শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাত থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত শিলিগুড়িতে জোর বৃষ্টি হয়। এরজেরে এদিন সকালে নৌকাঘাট এলাকায় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রেনের পাড়ে ছিল ওই বাড়ি। সেটি ইটের দেওয়াল ও টিনের চাল দিয়ে তৈরি ছিল। বৃষ্টির সময় ড্রেনের জলের তোড়ে সেটি ভেঙে গিয়েছে। বাড়ির চার সদস্যকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটার সিপিএমের দীপা বিশ্বাস বলেন, পার্টির তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাড়ির সদস্যদের চাল, ডাল, আলু, তেল, ডিম ও দুধ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে ওই পরিবারকে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। বালির বস্তা দিয়ে ড্রেনের পাড় মেরামত করা হচ্ছে। এর বাইরে বৃষ্টির দাপটে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘীয়া লাল সরণী, নিউ পোস্ট অফিস রোড, বারেক রোড প্রভৃতি বেহাল হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কান্তিরঞ্জন সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাগুলির অবস্থা বেহাল। রাতভর বৃষ্টির জেরে রাস্তাগুলি কার্যত হাল দেওয়া খেতে পরিণত হয়েছে। জল ও কাদা জমে রয়েছে। রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। তাই রাস্তাগুলি মেরামত ও নিকাশি নালা তৈরির দাবিতে এদিন এসজেডিএ’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভূপেন্দ্রনগর কলোনিতে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজও থমকে গিয়েছে। বৃষ্টি থামার পর সেখানে ফের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয় শহরের কিছু এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এলাকাগুলির মধ্যে এনজেপির কাছে অম্বিকানগর আন্ডারপাস অন্যতম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আন্ডারপাসে জল থই থই অবস্থা। হাঁটুর উপর প্যান্ট ও কাপড় তুলে জল মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকা দিয়ে বাইক ও সাইকেল নিয়ে চলাচল করার সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া অশোকনগর, জ্যোতির্ময় কলোনি, তিনবাত্তি মোড়, দেবাশিস কলোনি, গণেশ ঘোষ কলোনি প্রভৃতি এলাকায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল বৃষ্টির জল। জ্যোতির্ময় কলোনিতে নালা তৈরি করে এলাকার জল বাইরে বের করতে হয়। সকালে দেবাশিস কলোনিতে কয়েকটি বাড়িতে ফুলেশ্বরী নদীর জল উঠলে বিকালে তা নেমে যায়।
এদিন দুপুরের পর বৃষ্টি কমলেও আকাশ ছিল মেঘলা। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২০.৪০ মিলিমিটার। আরও দু’দিন শহরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় অবশ্য বলেন, এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিতে শহর সহ গোটা মহকুমায় ক্ষয়ক্ষতির তেমন খবর মেলেনি। তা হলেও সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।