Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভার্চুয়াল স্ট্রাইক নাকি ড্যামেজ কন্ট্রোল!
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের কোনও রাষ্ট্রনেতা তাঁর মতো বিদেশ সফর করেননি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও বিনিয়োগ টানতে চীনে গিয়েছেন অনেকবার। তখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দশ বছরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং চীনে গিয়েছেন ২ বার। ৬ বছরে নরেন্দ্র মোদি? ৫ বার। চীনা প্রধান জি জিনপিং যখন ভারতে এসেছিলেন, মামাল্লাপুরমে ছিল এলাহি ব্যবস্থা। সেদিনের একাধিক ছবিতে স্পষ্ট, মোদির সঙ্গে জিনপিংয়ের দারুণ দোস্তি। সবরমতী আশ্রমের কাছে দু’জন একই দোলনায় দুললেন। উপহার বিনিময় করলেন। পাশাপাশি বসে ডাবের জলে চুমুক। বহুল প্রচারিত সেইসব ছবি। এত বন্ধুত্বের পরিণতি কী?
ভারত–চীন যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ৫৮ বছর আগে। সেটা অবশ্যই ধাক্কা। নেহরু–চৌ এন লাই ঘনিষ্ঠতা, ভারত–চীনি ভাই ভাই থেকে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ। তারপর, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তার বড় অবদান ১৯৭৭ সালে বিদেশমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির। এতদিন পর, ফের সংঘাত। রক্তপাত। গালওয়ানে ২০ জওয়ানের শহিদ হওয়ার পর বিবৃতি দিতে ৩৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় চীনের নাম উধাও। কেন?
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন? ‘মন কি বাতে’ সীমান্ত সমস্যা ইস্যুতে বলতে গিয়ে কেন চীনের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছেন? সর্বদলীয় বৈঠকে “কেউ ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকেনি, কেউ ভারতের সীমান্ত ঘাঁটি দখলও করেনি” বলে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন কেন? তাহলে ২০ জন জওয়ানকে শহিদ হতে হল কেন? সীমান্ত সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী আর সেনা প্রধানের বয়ানে গরমিল থাকছে কেন?
যে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী ফায়দার জন্য উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে বারবার, সেই তিনি চীনের মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে চলতি সংঘাতের আবহে কী করে এমন মন্তব্য করে বসলেন? ভারতের ভূখণ্ডে নাকি এক ইঞ্চিও ঢোকেনি চীন-বাহিনী, ভারতের সেনাবাহিনীও নিয়ন্ত্রণরেখা পেরয়নি। তা হলে দুই বাহিনীর
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষটা ঘটল কীভাবে? এই সব কঠিন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেয়ে নজর ঘুরিয়ে দেওয়া
ভালো শেয়ারইট আর টিকটকের দিকে। যাকে বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল!
অতএব, ফোন থেকে সবরকম চৈনিক চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে। স্রেফ জাতীয়তাবাদের জিগির তুলতে চীনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল। এর
মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, ফাইল শেয়ারের জন্য ব্যবহৃত শেয়ারইট এবং ক্যাম স্ক্যানার, যে অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ছবি ও ডকুমেন্ট স্ক্যান করা যায়। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা বেশ কিছু অ্যাপ, বিশেষত টিকটকের এদেশে ১০ কোটি অ্যাকটিভ ইউজার রয়েছেন। হেলো ও লাইকির মতো প্ল্যাটফর্ম এবং ভিডিও চ্যাট অ্যাপ বিগো লাইভ যেসব ভারতীয়রা ইংরেজিতে তত সক্ষম নন, তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের বিকল্প খুঁজতে হবে। সেই বিকল্প কী? এ ছাড়াও এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভারতীয় ক্রিয়েটর রয়েছেন, যাঁদের অনেকেরই এটিই একমাত্র উপার্জনের জায়গা। অনেকগুলি অ্যাপের ভারতে অফিস ও কর্মী রয়েছেন, কয়েক হাজার চাকরি এবার বিপন্ন।
জাতীয়তাবাদী আবেগ নিয়ে কেউ কেউ একে বলছেন: ‘ভার্চুয়াল স্ট্রাইক’!
১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সময়ও নয়া জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে এভাবেই চীন সম্পর্কিত নাড়ি ছেঁড়ার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও তখন চীনা পণ্য এই হারে উৎপাদন হতো না। দেশে-দেশে রপ্তানিও হতো না। এখন ঘরে ঘরে চীন। হাতে হাতে চীন। তার কারণ, চীনা পণ্য সস্তা। আর সস্তা বলেই মানুষ কিনছে। তাই আমদানিও হচ্ছে। কয়েকটি খবরের চ্যানেলে এ বিষয়ে তুমুল আলোচনা। খেয়াল করেছেন, সেইসব অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনদাতা কিন্তু চীনা মোবাইল সংস্থা!
যাঁরা আমদানি-রপ্তানি বাজারের খবর রাখেন, তাঁরা জানেন, কোথায় কার টিকি বাঁধা। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশজোড়া নোটবন্দি করে জিনিসপত্র কেনাবেচায় টাকা লেনদেনের জন্য পেটিএম-পথ বাতলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই পেটিএম কোম্পানির প্রধান অংশীদার কে জানেন? চীনের আলিবাবা গ্রুপ। এলইডি লাইট, টুনি চেন, টর্চ, লাইটার, ব্যাটারি, মোবাইল বা আতসবাজিতেই চীনা পণ্যতালিকা শেষ নয়, ওগুলো স্রেফ খেলনা। জীবনদায়ী যাবতীয় ওষুধের কাঁচামাল আসে চীনের উহান প্রদেশ থেকে। তা যদি বয়কট করা হয়, আমাদের ওষুধ শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। এছাড়া স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়ার পতাকা যারা বহন করছে, তাদের অধিকাংশই চলছে এখন চীনা বিনিয়োগে ও অংশীদারিত্বে। ফ্লিপকার্ট, ওলা, ওয়ো, বিগ-বাস্কেট—সব
মিলিয়ে বিনিয়োগ প্রায় চার বিলিয়ন ডলার, কাজ তৈরি হয়েছে প্রায় এক কোটি।
সর্দার প্যাটেলের মূর্তি বা নাগপুরের মেট্রো প্রোজেক্ট যদি ছেড়েও দিন, গোটা লকডাউন-পর্ব বা এখন আনলক-পর্বে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ঘন-ঘন যে বৈঠক করলেন, তার অ্যাপ মানে জুম অ্যাপটির মালিক এক চীনা। এরিক ইউয়ান। কিংবা গত ৯ জুন কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয়ে অমিত শাহ ভার্চুয়াল জনসভা করে বাংলার ভোটপ্রচারের প্রাথমিক সূচনা করলেন, তার কারিগরি টিকিও তো চীনের সঙ্গে বাঁধা। ওই যে সোশ্যাল ডিসট্যান্স রক্ষা করতে ঘরে বসে খাবারের অর্ডার দিচ্ছেন, তার বাহক, জ্যোম্যাটো বা সুইগি কোম্পানিরও সিংহভাগ শেয়ার চীনের। শুধু তাই-ই নয়, যুদ্ধ আবহে চীনা পণ্য পোড়ানোর ছবি তুলেছেন যে মোবাইল ফোনে, সেটাও কোনও চীনা কোম্পানির! চীনা লগ্নি যে এখন কার-কার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আছে, তা বাছতে গেলে গাঁ উজাড় হবে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ বলে শোর তুললেই তো হয় না, ‘মেক’-টা করবে কে? মার্কিন লগ্নির আপ্যায়নে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে তো? মোদি সরকার যতই মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা বলুক, পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চীনা পণ্যের আমদানি এ দেশে কমেনি। বরং বেড়েছে। এর একটা বড় অংশ আবার রিয়্যাক্টর, বয়লারের মতো জটিল যন্ত্র, বিভিন্ন বৈদ্যুতিন পণ্য কিংবা তার যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। এই সমস্ত পণ্য আসার পথে রাতারাতি দেওয়াল তুলে দিলে, দেশের উৎপাদন শিল্প সেই ধাক্কা সহ্য করতে পারবে তো? অন্য জায়গা থেকে বেশি দরে কাঁচামাল কিনতে হলে, তাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে দেশে কম দামে পণ্য বিক্রি? কিংবা দরের গলাকাটা লড়াইয়ে জিতে বিশ্ব বাজারে কল্কে পাওয়া?
সীমান্তে আগ্রাসনের জবাবে চীনা পণ্য বয়কট করুন। বাণিজ্যের দরজায় খিল এঁটে শায়েস্তা করা হোক বেজিংকে। লাদাখে সংঘর্ষের পর থেকে এই দাবিতে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। পুরোদস্তুর প্রচারে সঙ্ঘের শাখা স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। বর্জনের দাবিতে ৫০০-রও বেশি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি-ও। অথচ, গত ১৮ জুন এক ই-কমার্স সংস্থায় স্বল্প সময়ের ছাড়ে (ফ্ল্যাশ সেল) মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এক চীনা সংস্থা। সব বিক্রি হতে আধ ঘণ্টাও সময় লাগেনি! চীনা পণ্যের বিকল্পের খোঁজ কিংবা বেজিংয়ের বাণিজ্যিক প্রত্যাঘাত হজম করার কলজে এই মুহূর্তে ভারতীয় অর্থনীতির কতখানি, সে বিষয়েও তেমন নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। কে কাকে বোঝাবে, চীনা পণ্য মানে গুটিকয় চীনা খাবারের রেস্তোরাঁ নয়!
সামান্য গুগল সার্চ করলেই দেখতে পাবেন, চীনের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ঊর্ধ্বমুখী। ২০০৬-এ যে চীন-ভারতের মধ্যে ব্যবসা হতো ২৩.৪৭ বিলিয়ন ডলারের সেটাই ২০১৯-২০ তে বেড়ে ৯২ বিলিয়ন ডলার। ভারতে আমদানি বাবদ ৭৪ বিলিয়ন ডলার চীনে ঢোকে। সেটা চীনের বছরে মোট রপ্তানির মাত্র ২ শতাংশ। চীনে রপ্তানির বাবদ ভারতের কোষাগারে ঢোকে ১৮ বিলিয়ন ডলার। আমদানি এবং রপ্তানির মধ্যে এই যে পার্থক্য, মার্কেটের পোশাকি ভাষায় এটাই, ‘বাণিজ্যিক ঘাটতি’। তাই চীনের ২ শতাংশ রপ্তানির কোমর ভাঙার আগে, আমাদের ওই বিপুল আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা তো করতে হবে, তাই না?
আমদানির তালিকায় শুধু সস্তার আলো, খেলনা, ইলেকট্রিকাল বা ইলেকট্রনিক্স (যেমন ফোন, টিভি) নেই। আছে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। যেমন— ওষুধ, কৃষির জন্য কীটনাশক, টেলিকম
ও কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি, ব্যাটারি-র লিথিয়াম ইত্যাদি। দেশে যে ওষুধ তৈরি হয়, তার ৭৫ শতাংশ কাঁচামাল চীনের। কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে
তা প্রায় ৮৫ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে
ভারতের যে সাফল্য, তাতে চীন থেকে আসা সস্তার কাঁচামালের ভূমিকা প্রধান। দেশে কৃষিক্ষেত্রে যে কীটনাশকের ব্যবহার, তার ৮০ শতাংশ কাঁচামাল চীনের। যে টেলিকম শিল্পের হাত ধরে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে, ৩জি বা ৪জি, তার যন্ত্রাংশের ৭৫ শতাংশ চীনের।
ভারতের বাজারে চীনের এই ব্যাপক বিনিয়োগের বিকল্প দিশা দেখাবে কে? চীনের সঙ্গে মোদি সরকারের ব্যবসায়িক সখ্যের লিস্টি বেশ লম্বা। সম্প্রতি খবরে প্রকাশ, ‘পিএম কেয়ার’-এ চীনের কোম্পানিগুলির মোট অনুদানের পরিমাণ নাকি প্রায় ৫০ কোটি! ভারতের যে রাজ্যে চীনের বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি, সেটা টানা ১৯ বছরের বিজেপি শাসিত গুজরাত।
মনে রাখবেন, ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় ২৭ বার ‘আত্মনির্ভর’ বললেই ঩঩কিন্তু চীনের মোকাবিলা করা যায় না! 
03rd  July, 2020
মধ্যবিত্তের লড়াই শুরু হল
শুভময় মৈত্র 

কোভিড পরিস্থিতি চীনে শুরু হয়েছে গত বছরের শেষে। মার্চ থেকেই আমাদের দেশে হইচই। শুরুতেই ভীষণ বিপদে পড়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা এখন সকলেই জানেন।  বিশদ

রাজধর্ম
তন্ময় মল্লিক 

যেমন কথা তেমন কাজ। উম-পুন সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, টাঙিয়ে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা। ফেরানো হবে অবাঞ্ছিতদের হাতে যাওয়া ক্ষতিপূরণ।   বিশদ

উন্নয়ন  ও  চীনা  আগ্রাসনের  উত্তর  একসুতোয় গাঁথা
নীলাশিস  ঘোষদস্তিদার 

আমরা ভারতীয়রা চীনা পণ্য বয়কট করব কি না, এই প্রশ্নে অনেকেই বেশ দ্বিধায়। এই কারণে যে এত সস্তায় কেনা সাধের চীনা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ছেড়ে কি দামি আই-ফোন বা অকাজের দেশি ফোন কিনতে হবে?   বিশদ

03rd  July, 2020
চীনের নতুন পুতুলের নাম পাকিস্তান
হারাধন চৌধুরী 

পাকিস্তান ছিল আমেরিকার পুতুল। এবার সেটা হাত বদলে চীনের হয়েছে। চীনের কোনও কিছুর গ্যারান্টি নেই। যেমন তাদের কথা আর বিশ্বাসের মূল্য, তেমনি চীনা প্রোডাক্টের আয়ু। এ নিয়ে চালু রসিকতাও কম নয়।  বিশদ

02nd  July, 2020
‘শোলে’ ছবির পুনর্নির্মাণ
সন্দীপন বিশ্বাস

দৃশ্য ১
রামগড়ের পাহাড়ের কোলে নিজের ডেরায় রাগে ফুঁসছেন গব্বর সিং। হাতের লোহার বেল্টটা পাথুরে মাটিতে ঘষতে ঘষতে এদিক ওদিক করছেন। চোখ মুখ দিয়ে তাঁর রাগ উথলে পড়ছে। চারপাশে গব্বর সিংয়ের চ্যালা কালিয়া, সাম্ভারা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। একটু পরে গব্বর সিং বললেন, ‘হুম, সীমান্তে ওরা কতজন ছিল?’ কালিয়া ভয়ে মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওরা অনেকেই ছিল সর্দার। হাতে ওদের অনেক অস্ত্রশস্ত্রও ছিল।’
বিশদ

01st  July, 2020
সুদিনের আশায়
গ্রামীণ পর্যটন
দেবাশিস ভট্টাচার্য

 ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের গ্লোবাল হওয়ার কথা বললেন। বললেন দেশীয় উৎপাদন ও সম্পদকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে হবে। মেড ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর ওয়ার্ল্ড। ব্যাপারটাকে আমরা লোকাল টু গ্লোবাল হিসেবে দেখতে পারি। বিশদ

01st  July, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

30th  June, 2020
আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সর্পাঘাতে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভাতশালা এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের নাম দেব সোরেন(১২)।   ...

নয়াদিল্লি: এবার লাদাখ ইস্যুতে সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়াল জাপান। শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও একটি শক্তির জোরজবরদস্তি করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার আর ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হচ্ছে না। শুক্রবার দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লকডাউনের সুযোগে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠছে। এই প্রবণতা বাড়ছে দেখেই রাজ্যগুলিকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM