Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীনের নতুন পুতুলের নাম পাকিস্তান
হারাধন চৌধুরী 

পাকিস্তান ছিল আমেরিকার পুতুল। এবার সেটা হাত বদলে চীনের হয়েছে। চীনের কোনও কিছুর গ্যারান্টি নেই। যেমন তাদের কথা আর বিশ্বাসের মূল্য, তেমনি চীনা প্রোডাক্টের আয়ু। এ নিয়ে চালু রসিকতাও কম নয়। মোটামুটিভাবে সকলে ধরে নেন যে, ‘মেড ইন চায়না’ মানে যে-কোনও মুহূর্তে জবাব দিতে পারে। যত দামি জিনিসই হোক না কেন, বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে চীনা প্রোডাক্ট এখনও ‘ইয়ুজ অ্যান্ড থ্রো’র বেশি গুরুত্ব আদায় করতে পারেনি। অন্তত ইন্ডিয়ান মার্কেটে। আর চীনে তৈরি ভীষণ সস্তার পুতুল কতক্ষণ টিকবে, সেটা বড় প্রশ্ন নয়। জিনিসটা নিয়ে আশঙ্কাই বেশি। যে জিনিস শিশুদের হাতে উঠছে, সেটা কতটা নিরপদ? শুধু শ্রমিকদের শোষণ করেই কি এত সস্তায় বিদেশে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব? কী উপাদান বা বস্তু দিয়ে পুতুল তৈরি হচ্ছে সেটাই মূল প্রশ্ন। পুতুলগুলো হাসপাতালের বিপজ্জনক বর্জ্য দিয়ে তৈরি কি না সেই সংশয় আগেই জেগেছে। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার দায় চীনের কাঁধে চাপার পর জিনপিংয়ের দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা যার পর নাই তলানিতে চলে গিয়েছে। ওইসঙ্গে যোগ হয়েছে করোনার টেস্ট কিট কেলেঙ্কারির ক্ষত। অনেকের মুখে মুখে ফিরছে কটাক্ষ—এখন মৃত্যুটাও মেড ইন চায়না! এই চীনের হাতের পুতুল হচ্ছে পাকিস্তান। পরম আহ্লাদেই। সে তাদের সমরতন্ত্রের স্বাধীনতা। কিন্তু পরিণামটা কি একবারও ভেবে দেখেছে ইমরান খান প্রশাসন? পাকিস্তান নামক খেলনাটা ইয়ুজ অ্যান্ড থ্রো হতে কতক্ষণ সময় নেবে? পাকিস্তানের কাছে চীনের প্রয়োজন একদিন ফুরোবেই। সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র মাত্রেই মাইগ্রান্ট প্যারাসাইট বা পরিযায়ী পরজীবী। তাদের অনেক প্রয়োজনই তাৎক্ষণিক। সেই প্রয়োজন মিটে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশটির প্রতি প্রেমে ভাটা পড়তে শুরু করে। একটা সময় পর অসৎ প্রেমিকের কাছে বিগত যৌবনা প্রেমিকার মতো ট্রিটমেন্ট জোটে। মনে করে দেখতে পারেন খান সাহেব, পরাধীন ভারতে পাকপন্থী নেতাদের তোল্লা দিত ব্রিটিশ রাজশক্তি। ভারত ভাগ করে উপমহাদেশকে দুর্বল এবং অস্থির করে রাখাই ছিল ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের কৌশল। কাশ্মীরসহ ভারত-বিরোধী একাধিক ইস্যুতে পাকিস্তানকে মদত জুগিয়ে গিয়েছে ব্রিটেন এবং তার পশ্চিমি বন্ধুরা। দীর্ঘকাল। আমেরিকাও পাকিস্তানের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কয়েক দশক।
বিপরীতে স্বাধীন ভারত দীর্ঘদিন এশিয়ার উত্থানে (এশিয়ানিজম) বিশ্বাসী ছিল। বিশেষ করে জওহরলাল নেহরুর আমলে। বামপন্থায় শ্রদ্ধাশীল নেহরু মূল ভরসা রেখেছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ার উপর। চীনকেও পাশে পেতে চেয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। এই ব্যাপারে তাঁর মূল মন্ত্রণাদাতা ছিলেন আমেরিকা-বিরোধী এবং কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসি রাজনীতিক-কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেনন। সহকর্মী সর্দার প্যাটেল এবং সেনাপ্রধান জেনারেল কে এস থিমায়া নেহরুকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, বিশ শতকের জিওপলিটিক্সে ভারতের জন্য এটা একেবারেই ভুল পথ‌। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে শোধরাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৬২-তে চীন বিশ্বাসঘাতকতা করার পরই নেহরুর জোড়া মোহভঙ্গ হয়: চীন ও মেনন সম্পর্কে। তবু, নেহরু কোনও দিন আমেরিকার দিকে ঝোঁকেননি। তার একটা বড় কারণ, নেহরু আমেরিকার কাছে যতটা গুরুত্ব প্রত্যাশা করতেন আমেরিকা তা তাঁকে দেয়নি। নেহরু ভারতকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম বৃহৎ এক শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যগ্র ছিলেন। তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন বুঝিয়ে দিত যে, ভারত সম্পর্কে নেহরুর মূল্যায়ন অতিরঞ্জিত। তিনি ভারতকে ওভার এস্টিমেট করে ফেলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যাহাই পাকিস্তান, তাহাই ইন্ডিয়া। আয়তন বা জনসংখ্যার তফাতটাকে ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি। বাজার অর্থনীতির তত্ত্ব আজকের মতো সেদিনও গুরুত্বপূর্ণ থাকলে কী হতো, সে অবশ্য বলা মুশকিল।
মোদ্দা কথা, ভূরাজনৈতিক অবস্থানের বিচারে পাকিস্তানকে তারা ভারতের চেয়ে এগিয়েই রেখেছিল। সেই পাকিস্তানকে আমেরিকাসহ পশ্চিম আর বিশেষ পাত্তা দেয় না। বরং সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হিসেবে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার নানা ফরমান জারি করেছে তারা সাম্প্রতিক অতীতে। কাশ্মীর সম্পর্কে মোদি সরকারের নয়া অবস্থানকেও পশ্চিমের বেশিরভাগ দেশ সমর্থন করেছে। যারা প্রত্যক্ষভাবে পারেনি, তারা পরোক্ষে সমর্থন দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩৫ কোটি মানুষের দেশ ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে পশ্চিম এখন সমর্থন করছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমি শক্তির সঙ্গে ইমরান খান প্রশাসনের দূরত্ব ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন এবং মোদি সরকারের এতটা কাছাকাছি আসার রহস্য আপাতত একটাই—চীন। ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লি উভয়েরই চোখে চীন এক সন্দেহভাজন। ভয়ানক গোলমেলে দেশ। কোভিড-১৯ ইস্যুতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এশিয়া, আফ্রিকার অনেক দেশ চীনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। কিছু দেশ চীনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতেও সরব হয়েছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু' চীনের কথায় চলছে। এই ব্যাপারে কিছুদিন আগে বিষোদ্গারসহ ট্রাম্প সাহেব ঘোষণা করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতি বছর দেয়, এবার থেকে তা আর দেবে না। হু-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমেরিকা কটাক্ষ করার আগেই বহু দেশ ঝুঝে গিয়েছে, এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি আপাতত এক নিধিরাম সর্দার। বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে হু বিশ্বকে গাইড করার নামে অনেকাংশে বিভ্রান্ত করেছে। হু-র এই অবনমনের পিছনে চীনের দায় কতটা তা নিয়ে গবেষণা নিশ্চয় হবে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, চীন যাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে তারই হাড়ির হাল হচ্ছে।
চীন এবার ভীষণভাবে ভর করেছে পাকিস্তানের উপর। পাকিস্তানকে সরাসরি লালফৌজের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ইমরান সরকার। জিনপিং খোয়াব দেখছেন, নড়বড়ে দেশটির মাটি-জল-আকাশ ব্যবহার করেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাবেন। সেনা বাহিনী এবং কুখ্যাত আইএসআইয়ের কথায় নেচে আধমরা দেশটাকে ইমরান সাহেব নতুন কোনও সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন না তো? দেশ গেলে তাঁর অবশ্য কিছু যায় আসে না। পূর্বসূরি পারভেজ মোশারফ বা নওয়াজ শরিফের মতো বিদেশে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে পারবেন। কিন্তু দেশটা গৃহযুদ্ধে আরও রক্তাক্ত হবে না তো? পাকিস্তানের নাগরিক সমাজকে এখনই ভাবতে হবে এই দিকটা।
একই ভয় হয় নেপালকে নিয়েও। নেপালের কমিউনিস্ট সরকার চীনের হাতে তামাক খেতে শিখেছে। একটু-আধটু না হয় ঠিক আছে। উপর্যুপরি দমক লাগলে ওলি সরকার সামলাতে পারবে কি? না—সেটা এখনই হলফ করে বলে দেওয়া যায়। রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথটা নেপালের মোটেই মসৃণ ছিল না। দেশবাসী বহু রক্ত দিয়েছেন। চীনের কথায় আর কয়েক কদম হাঁটার পরিণাম নেপালের পক্ষে সুখকর নাও হতে পারে। ইতিমধ্যেই নেপালের শাসক গোষ্ঠী অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছে। সুন্দর দেশ নেপালের ভূমিতে জিনপিংয়ের ছায়া যত দীর্ঘ হবে এই অস্থিরতা তত বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
চীনের অন্যতম বৃহৎ বাজারের নাম ভারত। পণ্য রপ্তানি থেকে শিল্পে লগ্নি—দু'দিক থেকেই। বিশ্রী রকমের এই সীমান্ত বিরোধের পরিণামে চীনের সেই বাজার যে নষ্ট হতে চলেছে তা বিলক্ষণ বুঝেছে চীন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত ইংরেজি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর নিত্যনতুন বিষোদ্গার আর শূন্যগর্ভ আস্ফালনেই এটা বেশি ধরা পড়ছে। সাম্রাজ্যবাদী চীন এই বাণিজ্য ঘাটতি পুষিয়ে নিতে ভারতের সবক’টা প্রতিবেশী দেশকে টার্গেট করেছে। বিশেষভাবে টার্গেট করেছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের কিছু মানুষ এখনও মনে করে, একাত্তরে দেশটা স্বাধীন হয়নি। আসলে পাকিস্তান দু’টুকরো হয়েছিল। যাকে ‘ইসলামি উম্মাহ’ (জাতিগত একতা)-র উপর ‘হিন্দু ইন্ডিয়া’র চরম আঘাত বলে মনে করে। তারা এখনও নিজেদের ‘পাকিস্তানি’ ভেবে গর্ব বোধ করে। এই লোকগুলোকে বাগে রাখা হাসিনা সরকারের কাছে আজও এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই বিপথগামী শক্তির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশকে আর একটা উপনিবেশ করার চক্রান্তে লিপ্ত চীন। সেক্ষেত্রেও দোসর পাকিস্তান।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে ১৯৬৫-র সেপ্টেম্বরের কথা। হার্ড লাইনার পলিটিশিয়ানদের চক্করে পড়ে কাশ্মীর দখলের খোয়াব দেখেছিল পাকিস্তান। তুরন্ত মুখতোড় জবাব দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশের ভিতরে প্রবেশ করে। জুলফিকার আলি ভুট্টো তখন বিদেশমন্ত্রী। অগ্নিশর্মা ভুট্টো সাহেব রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জ্বালাময়ী ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে ‘হাজার বছরের যুদ্ধ’ (fight for a thousand years) ঘোষণা করে দিলেন! যদিও ১৯৬৫ ও ১৯৭১-সহ সবক'টি যুদ্ধেই পাকিস্তান গোহারা হয়েছে ভারতের কাছে। তারপরেও ভুট্টোর উত্তরসূরি জিয়া-উল-হক তাল মিলিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন ‘ভারতকে দগ্ধে দগ্ধে মারো’ (bleed India through a thousand cuts)। তস্করদের ছায়াযুদ্ধে ভারতের অনেক ক্ষতি নিশ্চয় হয়েছে। কিন্তু ভুট্টো এবং জিয়া-উল-হকের কী নির্মম পরিণতি হয়েছিল, ইমরান সাহেব ইতিহাসের পাতা উল্টে একবার দেখে নেবেন না এই সুযোগে? বাংলাদেশের সুশীল সমাজকেও আশা করি এটা ভাবাচ্ছে। 
02nd  July, 2020
মধ্যবিত্তের লড়াই শুরু হল
শুভময় মৈত্র 

কোভিড পরিস্থিতি চীনে শুরু হয়েছে গত বছরের শেষে। মার্চ থেকেই আমাদের দেশে হইচই। শুরুতেই ভীষণ বিপদে পড়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা এখন সকলেই জানেন।  বিশদ

রাজধর্ম
তন্ময় মল্লিক 

যেমন কথা তেমন কাজ। উম-পুন সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, টাঙিয়ে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা। ফেরানো হবে অবাঞ্ছিতদের হাতে যাওয়া ক্ষতিপূরণ।   বিশদ

উন্নয়ন  ও  চীনা  আগ্রাসনের  উত্তর  একসুতোয় গাঁথা
নীলাশিস  ঘোষদস্তিদার 

আমরা ভারতীয়রা চীনা পণ্য বয়কট করব কি না, এই প্রশ্নে অনেকেই বেশ দ্বিধায়। এই কারণে যে এত সস্তায় কেনা সাধের চীনা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ছেড়ে কি দামি আই-ফোন বা অকাজের দেশি ফোন কিনতে হবে?   বিশদ

03rd  July, 2020
ভার্চুয়াল স্ট্রাইক নাকি ড্যামেজ কন্ট্রোল!
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের কোনও রাষ্ট্রনেতা তাঁর মতো বিদেশ সফর করেননি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও বিনিয়োগ টানতে চীনে গিয়েছেন অনেকবার। তখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দশ বছরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং চীনে গিয়েছেন ২ বার।  বিশদ

03rd  July, 2020
‘শোলে’ ছবির পুনর্নির্মাণ
সন্দীপন বিশ্বাস

দৃশ্য ১
রামগড়ের পাহাড়ের কোলে নিজের ডেরায় রাগে ফুঁসছেন গব্বর সিং। হাতের লোহার বেল্টটা পাথুরে মাটিতে ঘষতে ঘষতে এদিক ওদিক করছেন। চোখ মুখ দিয়ে তাঁর রাগ উথলে পড়ছে। চারপাশে গব্বর সিংয়ের চ্যালা কালিয়া, সাম্ভারা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। একটু পরে গব্বর সিং বললেন, ‘হুম, সীমান্তে ওরা কতজন ছিল?’ কালিয়া ভয়ে মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওরা অনেকেই ছিল সর্দার। হাতে ওদের অনেক অস্ত্রশস্ত্রও ছিল।’
বিশদ

01st  July, 2020
সুদিনের আশায়
গ্রামীণ পর্যটন
দেবাশিস ভট্টাচার্য

 ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের গ্লোবাল হওয়ার কথা বললেন। বললেন দেশীয় উৎপাদন ও সম্পদকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে হবে। মেড ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর ওয়ার্ল্ড। ব্যাপারটাকে আমরা লোকাল টু গ্লোবাল হিসেবে দেখতে পারি। বিশদ

01st  July, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

30th  June, 2020
আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
একনজরে
চণ্ডীগড়: ভারতের নামী শ্যুটার অভিষেক ভার্মা কম্পিউটার সায়েন্সে বি-টেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সাইবার ক্রাইম নিয়ে চলছে পড়াশোনা। বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ের জোড়া সোনা জয়ী হরিয়ানার এই শ্যুটারের লক্ষ্য, আইনজীবী তথা সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ হওয়া। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে মামলা লড়তে চান তিনি।  ...

নয়াদিল্লি: এবার লাদাখ ইস্যুতে সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়াল জাপান। শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও একটি শক্তির জোরজবরদস্তি করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: প্রতিবেশী দেশ চীন থেকে যে কোনও সময় শুরু হতে পারে সাইবার আক্রমণ। বিনা খরচে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে যে কোনও লোকের কাছে ই-মেল বা এসএমএস আসতে পারে।   ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: বৃহস্পতিবার লালগোলা থানার নাটাতলা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ তরল মাদক কোডাইন ফসফেট সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম আনোয়ার শেখ। তার বাড়ি লালগোলা থানার তারানগরে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM