Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা ভারত সেবাশ্রমের পাশে থেকেছেন
শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাধুসন্তদের ছদ্মলড়াই পর্যন্ত লাগিয়ে দিলেন। কে না জানে, কোনও প্রয়োজনে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে কতবার ছুটে গিয়েছেন নেত্রী। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কখনও কার্পণ্য করেননি। আর্থিক সাহায্য থেকে নৈতিক সমর্থন, সব বিলিয়েছেন অকাতরে। সামান্য ভোটের জন্য ষড়যন্ত্র করে সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা! আর কোন মুখ্যমন্ত্রীকে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে দাঁড়াতে দেখেছে বাংলার মানুষ? যখনই ডাক এসেছে শত ব্যস্ততা বাধা হয়নি কখনও। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটের মধ্যে এই মিথ্যাচার ধর্মে সইবে তো? স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ (দিলীপ মহারাজ) বিবৃতি দিয়ে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পিছনে কার ষড়যন্ত্র, খোলসা করেননি। বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবেই ভোটযন্ত্রে।
কুকথার জঞ্জাল সাফ করবে কে?
শেষ দফায় বাংলার ৯ আসন সহ ৫৭ আসনের ভোটের সঙ্গেই শেষ হবে এবারের ঐতিহাসিক নির্বাচন পর্ব। অচিরেই ভোট মিটে যাবে। এক্সিট পোলের সাময়িক উত্তেজনা কেটে গিয়ে ৪ জুনের আসল ফলের পর সরকারও গঠন হয়ে যাবে যথাসময়ে। নন্দীগ্রামের রক্তপাত, আগুনও নিভে যাবে। মার খাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে শুধু গরিব মানুষ। কিন্তু এই অকথা কুকথার এভারেস্ট ছুঁই ছুঁই জঞ্জালের পাহাড় সাফ করবে কে? নেতাদের শরীর যত ভারিক্কি, সেই তুলনায় স্মৃতি খুব পাতলা। তাঁরা সব সহজে ভুলে যান। কিংবা ভুলতে চান, সেইসঙ্গে ভোলাতেও। ভোট গেলে রাজনীতি নামক সোনার ডিম পাড়া হাঁস নাড়াচাড়া করে নিত্যনতুন রোজগারে মাতবেন তাঁরা। তখন মন্ত্রী, ষড়যন্ত্রী সবার আমে দুধে মিশে যাওয়ার পালা। সেই পরম মুহূর্তে আঁটি জনগণ গড়াগড়ি খাবে রাস্তায়, বাজারে, পাড়ার আড্ডায় নিজের না-পাওয়ার চেনা আবর্তে। ব্রিগেডে সভার পরদিন ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের কাপ, এঁটো থালা, কলার খোসা, ফেলে দেওয়া জলের বোতল সরাতে নেমে পড়ে পুরসভা থেকে রাজনৈতিক দল, কিন্তু গত আড়াই মাসের কুকথার স্রোত মন থেকে ধুয়ে সাফ করবে কোন সংস্থা?
চোর বলতে প্রমাণ লাগে না ...
যে যাকে খুশি ‘চোর’ বলছে ভরা বাজারে প্রকাশ্য জনসভায়। প্রমাণ তথ্য নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ছাড়াই। নাকি নিজের গা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে অন্যের ঘাড়ে  কলঙ্ক চাপাও! একজন প্রাক্তন বিচারপতি যিনি কি না দু’দিন আগেও ন্যায়দণ্ড হাতে রায় দিতেন, লোকে বাহবা দিত কী সাহস কী সাহস বলে, তিনি প্রকাশ্যে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আগেই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন। এখন আবার এরাজ্যেরই গত চার দশকের সর্বাধিক জনপ্রিয় জননেত্রীর ‘বাজারে দাম কত’ সেই প্রশ্ন তুলছেন সর্বসমক্ষে। এই সস্তা খেউড় যখন শিক্ষিত বাঙালিরও রাজনৈতিক আলোচনার প্রধান অঙ্গ হয় তখন বুঝতে অসুবিধে হয় না গণতন্ত্র, মূল্যবোধ গভীর সঙ্কটে। এসবই ভোটের পশরা। দু’দিন আগে কেউ দেখা করে কোন বই পড়ে আদর্শ মানুষ হওয়া যাবে প্রশ্ন করলে প্রাক্তন ওই বিচারপতি বলতেন, ‘হাউ টু বি এ গুড কমিউনিস্ট’ অবশ্য পাঠ্য সমস্ত যুবক-যুবতীর। তা এরাজ্যে বামেদের অবস্থা ক্রমেই সঙ্গীন দেখে তিনি হয়তো মুনাফার লোভে মত ও পথ দুই বদলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই স্বার্থপর জগতে আদর্শ, মতবাদ, বিশ্বাস সব মিথ্যে, ঠুনকো। আসল হচ্ছে—কীসে ফায়দা, তা বেছে নেওয়া। আলিবাবা ও ৪০ চোরের বাজার নিয়ন্ত্রিত এই রঙ্গালয়ে সেইমতো পথ বেছে নাও, মুনাফা ঘরে তোলো। সেই অঙ্কেই তমলুককে পাখির চোখ করেছেন প্রথম থেকেই। সততা আদর্শ সত্যমিথ্যা সব কথার কথা, জয় হোক শুধু ধান্দার।
মোদিজির ভাষণ না বিষবর্ষণ
হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জেনেশুনে বিষ ছড়াচ্ছেন। আড়াই মাস ধরে এই যে স্বয়ং রাষ্ট্রনেতার মুখে বিভাজনের প্রাণঘাতী বিষবর্ষণ তা কি দেশকে দুর্বল করছে না, মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়ায়নি? সীমান্তপারের একে-৪৭ থেকে ক্রমাগত গোলাগুলির সন্ত্রাসের চেয়ে তা কম কীসে? জেনেশুনে তবু বিষ ছড়িয়েই চলেছেন। কী লক্ষ্য? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, না বিরোধীদের সাড়ে সর্বনাশ সুনিশ্চিত করা। একবার গুনে দেখেছেন, তিনি কতবার হিন্দু- মুসলিম করেছেন আর কতবার বেকার যুবকের চাকরির কথা বলেছেন? কতবার গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দূষণ নিয়ে কথা বলেছেন? সুলভে গরিবের ঘরে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন তিনি? আর কতবার বিরোধীদের তাক করে খুলে আম বদলা নেওয়ার কথা বলেছেন? কত ডজন বার অলীক ৪০০ আসনের বেলুন উড়িয়েছেন, আর কতবার দারিদ্র্য দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন? আর এখন শরিকদের তোয়াজ করছেন। কারণ, একক গরিষ্ঠতা মায়, ২৭২ আসন জেতা নিয়ে তাঁর মনেও নানা প্রশ্ন। মহারাষ্ট্র, বিহার, বাংলা, উত্তরপ্রদেশে আসন বৃদ্ধি দূরে থাক বিজেপি অপ্রত্যাশিত ধাক্কাও খেতে চলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ফুঁসছে। দাক্ষিণাত্য বিজয়ও থমকে। তাই বাধ্য হয়ে এনডিএ’র নামাবলি গায়ে চড়াচ্ছেন গেরুয়া নেতারা।
মানুষের জন্য মন্দির না মন্দিরের জন্য মানুষ!
শুধু একটা মন্দির দেশের বৃহত্তম রাজ্যে শাসক দলের আসন বাড়ায় না কমায়, তারও পরীক্ষা এবারের নির্বাচন। গতবার যোগী আদিত্যনাথের দল ৬২ আসন জিতেছিল। এবার রামমন্দিরের  শক্তিতে একবার বলছেন ৭২, আবার কখনও বলছেন না অতটা হবে না। বিরোধীরা বলছে, ৭২ নয়, ৬২’ও নয়, শেষ পর্যন্ত নামতে হবে ৫০’এ। প্রমাণ হবে এদেশে মন্দির নয়, এখনও মানুষের রুটিরুজিই শেষকথা বলে। হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণই রাজনীতির শেষকথা হতে পারে না। বিরোধীদের নিকেশ না করে বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আর পবিত্র ধর্ম ও মন্দিরকে ভোট কেনার জন্য ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
দোস্ত দোস্ত না রাহা!
স্বার্থের রাজনীতিতে কোনও দাম নেই বিশ্বাসের, বন্ধুত্বের। না-হলে যে শিবসেনা আদবানি ও বাজপেয়ির হিন্দুত্ব আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে একনিষ্ঠ সঙ্গী, বহু লড়াইয়ের সহযোদ্ধা—বাল থ্যাকারে আজ আর নেই—মোদিজি তাঁর শিবসেনাকে দু’টুকরো করে ছেড়েছেন! একনাথের না উদ্ধবের শিবসেনা, কোনটা ‘আসল’ তার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে মহারাষ্ট্র। আবার ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সব ইস্যুতে মোদি সরকারকে সংসদে সমর্থন দিয়ে এসেছেন—কী রাজ্যসভা, কী লোকসভায়। ওড়িশার স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাননি তিনি। অথচ ভুবনেশ্বরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মোদিজি নবীনবাবুকেও ছাড়লেন না! তিনি বললেন, ৪ জুনই বিজেডি সরকারের পতন। ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শক্তি। এত করেও বিষ নজর থেকে মুক্তি পেলেন না নবীনবাবু। এক বিজেপি প্রার্থী আবার ভগবান জগন্নাথদেবকে মোদিজির ভক্ত বানিয়ে দিলেন! এনডিএ’র অন্য শরিকদের জন্য ব্যাপারটা শিক্ষণীয় নয় কি? গেরুয়া শক্তির বিস্তারে মোদিজি শত্রু-মিত্র কাউকেই রেয়াত করেন না।
দুর্নীতি নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায়?
এদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মানুষ চঞ্চল হয় সাময়িকভাবে। কাগজে হেডলাইন হয়। আলোচনার খোরাক হয় দু’দিন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তি হয় না। বোফর্স থেকে রাফাল। কফিন থেকে টু’জি। কয়লা ব্লক বণ্টন। চারা ঘোটালা। ওই পহেলে জেলবাস ফির মুক্তি, অউর সব ভুল জানা। নির্দিষ্ট করে মানি ট্রেইলের হদিশ মেলে না কোথাও। ইউপিএ আমলে বিজেপি সিবিআইকে বলত কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। আর আজ ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স সব শাসকের আঁচলে বাধা। ধরপাকড়, তল্লাশি, পুছতাছ সব চলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে—দেশের হিতে নয়। আমার দলে এলেই কলঙ্ক সাফ। মানুষ যখন আসল কারণটা জানবে, ততক্ষণে ভোট শেষ। গদি দখলের নাটকে যবনিকা।
ভারতের শত্রুরা খুশি
ভোট শেষ হয়ে যাবে। ফল বেরিয়ে সরকার ভাঙাগড়া তাও সম্পন্ন হবে নির্বিঘ্নে। এরাই থাকবে কিংবা অন্যরা আসবে। কিন্তু দেশের মানুষ এই কথার বিষ প্রাণপণে দু’হাতে সরিয়ে আবার শান্তিতে ঘরে ধূপ জ্বালতে পারবে কি? না সমাজ, বিশ্বাস, একই বৃন্তে দু’টি ফুলের ঘ্রাণ— সব কেড়ে নেবে ক্ষমতা দখলের নোংরা রাজনীতির অবিচল ধারাপাত? মানুষে মানুষে সম্পর্ক যদি ধর্মের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশ দুর্বলই হয়। তা কখনও শত্রুর কাছে দুর্ভেদ্য দুর্গ হতে পারে না। সীমান্ত পারের শত্রুরাও সেটাই চায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা। আর জপ করে, ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে মরুক। বাকিটা দেখে নেব।
গরিব জনগণ ঘর কা না ঘাট কা ...
সরকার গড়া হবে। নেতারা গত ৭৫ দিনের ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভুলে স্বাভাবিক কামানোর রাজনীতিতে ফিরে যাবেন ৪ জুন রাত থেকেই। নতুন সমীকরণ তৈরিতে মন দেবেন। কোটি টাকা নিমেষে একশো-দু’শো গুণ হয়ে ফিরে আসবে। আর তখন উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় কিংবা বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আক্রান্ত হবেন। ভাঙচুর হবে তাঁদের আবাস যোজনার বাড়ি, রক্তাক্ত হবে পরিবার। মঙ্গলসূত্র নয়, হারিয়ে যাবে ছোট্ট আশ্রয়টুকু। নেতাদের কিচ্ছু হয় না। তাঁরা হারুন-জিতুন নিরাপদ ঘেরাটোপেই মুরগি, মাটন, পানীয় সহযোগে আরামে আয়েশে থাকেন। মার খায় শুধু গরিব জনগণ, না ঘর কা, না ঘাট কা! নেতাদের দু’শো উঞ্ছবৃত্তির দগদগে ঘা বয়ে নিশ্চিত সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যেতে হয় তাদের! ভিয়েতনামে পরবর্তী বিমান আক্রমণের মতোই অপেক্ষা পরের ভোটের। মঙ্গলসূত্র নয়, গরিবের দু’মুঠো ভাত যেন কেউ কেড়ে নিতে না-পারে, তা আগে নিশ্চিত করুন মোদিজি। 
26th  May, 2024
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একনজরে
হিংসা শুরুর প্রায় দু’বছর পর মণিপুরে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এরইমধ্যে রাজ্যের বিধায়কদের ‘প্রভাবিত ও বিভ্রান্তি’ করার চেষ্টার অভিযোগ। ...

নজরে ২৬-র বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসকদল পথ চলা শুরু করেছে। যদিও নির্বাচনের এখনও অনেক সময় রয়েছে। এখনও নির্বাচনের ঢাকেই ...

আবাসের ঘর না পেয়ে রবিবার বিক্ষোভ দেখালেন জলপাইগুড়ি সদরের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দারা। এখানে তিনটি বুথ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির। সেকারণে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ...

এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা রিজার্ভ বা ব্লক দেউচা পাচামি। শুরুতেই ৩২৬ একর এলাকাজুড়ে হবে ব্যাসল্ট উত্তোলনের কাজ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সৃষ্টিশীল কাজকর্মে উন্নতি হবে।  কর্মক্ষেত্রে কোনও সুখবর পেতে পারেন। বিশেষ কোনও কারণে মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪০৫: মোঙ্গল সর্দার তৈমুরলঙের মৃত্যু
১৬০০: দার্শনিক ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়
১৭৭৫: বাংলায় ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের অন্যতম পথিকৃৎ ডেভিড হেয়ারের জন্ম
১৮৯০: টাইপরাইটারের উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলসের মৃত্যু
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৬৮:  ভারতে প্রথম এবং বিশ্বে চতুর্থ কার্ডিওথোরাসিক সার্জন হিসেবে ডাঃপ্রফুল্লকুমার সেন মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন
১৯৮৪: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্সের জন্ম
১৯৮৭: ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু
২০২০: ‘কাট-কপি-পেস্টের’ জনক টেসলারের মৃত্যু
২০২২:  ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের মৃত্যু
২০২৩: আগ্রা ঘরানার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত বিজয়কুমার কিচলুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৮ টাকা ১১১.১৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৫৬/৪৮ রাত্রি ৪/৫৪। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১১/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৩০/২২।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৪১ গতে ৪/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫০ মধ্যে। 
 ৪ ফাল্গুন, ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ২/৪৪। চিত্রা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৫৪। সূর্যোদয় ৬/১৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ১০/৩৫ গতে ১২/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬ গতে ১১/৫২ মধ্যে। 
১৮ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাচারচক্রের হাত থেকে রক্ষা পেল নাবালক, নাবালিকারা
মোটা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালক ও ২ নাবালিকাকে পাচারের ...বিশদ

06:43:07 PM

অযোধ্যার সরযূ ঘাটে চলছে সন্ধ্যারতি

06:38:00 PM

ফের দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ফের দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী ১৯ ও ২০ ...বিশদ

06:17:33 PM

বিতর্কিত মন্তব্যের জের, ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়াকে শমন পাঠাল মহারাষ্ট্র সাইবার সেল

06:09:00 PM

দিল্লির নজফগড়ে ই-রিক্সার গোডাউনে আগুন, ভস্মীভূত প্রায় ১০০টি ই-রিক্সা, অকুস্থলে দমকল
 

05:55:00 PM

কুম্ভমেলায় ফের অগ্নিকাণ্ড, অকুস্থলে পৌঁছল দমকল

05:30:58 PM