Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? কিংবা ডুমুরের ফুল হয়ে হারিয়ে যাওয়া সরকারি চাকরির রোডম্যাপ। আটকে রয়েছে আবাসের টাকা, জিএসটি’র ক্ষতিপূরণ, ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিয়ে আইন প্রণয়ন। এখানেও না থেমে বিজেপির পক্ষ থেকে জিতে এলে তিনমাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হমকি দেওয়া হয়েছে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে। কোনও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন নেতা ‘খুলে আম’ একথা বলতে পারেন নির্বাচনী আবহে। এ তো বাংলার নারীশক্তির বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তুতি। তাহলে কোন বিকশিত ভারতের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল? ইস্তাহার জুড়ে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি। নেই মানুষের বাস্তব সঙ্কট সমাধানের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি। আরও ২৩ বছর পেরিয়ে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হবে। তখন যাঁরা বেঁচে থাকবেন তাঁরা লাস্ট ল্যাপ দৌড়ে এসে কী পাবেন? তার কোনও লেখাজোখা নেই চিত্রগুপ্তের ৭৬ পৃষ্ঠার খাতাতেও, মায় গালভরা ইস্তাহারে!
অথচ মানুষের কথা, সাধারণের আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন ফেরি করেই চোদ্দো সালে মোদিজির ক্ষমতা দখল নিঃসন্দেহে ছিল ঐতিহাসিক ঘটনা। ‘বহুত হুয়ি মেহেঙ্গাই কা মার, অব কি বার মোদি সরকার’, এই স্লোগানে ভর করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। এক দশকের ইউপিএ শাসনকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলই ছিল সেদিনের স্বপ্ন। এককভাবে ৩০০ নয়, ৪০০ নয়, আড়াইশোও নয়, এজেন্সি ছুটিয়ে বিরোধীদের গোড়া থেকে নিকেশও নয়, যেকোনও মূল্যে কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এনডিএ’র ছাতার তলায় থেকে ২৭২ আসনের গরিষ্ঠতা অর্জনই ছিল টার্গেট। এককভাবে বিজেপি নয়, এনডিএ’র আড়াল থেকেই লড়াই করেছিল প্রায় দু’ডজন শরিক। শিবসেনা, অকালি, তেলুগু দেশম, আপনা দল...। আজ তারা আলাদা আলাদা দ্বীপ। বিজেপির ইস্তাহারেও আজকের মতো শুধু একজনের ছবি আর তাঁর অতুল গৌরবগাথা নয়, শোভা পেয়েছিল পরপর ১১ জনের ছবি। বাজপেয়ি থেকে মুরলীমনোহর যোশি। রাজনাথ থেকে আদবানিজি। তখন রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৫০০ টাকার সামান্য বেশি। পেট্রলও আজকের মতো অগ্নিমূল্য ছিল না। তারপর অবশ্য গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সাল থেকেই দল, সরকার ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অভিমুখ একজনই। সম্মিলিতভাবে দল নয়, দলের আদর্শ ও দর্শন নয়, নীতিনিষ্ঠ নির্মম আরএসএসও নয়, আজ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে শুধুই একজন ব্যক্তি। গৌরবে বহুবচন হয় শুনেছি, কিন্তু ভারতীয় রাজনীতি এই মুহূর্তে ৫৬ ইঞ্চির আস্ফালনে প্রকৃত অর্থেই একবচনের ঘেরাটোপে অসহায়ভাবে বন্দি। তিনিই বুক ফুলিয়ে ৪০০ আসনের কথা বলছেন বারবার। এবং সেই ‘জুমলা’কে বাস্তবায়িত করতে হরেক কিসিমের বায়বীয় গ্যারান্টি ফেরি করে চলেছেন রাতদিন। এনডিএ অনেক দিনই ইতিহাসের গর্ভে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক এই নয়া বিজেপির দলগত উপস্থিতিও আজ ম্লান, ব্যাকফুটে নাগপুরও। পরতে পরতে স্লোগান বদলে কোথাও আর ‘আচ্ছে দিনে’র কথা নেই। নগদ ১৫ লাখ, বছরে দু’কোটি চাকরিও বিস্মৃতির অতলে। সাধারণের চাওয়া পাওয়ার হিসেব নেই। নেই মেহেঙ্গাই, বেরোজগারি দূর করার সংকল্প কিংবা অগ্নিগর্ভ মণিপুরের জন্য শান্তির ললিতবাণী। যুবসমাজকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দিকনির্দেশ। দ্বিগুণ আয়ের কৃষক স্বপ্ন, বঞ্চিত শ্রমিক, পরিযায়ী, খেটে খাওয়া দিনমজুর সহ দেশের প্রান্তিক মানুষের অসহনীয় জীবনযাপনের বারোমাস্যাও অদ্ভুতভাবে অনুপস্থিত। সংকল্প পত্র নামক ৭৬ পৃষ্ঠার আনাচে-কানাচে শুধুই সরকার, থুড়ি ব্যক্তি সাফল্যের খতিয়ান আর গালভরা প্রতিশ্রুতির বন্যা। সঙ্গে দেশে বিদেশে এক ব্যক্তির দৃপ্ত পদচারণার হিসেব নিকেশ। চীন, রাশিয়া দুই বৃহৎ শক্তির সঙ্গেই দূরত্ব বাড়লেও বিদেশনীতির সাফল্যগাথায় কোথাও ছেদ নেই। ইস্তাহারে তাঁর ছবিই শোভা পাচ্ছে ৫০টার মতো। আর চতুর্দিকে ঘুরপাক খাওয়া এক অদৃশ্য হাওয়া যা ফিসফিস করে কানে কানে বলে চলেছে, এমনটা আগে কেউ করেনি, কেউ করতেও পারবে না! নেহরু থেকে ইন্দিরা, মোরারজি থেকে বাজপেয়ি, দেশের ৭৫ বছর পেরিয়ে গণতন্ত্রের জয়যাত্রার কাণ্ডারীরা সব ভ্যানিশ! শুধু একটা দমকা  হাওয়াকে সুচতুরভাবে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া। এর নামই কি আদর্শ অমৃতকাল!
প্রমিস, অ্যাকশন, ডেলিভারি। প্রতিশ্রুতি, পদক্ষেপ এবং কার্যক্ষেত্রে তার সুফল রূপায়ণ ও সুষ্ঠভাবে সাধারণ মানুষকে প্রদান। এদেশে এটাই সুষ্ঠুভাবে সরকার চালানোর চাবিকাঠি। শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দল, যাকে সকাল সন্ধে তোপ না দেগে অমিত শাহদের ভাত হজম হয় না, তার ইস্তাহারেও বেকার যুবকদের বছরে লাখ টাকার অ্যাপ্রেন্টিসশিপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৩০ লাখ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলও সীমিত ক্ষমতায় দেশজুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালুর শপথ নিয়েছে। মানুষের কল্যাণে দশদফা দিদির শপথের অঙ্গীকার করেছে। তাতে মাথার উপর পাকা ছাদ, দু’হাতে কাজের কথা যেমন বলা হয়েছে তেমনি সিএএ, এনআরসি করতে না দেওয়ার শপথ। অথচ বিজেপির ইস্তাহারে গরিবদের জন্য সংস্থান শূন্য। ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেকারত্ব। পেট্রল ডিজেল রান্নার গ্যাস ভোটের মুখে সামান্য কমলেও তা গোদের উপর বিষফোঁড়াই। সুরাহা তেমন মেলেনি। বরং গেরুয়া শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে বিপুল উদ্যমে পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা চেপে বসছে। কারণ ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধ নতুন করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
কিন্তু যে দল সকাল বিকেল অলীক ৪০০ আসন জেতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে তার ইস্তাহারে মানুষ কতটুকু, আর কতটুকুই বা সরকার, দল, দলের আদর্শ? নাকি সবছেড়ে একজন ব্যক্তি ও তার কৃতকর্মের চর্বিত চর্বন! স্বপ্ন ফানুসের ফেরি, জনগণের হাতে পেন্সিল। দশ বছর আগে মেহেঙ্গাই, বেকারত্ব, নিরপেক্ষ সুশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করে ক্ষমতা দখলের মুহূর্তে এজেন্সি হাতে ছিল না। সিবিআই, ইডি বশ মানা পোষ্যের মতো ওম গায়ে মেখে দরজায় লেজ নাড়ত না। তবু টু-জি, কয়লা ব্লক বণ্টন সহ একটার পর একটা স্ক্যাম নিয়ে দেশ উত্তাল করেছিলেন অমিত শাহরা। আর আজ স্বাধীনতা উত্তর ভারতের সর্ববৃহৎ নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা বলতে উঠলেই তাদের মুখ বন্ধ করার শত আয়োজন। অথচ যে সংস্থা লোকসানে চলছে, ঘটিবাটি বিক্রি হওয়ার জোগাড় সেও কেন একটি বিশেষ দলকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দেবে কিংবা টাকা দিয়ে সরকারি বরাত হাসিল করবে, সেই রহস্যের কিনারা করতে কারও মন চায় না। শুধু মন ব্যাকুল বিরোধীদের পিছনে ইডি লাগিয়ে প্রতিবাদী মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দিতে। দু’-দুটো মুখ্যমন্ত্রী জেলে। চাকরির হদিশ নেই, অথচ দশ লক্ষ শূন্যপদ ফাঁকা বছরের পর বছর। ওদিকে নজর নেই। অথচ ইতিমধ্যেই জিতে এসে ১০০ দিনের রোড ম্যাপ তৈরির যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তাতে বিরোধীদের উপর এজেন্সির আঘাত যে আরও তীব্র আকার নেবে তা নিশ্চিত। কিন্তু তাতে কি ওষুধের দাম কমবে, পেট্রল সহজলভ্য হবে? বেকার ছেলেমেয়েরা নিজেদের অধিকারে চাকরি পাবে? প্রবীণ নাগরিকদের ব্যাঙ্কের সুদে, পেনশনে কোনও সুরাহা হবে?
পরিবারবাদকে খতম করাই যার একমাত্র লক্ষ্য বললেও অত্যুক্তি হবে না, তিনিই কখন ব্যক্তিসর্বস্ব এক খাঁচায় বন্দি হয়ে গিয়েছেন। তিনি শুধুই ক্ষমতায় আসার কথা বলেন, অথচ মানুষের দুর্দশা মোচনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না। ৪০০ না হোক ২২৫ কিংবা তার কম পেয়েও যদি নানা ছলছুতোয় ক্ষমতায় আসেন সেক্ষেত্রে আদবানি-বাজপেয়ির বিজেপি অচিরেই ব্যক্তিতন্ত্রের পূজারি হয়ে উঠবে। এ ন্যারেটিভে কোথাও বিন্দুমাত্র খেদ নেই। ৪৪ বছর আগে তৈরি বিজেপি’র এটাই মর্মান্তিক পরিণতি। আর তা করতে গিয়েই সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে নয়া বিজেপি। পেটে ভাত না থাকলে আর হাতে কাজ বাড়ন্ত হলে চোখ ধাঁধানো হিন্দুরাষ্ট্র, চকমেলান হাজার কোটির মন্দির, সিএএ, এনআরসি, তিন তালাকের তাৎপর্য কী? অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দিয়েই বা কী হবে? পেট ভরবে তো? সবই তো আসলে বিভাজনেরই তাস মাত্র। ধর্ম যদি দেশের একমাত্র চালিকাশক্তি হয় তাহলে তার পরিণাম ভালো হতে পারে না। স্বামী বিবেকানন্দও তাই বলেছিলেন, গীতাপাঠের চেয়ে শরীর চর্চা অনেক বেশি জরুরি। অনেক বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ফুটবল খেলায়।
এই নির্বাচনে জনতা কার গলায় বরমাল্য পরাবে আমরা জানি না। কোন দল কটা আসন পাবে তাও অনিশ্চিত। কিন্তু যে মহল ইতিমধ্যেই এদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে সক্রিয় তা হচ্ছে, ‘মোদিজি কা আনা তয়ার হ্যায়’। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এসব অলঙ্করণ মাত্র। এই নির্বাচন গরিবের নয়, বেকারের নয়, মূল্যবৃদ্ধিতে, প্যানডেমিকে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া দেশবাসীরও নয়, শুধু মোদিজি ফিরবেন কি ফিরবেন না। ফিরলে কোথায় থামবেন, সেই উত্তরের দিকে তাকিয়ে। যদি সব হিসেব উল্টে তাঁর প্রত্যাবর্তন থমকে যায়, সেক্ষেত্রে তা হবে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় অঘটন। তখন ২০৪৭ সালের বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য অপেক্ষা করবে কে? ইতিহাসেরও আগে কখনও ছুটতে নেই, ইতিহাস রচনার কুশীলবকে...। সেক্ষেত্রে ইতিহাসের নীচেই হারিয়ে যাওয়াই অনিবার্য পরিণতি। বলবান সময়ই শেষ কথা বলে এসেছে আজ পর্যন্ত। 
আর কে না জানে সর্বশক্তিমান হিটলারকেও কিন্তু বাধ্য হয়ে আত্মহত্যাই করতে হয়েছিল বাঙ্কারের মধ্যে। ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫। মাত্র ৭৯ বছর আগের কথা।
21st  April, 2024
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের নিরিখে ...

পার্লারে মোটা টাকার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাদের অন্ধকার জগতে নামানো হচ্ছে। একবার এই জগতে পা রখলে আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। বর্ধমান ও দুর্গাপুরে একটি চক্র তাদের বিপথে চালনা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রটি তাদের ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM