Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা ভারত সেবাশ্রমের পাশে থেকেছেন
শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাধুসন্তদের ছদ্মলড়াই পর্যন্ত লাগিয়ে দিলেন। কে না জানে, কোনও প্রয়োজনে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে কতবার ছুটে গিয়েছেন নেত্রী। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কখনও কার্পণ্য করেননি। আর্থিক সাহায্য থেকে নৈতিক সমর্থন, সব বিলিয়েছেন অকাতরে। সামান্য ভোটের জন্য ষড়যন্ত্র করে সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা! আর কোন মুখ্যমন্ত্রীকে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে দাঁড়াতে দেখেছে বাংলার মানুষ? যখনই ডাক এসেছে শত ব্যস্ততা বাধা হয়নি কখনও। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটের মধ্যে এই মিথ্যাচার ধর্মে সইবে তো? স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ (দিলীপ মহারাজ) বিবৃতি দিয়ে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পিছনে কার ষড়যন্ত্র, খোলসা করেননি। বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবেই ভোটযন্ত্রে।
কুকথার জঞ্জাল সাফ করবে কে?
শেষ দফায় বাংলার ৯ আসন সহ ৫৭ আসনের ভোটের সঙ্গেই শেষ হবে এবারের ঐতিহাসিক নির্বাচন পর্ব। অচিরেই ভোট মিটে যাবে। এক্সিট পোলের সাময়িক উত্তেজনা কেটে গিয়ে ৪ জুনের আসল ফলের পর সরকারও গঠন হয়ে যাবে যথাসময়ে। নন্দীগ্রামের রক্তপাত, আগুনও নিভে যাবে। মার খাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে শুধু গরিব মানুষ। কিন্তু এই অকথা কুকথার এভারেস্ট ছুঁই ছুঁই জঞ্জালের পাহাড় সাফ করবে কে? নেতাদের শরীর যত ভারিক্কি, সেই তুলনায় স্মৃতি খুব পাতলা। তাঁরা সব সহজে ভুলে যান। কিংবা ভুলতে চান, সেইসঙ্গে ভোলাতেও। ভোট গেলে রাজনীতি নামক সোনার ডিম পাড়া হাঁস নাড়াচাড়া করে নিত্যনতুন রোজগারে মাতবেন তাঁরা। তখন মন্ত্রী, ষড়যন্ত্রী সবার আমে দুধে মিশে যাওয়ার পালা। সেই পরম মুহূর্তে আঁটি জনগণ গড়াগড়ি খাবে রাস্তায়, বাজারে, পাড়ার আড্ডায় নিজের না-পাওয়ার চেনা আবর্তে। ব্রিগেডে সভার পরদিন ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের কাপ, এঁটো থালা, কলার খোসা, ফেলে দেওয়া জলের বোতল সরাতে নেমে পড়ে পুরসভা থেকে রাজনৈতিক দল, কিন্তু গত আড়াই মাসের কুকথার স্রোত মন থেকে ধুয়ে সাফ করবে কোন সংস্থা?
চোর বলতে প্রমাণ লাগে না ...
যে যাকে খুশি ‘চোর’ বলছে ভরা বাজারে প্রকাশ্য জনসভায়। প্রমাণ তথ্য নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ছাড়াই। নাকি নিজের গা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে অন্যের ঘাড়ে  কলঙ্ক চাপাও! একজন প্রাক্তন বিচারপতি যিনি কি না দু’দিন আগেও ন্যায়দণ্ড হাতে রায় দিতেন, লোকে বাহবা দিত কী সাহস কী সাহস বলে, তিনি প্রকাশ্যে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আগেই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন। এখন আবার এরাজ্যেরই গত চার দশকের সর্বাধিক জনপ্রিয় জননেত্রীর ‘বাজারে দাম কত’ সেই প্রশ্ন তুলছেন সর্বসমক্ষে। এই সস্তা খেউড় যখন শিক্ষিত বাঙালিরও রাজনৈতিক আলোচনার প্রধান অঙ্গ হয় তখন বুঝতে অসুবিধে হয় না গণতন্ত্র, মূল্যবোধ গভীর সঙ্কটে। এসবই ভোটের পশরা। দু’দিন আগে কেউ দেখা করে কোন বই পড়ে আদর্শ মানুষ হওয়া যাবে প্রশ্ন করলে প্রাক্তন ওই বিচারপতি বলতেন, ‘হাউ টু বি এ গুড কমিউনিস্ট’ অবশ্য পাঠ্য সমস্ত যুবক-যুবতীর। তা এরাজ্যে বামেদের অবস্থা ক্রমেই সঙ্গীন দেখে তিনি হয়তো মুনাফার লোভে মত ও পথ দুই বদলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই স্বার্থপর জগতে আদর্শ, মতবাদ, বিশ্বাস সব মিথ্যে, ঠুনকো। আসল হচ্ছে—কীসে ফায়দা, তা বেছে নেওয়া। আলিবাবা ও ৪০ চোরের বাজার নিয়ন্ত্রিত এই রঙ্গালয়ে সেইমতো পথ বেছে নাও, মুনাফা ঘরে তোলো। সেই অঙ্কেই তমলুককে পাখির চোখ করেছেন প্রথম থেকেই। সততা আদর্শ সত্যমিথ্যা সব কথার কথা, জয় হোক শুধু ধান্দার।
মোদিজির ভাষণ না বিষবর্ষণ
হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জেনেশুনে বিষ ছড়াচ্ছেন। আড়াই মাস ধরে এই যে স্বয়ং রাষ্ট্রনেতার মুখে বিভাজনের প্রাণঘাতী বিষবর্ষণ তা কি দেশকে দুর্বল করছে না, মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়ায়নি? সীমান্তপারের একে-৪৭ থেকে ক্রমাগত গোলাগুলির সন্ত্রাসের চেয়ে তা কম কীসে? জেনেশুনে তবু বিষ ছড়িয়েই চলেছেন। কী লক্ষ্য? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, না বিরোধীদের সাড়ে সর্বনাশ সুনিশ্চিত করা। একবার গুনে দেখেছেন, তিনি কতবার হিন্দু- মুসলিম করেছেন আর কতবার বেকার যুবকের চাকরির কথা বলেছেন? কতবার গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দূষণ নিয়ে কথা বলেছেন? সুলভে গরিবের ঘরে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন তিনি? আর কতবার বিরোধীদের তাক করে খুলে আম বদলা নেওয়ার কথা বলেছেন? কত ডজন বার অলীক ৪০০ আসনের বেলুন উড়িয়েছেন, আর কতবার দারিদ্র্য দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন? আর এখন শরিকদের তোয়াজ করছেন। কারণ, একক গরিষ্ঠতা মায়, ২৭২ আসন জেতা নিয়ে তাঁর মনেও নানা প্রশ্ন। মহারাষ্ট্র, বিহার, বাংলা, উত্তরপ্রদেশে আসন বৃদ্ধি দূরে থাক বিজেপি অপ্রত্যাশিত ধাক্কাও খেতে চলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ফুঁসছে। দাক্ষিণাত্য বিজয়ও থমকে। তাই বাধ্য হয়ে এনডিএ’র নামাবলি গায়ে চড়াচ্ছেন গেরুয়া নেতারা।
মানুষের জন্য মন্দির না মন্দিরের জন্য মানুষ!
শুধু একটা মন্দির দেশের বৃহত্তম রাজ্যে শাসক দলের আসন বাড়ায় না কমায়, তারও পরীক্ষা এবারের নির্বাচন। গতবার যোগী আদিত্যনাথের দল ৬২ আসন জিতেছিল। এবার রামমন্দিরের  শক্তিতে একবার বলছেন ৭২, আবার কখনও বলছেন না অতটা হবে না। বিরোধীরা বলছে, ৭২ নয়, ৬২’ও নয়, শেষ পর্যন্ত নামতে হবে ৫০’এ। প্রমাণ হবে এদেশে মন্দির নয়, এখনও মানুষের রুটিরুজিই শেষকথা বলে। হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণই রাজনীতির শেষকথা হতে পারে না। বিরোধীদের নিকেশ না করে বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আর পবিত্র ধর্ম ও মন্দিরকে ভোট কেনার জন্য ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
দোস্ত দোস্ত না রাহা!
স্বার্থের রাজনীতিতে কোনও দাম নেই বিশ্বাসের, বন্ধুত্বের। না-হলে যে শিবসেনা আদবানি ও বাজপেয়ির হিন্দুত্ব আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে একনিষ্ঠ সঙ্গী, বহু লড়াইয়ের সহযোদ্ধা—বাল থ্যাকারে আজ আর নেই—মোদিজি তাঁর শিবসেনাকে দু’টুকরো করে ছেড়েছেন! একনাথের না উদ্ধবের শিবসেনা, কোনটা ‘আসল’ তার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে মহারাষ্ট্র। আবার ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সব ইস্যুতে মোদি সরকারকে সংসদে সমর্থন দিয়ে এসেছেন—কী রাজ্যসভা, কী লোকসভায়। ওড়িশার স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাননি তিনি। অথচ ভুবনেশ্বরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মোদিজি নবীনবাবুকেও ছাড়লেন না! তিনি বললেন, ৪ জুনই বিজেডি সরকারের পতন। ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শক্তি। এত করেও বিষ নজর থেকে মুক্তি পেলেন না নবীনবাবু। এক বিজেপি প্রার্থী আবার ভগবান জগন্নাথদেবকে মোদিজির ভক্ত বানিয়ে দিলেন! এনডিএ’র অন্য শরিকদের জন্য ব্যাপারটা শিক্ষণীয় নয় কি? গেরুয়া শক্তির বিস্তারে মোদিজি শত্রু-মিত্র কাউকেই রেয়াত করেন না।
দুর্নীতি নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায়?
এদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মানুষ চঞ্চল হয় সাময়িকভাবে। কাগজে হেডলাইন হয়। আলোচনার খোরাক হয় দু’দিন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তি হয় না। বোফর্স থেকে রাফাল। কফিন থেকে টু’জি। কয়লা ব্লক বণ্টন। চারা ঘোটালা। ওই পহেলে জেলবাস ফির মুক্তি, অউর সব ভুল জানা। নির্দিষ্ট করে মানি ট্রেইলের হদিশ মেলে না কোথাও। ইউপিএ আমলে বিজেপি সিবিআইকে বলত কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। আর আজ ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স সব শাসকের আঁচলে বাধা। ধরপাকড়, তল্লাশি, পুছতাছ সব চলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে—দেশের হিতে নয়। আমার দলে এলেই কলঙ্ক সাফ। মানুষ যখন আসল কারণটা জানবে, ততক্ষণে ভোট শেষ। গদি দখলের নাটকে যবনিকা।
ভারতের শত্রুরা খুশি
ভোট শেষ হয়ে যাবে। ফল বেরিয়ে সরকার ভাঙাগড়া তাও সম্পন্ন হবে নির্বিঘ্নে। এরাই থাকবে কিংবা অন্যরা আসবে। কিন্তু দেশের মানুষ এই কথার বিষ প্রাণপণে দু’হাতে সরিয়ে আবার শান্তিতে ঘরে ধূপ জ্বালতে পারবে কি? না সমাজ, বিশ্বাস, একই বৃন্তে দু’টি ফুলের ঘ্রাণ— সব কেড়ে নেবে ক্ষমতা দখলের নোংরা রাজনীতির অবিচল ধারাপাত? মানুষে মানুষে সম্পর্ক যদি ধর্মের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশ দুর্বলই হয়। তা কখনও শত্রুর কাছে দুর্ভেদ্য দুর্গ হতে পারে না। সীমান্ত পারের শত্রুরাও সেটাই চায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা। আর জপ করে, ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে মরুক। বাকিটা দেখে নেব।
গরিব জনগণ ঘর কা না ঘাট কা ...
সরকার গড়া হবে। নেতারা গত ৭৫ দিনের ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভুলে স্বাভাবিক কামানোর রাজনীতিতে ফিরে যাবেন ৪ জুন রাত থেকেই। নতুন সমীকরণ তৈরিতে মন দেবেন। কোটি টাকা নিমেষে একশো-দু’শো গুণ হয়ে ফিরে আসবে। আর তখন উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় কিংবা বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আক্রান্ত হবেন। ভাঙচুর হবে তাঁদের আবাস যোজনার বাড়ি, রক্তাক্ত হবে পরিবার। মঙ্গলসূত্র নয়, হারিয়ে যাবে ছোট্ট আশ্রয়টুকু। নেতাদের কিচ্ছু হয় না। তাঁরা হারুন-জিতুন নিরাপদ ঘেরাটোপেই মুরগি, মাটন, পানীয় সহযোগে আরামে আয়েশে থাকেন। মার খায় শুধু গরিব জনগণ, না ঘর কা, না ঘাট কা! নেতাদের দু’শো উঞ্ছবৃত্তির দগদগে ঘা বয়ে নিশ্চিত সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যেতে হয় তাদের! ভিয়েতনামে পরবর্তী বিমান আক্রমণের মতোই অপেক্ষা পরের ভোটের। মঙ্গলসূত্র নয়, গরিবের দু’মুঠো ভাত যেন কেউ কেড়ে নিতে না-পারে, তা আগে নিশ্চিত করুন মোদিজি। 
26th  May, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
ফিজিক্যাল এডুকেশন অব ইন্ডিয়া পরিচালিত তৃতীয় সর্বভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতায় মঙ্গলবারের খেলায় গুজরাতকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলা। ম্যাচটি তারা ৫-০ গোলে জেতে। ...

বেনজির সংঘাতের ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে আজ, বুধবার! বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজ, বেলা ১২টায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ...

পাঁচ বছর পর অবশেষে মুক্তি। মার্কিন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। এই শর্ত অনুসারেই ব্রিটিশ কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ...

ভিন রাজ্যে পালানোর আগেই মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে বেঙ্গল এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ‘শাহাদত’ জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত হারেজ শেখ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান
১৮১৯- বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়
১৮৩৮- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী গওহর জানের জন্ম
১৮৮৭-  কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম
১৮৯৬- আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়
১৯৩৪- ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে
১৯৩৭-  বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৬৮- ইতালির ফুটবলার পাওলো মালদিনির জন্ম
১৯৭৪- প্রথমবার বারকোড ব্যবহার করে কোনও খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়, পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম
১৯৭৭- এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন
১৯৭৯- কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি অবসর গ্রহণ করেন
১৯৮৫- বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুরের জন্ম
১৯৯১- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়
১৯৯২- অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্ম
২০০৫-  ক্রিকেটার একনাথ সোলকারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩১ টাকা ১০৭.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১৪ টাকা ৯১.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৯/৫৫ রাত্রি ৮/৫৬। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২০/১৮ দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫২ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ১/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।   
১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫২। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/৪০ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বামেদের মিছিলে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, ব্যাপক যানজট

04:38:00 PM

জম্মু-কাশ্মীরে খতম ১ জঙ্গি
জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। সংঘর্ষে খতম ১ জঙ্গি। ...বিশদ

04:29:23 PM

নবান্ন সভাঘরে বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা সহ একাধিক পুরসভা, জেলা প্রশাসন, পুলিসের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে ...বিশদ

03:43:49 PM

২১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার, ধৃত ৫
গতকাল, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত। এছাড়া ...বিশদ

03:41:00 PM

প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং
প্যারিস অলিম্পিকের জন্য ১৬ সদস্যের ভারতীয় পুরুষ হকি দল ঘোষণা ...বিশদ

03:35:44 PM

রাজ্যপালের অপেক্ষায় বিধানসভার ২ নবনির্বাচিত সদস্য
বুধবার দুপুরে বিধানসভার গাড়িবারান্দায় পোস্টার হাতে র‌াজ্যপালের জন্য অপেক্ষা করতে ...বিশদ

03:22:00 PM