পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বিয়ের মরশুম চলছে, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আপনার আস্থা আছে?
আমার মনে হয় বিয়ে পরিণত মানুষদের জন্য। যারা দু’বার, তিনবার বিয়ে করেছেন, তাঁদের সত্যিই সাহসী মনে হয়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন, যাঁরা এই আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন, যাঁরা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছেন, তাঁরা কিন্তু ভীষণ ভালো আছেন।
ইদানীং নতুন প্রজন্ম একটু বেশি বয়সে বিয়েতে আগ্রহী, এর কারণ কী মনে করেন?
আসলে কেউ তো ব্যর্থতা দেখতে চায় না। সবাই সবকিছুর স্বাদ নিয়ে তারপর বিয়েতে রাজি হচ্ছে। কেরিয়ার একটু গুছিয়ে নিয়ে, জীবনে খানিক প্রতিষ্ঠিত হয়ে তবে বিয়ের কথা ভাবছে। বিয়ে তো জীবনেরই অংশ। সকলেরই একবার এই স্বাদ নিয়ে দেখা প্রয়োজন। সফল হওয়া বা না হওয়া তো পরের ব্যাপার। যাঁরা বিয়ে করছেন, দু’জনে ভালোবেসে একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করছেন, হাতে হাত রেখে সারা জীবন চলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি তো শ্রদ্ধাবোধ রয়েছেই।
আপনার অভিধানে ভালোবাসা শব্দটার ব্যাখ্যা?
(হাসি) এ তো খুব কঠিন প্রশ্ন। স্নেহ, শ্রদ্ধা, আদর, সাহচর্য— সব কিছুর সংমিশ্রণ হল ভালোবাসা। অনুভবের জিনিস।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন’স ডে। ক্যালেন্ডারের একটা দিন কি ভালোবাসার জন্য যথেষ্ট?
(আপত্তির সুরে) তা নয়। একটা দিন হিসেবে আমি ভাবি না। কিন্তু এই যে উদযাপন করছেন সকলে, এটা ভালো লাগে। একটা দিন ঘিরে যে এত আয়োজন, এত আনন্দ করেন সকলে— সেটা উপভোগ করি। আর যাই করুন, ঘৃণা তো করছেন না কেউ, ভালোবাসছেন। প্রাণঢালা এই ভালোবাসার মতো সুন্দর আর কিছু নেই। আর ভ্যালেন্টাইন মানে তো শুধু নারী-পুরুষের ভালোবাসা নয়। সব সম্পর্কের প্রতি সকলের ভালোবাসা, এটা উদযাপিত হতে দেখলে আমার খুব ভালো লাগে।
বিয়েবাড়িতেও কি ডায়েট করতে হয়?
আমি বরাবর খেতে ভালোবাসি। ভালো খাবার অর্থাৎ আমার পছন্দের খাবার খেলে আমি ভালো থাকি। বিরিয়ানি তো সবসময় পছন্দের তালিকায় থাকে। এই তো বিরিয়ানি খেয়েছি। একটু ওজনও বেড়েছে। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা নেই। ভালো খাবার আমি খাবই। তাছাড়া খাবার আমাদের ঐতিহ্য। মানুষ এত কষ্ট করে আমাদের জন্য সুন্দর করে রান্না করেন। এটা তো শিল্প। যখন কেউ ভালোবেসে রান্না করে মুখের সামনে দিচ্ছেন, সেটা উপভোগ করা উচিত। এই অভিজ্ঞতাটা জরুরি। খাবার মানে তো শুধু খাওয়া নয়। যিনি তৈরি করেছেন, তাঁকে সম্মান জানানোও বটে। আমি যেমন প্রার্থনার মতো আমার কাজটা করি, যিনি রান্না করেছেন, সেটাও তো তাঁর কাছে প্রার্থনারই মতো। ফলে খাওয়া নিয়ে আমার কোনও বায়না নেই।
এত ব্যস্ততার মধ্যেও সহজে রূপচর্চা করেন কীভাবে?
(হাসি) এই বিষয়ে আমার কোনও গোপনীয়তা নেই। সাধারণত যা করতে হয়, ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং— সেটা মেনে চলি। ভালো করে মেকআপ তোলা জরুরি। ব্যস, এটুকুই করি। আর আবার বলি, ভালো খাবারে আমি অনেকখানি বিশ্বাস করি। যা খাব, সেটাই চেহারায় প্রকাশ পাবে। ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাই। প্রচুর জল খাওয়াও শরীরের পক্ষে ভালো। এগুলো মেনে চললেই সুস্থ, সুন্দর সকলেই থাকতে পারবেন।
মন ভালো রাখেন কীভাবে?
মনের দিকে তো তাকানোর সময় পাচ্ছি না (হাসি)। ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনকার যুগে অনেক বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য সবসময় জরুরি। মনের যত্ন না নিলে একজন মানুষ সর্বাঙ্গসুন্দর হয়ে উঠতে পারেন না। শত ব্যস্ততা, জীবনের নানা ওঠাপড়ার মধ্যেও নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করি। মন ভালো রাখার প্রাথমিক শর্ত এটাই। হ্যাঁ, চিন্তামুক্ত থাকা ভীষণ কঠিন। একদিনে সম্ভব নয়। কিন্তু চেষ্টা তো অবশ্যই করতে হবে।