Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি। শুধু তীর্থভূমি বলে নয়, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীতে পুষ্কর ছিল এক বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র। তিব্বত, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশর, ইয়ারখন্দ প্রভৃতি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চলত এখানকার।
শোনা যায়, পিতামহ ব্রহ্মা একবার যজ্ঞ করবার মানসে কিছুতেই জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই তিনি তাঁর শ্রীকরস্থিত একটি পদ্মফুল ছুঁড়ে দিয়ে স্থির করলেন এই ফুল যেখানে গিয়ে পড়বে সেখানেই হবে যজ্ঞস্থল। তা ফুলটি এসে পড়ল মর্তের এই পবিত্রভূমিতে। এর দুটি পাপড়িও খসে পড়ল কাছাকাছি দু’ জায়গায়। ফলে তিন জায়গায় তিনটি পুণ্যসলিলা হ্রদের সৃষ্টি হল। ব্রহ্মার শ্রীকরস্থিত পুষ্প থেকে সৃষ্টি হল পুষ্কর হ্রদের। এর নাম হল জ্যেষ্ঠ পুষ্কর। পরের দুটি হল মধ্যম ও কনিষ্ঠ পুষ্কর।
জ্যেষ্ঠ পুষ্করকে বলা হয় গুরুতীর্থ। এর এমনই মাহাত্ম্য যে এই তীর্থ দর্শনে ও স্নানে সর্বপাপমুক্ত হয়ে পুনর্জন্মও রহিত হয়।
যাই হোক, ব্রহ্মা তো যজ্ঞে বসলেন। সমস্ত দেবতারাও আমন্ত্রিত হয়ে এলেন সেখানে। ব্রহ্মা কুবেরকে বললেন, ‘যজ্ঞে আমন্ত্রিতরা ধন, বস্ত্র যিনি যা চাইবেন তাই দেবেন।’ বিশ্বকর্মাকে বললেন, ‘আপনি সমস্ত দেবতাদের জন্য সুন্দর আশ্রমের ব্যবস্থা করুন।’ বাসুদেবকে বললেন, ‘আপনি সেবকগণকে উপদেশ প্রদান করুন।’ শিবকে বললেন, ‘আপনি আমার যজ্ঞ রক্ষা করুন।’ বৃহস্পতিকে বললেন, ‘আপনি আমার যজ্ঞ কর্ম সফল করার জন্য উপযুক্ত একজনকে নিয়োগ করুন।’
বৃহস্পতি তখনই মহামুনি ভৃগুকে নির্বাচন করলেন।
যজ্ঞ শুরু হওয়ার মুহূর্তে অন্য এক মুনি পুলস্ত্য বললেন, ‘যজ্ঞ তো হবে কিন্তু যজ্ঞাসনের পাশে আপনার স্ত্রী কই? স্ত্রী ছাড়া এই যজ্ঞ তো পূর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।’
সত্যই তো, স্ত্রীহীন যজ্ঞ অসম্পূর্ণ এবং নিষ্ফল।
ব্রহ্মা নিজেও তখন বুঝলেন সত্যই খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। স্ত্রীহীন যজ্ঞ তো কোনও মতেই শাস্ত্রসম্মত নয়। তাই পুত্র নারদকে আদেশ দিলেন, ‘এখনই তোমার জননীকে যজ্ঞস্থলে নিয়ে এসো।’
ব্রহ্মাপত্নী সাবিত্রী আমন্ত্রণ পেয়েই নারদকে বললেন, ‘ঠিক আছে, তুমি যাও। আমি যাচ্ছি। আমি না যাওয়া পর্যন্ত তোমার পিতৃদেবকে একটু অপেক্ষা করতে বলো।’ এই বলে সখী পরিবৃতা হয়ে যজ্ঞস্থলে আসবার জন্য অনেক দেরি করে ফেললেন।
এদিকে যজ্ঞের বিলম্ব দেখে ঋষিগণ বললেন, ‘নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে যজ্ঞের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। এই মুহূর্তে আপনি বরং আপনার মনোমতো কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে যজ্ঞের কাজ শুরু করুন।’
ব্রহ্মা তো পড়লেন মহা বিপদে। এই মুহূর্তে স্ত্রী হিসেবে তিনি কাকে পান?
এ কাজের দায়িত্ব অবশ্য দেবরাজ ইন্দ্র নিলেন, জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বুঝিয়েসুঝিয়ে এক গোপকন্যাকে ধরে আনলেন। কিন্তু গোপকন্যা তো ব্রাহ্মণ নন। তাহলে তাকে দিয়ে যজ্ঞের অনুষ্ঠান কী করে সম্ভব?
ঋষিদের বিধানে তাও সম্ভব হল। সেই গোপকন্যাকে একটি গোরুর মুখ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে লেজের দিক দিয়ে বের করে শুদ্ধ করে নেওয়া হল। এইভাবে শুদ্ধ হওয়ার কারণে গোপকন্যা ব্রাহ্মণ হতে পারলেন। গো থেকে গায়ত্রী হলেন তিনি। ব্রহ্মা এবার তাঁকেই স্ত্রীরূপে গ্রহণ করে পাশে বসিয়ে শুরু করলেন যজ্ঞ।
এদিকে ঠিক তখনই কয়েকজন ঋষিপত্নী সহ সাবিত্রী এসে হাজির হলেন যজ্ঞস্থলে। ব্রহ্মার পাশে অন্য স্ত্রীলোক দেখেই তো রাগে কাঁপতে লাগলেন সাবিত্রী। রেগে ব্রহ্মাকেই শাপ দিলেন, ‘আপনি জ্ঞানী হয়েও আমার প্রতি অবিচার করলেন? ঠিক আছে, আজ থেকে পুষ্কর ছাড়া আর কোথাও অন্য দেবতাদের মতো আপনি পুজো পাবেন না।’ সাবিত্রী এবার ইন্দ্রকেও অভিশাপ দিলেন, ‘আপনি কখনও যুদ্ধজয়ী হবেন না। স্বর্গেও ভয়ে ভয়ে থাকবেন এবং সব সময় কামের বশীভূত হবেন।’ বিষ্ণুকে অভিশাপ দিলেন, ‘আপনি উপস্থিত থেকেও যখন আমার অবমাননা হল, তখন আপনাকেও মনুষ্যজন্ম গ্রহণ করতে হবে। রাবণ আপনার স্ত্রীকে অপহরণ করলে আপনার শুভকর্মে স্বর্ণময় স্ত্রীকে গ্রহণ করতে হবে।’
শিবকে শাপ দিলেন, ‘সুন্দরী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আপনাকে ছাই ভষ্ম মেখে ভূতেদের নিয়ে থাকতে হবে।’ আর যজ্ঞের ব্রাহ্মণ ঋষিদের বললেন, ‘আপনারা যুগ যুগ করে নির্ধন থাকবেন এবং অন্যের বৃথা দান গ্রহণ করে ভিখারির জীবনযাপন করবেন।’ গোরুকে অভিশাপ দিলেন, ‘যে মুখে তুমি গোপকন্যাকে পবিত্র করেছ সেই মুখে শুধু তৃণ নয়, বিষ্ঠাও খাবে।’ আর পবনকে অভিশাপ দিলেন, ‘এখন থেকে আপনি সুগন্ধ নয় দুর্গন্ধও বহন করবেন।’
ব্রহ্মা তখন করজোড়ে বললেন, ‘দেবী সাবিত্রী, আপনি ক্ষান্ত হন। আমার পাশে বসে যজ্ঞ সম্পূর্ণ করুন। এই গায়ত্রী আপনার দাসী হয়ে থাকবে।’
সাবিত্রী বললেন, ‘না। আর তা সম্ভব নয়।’ বলে নিকটবর্তী মরুময় প্রান্তরে একটি পর্বতশীর্ষে বসে কঠোর তপস্যা শুরু করলেন।
ব্রহ্মা তখন বাধ্য হয়েই গায়ত্রীকে নিয়ে যজ্ঞ সম্পন্ন করলেন।
পুষ্কর মাহাত্ম্যে আছে পুষ্কর হ্রদে স্নান করলে মানস সরোবরে স্নানের ফল হয়। প্রচণ্ড খরাতেও এর জল কখনও শুকোয় না। এখানে বেশ কয়েকটি অন্যান্য দেবদেবীর মন্দিরও আছে। এর মধ্যে ব্রহ্মার মন্দিরই প্রধান এবং প্রসিদ্ধও বেশি। তার কারণ সারা ভারতে ব্রহ্মার মন্দির আর কোথাও নেই। পুষ্কর সরোবরের পশ্চিমদিকে সাবিত্রী পাহাড় এবং উত্তর দিকে গায়ত্রী পাহাড়। যজ্ঞ শেষে গায়ত্রীও সেই পাহাড়ে বসে তপস্যা করেছিলেন।
ব্রহ্মার মন্দিরে দর্শন পূজা সেরে যাত্রীরা সাবিত্রী পাহাড়ে যান। পুষ্কর থেকে সাবিত্রী পাহাড়ে যেতে ছোট্ট একটি মরুভূমি পার হতে হয়। আরাবল্লি পর্বতমালায় ঘেরা এই মরুময় প্রান্তরের মাঝখানে বনময় সাবিত্রী পাহাড়ে ওঠার আনন্দই আলাদা। আমি আগে দু’বার এখানে এসেছি, দু’বারই পাহাড়ে উঠেছি। এই নিয়ে তৃতীয়বার। এতদিনে যে পথের মহাপ্রস্থান হয়ে গিয়েছে তা আমার জানা ছিল না। সেই ছোট্ট মরুভূমি এখন ক্ষুদ্র একটি জনপদ।
যাই হোক, ব্রহ্মা পত্নী সাবিত্রী মাতাকে আমি আমার বারো বছর বয়স থেকে দর্শন করছি। হয়তো-বা এই আমার শেষ দর্শন। সাবিত্রী মাতার মন্দির খুব একটা বড়সড় নয়। মন্দিরের রং সাদা। দলে দলে যাত্রীরা এসে মানত করা পুজো দিচ্ছেন। সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় রাখার জন্যই মেয়েরা এখানে ভক্তিভরে পুজো দেন। প্রবাদ, সাবিত্রী দেবীর পূজা করলে স্বামীরা পরদ্বার গ্রহণ করেন না। তবে সময়ের অভাবে গায়ত্রী মাতার মন্দিরে একবারও আমার যাওয়া হয়নি।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
10th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের পটুয়া এলাকায় ধান খেতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।   ...

সংবাদদাতা, কান্দি: সোমবার সকালে বড়ঞা থানার বিপ্রশেখর গ্রামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাদল দত্ত(৫২)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শয়নে স্বপনে এখন শুধুই গোলাপি টেস্ট। যার উন্মাদনা কেবল সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেও। দেশের মাটিতে প্রথমবার ...

সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৩৮ জন মাছচাষিকে সোমবার মাছ ও চুন বিতরণ করা হল।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM