Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 

জহর রায়ের বই সংগ্রহের মজার কৌশলের কথা শোনালেন তাঁর এক সময়ের সহকর্মী ধীমান চক্রবর্তী। একদিন তিনি অমিয় নিবাসে গিয়েছেন, সেই সময় জহর ঘরে ছিলেন না। ধীমান তখন আলমারি থেকে বিভিন্ন বই বের করে নেড়েচেড়ে দেখছিলেন। এমন সময় ঘরে প্রবেশ করেন জহর। ঢুকেই তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বইগুলো ভালো লেগেছে? বাড়ি নিয়ে যাবি?’ ধীমান বললেন, ‘হ্যাঁ, দু’-তিনটে বেশ ইন্টারেস্টিং।’ জহর সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘একদম নয়। গ্লাস গ্লাস চা এনে দিচ্ছি। বিস্কুটও যত ইচ্ছে খাও। যতক্ষণ খুশি থাক। কিন্তু বই নিয়ে যাওয়া নেই। বই কেউ নিয়ে গেলে আর ফেরত দেয় না।’ ধীমান বলেন, ‘দাদা, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, এমনটা হবে না।’ শুনে জহর হাসতে হাসতে বলেন, ‘তুই কী গ্যারান্টি দিবি রে! এখানে যত বই দেখছিস তার অনেকগুলো আমার এই উপায়েই সংগ্রহ করা।’
এমনই মজার মানুষ ছিলেন জহর। নিজের ছেলেমেয়েদের যাবতীয় দায়িত্ব স্ত্রী কমলাদেবীর উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতেন। কালীমায়ের বড় ভক্ত ছিলেন। ছোট মেয়ে কল্যাণীকে ‘মা’ বলে ডাকতেন। মাঝে মাঝে এসে বলতেন, ‘তুমি আমাকে কোলে নেবে তো মা?’ উত্তরে কল্যাণী তখন বলতেন, ‘আমি কী করে কোলে নেব তোমাকে, আমি তো অনেক ছোট!’ তখন অবাক জহর প্রশ্ন করতেন, ‘তুমি যেন কোন ক্লাসে পড়?’
পাটনাতে নিজের বাড়ি বা মধুপুরে বোনেদের বাড়ি খুব একটা না গেলেও নিজের শ্বশুরবাড়ি যেতেন নিয়মিত। সেখানে তাঁর কদর ছিল খুব। জহরের বাবা সতু রায়ের গান-বাজনার চর্চা ছিল। ছোট বোন হাসি ভট্টাচার্য ও ভগ্নীপতি প্রণব ভট্টাচার্য পাটনার রেডিও স্টেশনে গান গাইতেন। তাঁদের মেয়ে সুমিতা চক্রবর্তী জগজিৎ সিং-চিত্রা সিংয়ের কাছে গান শিখেছেন। জহরের এই পারিবারিক ঐতিহ্যের জন্যও কমলাদেবীর বাড়িতে তাঁর খাতির ছিল। আর জামাইটিও শ্বশুরবাড়ির সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতেন। এই সাঙ্গীতিক পরিবেশের গুণটা জহরের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল। ‘সাহেব বিবি তোমরা বাবু, আমরা গোলাম’ আর ‘রাবণ রাজা পেয়েছে কেমন কেমন সাজা’ নামে দুটো গান লিখেছিলেন জহর। সেগুলো সুর দিয়েছিলেন তাঁর সুরকার বন্ধু বলরাম দাস। গেয়েছিলেন কার্তিক কুমার ও বসন্ত কুমার। রেকর্ডিংও হয়েছিল। যদিও রেকর্ডটা আর পাওয়া যায় না।
কল্যাণীদেবীর আক্ষেপ, ‘সেই কাজেরও দাম পেলেন না বাবা। উনি যে ভালো গান লিখতে পারতেন, সেটা কতজন জানে বলুন তো!’
নাম-যশের পিছনে কখনওই ছুটে যাননি বাংলা সিনেমার এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। নতুন বছরের শুরুতে বেশ কয়েকজন দরিদ্র ছেলেমেয়েদের বুকলিস্ট ধরে বইখাতা, জামা-কাপড় কিনে দিতেন তিনি। বাংলার বন্যাত্রাণে কমলাদেবী ১১ ভরি সোনা দিয়েছিলেন। এই ব্যাপারগুলো কমলাদেবী পছন্দ করতেন। স্বামীর হয়ে টেকনিশিয়ানদের বাড়ি গিয়ে টাকাপয়সা, জামাকাপড় দিতেন।
জহর ভালো উর্দু যেমন বলতেন, তেমনই ভালো ইংরেজিও বলতেন। প্রাইভেট টিউটর রেখে উর্দু শিখতেন। ‘মর্জিনা-আবদল্লা’ ছবিতে জহরের উর্দু উচ্চারণ তার প্রমাণ। নতুন জিনিস শেখার আগ্রহটা যে ছিল অফুরান। লাল কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করে রাখতেন বই। জামাকাপড়, সুগন্ধী আর চটির খুব শখ ছিল। কত জোড়া যে জুতো ছিল! রিহার্সালে গেলে প্যান্ট-শার্ট পরতেন না, সবসময় পাজামা-পাঞ্জাবি। ধুতিও খুব প্রিয় ছিল। আর সাদা রুমাল। ধর্মতলার এক টেলার্সের কাছ থেকে জামা-কাপড় তৈরি করাতেন। মৃত্যুর পর হঠাৎ একদিন তাঁর তৈরি করতে দিয়ে যাওয়া জামা-কাপড় নিয়ে এসে হাজির হয়েছিলেন ওই দোকানের এক কর্মচারী। যার পেমেন্ট আগেই করে গিয়েছিলেন জহর।
জীবনে একটা বড় ভুল করেছিলেন এই অভিনেতা। একটি সিনেমা প্রযোজনার কাজে হাত দিয়েছিলেন। পোড়খাওয়া অভিনেতা হলেও প্রযোজনার গলি-ঘুঁজি তাঁর জানা ছিল না। বন্ধুরা তাঁকে ঠকিয়েছিল। তিল তিল করে জমানো কষ্টার্জিত টাকা সব শেষ হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। ছবিটির কাজ মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। উল্টে ঘাড়ে চেপে যায় ৭৫ হাজার টাকার দেনা। ছ’য়ের দশকে ৭৫ হাজার টাকার মূল্য নিশ্চয়ই কারও অজানা নয়।
সেই দেনা শোধ করতে গিয়েই ফাংশনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জহর। একেক দিন ২-৩ টি করে শো। সে ফাংশন হোক বা থিয়েটার কল শো হোক বা যাত্রা। বেড়েছিল মদ্যপানের মাত্রাও। যেটাকে জহরের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে অনেকেই মনে করেন। জহরের দোসর ভানু কিন্তু বলতেন, ‘ও ওভার ওয়ার্কে মারা গিয়েছে।’
ভানুপুত্র গৌতম বন্দ্যোপাধায় বলছিলেন, ‘বাবা বলতেন, জহর মহালয়ার দিন একটা আলোয়ান লইয়া বাইরইত। আর দোলের দিন সেই আলোয়ানটা তেল চিটচিটা কইর‌্যা বাড়ি ফিরা ফ্যালাইয়া দিত।’
শরীর দ্রুত ভাঙছিল। একটা সময় স্বাস্থ্যের প্রতি দারুণ নজর ছিল জহরের। ভানুর স্মৃতি বলছে, ‘বাতাসার সঙ্গে পেঁপের রস দিয়ে খেত, ছাগলের দুধ খেত।’ কিন্তু পরে লিভার আর পেরে উঠছিল না। ফিরে ফিরে আসছিল জন্ডিস। অনিয়ম করতেন। ইনসুলিন নিয়ে অনেক সময় না খেয়ে চলে যেতেন।
১৯৭৪ সালে শ্যুটিং হয় ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কোর...’। ওই সময়ই মহানায়কের সঙ্গে ‘ব্রজবুলি’। তখন চেহারা প্রায় কঙ্কাল। সিনেমার কেউ আর কাজ দিতে চায় না, এড়িয়ে যায়। রংমহলই সম্বল। ওই মঞ্চেই রিহার্সাল করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর এক বন্ধুর সহায়তায় স্ত্রী কমলাদেবী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেন। কমলাদেবী অনেকবার থাকতে চেয়েছিলেন অসুস্থ স্বামীর পাশে, কিন্তু ডাক্তাররা অনুমতি দেননি। সেই অভিমানে আর কোনওদিন মেডিক্যাল কলেজে পা রাখেননি তিনি।
ভর্তি করার পরের দিনই সকালে সেই বন্ধু এসে (জহর ‘মিত্র’ বলে ডাকতেন আর ছেলেমেয়েরা ডাকতেন ‘মিতে’) খবর দেন, জহর আর নেই। ১৯৭৭ সালের ১ আগস্ট। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘জহরের কি দেশের কাছে এইটুকুই পাওনা ছিল সৌমিত্র? অন্য দেশ হলে স্যার উপাধি পেত।’ খবর পেয়ে জহরকে শেষ দেখা দেখতে এসেছিলেন সুচিত্রা সেন। বেথুন কলেজের সামনে দাঁড়ায় শোক মিছিল। গাড়ি থেকে নেমে লরিতে ওঠেন সুচিত্রা। অস্ফুটে বলেছিলেন, ‘তুমি চলে গেলে চার্লি!’ তারপর নিচু হয়ে মৃতের কপালে এঁকে দিয়েছিলেন চুম্বন। তখন জহরের মৃতদেহের পাশে ক্লাস এইটের সব্যসাচী— তাঁর পুত্র।
জহর-কন্যা কল্যাণীর আক্ষেপ, ‘এই ভানু-জহর কোনওদিনই তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পেলেন না। কেউই তাঁদের জন্য কিছু করেনি। এ নিশ্চিত বাঙালির লজ্জা!’
(ক্রমশ)
 গানের রিহার্সালে কার্তিক কুমার ও বসন্ত কুমারের সঙ্গে জহর রায়।
অলঙ্করণ: বিশ্বনাথ ঘোষ
17th  May, 2020
ফেয়ার-ওয়েল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়
(১)

 নাইন-বি এর ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে চললেন অলকানন্দা রায়চৌধুরী, ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষিকা ‘অলকা দি’। গতকাল রাত থেকেই হাঁটুর ব্যথাটা আবার চাগাড় দিয়েছে, পা মুড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে মনের ভিতর যে ব্যথাটা জমে রয়েছে তার কাছে এই হাঁটুর ব্যথাটা তো একেবারেই তুচ্ছ। রেলিং ধরে ধীরে ধীরে একতলার দিকে নামতে শুরু করলেন অলকা।
বিশদ

28th  June, 2020
চলার পথে
ফ্রেদরিকের চিঠি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অমর মিত্র। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৮

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

14th  June, 2020
নিলডাউন

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।  বিশদ

14th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

07th  June, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

07th  June, 2020
স্বপ্নসঙ্গী 

উদয়চাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়: ট্রেনটা প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি করে ঢুকল গোমো স্টেশনে। বাতানুকূল কামরা থেকে নেমে আসে তন্বী পিয়ালি। ভিড় এড়িয়ে, সঙ্গের চাকা লাগানো ব্যাগটা নিয়ে একটু সরে এসে, উদ্বিগ্ন চোখে দু’দিকে তাকায়। একটা সাধারণ পোশাক পরা যুবক পিয়ালির সামনে এসে বলে, আপনি মুখার্জি স্যারের ফরেস্ট বাংলোয় যাবেন তো?
পিয়ালি ভ্রু কুঁচকে বলে, কে তুমি?  বিশদ

31st  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

পথে চলতে চলতে বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তুলসীর। বহু পেশার মানুষ দেখেছেন। তাই যে কোনও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি উপুড় করে দিতেন। নিজের দেখা মানুষের ছাঁচে ফেলে গড়ে তুলতেন চরিত্রটি। তাই তাঁর অভিনয় ওরকম স্বাভাবিক মনে হতো।
বিশদ

31st  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো!
বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: প্রতিবেশী দেশ চীন থেকে যে কোনও সময় শুরু হতে পারে সাইবার আক্রমণ। বিনা খরচে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে যে কোনও লোকের কাছে ই-মেল বা এসএমএস আসতে পারে।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লকডাউনের সুযোগে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠছে। এই প্রবণতা বাড়ছে দেখেই রাজ্যগুলিকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।   ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সর্পাঘাতে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভাতশালা এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের নাম দেব সোরেন(১২)।   ...

নয়াদিল্লি: এবার লাদাখ ইস্যুতে সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়াল জাপান। শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও একটি শক্তির জোরজবরদস্তি করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM