ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ক্যাম্পাসের সুরক্ষার জন্য রয়েছেন ৬৬ জন নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এতটাই বড় যে অবিলম্বে আরও নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পড়ুয়া এবং শিক্ষক, শিক্ষিকারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও অন্য ভবনগুলির অন্দরে সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকলেও ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় সেই ব্যবস্থা নেই। ফলে নজরদারির অভাব স্পষ্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মূল ফটকে অনেক সময় পরিচয় যাচাই না করিয়েই ঢুকে পড়তে পারেন পড়ুয়া থেকে বহিরাগতরা। প্রশ্ন উঠেছে সেই গলদ নিয়েও। তবে, বৃহস্পতিবার দুপুরের ভয়ানক ঘটনা বদলে দিয়েছে অনেক কিছু।
এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বারে হাজির ছিলেন রেজিস্ট্রার। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও আধিকারিক। প্রত্যেক পড়ুয়া যেন সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত তৎপরতা ছিল এদিন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ও নির্মাণ শ্রমিকদেরও এদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে হয়েছে খাতায় নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর লিখে।
উপাচার্য এদিন ছুটে বেড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে। পড়ুয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের তিনি বলেন, পারতপক্ষে একা চলাফেরা এড়িয়ে চলাই ভালো। কয়েকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকবেন। তাতে বিপদের আশঙ্কা কমে। কখনও ভয় পেলে নিরাপত্তা আধিকারিকদের নিঃসঙ্কোচে জানানোর পরামর্শও দেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে আর কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, তা নিয়েও কর্তৃপক্ষ ভাবছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
এদিকে মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্রী ও ছুরি নিয়ে হামলাকারী প্রাক্তন ছাত্রের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।
মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডা: পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, সার্জারি ও ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে সাতজনের বিশেষজ্ঞ দল দু’জনের অস্ত্রোপচার করেছেন। তাঁদের একাধিক গভীর ক্ষত ছিল। আমাদের লক্ষ্য ওই দু’জনকে বাঁচানো। দু’জনকেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)রাখা হয়েছে। এদিন দু’জনকে দেখে আসেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। এছাড়াও শিক্ষক, আধিকারিক ও পড়ুয়ারা পালা করে থাকছেন মেডিক্যালে। (নিজস্ব চিত্র)