Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। কারণ এতক্ষণ আরও ৮টি সংস্থা  প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। সেরকম স্পার্ক নেই। পছন্দ হচ্ছে না। কিছু একটা মিসিং। অতএব লিও বার্নেট সদস্যরা প্রবেশ করার পর একমাত্র সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, হ্যালো.. সিট ডাউন। বাকিরা নিরাসক্ত হয়ে বসে। ১৫ মিনিট লেগেছিল ওই টিমের একটি প্রেজেন্টেশন দেখাতে। উপস্থিত মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অটলবিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আদবানির যুগলবন্দির বিজেপি হাই ভোল্টেজ একটি চূড়ান্ত স্মার্ট অ্যাড ক্যাম্পেন অর্থাৎ বিজ্ঞাপনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। টিভি থেকে বাস স্টপ। সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে সেই বিজ্ঞাপন। ক্যাচলাইন ছিল ইন্ডিয়া শাইনিং। ভারত উদয়। ফিল গুড। কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না যে, আবার ফিরছে অটলবিহারী বাজপেয়ির এনডিএ সরকার। কংগ্রেসের কোনও সুযোগই নেই। তাদের কোনও মুখই নেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বিজেপির লাগাতার প্রচারে সোনিয়া গান্ধীর পরিচয় ‘বিদেশিনী’। বিরোধী বলতে তেমন কোনও শক্তিশালী দল নেই। বিজেপি কেন ইন্ডিয়া শাইনিং এবং ফিল গুড নামক ক্যাচলাইন বলেছিল? প্রধান কারণ ছিল ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালের প্রথমার্ধে শেয়ার বাজার সাংঘাতিক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার উপচে পড়ছে রাজকোষে। এসবকেই উন্নতির পরাকাষ্ঠা ভাবা হয়েছিল। লক্ষণীয়, ২০২৪ সালে ঠিক এই দুটি ফ্যাক্টরকেও বড়সড় উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এই মুহূর্তেও শেয়ার বাজার সর্বকালীন রেকর্ড করে শীর্ষস্তরে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও প্রচুর। এবং বিরোধীদের নেই প্রধানমন্ত্রী মুখ। 
২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে এহেন এক অবস্থায় কংগ্রেস ভোটের মাঠে নামার আগে শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। তারই একটি অঙ্গ হল একটা কোনও অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করা। ততদিনে গ্রে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সংস্থার সঙ্গে বিজেপির চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রথম দফার বিজ্ঞাপন পুরোদমে গ্রাস করে ফেলেছে দেশের মিডিয়া এবং জনমন। ঠিক এরকম সময় লিও বার্নেট সংস্থার ওই বিজ্ঞাপনী প্রেজেন্টেশন পছন্দ হল কংগ্রেসের। কিন্তু আটকে গেল পরের বৈঠকে। ৭ ফেব্রুয়ারি। কংগ্রেসের ট্রেজারার মতিলাল ভোরা বললেন, ৮০ কোটি টাকা দেওয়া যাবে না। অর্ধেক করতে হবে। কীভাবে সম্ভব? প্রস্তাব দেওয়া হল, বিজ্ঞাপনের প্রথম পর্ব বাদ দেওয়া হোক। কী ছিল লিও বার্নেটের বিজ্ঞাপন? দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে বলা হবে, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা?’ অর্থাৎ ইন্ডিয়া শাইনিং তো বুঝলাম! আম আদমি কী পেল? আর ভোট শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আসবে দ্বিতীয় পর্ব। ‘কংগ্রেস কা হাত আম আদমি কে সাথ’। লিও বার্নেট সংস্থার ক্রিয়েটিভ টিম কিছুতেই মানবে না সেই প্রস্তাব। তারা বলল, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা’ এটা না থাকলে এই বিজ্ঞাপনের প্রভাবই থাকবে না। আমরা বলতে চাইছি, ইন্ডিয়া শাইনিং কাদের জন্য? আম আদমির তো কিছুই মেলে না। তাহলে আম আদমির কথা কে ভাববে? কংগ্রেস ভাববে। কংগ্রেসকে ভোট দিন। এভাবেই সাজানো হয়েছে স্লোগান। অতএব ওটা রাখতেই হবে। 
একটি বই প্রকাশিত হয়েছে কয়েক বছর আগে। সেই বইয়ের নাম, ‘ডোন্ট ফরগেট ২০০৪: অ্যাডভার্টাইজিং সিক্রেটস অফ অ্যান ইমপসিবল ইলেকশন ভিকট্রি’। সেই বইতে লেখক লিও বার্নেটের অন্যতম ডিরেক্টর জয়শ্রী এম সুন্দর লিখেছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সামনে রেডিও ক্যাম্পেন শোনানো হল আবার। একই কন্টেন্ট। প্রিয়াঙ্কা বললেন, আপনারা কি সব প্রস্তুতি করে ফেলেছেন? লিও বার্নেট বলল, না। আমাদের তো কাটছাঁট করতে বলা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ইটস অল অর নাথিং! অর্থাৎ হয় সবটা যাবে। নয়তো যাবেই না। প্রিয়াঙ্কার ওই সবুজ সংকেতের পর আর বাধা নেই। শুরু হল বিজ্ঞাপনের যাত্রা। অবিশ্বাস্য এক ফলাফল হয়েছিল। বিজেপি হেরে যায়। 
বিজেপির ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনে ডাবল ইঞ্জিন সুবিধা আছে। একদিকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন। তারা সরকারি টাকায় মোদি সরকারের হয়ে বিজ্ঞাপন করছে। মোদি সরকারের গ্যারান্টি শীর্ষক। আবার পাশাপাশি  বিজেপির ভোট প্রচারের বিজ্ঞাপনের কন্ট্রাক্ট পেয়েছে মূলত ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপ এবং স্কারক্রো এম অ্যান্ড সি। ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপের কর্ণধার হলেন বিখ্যাত কবি, গীতিকার প্রসূন যোশী। মোদি সরকার এবং বিজেপির প্রিয়পাত্র তিনি। অসংখ্য সুপারহিট গান ও সিনেমার গীতিকার তথা চিত্রনাট্যকার। বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল ও গানেও তিনি সফল এবং দক্ষ। অন্যদিকে, মোদির অমৃতকাল এবং মোদির গ্যারান্টি স্লোগানের বিপরীতে পাল্টা প্রচারের জন্য কংগ্রেস বেছে নিয়েছে ডিডিবি মুদ্রা নামক বিখ্যাত এজেন্সিকে। কারা এরা? দীর্ঘকালের সমীহ সৃষ্টিকারী অ্যাড সংস্থা। যাদের বিখ্যাত তথা আইকনিক বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন হল, ‘অনলি বিমল’ অথবা ‘কেরালা, গডস ওন কান্ট্রি’। ডিবিডি মুদ্রার ক্লায়েন্ট তালিকা ঈর্ষণীয়। ম্যাকডোনাল্ড, নেটফ্লিক্স, ধারা, ফোকসওয়াগন, রয়্যাল এনফিল্ড ইত্যাদি। 
এবারও কংগ্রেস ২০০৪ সালের ফর্মুলায় 
ফিরে গিয়েছে। অন্তত আগ্রাসী বিজ্ঞাপনে তেমনই দেখা যাচ্ছে। মোদির অমৃতকালে যে আম আদমি 
কিছু পায়নি, বেকারত্ব থেকে মূল্যবৃদ্ধির জেরে আম আদমি জেরবার, সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিটি অডিও ভিস্যুয়াল অথবা প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল প্রচারে। কংগ্রেসের এবারের স্লোগান হল, ‘হাত বদলেগা হালত’। 
২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল ২০ বছর এগিয়ে এসেছে। বিজ্ঞাপনের অভিমুখ এবং টার্গেট অডিয়েন্সও বদলে গিয়েছে। তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যাম্পেনের জন্য সব দলের বাজেট রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে গুগুল অ্যাডস খাতে অর্থাৎ গুগুল ২০১৮ সাল থেকে যে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে, তার ২৬ শতাংশই বিজেপির। ১০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপির ক্যাম্পেনে শুধু গুগুলে। পূর্বতন বিজ্ঞাপনের সঙ্গে ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনী স্ট্র্যাটেজি এবং থিওরির পার্থক্য কী? পার্থক্য হল, আগে টিভিতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখা ছিল ব্যক্তিগত দর্শন ও শ্রবণ। দেখলাম, শেষ হয়ে গেল, ভুলে গেলাম অথবা মনে রাখলাম। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান জগতে পছন্দ হলে সেই বিজ্ঞাপন শেয়ার করার সুবিধা আছে। অর্থাৎ একটি বিজ্ঞাপনের একজন ভিউয়ার সেটা শেয়ার করে করে আসলে নিজের অলক্ষ্যেই একজন ক্যাম্পেনারও হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে এখন ডিজিটাল ক্যাম্পেন এত গুরুত্বপূর্ণ। যে ওই ভিডিও অথবা প্রচারের স্লোগানটি শেয়ার করছে বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা গ্রুপে, সেজন্য সে কিন্তু কোনও টাকা পয়সা পাচ্ছে না। ভোটের পরও সে যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। অথচ সে একজন পরোক্ষ প্রচারক। ওই বিজ্ঞাপনের সংস্থা হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ভোটাররা যে দলকে জেতাবে, তারা সিংহাসনে বসবে। হাজার হাজার কোটি টাকা দলের ফান্ডে আসবে ক্ষমতাসীন হলে। কিন্তু ভোটারদেরও জীবন পাল্টায় না। এসব সবাই জানে। 
সব দলের এই যে প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ, একটি বা একাধিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিরা ভোটারদের কাছে তাদের ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে ভালো ভালো চিত্র ও স্বপ্ন নিয়ে আসবে এটা স্বাভাবিক। রাজনীতি এবং ভোট যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আবার এটাও ঠিক যে, এই গোটা প্রক্রিয়া একটি বৃহৎ বিজনেস। ‘ইলেকশন ইকনমি’ ভারতে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার একটি বাণিজ্য। সুতরাং এটা মাথায় রেখে আমাদের ভাবতে হবে যে,আমরা যারা এই ইলেকশন ইকনমির প্রত্যক্ষ অংশীদার নই, তারা ভোটটা কীভাবে দেব? নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে? নাকি প্রচার ও প্রোপাগান্ডায় আকৃষ্ট হয়ে? কোন দল আমাদের কী কী সুবিধা দিচ্ছে। সরাসরি নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হচ্ছে। আমাদের সংসারের কাজে লাগছে। পরিবারের সামান্য কিছু সুরাহা হচ্ছে। আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে অথবা হতে পারে। এসব ভেবেই কি ভোট দেওয়া উচিত নয়? সেটাই কি বুদ্ধিমত্তা নয়? নাকি নিছক দলীয় মতবাদের ক্রীতদাস হব? 
নবীন পট্টনায়ক কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রধান ভোটব্যাঙ্ক হলেন মহিলারা। তাঁরা দুজনেই মহিলাদের ভোট পেয়ে থাকেন। প্রধানত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। নবীন পট্টনায়কের মহিলা ভোটব্যাঙ্কের কারণ হল, মিশন শক্তি প্রকল্প। মহিলাদের স্বনিযুক্তি স্কিম। বিনা সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ব্যাঙ্ক লোন। এবং বিজু স্বাস্থ্য কল্যাণ যোজনা। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি প্রকল্পে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অটুট। এই দুই উদাহরণ দেওয়ার অর্থ হল, এই মহিলা ভোটব্যাঙ্ক কিন্তু ঘর পরিবার থেকে অনেক দূরে কোথায় মন্দির মসজিদে কী হয়েছে, কোথায় কোন সম্প্রদায় কোন গোষ্ঠীকে মারধর করেছে, কোনটা ফেক নিউজ, এসব ভাবেই না। রোজকার মোমেন্টারি ইস্যুতে তারা মাথাই ঘামায় না। তারা ভাবে নিজেদের পরিবারের কথা। সুবিধার কথা। সুরাহার কথা। আবার মোদি যতই হিন্দু মুসলিম নিয়ে বিভাজনের চেষ্টা করুন, সেভাবে বিরাট লাভ দিচ্ছে না। তাঁর অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক হল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লাভার্থীরা। অর্থাৎ বিনামূল্যে রেশন, আবাস যোজনা, কৃষকদের ৬ হাজার টাকা ইত্যাদি। অর্থাৎ সমাজের এই যে তথাকথিত নিম্নবর্গ এবং নিম্নবিত্ত অংশ, তারা সরাসরি সুযোগ সুবিধাকে প্রধান্য দিচ্ছে। প্রোপাগান্ডায় খুব একটা গা ভাসায় না। এটা কি সুবিধাবাদী ভোটব্যাঙ্ক? নাকি বাস্তববাদী পরিণতমনস্কতা? কোনটা ঠিক?
24th  May, 2024
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
পার্লারে মোটা টাকার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাদের অন্ধকার জগতে নামানো হচ্ছে। একবার এই জগতে পা রখলে আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। বর্ধমান ও দুর্গাপুরে একটি চক্র তাদের বিপথে চালনা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রটি তাদের ...

গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM