Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। কারণ এতক্ষণ আরও ৮টি সংস্থা  প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। সেরকম স্পার্ক নেই। পছন্দ হচ্ছে না। কিছু একটা মিসিং। অতএব লিও বার্নেট সদস্যরা প্রবেশ করার পর একমাত্র সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, হ্যালো.. সিট ডাউন। বাকিরা নিরাসক্ত হয়ে বসে। ১৫ মিনিট লেগেছিল ওই টিমের একটি প্রেজেন্টেশন দেখাতে। উপস্থিত মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অটলবিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আদবানির যুগলবন্দির বিজেপি হাই ভোল্টেজ একটি চূড়ান্ত স্মার্ট অ্যাড ক্যাম্পেন অর্থাৎ বিজ্ঞাপনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। টিভি থেকে বাস স্টপ। সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে সেই বিজ্ঞাপন। ক্যাচলাইন ছিল ইন্ডিয়া শাইনিং। ভারত উদয়। ফিল গুড। কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না যে, আবার ফিরছে অটলবিহারী বাজপেয়ির এনডিএ সরকার। কংগ্রেসের কোনও সুযোগই নেই। তাদের কোনও মুখই নেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বিজেপির লাগাতার প্রচারে সোনিয়া গান্ধীর পরিচয় ‘বিদেশিনী’। বিরোধী বলতে তেমন কোনও শক্তিশালী দল নেই। বিজেপি কেন ইন্ডিয়া শাইনিং এবং ফিল গুড নামক ক্যাচলাইন বলেছিল? প্রধান কারণ ছিল ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালের প্রথমার্ধে শেয়ার বাজার সাংঘাতিক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার উপচে পড়ছে রাজকোষে। এসবকেই উন্নতির পরাকাষ্ঠা ভাবা হয়েছিল। লক্ষণীয়, ২০২৪ সালে ঠিক এই দুটি ফ্যাক্টরকেও বড়সড় উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এই মুহূর্তেও শেয়ার বাজার সর্বকালীন রেকর্ড করে শীর্ষস্তরে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও প্রচুর। এবং বিরোধীদের নেই প্রধানমন্ত্রী মুখ। 
২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে এহেন এক অবস্থায় কংগ্রেস ভোটের মাঠে নামার আগে শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। তারই একটি অঙ্গ হল একটা কোনও অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করা। ততদিনে গ্রে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সংস্থার সঙ্গে বিজেপির চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রথম দফার বিজ্ঞাপন পুরোদমে গ্রাস করে ফেলেছে দেশের মিডিয়া এবং জনমন। ঠিক এরকম সময় লিও বার্নেট সংস্থার ওই বিজ্ঞাপনী প্রেজেন্টেশন পছন্দ হল কংগ্রেসের। কিন্তু আটকে গেল পরের বৈঠকে। ৭ ফেব্রুয়ারি। কংগ্রেসের ট্রেজারার মতিলাল ভোরা বললেন, ৮০ কোটি টাকা দেওয়া যাবে না। অর্ধেক করতে হবে। কীভাবে সম্ভব? প্রস্তাব দেওয়া হল, বিজ্ঞাপনের প্রথম পর্ব বাদ দেওয়া হোক। কী ছিল লিও বার্নেটের বিজ্ঞাপন? দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে বলা হবে, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা?’ অর্থাৎ ইন্ডিয়া শাইনিং তো বুঝলাম! আম আদমি কী পেল? আর ভোট শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আসবে দ্বিতীয় পর্ব। ‘কংগ্রেস কা হাত আম আদমি কে সাথ’। লিও বার্নেট সংস্থার ক্রিয়েটিভ টিম কিছুতেই মানবে না সেই প্রস্তাব। তারা বলল, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা’ এটা না থাকলে এই বিজ্ঞাপনের প্রভাবই থাকবে না। আমরা বলতে চাইছি, ইন্ডিয়া শাইনিং কাদের জন্য? আম আদমির তো কিছুই মেলে না। তাহলে আম আদমির কথা কে ভাববে? কংগ্রেস ভাববে। কংগ্রেসকে ভোট দিন। এভাবেই সাজানো হয়েছে স্লোগান। অতএব ওটা রাখতেই হবে। 
একটি বই প্রকাশিত হয়েছে কয়েক বছর আগে। সেই বইয়ের নাম, ‘ডোন্ট ফরগেট ২০০৪: অ্যাডভার্টাইজিং সিক্রেটস অফ অ্যান ইমপসিবল ইলেকশন ভিকট্রি’। সেই বইতে লেখক লিও বার্নেটের অন্যতম ডিরেক্টর জয়শ্রী এম সুন্দর লিখেছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সামনে রেডিও ক্যাম্পেন শোনানো হল আবার। একই কন্টেন্ট। প্রিয়াঙ্কা বললেন, আপনারা কি সব প্রস্তুতি করে ফেলেছেন? লিও বার্নেট বলল, না। আমাদের তো কাটছাঁট করতে বলা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ইটস অল অর নাথিং! অর্থাৎ হয় সবটা যাবে। নয়তো যাবেই না। প্রিয়াঙ্কার ওই সবুজ সংকেতের পর আর বাধা নেই। শুরু হল বিজ্ঞাপনের যাত্রা। অবিশ্বাস্য এক ফলাফল হয়েছিল। বিজেপি হেরে যায়। 
বিজেপির ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনে ডাবল ইঞ্জিন সুবিধা আছে। একদিকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন। তারা সরকারি টাকায় মোদি সরকারের হয়ে বিজ্ঞাপন করছে। মোদি সরকারের গ্যারান্টি শীর্ষক। আবার পাশাপাশি  বিজেপির ভোট প্রচারের বিজ্ঞাপনের কন্ট্রাক্ট পেয়েছে মূলত ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপ এবং স্কারক্রো এম অ্যান্ড সি। ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপের কর্ণধার হলেন বিখ্যাত কবি, গীতিকার প্রসূন যোশী। মোদি সরকার এবং বিজেপির প্রিয়পাত্র তিনি। অসংখ্য সুপারহিট গান ও সিনেমার গীতিকার তথা চিত্রনাট্যকার। বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল ও গানেও তিনি সফল এবং দক্ষ। অন্যদিকে, মোদির অমৃতকাল এবং মোদির গ্যারান্টি স্লোগানের বিপরীতে পাল্টা প্রচারের জন্য কংগ্রেস বেছে নিয়েছে ডিডিবি মুদ্রা নামক বিখ্যাত এজেন্সিকে। কারা এরা? দীর্ঘকালের সমীহ সৃষ্টিকারী অ্যাড সংস্থা। যাদের বিখ্যাত তথা আইকনিক বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন হল, ‘অনলি বিমল’ অথবা ‘কেরালা, গডস ওন কান্ট্রি’। ডিবিডি মুদ্রার ক্লায়েন্ট তালিকা ঈর্ষণীয়। ম্যাকডোনাল্ড, নেটফ্লিক্স, ধারা, ফোকসওয়াগন, রয়্যাল এনফিল্ড ইত্যাদি। 
এবারও কংগ্রেস ২০০৪ সালের ফর্মুলায় 
ফিরে গিয়েছে। অন্তত আগ্রাসী বিজ্ঞাপনে তেমনই দেখা যাচ্ছে। মোদির অমৃতকালে যে আম আদমি 
কিছু পায়নি, বেকারত্ব থেকে মূল্যবৃদ্ধির জেরে আম আদমি জেরবার, সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিটি অডিও ভিস্যুয়াল অথবা প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল প্রচারে। কংগ্রেসের এবারের স্লোগান হল, ‘হাত বদলেগা হালত’। 
২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল ২০ বছর এগিয়ে এসেছে। বিজ্ঞাপনের অভিমুখ এবং টার্গেট অডিয়েন্সও বদলে গিয়েছে। তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যাম্পেনের জন্য সব দলের বাজেট রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে গুগুল অ্যাডস খাতে অর্থাৎ গুগুল ২০১৮ সাল থেকে যে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে, তার ২৬ শতাংশই বিজেপির। ১০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপির ক্যাম্পেনে শুধু গুগুলে। পূর্বতন বিজ্ঞাপনের সঙ্গে ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনী স্ট্র্যাটেজি এবং থিওরির পার্থক্য কী? পার্থক্য হল, আগে টিভিতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখা ছিল ব্যক্তিগত দর্শন ও শ্রবণ। দেখলাম, শেষ হয়ে গেল, ভুলে গেলাম অথবা মনে রাখলাম। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান জগতে পছন্দ হলে সেই বিজ্ঞাপন শেয়ার করার সুবিধা আছে। অর্থাৎ একটি বিজ্ঞাপনের একজন ভিউয়ার সেটা শেয়ার করে করে আসলে নিজের অলক্ষ্যেই একজন ক্যাম্পেনারও হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে এখন ডিজিটাল ক্যাম্পেন এত গুরুত্বপূর্ণ। যে ওই ভিডিও অথবা প্রচারের স্লোগানটি শেয়ার করছে বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা গ্রুপে, সেজন্য সে কিন্তু কোনও টাকা পয়সা পাচ্ছে না। ভোটের পরও সে যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। অথচ সে একজন পরোক্ষ প্রচারক। ওই বিজ্ঞাপনের সংস্থা হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ভোটাররা যে দলকে জেতাবে, তারা সিংহাসনে বসবে। হাজার হাজার কোটি টাকা দলের ফান্ডে আসবে ক্ষমতাসীন হলে। কিন্তু ভোটারদেরও জীবন পাল্টায় না। এসব সবাই জানে। 
সব দলের এই যে প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ, একটি বা একাধিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিরা ভোটারদের কাছে তাদের ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে ভালো ভালো চিত্র ও স্বপ্ন নিয়ে আসবে এটা স্বাভাবিক। রাজনীতি এবং ভোট যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আবার এটাও ঠিক যে, এই গোটা প্রক্রিয়া একটি বৃহৎ বিজনেস। ‘ইলেকশন ইকনমি’ ভারতে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার একটি বাণিজ্য। সুতরাং এটা মাথায় রেখে আমাদের ভাবতে হবে যে,আমরা যারা এই ইলেকশন ইকনমির প্রত্যক্ষ অংশীদার নই, তারা ভোটটা কীভাবে দেব? নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে? নাকি প্রচার ও প্রোপাগান্ডায় আকৃষ্ট হয়ে? কোন দল আমাদের কী কী সুবিধা দিচ্ছে। সরাসরি নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হচ্ছে। আমাদের সংসারের কাজে লাগছে। পরিবারের সামান্য কিছু সুরাহা হচ্ছে। আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে অথবা হতে পারে। এসব ভেবেই কি ভোট দেওয়া উচিত নয়? সেটাই কি বুদ্ধিমত্তা নয়? নাকি নিছক দলীয় মতবাদের ক্রীতদাস হব? 
নবীন পট্টনায়ক কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রধান ভোটব্যাঙ্ক হলেন মহিলারা। তাঁরা দুজনেই মহিলাদের ভোট পেয়ে থাকেন। প্রধানত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। নবীন পট্টনায়কের মহিলা ভোটব্যাঙ্কের কারণ হল, মিশন শক্তি প্রকল্প। মহিলাদের স্বনিযুক্তি স্কিম। বিনা সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ব্যাঙ্ক লোন। এবং বিজু স্বাস্থ্য কল্যাণ যোজনা। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি প্রকল্পে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অটুট। এই দুই উদাহরণ দেওয়ার অর্থ হল, এই মহিলা ভোটব্যাঙ্ক কিন্তু ঘর পরিবার থেকে অনেক দূরে কোথায় মন্দির মসজিদে কী হয়েছে, কোথায় কোন সম্প্রদায় কোন গোষ্ঠীকে মারধর করেছে, কোনটা ফেক নিউজ, এসব ভাবেই না। রোজকার মোমেন্টারি ইস্যুতে তারা মাথাই ঘামায় না। তারা ভাবে নিজেদের পরিবারের কথা। সুবিধার কথা। সুরাহার কথা। আবার মোদি যতই হিন্দু মুসলিম নিয়ে বিভাজনের চেষ্টা করুন, সেভাবে বিরাট লাভ দিচ্ছে না। তাঁর অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক হল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লাভার্থীরা। অর্থাৎ বিনামূল্যে রেশন, আবাস যোজনা, কৃষকদের ৬ হাজার টাকা ইত্যাদি। অর্থাৎ সমাজের এই যে তথাকথিত নিম্নবর্গ এবং নিম্নবিত্ত অংশ, তারা সরাসরি সুযোগ সুবিধাকে প্রধান্য দিচ্ছে। প্রোপাগান্ডায় খুব একটা গা ভাসায় না। এটা কি সুবিধাবাদী ভোটব্যাঙ্ক? নাকি বাস্তববাদী পরিণতমনস্কতা? কোনটা ঠিক?
24th  May, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
বেনজির সংঘাতের ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে আজ, বুধবার! বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজ, বেলা ১২টায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ...

অভিযোগ মুদির দোকান থেকে পাঁচ হাজার টাকা চুরি করেছিল দুই নাবালক ভাই। শাস্তিস্বরূপ তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হল। ...

বৃষ্টি অব্যাহত। নদীও টইটম্বুর। তা সত্ত্বেও ফের পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, দু’বেলায় চার ঘণ্টা জল সরবরাহ করার নিয়ম থাকলেও শহরের বহু ওয়ার্ডে তা মিলছে না। ...

মুখ্যমন্ত্রীর তোপের পরই তড়িঘড়ি বৈঠক। শহরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ, রাস্তাঘাট থেকে ফুটপাত জবরদখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হল দুবরাজপুর পুরসভা। কাল বৃহস্পতিবার থেকে এনিয়ে অভিযানে নামছে পুর কর্তৃপক্ষ।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান
১৮১৯- বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়
১৮৩৮- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী গওহর জানের জন্ম
১৮৮৭-  কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম
১৮৯৬- আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়
১৯৩৪- ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে
১৯৩৭-  বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৬৮- ইতালির ফুটবলার পাওলো মালদিনির জন্ম
১৯৭৪- প্রথমবার বারকোড ব্যবহার করে কোনও খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়, পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম
১৯৭৭- এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন
১৯৭৯- কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি অবসর গ্রহণ করেন
১৯৮৫- বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুরের জন্ম
১৯৯১- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়
১৯৯২- অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্ম
২০০৫-  ক্রিকেটার একনাথ সোলকারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩১ টাকা ১০৭.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১৪ টাকা ৯১.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৯/৫৫ রাত্রি ৮/৫৬। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২০/১৮ দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫২ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ১/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।   
১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫২। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/৪০ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতীয় পণ্য আমদানিতে জোর অস্ট্রেলিয়ার
ভারত থেকে আসা সব ধরনের পণ্যের উপর থেকে আগামী দু’বছরের ...বিশদ

08:40:00 AM

মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ধৃত ক্যাব চালক
মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অ্যাপ ক্যাবের এসি চালানো নিয়ে চালক-যাত্রী ...বিশদ

08:32:59 AM

মহিলা রেশন ডিলারকে জুতোর মালা পরাল জনতা
চারমাস ধরে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বণ্টনে অনিয়ম চলছে। সেই অভিযোগে এক ...বিশদ

08:30:00 AM

শুক্রবার শুরু অমরনাথ যাত্রা, উপত্যকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করল জম্মু ও ...বিশদ

08:20:00 AM

আমেরিকায় শুটআউট: মৃত ৫, আত্মহত্যা অভিযুক্তের
ফের আমেরিকায় শুটআউট। লাস ভেগাসের শুটআউটে মৃত ৫, আত্মহত্যা করেছে ...বিশদ

08:19:08 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস ১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ ...বিশদ

08:13:42 AM