Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে
ফ্রেদরিকের চিঠি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অমর মিত্র।

একদিন হঠাৎই তা ঘটে যেতে পারে। কী করে ঘটে যাবে তা আমি জানি না। সব কিছুতে কি মানুষের হাত থাকে? আমি নিজে যদি না ঘটিয়ে থাকি, আমার অজ্ঞাতেই তা ঘটার সময় ও পটভূমি তৈরি হতে থাকে। তার পিছনে অজ্ঞাতজনের যেমন হাত থাকে, হাত থাকে এই প্রকৃতিরও। মহাপ্রকৃতি আমাদের জননী। আমরা তার গর্ভ থেকেই এই পৃথিবীতে পা দিয়েছিলাম। ৪০ বছর আগের কথা। তখন আমি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে দীঘায় থাকি। একা মানুষ। একটি ছোট, সস্তার আবাসিক হোটেলে ঘর নিয়ে থাকতাম। তখন মাসিক ভাড়া ৬৫ টাকা। ওই হোটেলেই লাঞ্চ এবং ডিনার। সারাদিন অফিস কাছারি করে বিকেলে ঘরে ফেরা। সেই সময় একদিন আচমকা এক গৌরবর্ণ সাহেব এসে ঘরে উঁকি মারল, ‘হ্যালো।’ গেরুয়া ধুতি, গেরুয়া পাঞ্জাবি, সোনালি চুল, নীল নয়ন। কী রূপ সেই হিপি সাহেবের। হিপি সাহেব ঘুরতে ঘুরতে, মথুরা-বৃন্দাবন করতে করতে বঙ্গোপসাগরের কূলে এসে ঠাঁই নিয়েছে। তখন বর্ষাকাল। এমনিতেই ভ্রমণকারীর চাপ নেই সেখানে। আমার পাশের ঘরটিতে সাহেব এসে আস্তানা গেড়েছে। তার সঙ্গীরাও আসবে। তারা গিয়েছে নদীয়ার মায়াপুরের দিকে। সেখান থেকে ফিরে এলেই সাহেব তাদের নিয়ে পুরীধাম যাবে। সাহেব কিন্তু ফরাসি। ফরাসি ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষা জানে না। ভাঙা ভাঙা ইংরেজি। আমার ছিল একটি গ্রামোফোন। আর ছিল বাংলা গানের অনেক রেকর্ড। সেই সাহেব, ফ্রেদরিক, সন্ধ্যায় আমার ঘরে বসে গান শুনত। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানে মুগ্ধ ছিল। সেতার শুনত তন্ময় হয়ে। আসলে সে সুরেই মজেছিল। বাংলা এক বর্ণ বুঝত না। ভাঙা ইংরেজিতে তারিফ করত। এক গান দু’বার শুনত। সাহেব হিপি ফরাসি ভাষায় কবিতা লিখত। আমাকে সে শোনাত। আমি ফরাসি জানি না। কিন্তু মনে হতো তারিফ করা উচিত। আমি ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগো, বালজাক, গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের কথা বলতে খুশিতে ঝলমল করে উঠত ফ্রেদরিকের মুখ। আসলে ভিনদেশে বসে এক তরুণের মুখে নিজের ভাষার লেখকের কথা শুনলে আনন্দ হবেই। ফ্রেদরিকের একটা কাজ ছিল ভোরবেলা সমুদ্রতীরে গিয়ে কিছু মেয়েপুরুষ জুটিয়ে খোল করতাল সহযোগে কীর্তন করা। একটা কীর্তনের দল ছিল ওখানে, তাদের সঙ্গেই ফ্রেদরিক মিশে গিয়েছিল। সে করতাল বাজিয়ে হরে রাম হরে কৃষ্ণ গেয়েই যেত। ফ্রেদরিক বেশ ছিল। একদিন এক মাছ ধরার ট্রলারে করে গভীর সমুদ্রের ভিতর থেকে ঘুরে এল। এক একদিন সে রাতে ফিরত না। জেলেদের ঝুপড়িতে নাকি তার রাত্রিবাস হয়েছে। সারারাত সে সমুদ্র দেখেছে। ফ্রেদরিক বলত, সমুদ্রই লর্ড কৃষ্ণ। এক সন্ধ্যায় ফ্রেদরিক একটি মস্ত বই নিয়ে এল তার ঘর থেকে। ফরাসি কবি বোদলেয়ারের সংকলন। অমন বই আমি আর দেখিনি। সোনার জলে আঁকা তার নাম। আয়তনে ২৫০০ পাতা হবে হয়তো। না, অত পাতা নয়, তার ভিতরে ছিল অসামান্য সব পেইন্টিং। সেগুলি বিশেষ আর্ট পেপারে ছাপা। আর বইয়ের কবিতা ও প্রবন্ধ ছাপার কাগজের ঘনত্ব ছিল অনেক। ফলে বইটির আয়তন বেড়ে গিয়েছিল। বইয়ে ছিল বোদলেয়ারের ফরাসি কবিতা, ইংরেজি অনুবাদ, পাশে বিখ্যাত চিত্রকরদের আঁকা ছবি। বোদলেয়ারের উপর পৃথিবীর সব দেশের লেখক, সমালোচকের লেখা। আমি সম্ভ্রমের সঙ্গে বইটিতে হাত রাখলাম। পাতা উল্টে উল্টে দেখলাম জগদ্বিখ্যাত পেইন্টারদের আঁকা ছবি। ফ্রেদরিক আমাকে বলল, সে জেলেদের ঝুপড়িতে গিয়ে থাকবে, তার বইটি আমি রাখব কি না। ঝুপড়িতে ওই বই নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বর্ষাকাল। বই নষ্ট হয়ে যাবে। ওই বইয়ের কোনও দাম হয় না। হোটেলের ঘর ছাড়ছে ফ্রেদরিক, কারণ সে সারাদিন সমুদ্র দেখতে চায় সমুদ্রের ধারে থেকে। আমাদের হোটেল থেকে সমুদ্র দূরে, গর্জনও শোনা যায় না। সে জ্যোৎস্না রাতে জেগে থাকতে চায় সমুদ্রতীরে। সমুদ্রই লর্ড কৃষ্ণ। সে কৃষ্ণের কাছাকাছি থাকতে চায়। আমি মুগ্ধ হয়ে সেই রূপবান কৃষ্ণপ্রেমী আমার বয়সি যুবককে দেখছিলাম। কতদূর ফরাসি দেশ। ইংলিশ চ্যানেল, শেন নদীর তীরে পারি শহর, আইফেল টাওয়ার। ফরাসি আর ইংরেজদের ভিতর খুব দ্বন্দ্ব, ফরাসিরা ইংরেজি বলতেই চায় না শুনেছি। ফ্রেদরিক তাই ইংরেজি তেমন জানত না। তবে কাজ চালাতে পারত। আমার কাছে বইটি রেখে ফ্রেদরিক সেই হোটেল ছেড়ে চলে গেল জেলেদের অস্থায়ী ঝুপড়িতে। ইলিশের সিজন। তারা সন্ধেয় ইলিশের নৌকো ভাসায়, পরদিন সকালে ফিরে আসে মাছ নিয়ে। তবে সবদিন সমুদ্রে যাওয়া হয় না। যেদিন দুর্যোগ আসে। নিম্নচাপ। ঝড় আসে। সমুদ্র ছেড়ে তারা চলে আসে। আমি এক বিকেলে ফ্রেদরিকের দেখা পেলাম। দূর দিগন্ত থেকে মেঘ উঠে আসছিল, সমুদ্র কালো হয়ে গিয়েছে মেঘের রঙে। ফ্রেদরিক বলল, সমুদ্র দেখে তার আশ মেটে না, গডেস মাদার কালী। মা কালীর রূপ দেখছিল ফ্রেদরিক সেই সমুদ্রের ভিতর। আষাঢ় গেল, শ্রাবণ গেল, ভাদ্র এল। ভাদ্রের শেষে এল ভয়াবহ ঝড়। তখন ঝড় আসার এত নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারত না আবহাওয়া অফিস। মেঘ ছিল। টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। তারপর উঠল হাওয়া। দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত বাতাসের তাণ্ডব চলল, বৃষ্টি চলতে লাগল সারারাত। পরদিন সকালে সব পরিষ্কার। আমার ভিতরে উদ্বেগ ছিল, ঘুম হয়নি রাতে। ভোর হতে ছুটলাম আমি ফ্রেদরিকের খোঁজে। সব তছনছ হয়ে গিয়েছে। ঝুপড়ি উড়ে গিয়েছে। সাহেব কোথায়? সাহেব? বেঙা নামের আধবুড়ো জেলে বলল, সবাই পালিয়ে গেলাম বাবু, সাহেব বলল, যাবে না। সাহেব সমুদ্রের রূপ দেখতে রয়ে গিয়েছিল। বলল সমুদ্দুর নাচে, মা কালী, কেষ্ট ঠাকুর সব নাচে। হায় হায়, সাহেব কোথায় গেল?
ফ্রেদরিক উধাও হয়ে গিয়েছিল। আর দেখা যায়নি তাকে। মহাপ্রকৃতি তাকে নিয়ে গিয়েছিল হয়তো। আমার কাছে সেই বইটি এখনও রয়ে গিয়েছে। ভাবি, একদিন, নিশ্চয় হঠাৎ ফ্রেদরিকের চিঠি আসবে, ফ্রেদরিকের ই-মেল আসবে, ‘অমর, আমার সেই বইটি আমি তোমাকেই দিলাম।’ না এলে কী করে ভাবি ওই বই আমার? পরের ধন কতদিন আগলে রাখা যায়?
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
28th  June, 2020
ফেয়ার-ওয়েল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়
(১)

 নাইন-বি এর ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে চললেন অলকানন্দা রায়চৌধুরী, ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষিকা ‘অলকা দি’। গতকাল রাত থেকেই হাঁটুর ব্যথাটা আবার চাগাড় দিয়েছে, পা মুড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে মনের ভিতর যে ব্যথাটা জমে রয়েছে তার কাছে এই হাঁটুর ব্যথাটা তো একেবারেই তুচ্ছ। রেলিং ধরে ধীরে ধীরে একতলার দিকে নামতে শুরু করলেন অলকা।
বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৮

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

14th  June, 2020
নিলডাউন

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।  বিশদ

14th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

07th  June, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

07th  June, 2020
স্বপ্নসঙ্গী 

উদয়চাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়: ট্রেনটা প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি করে ঢুকল গোমো স্টেশনে। বাতানুকূল কামরা থেকে নেমে আসে তন্বী পিয়ালি। ভিড় এড়িয়ে, সঙ্গের চাকা লাগানো ব্যাগটা নিয়ে একটু সরে এসে, উদ্বিগ্ন চোখে দু’দিকে তাকায়। একটা সাধারণ পোশাক পরা যুবক পিয়ালির সামনে এসে বলে, আপনি মুখার্জি স্যারের ফরেস্ট বাংলোয় যাবেন তো?
পিয়ালি ভ্রু কুঁচকে বলে, কে তুমি?  বিশদ

31st  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

পথে চলতে চলতে বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তুলসীর। বহু পেশার মানুষ দেখেছেন। তাই যে কোনও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি উপুড় করে দিতেন। নিজের দেখা মানুষের ছাঁচে ফেলে গড়ে তুলতেন চরিত্রটি। তাই তাঁর অভিনয় ওরকম স্বাভাবিক মনে হতো।
বিশদ

31st  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো!
বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সর্পাঘাতে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভাতশালা এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের নাম দেব সোরেন(১২)।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লকডাউনের সুযোগে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠছে। এই প্রবণতা বাড়ছে দেখেই রাজ্যগুলিকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।   ...

চণ্ডীগড়: ভারতের নামী শ্যুটার অভিষেক ভার্মা কম্পিউটার সায়েন্সে বি-টেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সাইবার ক্রাইম নিয়ে চলছে পড়াশোনা। বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ের জোড়া সোনা জয়ী হরিয়ানার এই শ্যুটারের লক্ষ্য, আইনজীবী তথা সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ হওয়া। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে মামলা লড়তে চান তিনি।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: প্রতিবেশী দেশ চীন থেকে যে কোনও সময় শুরু হতে পারে সাইবার আক্রমণ। বিনা খরচে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে যে কোনও লোকের কাছে ই-মেল বা এসএমএস আসতে পারে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM