শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস পেশায় টোটোচালক। তার বয়স ৩০ বছর। সে রোজই গাঁজার নেশা করত। তার মুখে সবসময় বিড়ি থাকত। নেশা করা নিয়ে তার সঙ্গে প্রায়ই মায়ের বচসা হতো। নেশা করার জন্য সে মায়ের কাছ থেকে টাকাও চাইত। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তাপস একটি বিড়ি ধরিয়েছিল। বাড়িতে তখন মা বন্দনাদেবী ছিলেন। বাড়ির পাশে গোয়ালঘরে ছিলেন বাবা গোপালবাবু। ছেলের মুখে বিড়ি দেখেই বন্দনাদেবী তাকে বলেন, সারাক্ষণ নেশা কেন? বিড়িটা মুখ থেকে ফেলে দে। ব্যাস, তাতে রেগে যায় ছেলে। হাতের কাছে একটি ধারালো দা পেয়ে সজোরে মায়ের ঘাড়ে কোপ মারে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বন্দনাদেবী। গোটা বাড়ি রক্তে ভেসে যায়।
এদিকে, মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাপস দৌড়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে যায়। সবাই তাড়াতাড়ি এসো, এই বলে সে চিৎকারও করতে থাকে। তা শুনে বাবা গোপালবাবুও দৌড়ে আসেন। সেই সঙ্গে প্রতিবেশীরাও এসে পড়েন। তাঁরা দেখেন, মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বন্দনাদেবীর দেহ। পাশে রয়েছে রক্তমাখা দা। তারপরই প্রতিবেশীরা তাপসকে পাকড়াও করে। মেমারি থানার পুলিসকে ফোন করে খবর দেওয়া হয়।
পুলিস জানিয়েছে, খুনের সময় মা ও ছেলে দু’জনে ছিল। তাই সঠিক কী নিয়ে বচসা হয়েছিল, তা জানতে তাপসকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিড়ির গল্পই পাওয়া গিয়েছে। তবে, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।