Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

সমাজ বদলের দৌড়

নির্দিষ্ট ট্র্যাক ধরে ছুটতে ছুটতে এই ভারতের কিছু মেয়ে যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন লিঙ্গবৈষম্য। জীবনের সংগ্রামের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে তাঁদের দৌড়বিদ হওয়ার স্বপ্ন। তাঁদের নিয়ে বই লিখেছেন  সোহিনী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তায় মনীষা মুখোপাধ্যায়।  

শবনের বুক চিরে রেলগাড়ি দেখতে অপু-দুর্গার ছুট! 
দৌড়ের রোমান্টিসিজম হিসেবে এই কোলাজ বাঙালির মনের গভীরে সযত্নে রাখা। কিন্তু দৌড়ের মাধ্যমে প্রতিবাদ? দৌড়ের গতিতে শোকের ভার ভুলতে চাওয়ার আর্তি? দৌড়ের এমন ব্যঞ্জনা বাঙালির কাছে এখনও বেশ অচেনা। সেই অচেনা কাজটিই সেরেছেন কলকাতার ভূমিকন্যা সোহিনী চট্টোপাধ্যায়। পেশায় সাংবাদিক সোহিনী একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্র সমালোচক। 
এই দৌড়ের শুরুটা খুব আনন্দের ছিল না। ছোটবেলায় পার্ক স্ট্রিটের পার্ক ম্যানসনে ঠাকুরমা-ঠাকুরদার সঙ্গে থেকে বড় হওয়া সোহিনীকে ঘুরতে হয়েছে নানা প্রদেশ। বাবার চাকরির সূত্রে গোটা ভারতের নানা বড় শহরে বাস করতে করতে দেশকে দেখেছেন বিভিন্ন আয়নায়। বেঙ্গালুরুতে নতুন চাকরির শুরুতেই এল দুঃসংবাদ। ছেলেবেলার নরম দিনের সঙ্গী ঠাকুরমা আর নেই। নতুন চাকরি, বললেই ছুটি মেলে না। অগত্যা বুকের মধ্যে রয়ে গেল শোক। সেই শোকের ভার এত গাঢ় হল যে তাকে ঝেড়ে ফেলতে বেশ বেগ পেতে হল সোহিনীকে। শোকমুক্তির পথ হিসেবেই তিনি আঁকড়ে ধরলেন দৌড়কে। 
কিন্তু এত কিছু চারপাশে থাকতে দৌড় কেন? প্রশ্নটা শুনে ফোনের ওপারে সোহিনীর গলায় যেন সেই দৌড় শুরুর দিনগুলোর স্মৃতি। আমি মনে করেছিলাম ওই গভীর শোক থেকে আমাকে টেনে বের করে আনার জন্য সেই সময় একটা দ্রুত ধাবমান, গতিশীল মাধ্যম চেয়েছিলাম। তাই দৌড়কেই বেছে নিলাম। তাছাড়া দৌড় এমন এক কাজ, যা শুরু করার জন্য আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির দরকার পড়ে না। একটা ঠিকঠাক জুতো হলেই চলে যায়। আলাদা পোশাকও লাগে না। ধীরে ধীরে শোক ও বিষাদের ভার থেকে বেরিয়ে এলাম।
দিল্লির বসন্তকুঞ্জে নিজের কলোনির পাশের পার্কে ভোর বা সন্ধেয় দৌড় শুরু করলেন সোহিনী। এই দৌড়ের মাধ্যমেই সোহিনী সচেতনভাবে লক্ষ করলেন চারপাশের নানা খুঁটিনাটি। তাঁর খেয়াল হল দিল্লিতে তিনি ছাড়া আর কোনও মেয়ে তো দৌড়ায় না! মেয়েরা  হাঁটে। ছেলেরা দৌড়ায়। সমাজ যেন মেয়েদের জন্য বেঁধে দিয়েছে নানা নিয়ম। বিধিনিষেধ। এই সময় বেরনো, এই সময় ঢোকা, কোথায় কার সঙ্গে কথা বলবে, কতটুকু বলবে, কতটুকু হাসবে, কত জোরে কথা বলবে সব যেন মেয়েদের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া। সোহিনী অনুভব করলেন মেয়েদের এই কুণ্ঠা থেকে বেরনোর প্রয়োজনীয়তা। বুঝলেন রাস্তায় নামার মধ্যে দিয়েই মেয়েরা নিজের অধিকার বুঝে নিতে সক্ষম হবে। 
একসময় সোহিনী বিদেশে যান উচ্চশিক্ষার জন্য। তখনই দিল্লিতে ঘটে গেল নির্ভয়াকাণ্ড। ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীর মৃত্যু হল নারকীয় গণধর্ষণে। সারা দেশ উত্তাল। প্রতিবাদে ফেটে পড়ার মধ্যেও কোথাও যেন মেয়েটির দিকেই আঙুল তুলছে দেশের একাংশ। তাঁর ধর্ষিত হওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করলেও কোথাও যেন গুঞ্জন উঠছে ওত রাতে মেয়েটির ওখানে যাওয়ার কী দরকার? কেন গেল, কার সঙ্গে গেল ইত্যাদি। এসব প্রশ্নের ঘূর্ণিপাকে সোহিনী কোথাও বুঝলেন, একটি মেয়ের দৌড়ও এই সমাজ ভালো চোখে দেখে না। সকলের চোখেই তা যেন এক তাজ্জব ঘটনা! তখনই মনে মনে ঠিক করলেন আর পার্কে নয়, এবার সটান রাস্তায় নামতে হবে। পথে নেমেই চিনতে হবে পথ। তাঁর কথায়, ওই সময় ২৩ বছরের ওই প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীর জন্য যেখানে যেখানে প্রতিবাদ হয়েছে, মিছিল হয়েছে সর্বত্র রাস্তায় নেমে হেঁটেছি। আমার এই দৌড়ের অভ্যেস ছিল বলেই আমি বেশ বুঝতাম মেয়েদের পদে পদে যেন লক্ষ্মণরেখা!এই ঘেরাটোপের উত্তর একমাত্র স্পোর্টসের মাধ্যমেই 
দেওয়া সম্ভব।
সেই শুরু মেয়েদের স্পোর্টসের ইতিহাসকে দুই মলাটে ধরা। দেশের খেলোয়াড় মেয়েদের সংগ্রাম ও নানা মাইলস্টোন পেরনোর গল্পের মধ্যে দিয়েই সোহিনী ধরেছেন ভারতের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক চিত্রকে। ভারতের মেয়েদের ইতিহাসও সেখানে মিলেমিশে গেল। সোহিনী বইয়ের নাম দিলেন ‘দ্য ডে আই বিকেম আ রানার’। ১০টি অধ্যায়ে ধরা রয়েছে মেরি ডি’সুজা, কমলজিৎ সান্ধু, পি টি ঊষা, শান্তি সৌন্দরাজন, পিঙ্কি প্রামাণিক, দ্যুতি চাঁদ, ললিতা বাবর ও ইলা মিত্রদের বেড়ে ওঠা, খেলার জন্য সংগ্রাম ও সাফল্যের খতিয়ান। আর একটি অধ্যায়ে সোহিনী লিখেছেন নিজের এই বই লেখার নেপথ্যকাহিনি।  খেলোয়াড়দের পথ বড় সহজ পথ নয়। আর সেই কঠিন পথেই মেয়েদের জয়ধ্বজা যাঁরা উড়িয়েছেন, তাঁদের পথের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকা বাধা, বিপদ, রোমাঞ্চ, সংকীর্ণতা, যাপনের বিপন্নতা ও জয়ের উদ্ভাসকে নিজের কলমে ধরেছেন  সোহিনী। 
বইয়ের ভাবনার প্রসঙ্গে বললেন, ‘আসলে যে কোনও খেলার বই একরকম জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতির বই হয়ে যায়। কারণ খেলা কখনও দুই দেশের কূটনীতি ও রাজনীতির বাইরে নয়। আমি চাইনি এই বই আর পাঁচটা খেলার বই হয়ে বেঁচে থাকুক। বরং আমি চেয়েছি এই বই ‘নাগরিকত্বের’ নতুন পরিচয় দিক। মেয়েদের প্রথম শ্রেণির নাগরিকের সম্মান দেওয়ার অন্যতম দলিল হয়ে থাকুক।’
সোহিনী চেয়েছেন যে ভারত শুধুই পুরুষের কাজ ও কীর্তি দেখে ইতিহাস বানিয়েছে, সেই দেশ সাধারণ খেটে খাওয়া মেয়েদের কাজ দিয়েও তার আর্থ সামাজিক, সামাজিক ইতিহাসকে চিনুক। তাই তাঁর বইয়ে উঠে আসে ঊনিশ শতকের শেষ ভাগের কথা। যখন ধীরে ধীরে নানা দেশ স্বাধীন হচ্ছে। একটু একটু করে আবিশ্বের খেলার দুনিয়া বদলে যাচ্ছে।   সংঘবদ্ধভাবে হচ্ছে নানা সমিতি। ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড খেলল প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ। ১৮৯৬ সালে তৈরি হল মডার্ন ওলিম্পিক। ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হল ফিফা। ১৯১৩-য় তৈরি হল ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন। জাতীয়তাবাদকে ঝালিয়ে নেওয়ার মঞ্চ হয়ে উঠল স্পোর্টস। এমন সময়ে দাঁড়িয়েও মেয়েরা কিন্তু সেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক! সোহিনীকে ভাবিয়েছিল মার্কিন মুলুক ও ইংল্যান্ডের ব্যবস্থা। মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘মার্কিন দেশ ও ব্রিটেনে তো মেয়েদের ভোটাধিকার দেওয়ার চলও ছিল না। সেই অধিকার তাঁরা পান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর। যুদ্ধ চলাকালীন দেশকে শ্রম দেওয়ার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করার পুরস্কার হিসেবে। বিনিময় প্রথায়! একসময়  মেয়েদের ভোটদান নিয়ে সরোজিনী নাইডু বলেছিলেন, মেয়েরা ভোটের অধিকার পেলেই যে তারা বাইরের সব কাজ পুরুষদের সঙ্গে করবে এমন নয়, তবে তারা ভোটাধিকার পেলে সুনাগরিক হবে, ভালো স্ত্রী হবে, ভালো মা হয়ে উঠতে পরবে। অর্থাৎ মেয়েরা কোথাও যেন সেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক, ভালো স্ত্রী, ভালো মা হয়ে ওঠাই যাদের লক্ষ্য। যাদের ভোট দেওয়ার অধিকারও দুনিয়ার ইতিহাসে লড়াই করে নিতে হয়। একদম এই সাধারণ মেয়েদের দিয়েই দেশের ইতিহাস খোঁজার চেষ্টা করেছি আমি। উঠে এসেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতে তৈরি খেলার দুনিয়ার নানা ঘটনাক্রম। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে মেয়েদের সাফল্যের গল্প।’
খেলোয়াড়রা শুধু খেলাতেই মন দেননি। যুগের হাওয়ায় তাঁরা কেউ হয়তো জড়িয়ে পড়েছেন ত্রাণ আয়োজন,  বিপ্লব বা দিনবদলের দলে। পাশাপাশি চলেছে খেলার চর্চা। সেই প্রসঙ্গে বলা যায় ইলা মিত্রের কথা। ১৯৪০ ও ১৯৪৪-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ওলিম্পিক হয়নি। হলে সেখানে ইলা মিত্র নির্বার্চিত হতেন ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে। তেভাগা আন্দোলনের এই নেত্রীর জীবন, রাজনীতি, মাত্র ১৮ বছর বয়সে রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ পাওয়া ইত্যাদি যাপনের সঙ্গে তাঁর খেলাধুলার অনুশীলনও ধরা হয়েছে একটি অধ্যায়ে। তেমনই গরিব ঘর থেকে উঠে আসা, শুধু সরকারি চাকরিকে লক্ষ্যবস্তু করে অ্যাথলেটিক্স অভ্যাস করা দ্যুতি চাঁদ কীভাবে বিখ্যাত হয়ে উঠলেন,  তাঁর দিদি 
সরস্বতী চাঁদ কীভাবে দ্যুতির অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন রয়েছে সেইসব ঘটনার কথাও। পিঙ্কি প্রামাণিকের জীবনসংগ্রাম ও মামলা লড়ে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার দুস্তর লড়াইয়ের সঙ্গে ধ্বনিত হয়েছে মেয়েদেরই জয়যাত্রার গান। ললিতা বাবরের ম্যারাথনার হয়ে ওঠার গল্পও যেমন সেই গানের শব্দে যোগ করেছে দিনবদলের সুর। সোহিনীর এই পরিকল্পনায় পাশে ছিল নিউ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। বইয়ের কাজ এগতে বিশেষ গ্রান্টের ব্যবস্থা করে এই সংস্থা। সেই ফেলোশিপ এই বই তৈরির নেপথ্যে বেশ কিছুটা ভূমিকা নেয়।  
ভারতের মহিলা দৌড়বিদদের জীবনকথার প্রাঙ্গনে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে  সোহিনী যেন আয়না ধরেছে নানা মহিলা স্প্রিন্টার, ম্যারাথনার, রানারের জীবনে। আর তাঁর জীবনের নানা ঘটনা ও ঘাত প্রতিঘাতের সঙ্গে সোহিনী মিশিয়েছেন সেই সময়ের সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতির কথা। 
দৌড়ের ট্র্যাকে মেয়েদের যত অশ্রু রক্ত ঘাম ঝরেছে, সোহিনীর কলমের কালি যেন ততই সেসব ক্লেদের বাগানে ফুটিয়েছে সংগ্রামের, নৈতিক জয়ের গোলাপচারা। সাংবাদিক সোহিনী তাঁর পেশাদার চোখ ও শানিত বুদ্ধি নিয়ে দৌড়বিদদের জীবনমহলে উঁকি দিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য ভারতের বুকে উঠে আসা দামাল কিশোরীরা। যারা একদিন ম্যারাথনের পথঘাট বা দৌড়ের ট্র্যাকে রেখে আসবে পায়ের দাপটে। আর মনের দাপটে লিখে ফেলবে সমানাধিকারের ম্যানিফেস্টো।  ভারতের ভাগ্যবিধাতা কি সেদিন একটু মুচকি হাসবেন?
(ইলা মিত্রর ছবিসৌজন্য: রণেন্দ্রনাথ মিত্র)
02nd  December, 2023
দরকার দৃষ্টিভঙ্গির বদল

আজও মেয়েরা বাইরে তো বটেই, নিজের ঘরেও নির্যাতিতা। তাই প্রতিবছর পারিবারিক হিংসার বিরুদ্ধে সচেতনতা কর্মসূচি চলে। বিস্তারিত জানালেন সমাজকর্মী 
গার্গী গুহ। কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

02nd  December, 2023
ভালো থাকার ঠিকানা

চল্লিশোর্ধ্ব মহিলাদের ভালো থাকার ঠিকানা ‘প্রবাহিনী’। নেপথ্য কারিগর মধুবনী চট্টোপাধ্যায়। কেমন এই পথ চলা? খোঁজ করলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
  বিশদ

25th  November, 2023
এভারেস্টের সামনে স্কাইডাইভিংয়ে রেকর্ড

স্কাইডাইভিং কারও নেশা। কেউ বা এতে পেশাদার। শীতল মহাজন এমন এক নাম যাঁর কাছে এই নেশা এবং পেশা একই। স্কাইডাইভিংয়ে নানা রেকর্ড তাঁর পকেটে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মানও। সদ্য এক নতুন মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। বিশদ

25th  November, 2023
আদিবাসী শিশুদের সচেতনতা শিবির

সম্প্রতি শান্তিনিকেতনের প্রকৃতিভবনে আদিবাসী শিশুদের নিয়ে সামাজিক ও মানসিক সচেতনতা শিবিরে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মূরলীধর কলেজের অধ্যাপিকা ডঃ তিন্নি দত্ত। অনুষ্ঠানটি নাচ, গান ও নাটকে পরিপূর্ণ ছিল। বিশদ

25th  November, 2023
মেয়েদের ফুটবলে ফিটনেসের জাদুকর

অশোকনগর কলকাতা থেকে কিছু দূরে বটে, তবে ভারতের মহিলা ফুটবল দলে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি সেখানে থেকেই নিজের হাতে সামলেছেন পৌলমী ঘোষ। কীভাবে এলেন এই কাজে? ভবিষ্যৎ ভাবনাই বা কী? লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
বিশদ

18th  November, 2023
নারী ক্ষমতায়ন ও শিশুদের শিক্ষা 

সমাজকে সব দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’টি স্তম্ভ নারী ক্ষমতায়ন ও শিশু শিক্ষা। এই কাজে ব্রতী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের নানা উদ্যোগে উপকৃত হচ্ছেন নারী ও শিশুরা।  বিশদ

18th  November, 2023
শ্রীরামকৃষ্ণ পরিমণ্ডলে মাতৃসাধিকাগণ

কালীসাধক শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভক্ত ও অনুরাগী পরিমণ্ডলের সঙ্গে যেসব নারী যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের কালীভক্তি ওসাধনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন পূর্বা সেনগুপ্ত।
বিশদ

11th  November, 2023
কাল গেল, কালী হল না সাধন

কালী বললে শুধু কি দেবী? ভারতের সেই নারীর কথাও কি মনে পড়ে না যাঁর জন্ম আগুন থেকে আর যাঁর জীবন কেটে যায় যুদ্ধের আগুন, প্রতিজ্ঞার আগুনে? তিনি কৃষ্ণা। তিনি দ্রৌপদী।  বিশদ

04th  November, 2023
পুতুল নেবে গো... পুতুল

কালীপুজোর আগে দেওয়ালি পুতুলের চাহিদা তৈরি হয় গ্রাম বাংলায়। মেদিনীপুরের সুতপা পাল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তৈরি করছেন এই পুতুল। তাঁর কথা লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

04th  November, 2023
এই বেশ ভালো আছি

কথায় বলে, ‘একা বোকা’। কিন্তু একা থেকে বুদ্ধিমানের মতো জীবন কাটানোও সহজ। দরকার শুধু কিছু পরিকল্পনা আর হিসেব কষে সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেসব মেয়ের একার সংসার, তিনিও হতে পারেন লক্ষ্মীমন্ত। সংসার সামলানোর কিছু জরুরি টিপস জানলেই কেল্লা ফতে। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
বিশদ

28th  October, 2023
লক্ষ্মীরূপেণ সংস্থিতা

আজ কোজাগরী পূর্ণিমা। ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। বহু মেয়েই এই আরাধনাকে একটি দিনে সীমাবদ্ধ রাখেননি। প্রতিদিনের পরিশ্রমে বছরভর চলে তাঁদের সাধনা। ধীরে ধীরে তাঁরা পান লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
বিশদ

28th  October, 2023
ভিনরূপী তিন দুর্গা

পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন গ্রামে নানারূপে পুজো পান মা দুর্গা। একটু অন্য ধরনের তিন দুর্গাপুজোর গল্প শোনালেন উত্তরা গঙ্গোপাধ্যায়।
বিশদ

21st  October, 2023
জগতে আনন্দযজ্ঞে

আকাশে বাতাসে এখন উৎসবের আমেজ। পুজোর গন্ধ। আনন্দঘন মুহূর্তে দেবী দুর্গার আগমনি সুর বঙ্গহৃদয়ে বাজছে অবিরাম। লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।    
বিশদ

21st  October, 2023
বনেদি বাড়ির পুজোর ডাকে

শহরের নানা বনেদি বাড়ির সাবেকি পুজোয় মেয়েদের ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন সাবির আহমেদ।  বিশদ

14th  October, 2023
একনজরে
আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM