Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী— প্রথম কিস্তি।

সেই অর্থে কখনওই তাঁকে সুপুরুষ বলা যাবে না। সম্বল বলতে ছিল একটা নোয়াপাতি ভুঁড়ি, সাদামাঠা পিঠ ও অপূর্ব উজ্জ্বল একজোড়া চোখ। যে চোখ জুড়ে ‘পরশপাথর’ ছবির পোস্টার করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। এইটুকু নিয়েই তুলসী চক্রবর্তী দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অভিনয়ের আঙিনায়। উদোম গায়েই মাতিয়ে দিয়েছেন নানা রঙের চরিত্রে। নায়ক-নায়িকা থাকলেও শুধু অভিনয়ের জোরেই ছবিতে আলাদা করে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতেন তিনি।
মাটিতে পা দিয়ে চলেছেন চিরকাল। ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসে চড়ে যাতায়াত করতেন। স্টারডমের ছটা কোনওদিন গায়ে লাগতে দেননি। তুলসী চক্রবর্তীর অভিনয় সম্বন্ধে বলতে গিয়ে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এক জায়গায় বলেছেন, ‘কেউ যদি দেখাতে পারেন কোনও ছবিতে খারাপ অভিনয় করেছেন তুলসী চক্রবর্তী, তাহলে আমি লাখ টাকা বাজি হেরে যাব। নাটক এবং চলচ্চিত্র দু’ক্ষেত্রেই কী সাবলীল, স্বাভাবিক অভিনয়! কখন কেমন অভিনয় করতে হবে, সে মাপটাও যে কখন বদলে ফেলতেন, কেউ ধরতেই পারত না। কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াই খুব উঁচু দরের সহজাত অভিনয় ক্ষমতার মালিক ছিলেন তিনি।’
নিজের মধ্যে যে কী পরিমাণ অভিনয়ের ক্ষমতা ছিল, তা কিছুতেই বুঝতে চাইতেন না তুলসী। তাঁর অভিনয়টাকে কখনওই অভিনয় বলে মনে হতো না। এতটাই ‘প্রপারলি বিহেভ’ করতেন তিনি। জিজ্ঞাসা করতে বলতেন, ‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো! হ্যাঁ, অভিনেতা ছিলেন বটে আমার গুরু অপরেশ মুখুজ্যে। উনি আমাদের মতো সব গাধাকে পিটিয়ে ঘোড়া বানিয়েছেন। অভিনেতা বললে উনি-ই। অমন আর হবে না!’
বহু রঙ্গমঞ্চের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা-পরিচালক তথা নাট্যকার অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় যে তুলসী চক্রবর্তীকে অভিনেতা তৈরির পিছনে অবদান রেখেছিনে, এ কথা সত্য। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার কথা প্রথম জীবনে ভাবার অবকাশ ছিল না তুলসীর। ছোটবেলাটা খুব এলোমেলোভাবে কেটেছে তাঁর। বাবা আশুতোষ চক্রবর্তী চাকরি করতেন রেলে। কৃষ্ণনগরের গোয়ারি নামে এক ছোট্ট গ্রামে ১৮৯৯ সালের ৩ মার্চ তুলসী চক্রবর্তীর জন্ম হয়। মা নিস্তারিণী দেবী ছিলেন সাধারণ গৃহবধূ। তাই ছোটবেলায় এ গ্রাম-সে গ্রাম ছুটে বেড়িয়েছেন তুলসী। চাকরির প্রয়োজনে তাঁর বাবাকে নানা জায়গায় ঘুরতে হতো। ফলে বালক তুলসীকে জোড়াসাঁকোয় জ্যাঠামশাই প্রসাদ চক্রবর্তীর কাছেই থাকতে হতো অনেক সময়। অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ হওয়ায় পড়াশোনাটাও বেশি দূর চালাতে পারেননি তুলসী। সামান্য যা কিছু শিখেছিলেন, তাও মাঝ পথে বন্ধ করে দিতে হয়। শুরু হয় যাযাবর জীবন।
অপরেশ মুখুজ্যের আগে তুলসী চক্রবর্তীর মাথায় অভিনয়ের পোকাটা নাড়িয়েছিলেন তাঁর জ্যাঠামশাই প্রসাদবাবু। পুরোপুরি অভিনয়ে মনোনিবেশ করার আগে উপার্জনের জন্য নানা কাজ করতে হয়েছে এই অভিনেতাকে। লোকের জন্য মদের চাট তৈরি করা থেকে শুরু করে সার্কাসে জন্তু-জানোয়ার স্নান করানো কী না করেছেন! কিন্তু সে সব পরে।
বাবা মারা যাওয়ার পর জ্যাঠামশাইয়ের আশ্রয়েই পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন তুলসী। প্রসাদবাবুর একটা অর্কেস্ট্রা গ্রুপ ছিল। আর ছিল তাঁর অ্যামেচার ক্লাবে গান-বাজনা-যাত্রা-থিয়েটার। প্রসাদবাবু দিনরাত ওসব নিয়েই পড়ে থাকতেন। কলকাতা শহরে বড়লোকদের বাড়ির পুজোআচ্চায় তাঁর দল গান গাইতে যেত। নাটক করতেন। কলকাতার বাইরেও দলের জন্য বায়না আসত। আর এখান থেকেই প্রাথমিক অভিনয়ের ইচ্ছাটা তাঁর মনে জাগল।
প্রসাদ চক্রবর্তীর অ্যামেচার ক্লাবে অভিনয়ের সুযোগ না পেলেও গান গাওয়ার সুযোগ পেতেন তুলসী। গানের গলাটা মন্দ ছিল না তাঁর। কীর্তন, কবিয়াল, শ্যামাসঙ্গীত— সব ধরনের গান গাইতে পারতেন। মাঝে মাঝে তরজার আসরেও মূল গায়কের সঙ্গী হয়ে নেমে পড়তেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি নাচও রপ্ত করে ফেললেন। অভিনয়ের প্রাথমিক পাঠ হয়ে গেল সেখান থেকেই। গিরিশ পার্কের কাছে এক ব্যায়ামাগারে শরীরচর্চাও করতেন নিয়মিত।
কিন্তু সেসব বেশিদিন চলল না। প্রসাদবাবু দারুণ হারমোনিয়াম বাজাতেন। সেই সুবাদে তিনি স্টার থিয়েটারে অর্কেস্ট্রা গ্রুপে চাকরি নিলেন। ক্লাব গেল বন্ধ হয়ে। এদিকে লেখাপড়া বিশেষ জানেন না বলে তুলসী ভালো কোনও কাজ জোটাতে পারলেন না। আবার বসে বসে জ্যাঠামশাইয়ের অন্ন ধ্বংস করতেও মনে বাঁধত।
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অভিপ্রায়ে চিৎপুরে এক চাটের দোকানে চাকরি নিলেন তুলসী। সন্ধেবেলা দোকানে মাতালরা ভিড় করত। মদের সঙ্গে পাঁঠার ভুঁড়ির চচ্চড়ি, কষা মাংস চাট হিসাবে তারা খেত। মাতালদের এঁটো প্লেট ধুয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন পরবর্তীকালে বাংলা ছবির অন্যতম শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেতা হয়ে ওঠা তুলসী চক্রবর্তী।
সেই দোকানে হঠাৎই একদিন এসে হাজির হন প্রসাদবাবু। ভাইপোর কাজের ধরন দেখে তো তিনি রেগে এক্কেবারে অগ্নিশর্মা। একটাও কথা না বলে ভাইপোর চুল ধরে হিড় হিড় করে টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে গেলেন। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘ব্যাটা, সাবলম্বী হতে চাইছ? তা আর কোনও কাজ জুটল না! বামুনের ছেলে হয়ে মাতালদের এঁটো পরিষ্কার করতে লেগেছ!’ এই বলে তুলসীর মাথায় বসালেন এক রামগাঁট্টা।
এই রামগাঁট্টাই কিছুটা সম্বিত ফেরাল তুলসীর। বাকি খোঁচাটা দিল জাত্যভিমান। তুলসী নিজেই বলে গিয়েছেন, ‘ওই যে জ্যাঠা বললেন, বামুনের ছেলে। তাতেই অনেকটা কাজ হল। আমার আবার বামনাই ব্যাপারটা চিরদিনই একটু বেশি বেশি কিনা।’
(ক্রমশ)
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
অলঙ্করণ: বিশ্বনাথ ঘোষ
24th  May, 2020
ফেয়ার-ওয়েল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়
(১)

 নাইন-বি এর ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে চললেন অলকানন্দা রায়চৌধুরী, ছাত্রীদের প্রিয় শিক্ষিকা ‘অলকা দি’। গতকাল রাত থেকেই হাঁটুর ব্যথাটা আবার চাগাড় দিয়েছে, পা মুড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে মনের ভিতর যে ব্যথাটা জমে রয়েছে তার কাছে এই হাঁটুর ব্যথাটা তো একেবারেই তুচ্ছ। রেলিং ধরে ধীরে ধীরে একতলার দিকে নামতে শুরু করলেন অলকা।
বিশদ

28th  June, 2020
চলার পথে
ফ্রেদরিকের চিঠি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অমর মিত্র। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

28th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ২৮

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

14th  June, 2020
নিলডাউন

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।  বিশদ

14th  June, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ তুলসী চক্রবর্তী। তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

07th  June, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

07th  June, 2020
স্বপ্নসঙ্গী 

উদয়চাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়: ট্রেনটা প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি করে ঢুকল গোমো স্টেশনে। বাতানুকূল কামরা থেকে নেমে আসে তন্বী পিয়ালি। ভিড় এড়িয়ে, সঙ্গের চাকা লাগানো ব্যাগটা নিয়ে একটু সরে এসে, উদ্বিগ্ন চোখে দু’দিকে তাকায়। একটা সাধারণ পোশাক পরা যুবক পিয়ালির সামনে এসে বলে, আপনি মুখার্জি স্যারের ফরেস্ট বাংলোয় যাবেন তো?
পিয়ালি ভ্রু কুঁচকে বলে, কে তুমি?  বিশদ

31st  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

পথে চলতে চলতে বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তুলসীর। বহু পেশার মানুষ দেখেছেন। তাই যে কোনও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি উপুড় করে দিতেন। নিজের দেখা মানুষের ছাঁচে ফেলে গড়ে তুলতেন চরিত্রটি। তাই তাঁর অভিনয় ওরকম স্বাভাবিক মনে হতো।
বিশদ

31st  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, লালবাগ: বৃহস্পতিবার লালগোলা থানার নাটাতলা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ তরল মাদক কোডাইন ফসফেট সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম আনোয়ার শেখ। তার বাড়ি লালগোলা থানার তারানগরে।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লকডাউনের সুযোগে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠছে। এই প্রবণতা বাড়ছে দেখেই রাজ্যগুলিকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার আর ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হচ্ছে না। শুক্রবার দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   ...

চণ্ডীগড়: ভারতের নামী শ্যুটার অভিষেক ভার্মা কম্পিউটার সায়েন্সে বি-টেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সাইবার ক্রাইম নিয়ে চলছে পড়াশোনা। বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ের জোড়া সোনা জয়ী হরিয়ানার এই শ্যুটারের লক্ষ্য, আইনজীবী তথা সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ হওয়া। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে মামলা লড়তে চান তিনি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৯২: টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকি ভামরির জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৯ টাকা ৭৫.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬৯ টাকা ৯৪.৯৯ টাকা
ইউরো ৮২.৬৫ টাকা ৮৫.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮, ৯৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৯, ০৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী ২০/৪২ দিবা ১/১৭। জ্যেষ্ঠা ৪৭/৫০ রাত্রি ১২/৮। সূর্যোদয় ৫/০/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/২৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে। 
১৮ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ত্রয়োদশী দিবা ১২/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৭। সূযোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২২ মধ্যে। 
১১ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রুরা পরাভূত হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সামনে ভালো সুযোগ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ ১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াল 
মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। শনিবার রাতে ...বিশদ

09:57:35 PM

বেলভেড়িয়া রোডে বহুতলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন 

09:25:00 PM

গুলিবিদ্ধ উত্তর বারাকপুরের কাউন্সিলার 
উত্তর বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলারকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলার ...বিশদ

09:23:35 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ১,৮৩৯ জন, মোট আক্রান্ত ১১,৯৬৬ 

08:58:07 PM