Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

এমন কিছু জিনিস আছে যা আমরা দেখি কিন্তু খেয়াল করি না।  এমন কিছু জিনিস আছে যা আমরা পড়ি কিন্তু সেগুলো আমাদের মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারে না। এমন কিছু জিনিস আছে যা আমাদের চঞ্চল করে তোলে কিন্তু আমরা পাত্তা দিই না। ভারতীয়দের অস্তিত্বের বাস্তবতা (আমরা এটাকেই বাঁচা বলি) এটাই—যাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে দরিদ্র মানুষ, যারা কুসংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে, জারি রয়েছে মারাত্মক প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি এবং তাদেরকে চালনা করছে কিছু পরস্পরবিরোধী আকাঙ্ক্ষা। 
মোটামুটি মাঝরাতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে বিশেষ কেউ খেয়ালই করবেন না যে বহু মানুষ রাস্তার ধারে ঘুমিয়ে আছে অথবা জানতে চাইবেন না, কেন এই মানুষগুলির জন্য রাতের কোনও আশ্রয় নেই।  গাড়িতে দিল্লির যেকোনও রাস্তার মোড় পেরতে থাকুন  দেখতে পাবেন, কিছু বাচ্চা ভিক্ষে করছে কিংবা ফুল, তোয়ালে, নকল বই প্রভৃতি বেচছে। কিন্তু কারও মনে এই স্বাভাবিক প্রশ্নটি জাগবে না যে, এই শিশুগুলি স্কুলে যায় না কেন?  ভারতের অনেক জায়গাই রুক্ষ, শুষ্ক। সেসব জায়গা ধরে গাড়ি চালাতে থাকুন দেখবেন, কোথাও জলের চিহ্নমাত্র নেই! ওইসব জমিতে কিছুই জন্মাতে পারে বলে মনে হয় না। তবুও হাজার হাজার মানুষ ওইসব জমিতেই বসবাস করে। কিন্তু খুব কম লোকেরই মনে এই প্রশ্নের উদয় হয় যে, এত এত মানুষের তবে জীবিকার উৎস কী? 
কংগ্রেসের ইস্তাহারে (লোকসভা, ২০২৪) স্বীকার করা হয়েছে যে, বিগত বছরগুলিতে, বিশেষ করে গত তিন দশকে ভারতের অর্থনীতির কিছু বিকাশ হয়েছে।  ক্রমে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত শ্রেণি, ভোগ্যপণ্যের প্রাচুর্য, প্রত্যেকের হাতে একটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তা এবং আরবান ইন্ডিয়ার ‘টাউন স্কোয়ার’ হয়ে উঠেছে যেগুলি—যেমন ঝলমলে মল, সিনেমা এবং পাব প্রভৃতিতেই রয়েছে এই বৃদ্ধির স্বয়ংপ্রকাশ। তবে, এমন ‘উজ্জ্বল ভারত’-এর ছবিও কিন্তু পূর্বে বর্ণিত কুৎসিত সত্যগুলিকে আড়াল করতে পারে না। এগুলি আমাদের ব্যর্থতার সত্যট‍িকেই মনে পড়ায় এবং এসব আমাদের যেসব নীতির পরিণাম, সেগুলিকে শুধরে নেওয়ার সুযোগও বইকি।
অর্থনীতিতেই সমাজের প্রতিফলন
রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি অনুসারে তারাই দরিদ্র যাদের মাথাপিছু আয় প্রতিমাসে শহরবাসীর ক্ষেত্রে ১২৮৬ টাকা এবং গ্রামবাসীর ক্ষেত্রে ১০৮৯ টাকা পর্যন্ত। ভারত জুড়ে এই দারিদ্র্য রেখার নীচে রয়েছে ২২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ। তবে এই হিসেবটাও যথাযথ নয়, বরং মারাত্মক গলদই রয়েছে এতে। ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব অনুসারে, নীচের দিকের ৫০ শতাংশ বা ৭১ কোটি মানুষের হাতে রয়েছে জাতীয় সম্পদের মাত্র ৩ শতাংশের মালিকানা। অন্যদিকে, জাতীয় আয়ে তাদের অংশভাক ১৩ শতাংশ মাত্র। সরকারের পারিবারিক ভোগব্যয় সমীক্ষা (এইচসিএসই) অনুসারে, নীচের দিকের ৫০ শতাংশ ভারতবাসীর  প্রতিমাসে গৃহস্থালির খরচ  গ্রামাঞ্চলে ৩,০৯৪ টাকা এবং ২,০০১ টাকা শহরাঞ্চলে। এবার বলুন, একেবারে নীচের ২০ শতাংশ মানুষের ভোগব্যয় আন্দাজ করার জন্য কি বিরাট গাণিতিক দক্ষতার দরকার পড়ে? ওই হতভাগ্য মানুষগুলি বস্তুত কোনোকিছুরই মালিক নয়। তাদের আয়পত্তর যৎসামান্য। একটি গৃহস্থ হিসেবে তারা যেটুকু খরচ করে সেটুকু না করলে এই পৃথিবীতে অস্তিত্ব রক্ষা করাই সম্ভব নয়। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই), ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের র‍্যাঙ্ক ১১১তম। 
এইচসিএসই অনুসারে, গরিবদের মধ্যে ওবিসিরা একটা গড়পড়তা অবস্থানে রয়েছে। সবচেয়ে গরিব এসসি এবং এসটি শ্রেণির মানুষজন।  এটা কোনও অবাক হওয়ার বিষয় নয় যে, অর্থনৈতিক স্তর বিন্যাসটি কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এতেই প্রতিফলিত হয় সামাজিক শ্রেণি বিন্যাস। সামাজিক স্তর বিন্যাসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বর্ণের উপর ভিত্তি করে। অত্যন্ত দরিদ্র এবং নিপীড়িত মানুষজন ন্যূনতম মজুরিতে কঠোর শারীরিক পরিশ্রমসাধ্য কাজগুলি করতে বাধ্য হয়।  ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ নারী-পুরুষ যৎসামান্য জীবিকার সন্ধানে মনরেগা প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে। বছরে ১০০ দিনের জায়গায়, তাদের কাজ দেওয়া হয় গড়ে মাত্র ৫০ দিন।  
আয়-উপার্জনের বিপরীত প্রান্তে যারা রয়েছে, এবার তাদের দিকে তাকানো যাক। জনসংখ্যার শীর্ষ ১০ শতাংশের উপার্জন জাতীয় আয়ের ৫৭.৭ শতাংশ।  মাত্র ৯,২২৩ জনের আয়ের অংশ হল ২.১ শতাংশ। অন্যদিকে, ৯২,২৩৪ জনের অংশভাক হল ৪.৩ শতাংশ আয়৷ এক-একটি ৩ কোটি ২২ লক্ষ থেকে ৮ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা দামের ল্যামবাগিনি গাড়ি ২০২৩ সালে ভারতে বিক্রি হয়েছি ১০৩টি! কর্পোরেটগুলির পাশাপাশি, ৩৬২ জন ধনী ব্যক্তি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হেতু ৭৫৭ কোটি টাকার ‘কুখ্যাত’ নির্বাচনী বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘দান করেছিল’। সংশ্লিষ্ট সবক’টি রাজনৈতিক দলকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছে ওই দাতারা। 
‘আচ্ছে দিন’ কি এসে গিয়েছে? ভারত কিংবা ভারতীয়রা কি ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠেছে? ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ শুধুমাত্র চীনের সঙ্গে (হ্যাঁ, যে দেশের সৈন্যরা ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করার পর ভারতীয় সেনাদেরই টহল রুখে দিয়েছিল) ২০২৩-২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা কি ‘অমৃতকাল’-এ ভোর? জনগণের সঙ্গে আর কতদিন প্রতারণা ও মিথ্যাচার চলবে?
দুই নির্ণায়ক
যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে সক্ষম হব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে ‘ন্যারেটিভ’ বানায় বা কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওইসঙ্গে জনগণের কাছে কয়েকটি সাধারণ প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়েছে: 
এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের কাছে— 
• দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক এবং জাতিভিত্তিক জনগণনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে। ভবিষ্যতে ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য শক্তিশালী কর্মসূচি গ্রহণের পক্ষে বিশেষ সহায়ক হবে এই উদ্যোগটি। 
• এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার করা হবে।
• এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত শূন্যপদের গত একবছরের সমস্ত ‘ব্যাকলগ’ পূরণ করা হবে।
যুবকদের কাছে—
• পাস করা হবে শিক্ষানবিশ অধিকার আইন। এক বছরের জন্য শিক্ষানবিশ রাখা হবে। দেওয়া হবে বছরে ১ লক্ষ টাকা স্টাইপেন্ড প্রদানের গ্যারান্টি। সব শেষে মিলবে চাকরি। 
• কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করা হবে। 
• শিক্ষাঋণ বাবদ গৃহীত অর্থের কিছু বকেয়া থাকলে মকুব করা হবে সেটি। এছাড়া মকুব করা হবে অনুরূপ ঋণের উপর প্রদেয় সুদের অনাদায়ী অংশ। 
মহিলাদের কাছে—
• চালু করা হবে মহালক্ষ্মী প্রকল্প। তার মাধ্যমে সবচেয়ে গরিব পরিবারের প্রতিটিকে দেওয়া হবে বছরে ১ লক্ষ টাকা।
• মনরেগার কাজে দৈনিক ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ বাড়িয়ে করা হবে ৪০০ টাকা।
• কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে মহিলাদের জন্য। 
গরিবের প্রতি নজর বৃদ্ধি  
আগামী মাসে আমরা যে নয়া নির্বাচিত সরকার পাব, তাকে নীতিগতভাবে অবশ্যই হতে হবে ‘দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত’ মানুষের জন্য নিবেদি প্রাণ। কংগ্রেসের ইস্তাহারে এই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দিকটি স্বীকার করা হয়েছে। স্বভাবতই ইস্তাহারটি উঠে এসেছে দেজুড়ে চর্চার কেন্দ্রে। বিজেপির বাকশক্তি থেকে অর্থশক্তির বেশিরভাগটাই খরচ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিন্দেমন্দ করতে—আরও যথার্থ বলতে গেলে বলতে হয় যে, কংগ্রেসের ইস্তাহারের ‘কাল্পনিক সংস্করণ’ প্রচারে। 
মোট সাতদফার এই নির্বাচনটি স্থিতাবস্থা ‘রক্ষায়’ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং স্থিতাবস্থা ‘নষ্ট’ করতে মরিয়া দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধে পর্যবসিত হয়েছে। সকলে সৌভাগ্য ফেরার প্রত্যাশায় থাকুন আপাতত ৪ জুন পর্যন্ত। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
27th  May, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
ভিন রাজ্যে পালানোর আগেই মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে বেঙ্গল এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ‘শাহাদত’ জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত হারেজ শেখ। ...

ফিজিক্যাল এডুকেশন অব ইন্ডিয়া পরিচালিত তৃতীয় সর্বভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতায় মঙ্গলবারের খেলায় গুজরাতকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলা। ম্যাচটি তারা ৫-০ গোলে জেতে। ...

বৃষ্টি অব্যাহত। নদীও টইটম্বুর। তা সত্ত্বেও ফের পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, দু’বেলায় চার ঘণ্টা জল সরবরাহ করার নিয়ম থাকলেও শহরের বহু ওয়ার্ডে তা মিলছে না। ...

বেনজির সংঘাতের ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে আজ, বুধবার! বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজ, বেলা ১২টায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান
১৮১৯- বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়
১৮৩৮- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী গওহর জানের জন্ম
১৮৮৭-  কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম
১৮৯৬- আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়
১৯৩৪- ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে
১৯৩৭-  বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৬৮- ইতালির ফুটবলার পাওলো মালদিনির জন্ম
১৯৭৪- প্রথমবার বারকোড ব্যবহার করে কোনও খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়, পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম
১৯৭৭- এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন
১৯৭৯- কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি অবসর গ্রহণ করেন
১৯৮৫- বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুরের জন্ম
১৯৯১- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়
১৯৯২- অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্ম
২০০৫-  ক্রিকেটার একনাথ সোলকারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩১ টাকা ১০৭.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১৪ টাকা ৯১.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৯/৫৫ রাত্রি ৮/৫৬। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২০/১৮ দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫২ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ১/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।   
১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫২। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/৪০ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ

05:00:56 PM

নিট কেলেঙ্কারি: প্রতিবাদে ধর্মতলায় মিছিল

05:00:49 PM

১০০ জনকে স্বরাষ্ট্র এবং ২৭০ জনকে প্রাণী সম্পদ দপ্তরে নিয়োগ করা হবে, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত

04:56:00 PM

৫১৭টি পদ সৃষ্টি এবং নিয়োগের ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা

04:53:00 PM

ইভি বা পরিবেশবান্ধব গাড়ি কিনলে ট্যাক্স মুকুবে এক বছরের এক্সটেনশন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত

04:40:00 PM

বামেদের মিছিলে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, ব্যাপক যানজট

04:38:00 PM