Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম। তাদের এই দলিল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই, পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দলের ‘মূল’ নীতি হিসেবে ধর্মীয় গোঁড়ামিটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নথিটি হল গত পাঁচ-দশ বছরে বিজেপি-এনডিএ সরকারের তরফে নেওয়া পদক্ষেপগুলির একটি সংগ্রহ। সমস্ত ত্রুটি এবং বৈষম্যের ভিত্তিতে তাদের যেসব কর্মসূচি চলছে সেগুলিকে নতুন করে সাজিয়েছে বিজেপি। অতঃপর সেগুলিই রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিস্মৃত হয়ে।
‘মোদি কি গ্যারান্টি’ বা ‘মোদির গ্যারান্টি’ কথাটির মধ্যে বিপুল পরিমাণ অগ্নিবর্ষী বার্তা মজুত রয়েছে, যা কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। সর্বাগ্রে রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা ইউসিসি) এবং এক দেশ এক নির্বাচন (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বা ওএনওই)। উভয়ই, অথবা অন্তত একটির জন্য বড় ধরনের সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন হবে এবং বিজেপি নেতৃত্বকে এই প্রশ্নে অকুতোভয় বলেই মনে হচ্ছে। তাদের প্রথম উদ্দেশ্য হল, একটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মডেল তৈরি করা, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতে সমস্ত ক্ষমতা ন্যস্ত হবে। বিজেপির দ্বিতীয় উদ্দশ্য হল, দেশবাসীকে সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে যতটা সম্ভব একসূত্রে বেঁধে ফেলা। এই শাসকের তৃতীয় উদ্দেশ্য হল, তথাকথিত দুর্নীতি নির্মূল করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন। কিন্তু এই ঘোষণার মূল লক্ষ্য হল চিহ্নিত বিরোধী দল এবং রাজনৈতিক নেতাদের শায়েস্তা করা।
মোদির গ্যারান্টির বাকিটা আর কিছুই নয়, গত ১০ বছরের দাবি এবং অহংকারের চর্বিতচর্বণ, যা ইতিমধ্যেই ভীষণ ক্লান্তিকর। পুরনো স্লোগান বাতিলের পাশাপাশি আমদানি করা হয়েছে কিছু হাতে গরম স্লোগান। উদাহরণ? এটি আর কোনোভাবেই আচ্ছে দিন আনেওয়ালা হ্যায় ট্যায় নয়, এবারের সোজাসাপটা পেশ ‘বিকশিত ভারত’। আহা, যেন কোনও জাদুবলে মাত্র এক দশকেই ভারত একটি ‘উন্নয়নশীল’ দেশ থেকে ‘উন্নত’ রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে! এই দাবি নিতান্তই হাস্যকর। মোদি কি গ্যারান্টি—২০২৪-এর প্রধান প্রতিশ্রুতির দিকেই ফিরে আসা যাক:
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)
ভারতে একাধিক সিভিল কোড বা দেওয়ানি বিধি রয়েছে। সেগুলি আইনত ‘কাস্টম’ বা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী বা শ্রেণির রীতি/প্রথা হিসেবে স্বীকৃত। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি এবং ইহুদিদের দেওয়ানি বিধিগুলির পার্থক্য আমাদের সবারই জানা। নানা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব রয়েছে; আছে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের অনেক নিয়ম ও রীতিনীতি; উত্তরাধিকারেরও (ইনহেরিটেন্স অ্যান্ড সাকসেশন) বিভিন্ন নিয়ম; এবং মানুষের জন্ম ও মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও পালিত হয় নানারকম আচারবিচার। পারিবারিক কাঠামো, খাদ্য, পোশাক এবং সামাজিক আচরণেও কিছু বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এই জিনিসটা সবাই ওয়াকিবহাল নয় যে, প্রতিটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে এবং এক-একটি গোষ্ঠীর বিভিন্ন অংশের মধ্যে কত অগুনতি পার্থক্য রয়েছে!
ইউসিসি হল সমজাতীয়করণের বা সংহতিস্থাপনের জন্য একটি নরমসরম কথা। ইংরেজিতে যাকে বলে হোমোজেনাইজেশন। এজন্য খোদ রাষ্ট্র কেন এগিয়ে এসে পদক্ষেপ করবে? এমন অভিন্ন নিয়মাবলি রচনার গুরুদায়িত্ব দেশের কে নেবেন কিংবা কোন গোষ্ঠীর পুরুষ ও মহিলাদের উপর তা ন্যস্ত হবে? জনগণের মধ্যে যে দুস্তর তফাত, তার জন্য যথেষ্ট প্রতিনিধিত্বকারী হবে কি এই ধরনের কোনও গোষ্ঠী? সমজাতীয়করণ হল—প্রতিটি ব্যক্তিকে এক ছাঁচে ফেলার এবং নাগরিকদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করার একটি দুষ্ট প্রয়াস—অনেকটা চীনের সেই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়কার ব্যর্থ এক কাণ্ডকারখানা। ইউসিসি হল—মানুষের মুক্ত চেতনার অবমাননা। এই ফরমান চেপে বসলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ মুছে যাবে।
ব্যক্তিগত আইনের সংস্কার প্রয়োজন কিন্তু সেই সংস্কারের চাহিদা ও প্রকরণ অবশ্যই উঠে আসতে হবে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিতর থেকে। রাষ্ট্র প্রণীত আইন—শুধুমাত্র সম্প্রদায়ের তরফে গৃহীত কিংবা স্পষ্টভাবে মেনে নেওয়া সংস্কারকে স্বীকৃতি দিতে পারে। ইউসিসি বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সংস্কৃতির মধ্যে তিক্ত বিতর্কের সূত্রপাত ঘটাবে। বিতর্কগুলি চলে যাবে ক্ষোভ, ক্রোধ এবং অসন্তোষের দিকে। অতঃপর সেই অসন্তোষই রূপ নেবে দ্বন্দ্বের। ব্যাপারটা শেষমেশ হিংসাত্মকও হয়ে উঠতে পারে!
এক দেশ এক নির্বাচন (ওএনওই)
এক দেশ এক নির্বাচন বা সংক্ষেপে ওএনওই হল—আঞ্চলিক পার্থক্য, পছন্দ এবং সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার একটি গোপন মতলব। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে প্রেরণা নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হল একটি ফেডারেশন বা সংঘ। সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের জন্য দু’বছর অন্তর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয় প্রতি চার বছরে একবার। এছাড়া প্রতি ছ’বছর অন্তর সেনেটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার মতো ফেডারেল পার্লামেন্টারি সিস্টেম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় ব্যবস্থায়ও একযোগে ভোট নেওয়া হয় না। একটি এগজিকিউটিভ গভর্নমেন্ট বা কার্যনির্বাহী সরকার তার প্রতিদিনের কাজকর্মের ব্যাপারে আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ। ওএনওই হল এই নীতির বিরোধী। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) দেশজুড়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ক্যালেন্ডার মেনটেন করে।  এক দেশ এক নির্বাচন আসলে, কমিশনের ওই নিয়ন্ত্রণ সরকারের তরফে ছিনিয়ে নেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।
দুর্নীতি-বিরোধী ধর্মযুদ্ধ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তথাকথিত ধর্মযুদ্ধের উদ্দেশ্য হল সমস্ত বিরোধী দলকে শেষ করে দেওয়া এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরোধী নেতাদের দূরে রাখা। বিজেপির মারাত্মক আলিঙ্গন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলকে ((মূলত একটি রাজ্যেই যাদের কর্মকাণ্ড) সাইনবোর্ড-সর্বস্ব করে ফেলেছে। কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন আঞ্চলিক দলগুলির মোকাবিলায় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে আইনগুলি। আমি নিশ্চিত যে ইডি, এনআইএ এবং এনসিবি যে পদ্ধতিতে কিছু লোককে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিচ্ছে, এটা কোনও একদিন বন্ধ হয়ে যাবে। এই তথাকথিত ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ আদৌ  দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়, এটি বরং আরও আধিপত্য বিস্তারের কৌশল।
ইউসিসি এবং ওএনওই-র মতো দুটি সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজেপি মরিয়া কেন? কারণ, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের পরে বিজেপি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির হিন্দু আধিপত্যবাদীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের উপযোগী কিছু বিষয়ের সন্ধানে রয়েছে—যেসব ইস্যুকে সামনে রেখে হিন্দিভাষী, রক্ষণশীল, ঐতিহ্য-মগ্ন, বর্ণ-সচেতন শ্রেণিগুলি থেকে নিশ্চিতভাবে রাজৈনতিক ফায়দা তোলা সম্ভব। এই রাজ্যগুলিই তিন দশক যাবৎ আরএসএস এবং বিজেপির রাজনৈতিক সমর্থন লাভের উৎস। সেই রাজনৈতিক ভিত্তিকে সুসংহত  বা আরও মজবুত করার কৌশলের নামই হল ইউসিসি এবং ওএনওই। এরপর আঞ্চলিক দল বা ভারতের ধর্মীয়, জাতি ও ভাষাগত গোষ্ঠীগুলি তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় জাহির করতে গেলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির নির্বাচনী ওজনের গুঁতোয় ঘায়েল হয়ে যাবে।
এই নির্বাচনে মোদির ইউসিসি এবং ওএনওই গ্যারান্টি তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এবার তামিলনাড়ু (১৯ এপ্রিল) এবং কেরলের (২৬ এপ্রিল) জনগণের রায় কী হবে, তা আন্দাজ করতে পারি। তবে অন্য অঞ্চলের মধ্যে, বিশেষ করে উত্তর ভারতের হিন্দিভাষী, রক্ষণশীল এবং বর্ণ-সচেতন রাজ্যগুলিতে বিজেপির মনোবাঞ্ছা পূরণ হতে পারে।
• লেখক সাংসদ ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
22nd  April, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...

মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

‘ব্রেইন রট’। এই শব্দ বন্ধনীই জিতে নিল অক্সফোর্ডের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর শিরোপা। কিন্তু, কী এর অর্থ? কেনই বা এই শিরোপা পেল ১৮৫৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা এই শব্দ? ...

অশান্তি কমার নাম নেই। যদিও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বারবার দাবি করছে যে, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদেই রয়েছে। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। এবার পদ্মপারে বসবাসকারী ব্রিটেনের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেদেশের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অবৈধ গাঁজা ও পোস্ত চাষ রুখতে কোচবিহারে গ্রামে গ্রামে মাইকিং শুরু করেছে পুলিস

12:38:00 PM

বাবুঘাট থেকে অপহরণ কাণ্ডে কলকাতা পুলিসের হাতে আটক ২

12:37:00 PM

প্রয়াত বিশিষ্ট অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক
বিশ্বভারতীর ভারতবিদ্যা চর্চার বিশিষ্ট অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক প্রয়াত। গতকাল, বুধবার ...বিশদ

12:36:30 PM

শ্রী মুম্বাদেবী মন্দিরে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্র্রের হবু মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

12:34:00 PM

পদ্মশ্রী প্রাপক সমাজকর্মী জিতেন্দ্র সিং সান্টি যোগ দিলেন আম আদমি পার্টিতে

12:33:00 PM

এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর আগে সলমন খানকে হত্যার ছক ছিল শ্যুটারের, দাবি মুম্বই পুলিসের

12:31:32 PM