পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
নববর্ষে নতুন শাড়ি চাই। তবে নতুন হলেও তাতে আরামটি যেন জুড়ে থাকে। হালের তরুণীরা এটাই চান। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ তো বটেই, সারা বছরই যেন পরা যায় সেসব শাড়ি। বিভিন্ন বুটিক ও দোকানে কথা বলে ‘সামার শাড়ি’র ট্রেন্ড বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। উত্তর কলকাতার সন্ধ্যারাগ বুটিকের কর্ণধার এবং চিকিৎসক-অভিনেত্রী দীপান্বিতা হাজারি বললেন, মহিলারা এসময় হাল্কা শাড়ি খোঁজেন। জরি ছাড়া হাল্কা সুতি, চান্দেরি, মসলিন, হ্যান্ডলুম এবং কোটা শাড়ির চাহিদা বাড়ে। ফ্লোরাল প্রিন্টও খুব ভালো চলে। তাঁর দাবি, তসর-কটন মিক্সড শাড়ি খুব চলছে এখন। সুতির থেকে বেশি টেকসই, জেল্লাও থাকে। মহিলারা এসময়ে পকেটসই দামেই শাড়ি চান। তবে দামি হলেও গরমে প্রিন্টেড গাছি তসরের ভালো চাহিদা থাকে, কারণ এটা সারাবছরই পরা যায়, বললেন দীপান্বিতা হাজারি।
জনপ্রিয় বিপণি প্রিয়গোপাল বিষয়ীর তরফে সৌমিত্র দাস বললেন, গরমে খাদি কটন শাড়ির ভালো চাহিদা। এর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে মলমল কটন শাড়ি। এই বিপণিতে নতুন সংযোজন রাজশাহী কটন। দাম ৮০০-২০০০ টাকার মতো। এটি বাংলাদেশের কটন, একটু চকচকে। এছাড়া ইক্কত, কোটাও চিরাচরিত গরমে আরামদায়ক শাড়ি হিসেবে মহিলাদের পছন্দের তালিকায় থাকে।
বেনারসি টেক্সটোরিয়ামের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, গরমে হ্যান্ডলুম ও তসর শাড়ি ভালো বিক্রি হচ্ছে। দামও সাধ্যের মধ্যে। এছাড়া আছে সাউথ কটন। পাড়ওয়ালা এধরনের একরঙা শাড়ি খুব চলে গরমে। জামদানিও তো চলে গরমে? তাপসবাবু বললেন, ‘জামদানি এখন ২০০-২৫০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে! মান এত নামানো হয়েছে যে আমরা আর বোঝাতে পারছি না আসল-নকলের ফারাক। ওই শাড়ি জলে দিলে আর কিছু থাকে না।’
অনলাইন বুটিক চিত্রাস কালেকশন থেকে পৌলমী জানালেন, তাঁদের সংগ্রহেও সাউথ কটন ভালো চলছে। চেন্নাই থেকে রাখছেন চেট্টিনাড কটন, পত্তেদা আঞ্চু ইত্যাদি শাড়ি। এগুলোর দামও বাজেটের মধ্যে। অল্পবয়সি তরুণীদের মধ্যে যাঁরা স্কুলে পড়ান, বা সদ্য কলেজে পড়াতে বা অন্য চাকরিতে ঢুকেছেন, গরমে তাঁদের কাছে এমন শাড়ির খুবই কদর। এগুলোর পাকা রং। একদম হাল্কা মাড় থাকে। শাড়ি একেবারে ন্যাতা হয়ে যায় না, সুন্দরভাবে পরে থাকা যায় সারাদিন। তবে পত্তেদা আঞ্চু কটন হলেও তুলনায় একটু মোটা ফ্যাব্রিক। গঙ্গা যমুনা পাড় আর চেকস থাকায় এই শাড়ি গরমেও অনেকে ভালোবাসেন পরতে। রং সবই হাল্কার দিকে। পাড় বা আঁচলে পিওর সিল্ক থাকে। এগুলো একটু দামি। গরমের সন্ধের অনুষ্ঠানে পরার মতো।
শাড়ি: সুপ্রিয়াজ বুটিক, বেহালা যোগাযোগ : ৮২৪০৬৮৮৭০৮, পাঞ্জাবি: প্রিয়গোপাল বিষয়ী, যোগাযোগ : ৭০৪৪০৮৮৪০৮, জুয়েলারি: গসিপ, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস, যোগাযোগ : ১৮০০১০৩০০১৭
শাড়ি: কাপড় বাই মৌমিতা, বর্ধমান,
যোগাযোগ : ৮৭৭৭২৯৭৯৪০, পাঞ্জাবি: প্রিয়গোপাল বিষয়ী, জুতো : খাদিম
ছবি : সুদীপ্ত চন্দ, গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
শ্যুটিংস্থল ও খাবার সৌজন্য: অ্যাস্টর হোটেল যোগাযোগ: ০৩৩-২২৮২৯৯৫৭