Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

একদিন রাতে ঠাকুরদাস একটি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন। স্বপ্নটি ছিল এই রকম— খুব শিগগির তোমার বসতভূমি শ্মশানে পরিণত হবে। ঘুম ভেঙে গেল, আর ঘুম এল না। সকাল হতেই গণক গঙ্গানারায়ণ ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠালেন এবং স্বপ্ন কী ইঙ্গিত করছে তার ব্যাখ্যা করতে বললেন। ভট্টাচার্য মশায় স্বপ্নের সরল অর্থ বুঝয়ে দিলেন, এবার তোমাকে গ্রামে বসবাসের মায়া ত্যাগ করতে হবে। আরও একটু বেশি কথা তোমাকে জানিয়ে দিই— তোমার বড় ছেলে ঈশ্বরচন্দ্রের কোষ্ঠীতে এখন ঘোর শনির দশা দেখতে পাচ্ছি। তার তিন রকমের বিচ্ছেদ যোগ দেখতে পাচ্ছি— আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ, বন্ধু বিচ্ছেদ আর ভ্রাতৃ বিচ্ছেদ। এর ফলও হবে তিনটি— একদিনের জন্যও এরপর আর সুখী হবে না, দেশত্যাগী হতে হবে আর দেশ ছেড়ে নতুন নতুন জায়গায় বসবাসের ইচ্ছা হবে। বাঁড়ুজ্যে মশায় এসব কথা পাঁচকান করবেন না, তাতে ঈশ্বরের আরও লোকসান হবে।
কোষ্ঠী আর স্বপ্নের ফল কী হবে তা তো ভবিষ্যতের কথা। কিন্তু ঠাকুরদাস খুব বিচলিত হয়ে পড়লেন। ঈশ্বর গ্রামে নেই। পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ মৃত্যুশয্যায়, তাঁকে দেখার জন্য তাঁর বসতবাটী মুর্শিদাবাদের কান্দিতে গিয়েছেন। মনে মনে ঠিক করলেন, এখনই কাশী রওনা হওয়া উচিত। শেষটা ওখানেই কাটুক। শম্ভুচন্দ্রকে মনের বাসনার কথা খুলে বলায় তিনি দাদাকে বাবার মানসিক অবস্থা সবিস্তারে লিখে জানালেন। এমনিতেই প্রিয় বন্ধু প্রতাপচন্দ্র মৃত্যুশয্যায়, তার উপর বাবার কাশী যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঈশ্বরচন্দ্রকে খুবই বিচলিত করে তুলল। তিনি শম্ভুচন্দ্রকে একটি চিঠি লিখলেন এই মর্মে— তিনি বিদেশে একা থাকবেন তা মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। বিদেশে সবকিছু জোগাড় করে নিজের খাবার নিজেই ব্যবস্থা করবেন, তাতে তাঁর কষ্ঠের শেষ থাকবে না। এতবড় পরিবার যার তিনি সেসব ছেড়ে বিদেশে একা একা কাশীতে থাকবেন— তা আমি কোন রকমেই সইতে পারব না। যদি তিনি তাঁর সেবা ও পরিচর্যার জন্য কাউকে অন্তত সঙ্গে নিয়ে যান, তাতে আমি রাজি হতে পারি। আমার জন্য তো তিনি অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছেন— এখন না হয় আর কিছুকাল কষ্ট সহ্য করুন, আমি খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টায় আছি। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করব। তা না করে হঠাৎ চলে গেলে আমি মর্মান্তিক দুঃখ পাব।
অসুস্থ বন্ধুকে ছেড়ে ঈশ্বরচন্দ্র একটুও দেরি না করে বর্ধমান এলেন এবং সেখান থেকে পাল্কি করে জাহানাবাদে (এখনকার আরামবাগ) পৌঁছলেন। বেহারারা আর ষোলো মাইল পথ যেতে রাজি হল না। অগত্যা বিদ্যাসাগর হেঁটেই বীরসিংহায় পৌঁছলেন। বাবার পায়ে ধরে অনেক অনুনয়-বিনয়, কান্নাকাটি করলেও ঠাকুরদাস সিদ্ধান্ত বদল করলেন না।
এরপর ঈশ্বরচন্দ্র বাবাকে মিনতি করে বললেন, ‘আপনি গেলে আমাদের মন খুব ব্যাকুল হয়ে থাকবে। আপনি যদি একটা ব্যাপারে আমাদের সম্মতি দেন খুব ভালো হয়। আপনাকে আর দিন পনেরোর মতো কলকাতায় থাকতে হবে। চিত্রকর হডসনকে দিয়ে আপনার একটা ছবি আঁকিয়ে নেব।’ এবার ঠাকুরদাস রাজি হলেন। যথাসময়ে প্রতিকৃতি আঁকানো হল। ঠাকুরদাসের ওই একটি মাত্রই আঁকা ছবি।
মাতা ভগবতী দেবীরও একটি ছবি সাহেব চিত্রকরকে দিয়ে আঁকানো হয়েছিল। এর জন্য প্রায় তিনশো টাকা খরচ হয়। ভগবতীদেবী কিছুতেই সাহেবের সামনে বসে ছবি আঁকাতে রাজি ছিলেন না। ঈশ্বরচন্দ্র খুব পীড়াপীড়ি করাতে ভগবতীদেবী শেষপর্যন্ত নিমরাজি হয়ে বললেন, ‘তোরই নিন্দে হবে, লোকে বলবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মাকে নিয়ে সাহেববাড়িতে এসেছিল ছবি তোলাতে।’ বিদ্যাসাগর মশায়েরও প্রতিকৃতি আঁকেন সাহেব। ছবিটি উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ পাঠাগারে সুরক্ষিত আছে।
বাংলার ১২৭৩ সনের পৌষ মাস থেকে ঈশ্বরচন্দ্র খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অথচ এই সময়েই ভেবেছিলেন একবার কাশী গিয়ে বাবাকে দেখে আসবেন। বাধ্য হয়ে শম্ভুচন্দ্রকে কাশীতে পাঠালেন। বাবা নেই। ভাইদের হাঁড়ি আলাদা হল। সবই বড় দাদা হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্রকে করে দিতে হল, এমনকী টাকার ব্যবস্থাও। এভাবেই বছর তিনেক কেটে গেল। ভগবতীদেবী স্বামীর জন্য একটু চঞ্চল। বাধ্য হয়ে ঈশ্বরচন্দ্র তাঁকে কয়েকজন তীর্থযাত্রীর সঙ্গে কাশীতে পাঠিয়ে দিলেন। স্বামীকে বললেন, ‘দেখো, আমি অনেকদিন বাঁচব, আমার লম্বা পরমায়ু। বীরসিংহায় ফিরে যাই—সেখানে আমি না গেলে গরিব-অনাথ বিধবাদের কষ্ট হবে। তবে কথা দিচ্ছি, মরার আগে তোমার কাছে আবার আসব।’ ভগবতীদেবী দেশে ফিরে এলেন।
এর কিছুদিনের মধ্যে বিদ্যাসাগর ছেলে নারায়ণচন্দ্রের ইচ্ছায় তাঁর সঙ্গে বিধবা ভবসুন্দরীর বিয়ে দিলেন। এতে লোকের মুখ বন্ধ হল। এই বিয়েতে তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা হাজির থাকবেন না জেনেও তিনি এই প্রস্তাবেই উদ্যোগী হন।
বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই ঠাকুরদাসের অসুস্থাতার খবর এল। শুনে ঈশ্বরচন্দ্র দীনবন্ধু ও শম্ভুচন্দ্রকে চিঠি লিখে মাকে নিয়ে কাশী যেতে বললেন। তিনি নিজেও তাড়াতাড়ি কাশী রওনা হলেন। বিদ্যাসাগরের একনিষ্ট সেবা ও যত্নে ঠাকুরদাস পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠলেন।
আর এই সময় একদিন কাশীর ব্রাহ্মণেরা, বিশেষত বিশ্বনাথ মন্দিরের সেবাইতরা ঈশ্বরচন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে নানারকম কথাবার্তায় লিপ্ত হলেন। বললেন, আপনার বাবা এখানে অনেকদিন থেকে আমাদের অনেক কাজ করেছেন। খেতে পেয়েছি, টাকাকড়িও নেহাত কম পাইনি। তাঁর মতো ধার্মিক মানুষ দেখিনি আমরা। আপনি অনেকদিন এসেছেন, খুব বড় মানুষ আপনি। আমাদের আপনিও দানপত্র করুন। ঈশ্বরচন্দ্র ঠোঁটকাটা। তিনি বললেন, ‘আপনাদের মতো লোককে দান ধ্যান করলে কলকাতায় ফিরে আমি মুখ দেখাতে পারব না। আপনাদের বিশ্বেশ্বর বলে মান্য করার চেয়ে লজ্জার কিছু নেই।’
শুনে ব্রাহ্মণপুঙ্গবেরা তো রেগে কাঁই, ‘আপনি কি তবে কাশীর বিশ্বেশ্বর মানেন না? তবে কী মানেন?’
‘আমার বিশ্বেশ্বর ও অন্নপূর্ণা এই পিতৃদেব ও জননীদেবীর মধ্যে বিরাজমান।’
এই ঘটনার পর মাস দুয়েক যেতে না যেতেই ভগবতীদেবী কলেরায় আক্রান্ত হয়ে দিন মারা যান। বিদ্যাসাগর একেবারে ভেঙে পড়লেন। দেশে ফিরে এলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দু’বছরের মধ্যে ঠাকুরদাস আবার প্রবলভাবে পীড়িত হয়ে পড়েন। খবর পেয়েই বিদ্যাসাগর কাশী চলে আসেন। এবারেও তাঁর শুশ্রূষা ও সেবায় তিনি ভালো হয়ে ওঠেন। কাশীতে থাকার সময় বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক-পণ্ডিতদের বিদ্যাসাগর যে কতরকমের সহায়তা করতেন তার হিসেব করে ওঠা দুষ্কর। যখনই সকাল-সন্ধেতে বেড়াতে বের হতেন, সঙ্গে কুড়ি-বাইশ টাকার খুচরো সঙ্গে নিতেন দানের জন্য। এর মধ্যে ঠাকুরদাসের প্রয়াণ ঘটে। তারিখটা ১২৮৩ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ।
এর মধ্যে বিদ্যাসাগর স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য কানপুরে গঙ্গাতীরে একটি বাড়ি ভাড়া করে কয়েকমাস থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ করে সেখান থেকে লখনউ শহরে আসেন। রাজকুমার সর্বাধিকারীর কাছে দিন কতক কাটিয়ে তিনি প্রয়াগে আসেন। সেখান থেকে কাশীতেও কিছুদিন থাকেন। এরপর তাঁর কলকাতা ফেরা এবং বাদুড়বাগানের বাড়িতে বসবাস।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
24th  May, 2020
ফেয়ার-ওয়েল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়
(১)

 নাইন-বি এর ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে চললেন অলকানন্দা রায়চৌধুরী, ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষিকা ‘অলকা দি’। গতকাল রাত থেকেই হাঁটুর ব্যথাটা আবার চাগাড় দিয়েছে, পা মুড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে মনের ভিতর যে ব্যথাটা জমে রয়েছে তার কাছে এই হাঁটুর ব্যথাটা তো একেবারেই তুচ্ছ। রেলিং ধরে ধীরে ধীরে একতলার দিকে নামতে শুরু করলেন অলকা।
বিশদ

28th  June, 2020
চলার পথে
ফ্রেদরিকের চিঠি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অমর মিত্র। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৮

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

14th  June, 2020
নিলডাউন

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।  বিশদ

14th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

07th  June, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

07th  June, 2020
স্বপ্নসঙ্গী 

উদয়চাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়: ট্রেনটা প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি করে ঢুকল গোমো স্টেশনে। বাতানুকূল কামরা থেকে নেমে আসে তন্বী পিয়ালি। ভিড় এড়িয়ে, সঙ্গের চাকা লাগানো ব্যাগটা নিয়ে একটু সরে এসে, উদ্বিগ্ন চোখে দু’দিকে তাকায়। একটা সাধারণ পোশাক পরা যুবক পিয়ালির সামনে এসে বলে, আপনি মুখার্জি স্যারের ফরেস্ট বাংলোয় যাবেন তো?
পিয়ালি ভ্রু কুঁচকে বলে, কে তুমি?  বিশদ

31st  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

পথে চলতে চলতে বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তুলসীর। বহু পেশার মানুষ দেখেছেন। তাই যে কোনও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি উপুড় করে দিতেন। নিজের দেখা মানুষের ছাঁচে ফেলে গড়ে তুলতেন চরিত্রটি। তাই তাঁর অভিনয় ওরকম স্বাভাবিক মনে হতো।
বিশদ

31st  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো!
বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সর্পাঘাতে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভাতশালা এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের নাম দেব সোরেন(১২)।   ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: বৃহস্পতিবার লালগোলা থানার নাটাতলা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ তরল মাদক কোডাইন ফসফেট সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম আনোয়ার শেখ। তার বাড়ি লালগোলা থানার তারানগরে।   ...

নয়াদিল্লি: এবার লাদাখ ইস্যুতে সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়াল জাপান। শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও একটি শক্তির জোরজবরদস্তি করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার আর ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হচ্ছে না। শুক্রবার দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM