Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

এমন কিছু জিনিস আছে যা আমরা দেখি কিন্তু খেয়াল করি না।  এমন কিছু জিনিস আছে যা আমরা পড়ি কিন্তু সেগুলো আমাদের মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারে না। এমন কিছু জিনিস আছে যা আমাদের চঞ্চল করে তোলে কিন্তু আমরা পাত্তা দিই না। ভারতীয়দের অস্তিত্বের বাস্তবতা (আমরা এটাকেই বাঁচা বলি) এটাই—যাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে দরিদ্র মানুষ, যারা কুসংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে, জারি রয়েছে মারাত্মক প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি এবং তাদেরকে চালনা করছে কিছু পরস্পরবিরোধী আকাঙ্ক্ষা। 
মোটামুটি মাঝরাতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে বিশেষ কেউ খেয়ালই করবেন না যে বহু মানুষ রাস্তার ধারে ঘুমিয়ে আছে অথবা জানতে চাইবেন না, কেন এই মানুষগুলির জন্য রাতের কোনও আশ্রয় নেই।  গাড়িতে দিল্লির যেকোনও রাস্তার মোড় পেরতে থাকুন  দেখতে পাবেন, কিছু বাচ্চা ভিক্ষে করছে কিংবা ফুল, তোয়ালে, নকল বই প্রভৃতি বেচছে। কিন্তু কারও মনে এই স্বাভাবিক প্রশ্নটি জাগবে না যে, এই শিশুগুলি স্কুলে যায় না কেন?  ভারতের অনেক জায়গাই রুক্ষ, শুষ্ক। সেসব জায়গা ধরে গাড়ি চালাতে থাকুন দেখবেন, কোথাও জলের চিহ্নমাত্র নেই! ওইসব জমিতে কিছুই জন্মাতে পারে বলে মনে হয় না। তবুও হাজার হাজার মানুষ ওইসব জমিতেই বসবাস করে। কিন্তু খুব কম লোকেরই মনে এই প্রশ্নের উদয় হয় যে, এত এত মানুষের তবে জীবিকার উৎস কী? 
কংগ্রেসের ইস্তাহারে (লোকসভা, ২০২৪) স্বীকার করা হয়েছে যে, বিগত বছরগুলিতে, বিশেষ করে গত তিন দশকে ভারতের অর্থনীতির কিছু বিকাশ হয়েছে।  ক্রমে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত শ্রেণি, ভোগ্যপণ্যের প্রাচুর্য, প্রত্যেকের হাতে একটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তা এবং আরবান ইন্ডিয়ার ‘টাউন স্কোয়ার’ হয়ে উঠেছে যেগুলি—যেমন ঝলমলে মল, সিনেমা এবং পাব প্রভৃতিতেই রয়েছে এই বৃদ্ধির স্বয়ংপ্রকাশ। তবে, এমন ‘উজ্জ্বল ভারত’-এর ছবিও কিন্তু পূর্বে বর্ণিত কুৎসিত সত্যগুলিকে আড়াল করতে পারে না। এগুলি আমাদের ব্যর্থতার সত্যট‍িকেই মনে পড়ায় এবং এসব আমাদের যেসব নীতির পরিণাম, সেগুলিকে শুধরে নেওয়ার সুযোগও বইকি।
অর্থনীতিতেই সমাজের প্রতিফলন
রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি অনুসারে তারাই দরিদ্র যাদের মাথাপিছু আয় প্রতিমাসে শহরবাসীর ক্ষেত্রে ১২৮৬ টাকা এবং গ্রামবাসীর ক্ষেত্রে ১০৮৯ টাকা পর্যন্ত। ভারত জুড়ে এই দারিদ্র্য রেখার নীচে রয়েছে ২২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ। তবে এই হিসেবটাও যথাযথ নয়, বরং মারাত্মক গলদই রয়েছে এতে। ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব অনুসারে, নীচের দিকের ৫০ শতাংশ বা ৭১ কোটি মানুষের হাতে রয়েছে জাতীয় সম্পদের মাত্র ৩ শতাংশের মালিকানা। অন্যদিকে, জাতীয় আয়ে তাদের অংশভাক ১৩ শতাংশ মাত্র। সরকারের পারিবারিক ভোগব্যয় সমীক্ষা (এইচসিএসই) অনুসারে, নীচের দিকের ৫০ শতাংশ ভারতবাসীর  প্রতিমাসে গৃহস্থালির খরচ  গ্রামাঞ্চলে ৩,০৯৪ টাকা এবং ২,০০১ টাকা শহরাঞ্চলে। এবার বলুন, একেবারে নীচের ২০ শতাংশ মানুষের ভোগব্যয় আন্দাজ করার জন্য কি বিরাট গাণিতিক দক্ষতার দরকার পড়ে? ওই হতভাগ্য মানুষগুলি বস্তুত কোনোকিছুরই মালিক নয়। তাদের আয়পত্তর যৎসামান্য। একটি গৃহস্থ হিসেবে তারা যেটুকু খরচ করে সেটুকু না করলে এই পৃথিবীতে অস্তিত্ব রক্ষা করাই সম্ভব নয়। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই), ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের র‍্যাঙ্ক ১১১তম। 
এইচসিএসই অনুসারে, গরিবদের মধ্যে ওবিসিরা একটা গড়পড়তা অবস্থানে রয়েছে। সবচেয়ে গরিব এসসি এবং এসটি শ্রেণির মানুষজন।  এটা কোনও অবাক হওয়ার বিষয় নয় যে, অর্থনৈতিক স্তর বিন্যাসটি কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এতেই প্রতিফলিত হয় সামাজিক শ্রেণি বিন্যাস। সামাজিক স্তর বিন্যাসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বর্ণের উপর ভিত্তি করে। অত্যন্ত দরিদ্র এবং নিপীড়িত মানুষজন ন্যূনতম মজুরিতে কঠোর শারীরিক পরিশ্রমসাধ্য কাজগুলি করতে বাধ্য হয়।  ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ নারী-পুরুষ যৎসামান্য জীবিকার সন্ধানে মনরেগা প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে। বছরে ১০০ দিনের জায়গায়, তাদের কাজ দেওয়া হয় গড়ে মাত্র ৫০ দিন।  
আয়-উপার্জনের বিপরীত প্রান্তে যারা রয়েছে, এবার তাদের দিকে তাকানো যাক। জনসংখ্যার শীর্ষ ১০ শতাংশের উপার্জন জাতীয় আয়ের ৫৭.৭ শতাংশ।  মাত্র ৯,২২৩ জনের আয়ের অংশ হল ২.১ শতাংশ। অন্যদিকে, ৯২,২৩৪ জনের অংশভাক হল ৪.৩ শতাংশ আয়৷ এক-একটি ৩ কোটি ২২ লক্ষ থেকে ৮ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা দামের ল্যামবাগিনি গাড়ি ২০২৩ সালে ভারতে বিক্রি হয়েছি ১০৩টি! কর্পোরেটগুলির পাশাপাশি, ৩৬২ জন ধনী ব্যক্তি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হেতু ৭৫৭ কোটি টাকার ‘কুখ্যাত’ নির্বাচনী বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘দান করেছিল’। সংশ্লিষ্ট সবক’টি রাজনৈতিক দলকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছে ওই দাতারা। 
‘আচ্ছে দিন’ কি এসে গিয়েছে? ভারত কিংবা ভারতীয়রা কি ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠেছে? ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ শুধুমাত্র চীনের সঙ্গে (হ্যাঁ, যে দেশের সৈন্যরা ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করার পর ভারতীয় সেনাদেরই টহল রুখে দিয়েছিল) ২০২৩-২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা কি ‘অমৃতকাল’-এ ভোর? জনগণের সঙ্গে আর কতদিন প্রতারণা ও মিথ্যাচার চলবে?
দুই নির্ণায়ক
যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে সক্ষম হব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে ‘ন্যারেটিভ’ বানায় বা কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওইসঙ্গে জনগণের কাছে কয়েকটি সাধারণ প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়েছে: 
এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের কাছে— 
• দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক এবং জাতিভিত্তিক জনগণনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে। ভবিষ্যতে ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য শক্তিশালী কর্মসূচি গ্রহণের পক্ষে বিশেষ সহায়ক হবে এই উদ্যোগটি। 
• এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার করা হবে।
• এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত শূন্যপদের গত একবছরের সমস্ত ‘ব্যাকলগ’ পূরণ করা হবে।
যুবকদের কাছে—
• পাস করা হবে শিক্ষানবিশ অধিকার আইন। এক বছরের জন্য শিক্ষানবিশ রাখা হবে। দেওয়া হবে বছরে ১ লক্ষ টাকা স্টাইপেন্ড প্রদানের গ্যারান্টি। সব শেষে মিলবে চাকরি। 
• কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করা হবে। 
• শিক্ষাঋণ বাবদ গৃহীত অর্থের কিছু বকেয়া থাকলে মকুব করা হবে সেটি। এছাড়া মকুব করা হবে অনুরূপ ঋণের উপর প্রদেয় সুদের অনাদায়ী অংশ। 
মহিলাদের কাছে—
• চালু করা হবে মহালক্ষ্মী প্রকল্প। তার মাধ্যমে সবচেয়ে গরিব পরিবারের প্রতিটিকে দেওয়া হবে বছরে ১ লক্ষ টাকা।
• মনরেগার কাজে দৈনিক ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ বাড়িয়ে করা হবে ৪০০ টাকা।
• কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে মহিলাদের জন্য। 
গরিবের প্রতি নজর বৃদ্ধি  
আগামী মাসে আমরা যে নয়া নির্বাচিত সরকার পাব, তাকে নীতিগতভাবে অবশ্যই হতে হবে ‘দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত’ মানুষের জন্য নিবেদি প্রাণ। কংগ্রেসের ইস্তাহারে এই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দিকটি স্বীকার করা হয়েছে। স্বভাবতই ইস্তাহারটি উঠে এসেছে দেজুড়ে চর্চার কেন্দ্রে। বিজেপির বাকশক্তি থেকে অর্থশক্তির বেশিরভাগটাই খরচ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিন্দেমন্দ করতে—আরও যথার্থ বলতে গেলে বলতে হয় যে, কংগ্রেসের ইস্তাহারের ‘কাল্পনিক সংস্করণ’ প্রচারে। 
মোট সাতদফার এই নির্বাচনটি স্থিতাবস্থা ‘রক্ষায়’ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং স্থিতাবস্থা ‘নষ্ট’ করতে মরিয়া দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধে পর্যবসিত হয়েছে। সকলে সৌভাগ্য ফেরার প্রত্যাশায় থাকুন আপাতত ৪ জুন পর্যন্ত। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
27th  May, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
একনজরে
কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প (মনরেগা) বাংলায় বন্ধ। তাই নবান্ন নিজস্ব উদ্যোগে রাজ্যে চালু করেছে ‘কর্মশ্রী’। এই প্রকল্পে কাজ দিতে উদ্যোগী হয়েছে খাদ্যদপ্তরও। ...

শনিবার রাতভর টানা বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হল ৩১ডি জাতীয় সড়কের ডাইভারশনের। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পলাশবাড়িতে জাতীয় সড়কের উপর থাকা সঞ্জয় নদীর ডাইভারশনটি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ...

গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ছোট শিল্প এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ততটা উন্নত নয়। ...

উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চারজন ইটভাটা কর্মীর। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মুরদনগরে ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়েতে (ইপিই)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবস
১৬৩১: শাহজাহান পত্নী মুমতাজের মৃত্যু
১৬৩১: মোগল রাজকন্যা তথা সম্রাট শাহজাহান ও মুমতাজের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান গওহর আরা বেগমের জন্ম
১৬৭৪: মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শিবাজির মা জীজা বাঈয়ের মৃত্যু
১৭৫৬: নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজ দখল থেকে কলকাতা পুনরুদ্ধারে অভিযান চালান
১৮৫৮: ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মী বাঈয়ের মৃত্যু
১৮৮৫: নিউইয়র্ক বন্দরে স্ট্যাচু অব লিবার্টি স্থাপিত হয়
 ১৯০৫:  লন্ডনে টেমস নদীর ওপর বাষ্পীয় নৌপরিবহন চলাচল শুরু হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট অভিনেতা অনুপ কুমারের জন্ম
১৯৬৭: চীন প্রথম হাইড্রোজেন বোমা তৈরী করে
১৯৭৩: টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজের জন্ম
১৯৮১: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার শেন ওয়াটসনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৩ টাকা ৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২১ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম)  
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম)  
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪। একাদশী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ২২/১৮ দিবা ১/৫১। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৮/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৪ গতে ২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩১ গতে ৪/১৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৮ গতে ৪/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৮ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। 
২ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪। একাদশী শেষরাত্রি ৪/৪০। চিত্রা নক্ষত্র দিবা ১২/৫১। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ৩/০ গতে ৪/৪০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৯ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। 
১০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিউজিল্যান্ডের

08:41:25 PM

ইউরো ২০২৪: ইউক্রেনকে ৩-০ গোলে হারাল রোমানিয়া

08:30:06 PM

রেল দুর্ঘটনা: মৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করল হাসপাতাল
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রাজ্যের ৯ মৃতের নাম-পরিচয় প্রকাশ করল উত্তরবঙ্গ ...বিশদ

08:03:16 PM

ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত ইগর স্টিমাচ

07:54:44 PM

ইউরো ২০২৪: রোমানিয়া ৩-ইউক্রেন ০ (৫৮ মিনিট)

07:52:07 PM

ইউরো ২০২৪: রোমানিয়া ২-ইউক্রেন ০ (৫৩ মিনিট)

07:48:28 PM