পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পছন্দের ফলের তালিকায় নারকেল রয়েছে, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। যাঁরা ফল হিসেবে খেতে পছন্দ করেন না, তাঁদেরও কিন্তু জলে আপত্তি নেই। নারকেল কিংবা ডাবের জল খুবই উপকারী। অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করতে ডাবের জলের মতো প্রাকৃতিক ওষুধ কমই রয়েছে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতেও দারুণ উপকারী। ডাব বা নারকেলের জল চুল ও ত্বকের পরিচর্যাতেও কাজে লাগে। এটা ব্যবহারের জন্য কোনও স্যাঁলোয় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চাতে কাজে লাগান ডাবের জল।
হেয়ার এক্সপার্ট অভিরূপ নন্দী মনে করেন, সারা বছর ডাবের জল দিয়ে চুলের যত্ন করা যায়। তিনি জানালেন, খুশকি বা চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে ডাবের জল প্রতিদিনের রুটিনে কাজে লাগাতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকে। সাধারণত শুষ্ক চুল ভালো রাখতে তা সাহায্য করে। আবার কারও লম্বা, উজ্জ্বল চুল রাখার ইচ্ছে হলেও ডাবের জল ব্যবহার করতে পারেন। চুলের স্বাস্থ্য মজবুত ও উজ্জ্বল করে তোলে এই প্রাকৃতিক উপাদান। অভিরূপ বললেন, ‘প্রতিদিন আমাদের কিছু চুল ভেঙে যেতে থাকে। ডাবের জল সেই ভেঙে যাওয়া চুলকে সারিয়ে তোলে। আর্দ্র করে। চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে। ১০ মিনিট তালুতে মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়। এতে চুল কম ভাঙে। ডাবের জল শরীরে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে। চুল পড়া কমতে সাহায্য করে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন নেই। কিন্তু পরিমিত স্তরের প্রোটিন থাকে।’
নানাবিধ প্রসাধনী আবিষ্কারের আগে ডাবের জল চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার হতো। বর্তমানে সে অভ্যেস ফের ফিরিয়ে আনতে পারেন। এতে চুলে কমনীয়তা বজায় থাকবে। মাথার তালুতে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থেকে সংক্রমণ হয়ে যায়। তা কমাতেও সাহায্য করবে ডাবের জল। ডাবের জল তালুর পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে চুল অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। তবে শ্যাম্পুর পর ডাবের জলে চুল ধুয়ে নিলেও একবার সাধারণ জলে ধুয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডাবের জলের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন পেশাদারের কাছে মাসাজ নিতে পারেন। এতে গোড়া থেকে চুল মজবুত হবে। নারকেল তেলের মধ্যে যে উপাদান আছে তা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন নারকেল তেল চুলের যত্নে কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু অনেকেরই তেল লাগানোর পর ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে নারকেলের জল ব্যবহার করলে প্রাণহীন চুলে প্রাণ ফিরে পেতে পারেন।
ইদানীং অ্যারোমাথেরাপির সাহায্য নেন তরুণীরা। ডাবের জলের মধ্যে যে প্রাকৃতিক গন্ধ রয়েছে তা স্বাভাবিক অ্যারোমাথেরাপির কাজ করবে। মন ভালো করতেও এই উপাদান আপনার বন্ধু হতে পারে। ডাবের জলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার সময় বা তেল মাসাজের পর অনেকেরই প্রচুর চুল পড়ে যায়। শরীরে আভ্যন্তরীণ কোনও রোগের কারণে বা পুষ্টির ঘাটতি হলে চুল পড়তে পারে। সে কারণেই শ্যাম্পুর পর ডাবের জল দিয়ে মাসাজের টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
চুলের যত্নে রকমারি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেন অনেকে। বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে নেওয়া যায় সেসব প্যাক। এতেও কাজে লাগে ডাবের জল। পরিমাণ মতো ডাবের জলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন। তারপর তা ভালোভাবে মাসাজ করে গরম তোয়ালে জড়িয়ে অন্তত আধঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন এই রুটিন মেনে চললে চুল ভিতর থেকে মজবুত হবে।
আসলে হাতের কাছেই মজুত রয়েছে নানা উপকরণ। সঠিক জিনিস বেছে নিয়ে ব্যবহার করলেই ফল পাবেন হাতেনাতে। সঠিক উপকরণের তালিকায় এবার থেকে যোগ করুন ডাবের জল।