ফিরে বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে নিজের ঘরে বসে ছিল। তারপর পিসিমণিকে গিয়ে বলল, ‘তার মানে সুমঙ্গল রায় একজন দুশ্চরিত্র লোক ছিল। তোমার দেবতার মতো দাদা আসলে বিনতা রায়কেও ঠকিয়েছে, আমার দাদুকেও ঠকিয়েছিল। বিশ্বাস কর পিসিমণি আমার বাবা কিপটে ছিল এটা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু মা বেঁচে থাকতে আরেকটা সংসার করেছে এটা মানতে পারছি না। লোকটা এতটা নীচে নেমে গিয়েছিল! অথচ জনসমক্ষে ভবমূর্তিটা রেখেছিল জলের মতো স্বচ্ছ। বিশাল পরোপকারী মানুষ।’ পিসিমণি বলল, ‘হ্যাঁ, অতনু তোর থেকে মাত্র মাস পাঁচেকের ছোট। তারমানে তুই জন্মের আগেই এই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দাদার! জানিস সুমি এটা আমিও মেনে নিতে পারছি না। তোর পিসেমশাই কেস করবে বলছে। বলছে এটা ফ্রড।’ সুস্মিতা বলল, ‘পিসিমণি বাবা কিন্তু মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগেই বলেছিল, অতনু আর ওর মাকে বাড়ি ছাড়া করিস না। তারমানে এটা পরিষ্কার যে ওরা শুধু ভাড়াটে নয়। বাবা নিজে জানত আর বাঁচবে না তাই কি এদের আচমকা বাড়িতে এনে রাখল? পিসিমণি কেস করতে গিয়ে আবার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরবে না তো? শেষে দেখা যাবে সম্মান নিয়ে বাঁচাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে।’
পুত্রসন্তান ছিল বলেই হয়তো সুস্মিতার প্রতি এতটা অনাগ্রহ ছিল ভদ্রলোকের। চিররুগ্ন মা জেনে গেল তার স্বামী দেবতুল্য মানুষ, আসলে আড়ালে যে এত বড় খেলোয়াড় সেটা জানতেই পারল না।
ওদের কথার মাঝেই রাজশ্রী এসে দাঁড়িয়েছে দরজায় খেয়াল করেনি সুস্মিতা। একটা ম্যারেজ সার্টিফিকেট সুমির হাতে দিয়ে বলল, ‘এই যে সুমঙ্গলদা আমার হাজবেন্ড নয় তার প্রমাণ। অতনু হলো জাত বেইমান। আসলে বেইমান বাড়ির রক্ত বইছে কি না শরীরে। তাই সুমঙ্গলদার নামে এমন কলঙ্ক লাগাতে পারল। আমার স্বামী আর সুমঙ্গলদা ছিল স্কুলের বন্ধু। আমি  যখন আটমাসের গর্ভবতী, তখন আমার স্বামী গৌতমের গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট হয়। সে মারা যায়। শ্বশুরবাড়ি থেকে আমায় তাড়িয়ে দিয়েছিল অপয়া বলে। তখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। একমাত্র পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সুমঙ্গলদা। আমার শারীরিক অবস্থা তখন বেশ কঠিন। গ্রামের হসপিটালে বন্ডে সাইন করতে হয়েছিল সুমঙ্গলদাকেই স্বামী হিসাবে। তাই বার্থ সার্টিফিকেটে অতনুর বাবার নাম সুমঙ্গল রায়। অতনুর আর আমার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছিল সুমঙ্গলদা। অতনুকে পড়াশোনা করানো, আমাদের বাড়ি ভাড়া করে রাখা সব। বিনতা বউদিও চিনত আমাদের। নিয়ে গিয়েছিল সুমঙ্গলদা। কিন্তু সমাজের চোখে সবাই খারাপ ভাববে বলেই বিষয়টা চাপা দিয়ে রেখেছিলাম আমরা সবাই। আমায় বলেছিল, রাজশ্রী সুস্মিতা আমার মেয়ে, ও সবটা জানলে তোমাদের আশ্রয় দেবে, চিন্তা নেই। কিম্তু আমার ধারণার বাইরে ছিল, অতনু এরকম করবে। তুমি চিন্তা কর না সুমি আমি দাঁড়াবো তোমার পাশে। অতনু গৌতম রায়ের সন্তান।ৱআমি সাক্ষী দেব মা হিসেবে।’ সুস্মিতার চোখে জল। বাবা ওকে এতটা বিশ্বাস করত? অতনু বুঝেছিল এ কেস সে জিতবে না। তাই চুপচাপ পালিয়েছিল। মায়ের ওপরে তার প্রচণ্ড রাগ। তাই মাকে ফেলেই পালিয়েছিল।
সুস্মিতা অফিস থেকে এলে রাজশ্রী পিসিমণিই তাকে খাবার বেড়ে দেয়। অফিসে বেরনোর সময় ‘দুর্গা দুর্গা’ বলে ঠাকুরকে প্রণামও করে।  বাবার অফিসে ঢুকে প্রথমেই যেটা অনুভব করেছিল সুস্মিতা সেটা হল তার বাবা ছকে বাঁধা মানুষ ছিল না। কখনও সিকিউরিটি এগিয়ে এসে বলে, ‘সুমঙ্গল স্যার আমার মেয়ের বিয়েতে কম সাহায্য করেছিলেন, ভগবানের মত মানুষ ছিলেন।’
ছোট থেকে ইচ্ছেপূরণ না হবার জন্য যে তীব্র আক্ষেপটা ছিল সুস্মিতার, সেটা গত পাঁচমাসে কমে গিয়ে সুমঙ্গল রায়ের মেয়ে হিসেবে বেশ গর্ববোধ করে ও মনে মনে।
24th  March, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

26th  May, 2024
মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM