Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মধ্যবিত্তের লড়াই শুরু হল
শুভময় মৈত্র 

কোভিড পরিস্থিতি চীনে শুরু হয়েছে গত বছরের শেষে। মার্চ থেকেই আমাদের দেশে হইচই। শুরুতেই ভীষণ বিপদে পড়েছেন নিম্নবিত্ত মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা এখন সকলেই জানেন। আজকে আরও তিনমাস পরে সেই বিপদের উত্তাপ এবার নিচ থেকে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে টের পাওয়া যাচ্ছে। গোটা বিষয়টা বোঝার জন্যে আবার একবার অক্সফ্যাম নামক এক সংস্থার গবেষণায় সমীক্ষার সংখ্যাগুলো পেশ করা যাক। ২০১৭ সালে যে পরিমাণ সম্পদের সৃষ্টি হয়েছে তার ৭৩ শতাংশ পৌঁছেছে ওপরের এক শতাংশের হাতে। দেশের সম্পদের ৭৭ শতাংশ ধরে রেখেছেন ওপরের দশ শতাংশ মানুষ। আমাদের প্রায় একশো চল্লিশ কোটির দেশ। তাহলে চোদ্দো কোটি মানুষ যে অর্থনীতির অঙ্কে দারুণ ভালো আছেন তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ নেই। অন্যদিকে বিভিন্ন হিসেবে সরকার বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে আশি কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত। তাদের কাছে সামান্য কিছু যা সাহায্য পৌঁছচ্ছে তার থেকে এই পরিসংখ্যানের আভাস পাওয়া যায়। চোদ্দ আর আশি মিলে চুরানব্বই, তাতেও বাকি থাকল প্রায় ছেচল্লিশ কোটি। খুব জটিল অঙ্ক না কষলেও এটা বোঝা যায় যে ভারতবর্ষে দিন আনা দিন খাওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না এঁদের। এর মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য মিলিয়ে সরকারি কর্মচারী প্রায় চার কোটি, আর প্রতি পরিবারে চারজন ধরে ষোলো হয়। ছেচল্লিশ থেকে ষোলো বাদ দিন, হাতে থাকবে তিরিশ। অর্থাৎ তিরিশ কোটি মধ্যবিত্ত মানুষ নির্ভর করে আছেন বেসরকারি ক্ষেত্রের রোজগারের ওপর। বোঝাই যায় যে সাত থেকে আট কোটি মতো মানুষ বেসরকারি অফিস, পরিষেবাক্ষেত্র বা বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। এঁরা মধ্যবিত্ত এবং ভীষণ বিপদে, কারণ অতিমারী পরিস্থিতিতে অর্থনীতির সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে কাজ হারানোর সম্ভাবনা বাড়ছে। এর মধ্যেই অনেকে চাকরি খুইয়েছেন, ব্যবসা লাটে উঠেছে। অনেকের ক্ষেত্রে বেতন কমেছে। এখনও পরিসংখ্যান সেভাবে বেরোয়নি, কিন্তু পরিস্থিতির চাপে চরম পথ নেওয়ার খবর আনাগোনা করছে সংবাদমাধ্যমের জানলায়।
টেলিভিশনের আলোচনায় সন্ধেবেলা সঞ্চালক জিজ্ঞেস করছেন এর সমাধান, বিশেষজ্ঞরা গম্ভীর মুখে উত্তর দিচ্ছেন। কিন্তু সকলেই জানেন এর উত্তর সহজ নয়। আর তার থেকেও বড় মুশকিল একেবারে নিম্নবিত্তের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উপায় যেমন সরকারের জানা আছে, মধ্যবিত্তের কিন্তু সেই জায়গাটাই নেই। নিম্নবিত্তের কাছে ত্রাণের টাকা পৌঁছনো নিয়ে অনেক গল্প আছে, সত্যিই বরাদ্দ একশো টাকার মধ্যে ঠিক কত তাঁদের কাছে পৌঁছয় আর কতটা মাঝপথে উধাও হয়ে যায় সেটা আমাদের রাজনীতির মূল আলোচ্য বিষয়। শেষমেশ ত্রাণের একটা অংশ চুঁইয়ে তাঁদের কাছে পৌঁছয়। অন্যদিকে কোনও এক-দু’ কামরার আবাসের বারান্দা থেকে নীচের রাস্তায় চাল-ডাল বিলনো হচ্ছে দেখলেও মধ্যবিত্ত খুব সহজে সেই সারিতে দাঁড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে দু’-একটি ঘটনার কথা উদাহরণ হিসেবে বলতেই হয়। ধরুন এক কিশোরীর কথা। সময়টা হতে পারে ষাটের দশক, যখন তার বাবার ব্যবসাটা একবারেই চলছে না। অথবা আজকের কোভিড অতিমারী, যখন পিতৃদেবের বেসরকারি চাকরিটা গেছে। মেয়েটির বাড়িতে তিনবেলা খাবার হওয়া বন্ধ, অর্থাৎ সকালের জলখাবারের পাট চুকে গিয়েছে। এখন কোনওভাবে দুপুরের ভাত আর বিকেলের রুটি। পাশের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকে সেই কিশোরীর বান্ধবী। সৌভাগ্যবশত বান্ধবীর পরিবারে এখনও বজায় আছে স্বচ্ছলতা। সে হয়তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে সকালের জলখাবারে পাউরুটি-মাখন খাচ্ছে আর তার ধারের অংশটুকু ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলছে সামনে উড়তে থাকা কাকগুলোর জন্য। এ দৃশ্য দেখে যদি প্রথম কিশোরীর খিদে পায়, সে শুধু গিলতে পারে ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস। গোপনে ফেলতে পারে চোখের জলটুকুই। একেবারে নিম্নবিত্ত পাশাপাশি বাস করা দুই পরিবারের একজনের অভুক্ত থাকার সঙ্গে মধ্যবিত্তের বিভাজন অনেকটা আলাদা। নীচের তলায় চাওয়ার লজ্জা খুব বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, কিন্তু মধ্যবিত্তের শরীর জাপটে থাকে বংশগত আত্মসম্মান। পাশের বাড়ি থেকে রবিবারের দুপুরে উড়ে আসা মাংসের ঝোলের গন্ধ প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেয় অতীতে ঠিক কোথায় ছিলাম আর ঘটমান বর্তমানে কোথায় আটকে গেছি। মধ্যবিত্তের সন্তান অন্যের বাড়িতে গিয়ে আইসক্রিম কাপের তলাটুকু জিভ দিয়ে চাটলে বাবা-মা আড়ালে তাকে কানমলা দেন। সে সমস্যা নিম্নবিত্তের নেই।
মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা পেরিয়ে আবার একটু অঙ্কে ফিরে আসি। আট কোটি মধ্যবিত্ত মানুষের রোজগার প্রতি মাসে গড়ে পঁচিশ হাজার টাকা করে ধরলে দাঁড়ায় দু’লক্ষ কোটি। অর্থাৎ বছরে চব্বিশ লক্ষ কোটি টাকা। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশের বাৎসরিক বাজেট তিরিশ লক্ষ কোটির কিছুটা বেশি। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের যে বাজার তা বিপুল। আর এই মধ্যবিত্তের বাজারের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত। আজকের দিনে রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পর্যটন, শিক্ষা থেকে শুরু করে বিউটি পার্লার, সব জায়গাতেই লকডাউনের তীব্র প্রভাব। উচ্চ মাধ্যমিকের কয়েকটা পরীক্ষা বাকি থেকে যাওয়া অবস্থায় ভ্যান-রিকশায় সব্জি বিক্রি করতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেকেই। সারাদিন খেটে এসে ক্লান্ত চোখে চলছিল পড়া মুখস্থ। আজকে ভাগ্যিস সেই বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের খবর এসেছে। সন্ধেবেলা আর পড়তে হবে না। কোনওমতে রিচার্জ করে আনা মোবাইল ফোনে সে জীবনমুখী গান শোনে। কিন্তু তার মধ্যেই আবার মাথায় আসে সামনের দিনে কলেজে ভর্তি হওয়ার দুশ্চিন্তা। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করা কোনও এক মধ্যবিত্তের চাকরিটা এখনও টিমটিম করছে, কিন্তু মাইনে কমেছে অনেকটা। একদিকে ইএমআই, অন্যদিকে সন্তানের ইস্কুলের ফি কিংবা গৃহশিক্ষকের বেতন। স্কুলের ফি নিয়ে গন্ডগোলে সেখানকার মালিক মাইনে কাটছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, তাঁরাও আবার মধ্যবিত্ত। শুধুমাত্র গৃহশিক্ষকতা করে মাসে হাজার কুড়ি টাকা রোজগার করতেন যে মানুষটি, লকডাউনে তিনি পড়েছেন মহা আতান্তরে। একদিকে ছাত্রের মা বলছে সাম্মানিক দিতে অসুবিধের কথা, অন্যদিকে নিজের মেয়ের জন্যে নতুন বছরের স্কুলের বইগুলো কেনা হয়নি। ভীষণ এক আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে মধ্যবিত্তের প্রতিদিন। রেললাইনের ধারে বসতি পুড়লে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পান নিম্নবিত্ত মানুষ। পাড়ার নেতা ত্রাণের ব্যবস্থা করেন, রাতের থাকার ব্যবস্থা হয় স্কুলবাড়িতে, আবার কিছুদিন পর শুরু হয় ত্রিপল টাঙিয়ে জীবনযুদ্ধ। মধ্যবিত্তের জীবনখাতায় সেই অঙ্ক মেলে না। সেখানে কাজের লোকের ছুটি হয়, ছেলেমেয়ের টিউশনের মাস্টার কাজ হারান, বাড়ির টেলিভিশন খারাপ হলে সারানো হয় না, সোফা ছিঁড়ে তুলো বেরতে থাকে, কাজ হারানো গৃহকর্তা বেলা এগারোটার পর বাজার যান শুকনো সব্জির সন্ধানে, পঞ্চাশ টাকা থেকে চালের কিলো নামে তিরিশে, আমিষ বলতে শুধু ডিম, পাতা ভুলে সস্তার ফোটানো চায়ের উষ্ণতায় দিন গড়ায়। এখানে একশো দিনের কাজ নেই।
তবে মনে রাখতে হবে, প্রথম বিশ্বের দেশগুলো এই বিষয়ে ভাবছে। মার্কিন দেশে যাঁরা কর দেন তাঁদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্কে পৌঁছে গিয়েছে বেশ কয়েক হাজার ডলার। ঠিক সেরকমই আমাদের দেশেও বেসরকারি বহু কর্মচারী কর দেন, গাদা গাদা জিএসটি দেন বহু ব্যবসায়ী। সেখান থেকে পরিসংখ্যান নিয়ে তাঁদের আগের বছরের রোজগার এবং এ বছরের আয়ের তুলনা করে সরকার গত বছরের দেওয়া কর থেকে কিছুটা ফেরত দিতে পারেন। সরকারি ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ইএমআই আপাতত শোধ করতে হবে না সেকথাও বলতে পারেন। এরকম কথা সরকার বলেছেন, কিন্তু তাতে অনেকটাই ফাঁকি, কারণ সুদ চড়ছে ইএমআই না দিলে। অর্থাৎ দেশ যদি হয় কল্যাণকামী, তাহলে সমাজতন্ত্র বা পুঁজিবাদের কচকচিতে জনগণের জীবন বিপর্যস্ত হয় না। নিম্নবিত্তকে যেভাবে সামলানো যায় শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে সেই পথে দমিয়ে রাখা কিন্তু শক্ত। সকলেই তো আর লুকিয়ে জীবন থেকে পালিয়ে যাবেন না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মধ্যবিত্ত যদি সবাই একসঙ্গে কোণঠাসা বিড়ালের মতো ফোঁস করে ওঠে, সরকারের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে নেতানেত্রীরা একটু ভাববেন কি?
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
রাজধর্ম
তন্ময় মল্লিক 

যেমন কথা তেমন কাজ। উম-পুন সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, টাঙিয়ে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা। ফেরানো হবে অবাঞ্ছিতদের হাতে যাওয়া ক্ষতিপূরণ।   বিশদ

উন্নয়ন  ও  চীনা  আগ্রাসনের  উত্তর  একসুতোয় গাঁথা
নীলাশিস  ঘোষদস্তিদার 

আমরা ভারতীয়রা চীনা পণ্য বয়কট করব কি না, এই প্রশ্নে অনেকেই বেশ দ্বিধায়। এই কারণে যে এত সস্তায় কেনা সাধের চীনা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ছেড়ে কি দামি আই-ফোন বা অকাজের দেশি ফোন কিনতে হবে?   বিশদ

03rd  July, 2020
ভার্চুয়াল স্ট্রাইক নাকি ড্যামেজ কন্ট্রোল!
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের কোনও রাষ্ট্রনেতা তাঁর মতো বিদেশ সফর করেননি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও বিনিয়োগ টানতে চীনে গিয়েছেন অনেকবার। তখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দশ বছরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং চীনে গিয়েছেন ২ বার।  বিশদ

03rd  July, 2020
চীনের নতুন পুতুলের নাম পাকিস্তান
হারাধন চৌধুরী 

পাকিস্তান ছিল আমেরিকার পুতুল। এবার সেটা হাত বদলে চীনের হয়েছে। চীনের কোনও কিছুর গ্যারান্টি নেই। যেমন তাদের কথা আর বিশ্বাসের মূল্য, তেমনি চীনা প্রোডাক্টের আয়ু। এ নিয়ে চালু রসিকতাও কম নয়।  বিশদ

02nd  July, 2020
‘শোলে’ ছবির পুনর্নির্মাণ
সন্দীপন বিশ্বাস

দৃশ্য ১
রামগড়ের পাহাড়ের কোলে নিজের ডেরায় রাগে ফুঁসছেন গব্বর সিং। হাতের লোহার বেল্টটা পাথুরে মাটিতে ঘষতে ঘষতে এদিক ওদিক করছেন। চোখ মুখ দিয়ে তাঁর রাগ উথলে পড়ছে। চারপাশে গব্বর সিংয়ের চ্যালা কালিয়া, সাম্ভারা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। একটু পরে গব্বর সিং বললেন, ‘হুম, সীমান্তে ওরা কতজন ছিল?’ কালিয়া ভয়ে মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওরা অনেকেই ছিল সর্দার। হাতে ওদের অনেক অস্ত্রশস্ত্রও ছিল।’
বিশদ

01st  July, 2020
সুদিনের আশায়
গ্রামীণ পর্যটন
দেবাশিস ভট্টাচার্য

 ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের গ্লোবাল হওয়ার কথা বললেন। বললেন দেশীয় উৎপাদন ও সম্পদকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে হবে। মেড ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর ওয়ার্ল্ড। ব্যাপারটাকে আমরা লোকাল টু গ্লোবাল হিসেবে দেখতে পারি। বিশদ

01st  July, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

30th  June, 2020
আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার আর ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হচ্ছে না। শুক্রবার দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: বৃহস্পতিবার লালগোলা থানার নাটাতলা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ তরল মাদক কোডাইন ফসফেট সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম আনোয়ার শেখ। তার বাড়ি লালগোলা থানার তারানগরে।   ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সর্পাঘাতে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভাতশালা এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের নাম দেব সোরেন(১২)।   ...

নয়াদিল্লি: এবার লাদাখ ইস্যুতে সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়াল জাপান। শান্তিরক্ষায় ভারতের প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও একটি শক্তির জোরজবরদস্তি করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM