Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
রামচন্দ্র তো একেবারেই ক্ষত্রিয় বংশের। মাছ, মাংস কিংবা সুরা তাঁর বাদ থাকবে কেন? খাওয়ার ব্যাপারে রাম ছিলেন রীতিমতো সুরসিক। ভালো ভালো রাঁধিয়েরা রামের কাছে রান্নার তারিফ শোনার জন্য ‘আমি রাঁধব, আমি রাঁধব’ বলে সুস্বাদু পান-ভোজন প্রস্তুত করতেন— অহংপূর্বাঃ পচস্তি স্ম প্রশস্তং পান-ভোজনম্। মুশকিলটা ভক্তদের নিয়ে। তাঁরা রাম কিংবা কৃষ্ণকে প্রীত করার জন্য উপাসকের বিধি মেনে ত্যাগ-বৈরাগ্যের মাধ্যমে নিরামিষ আহার করে শরীর শুদ্ধ করেন— এটাই নাকি ভক্তভাব।
অথচ, বিশিষ্ট পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর কথায়, ‘বনবাসের প্রথম দিকে অরণ্য-প্রকৃতির মাধুর্য রামচন্দ্রকে রাজভোগ ভুলিয়ে দিলেও মাংস খাওয়া ভোলাতে পারেনি। বনবাসের প্রথম দু-তিন দিনের রাত্রি শুধু জল খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছিলেন— সেটা অভিমানবশত, না অন্য কারণে— বাল্মীকি তা স্পষ্ট করে বলেননি। কিন্তু বনবাসের তৃতীয় দিনে সুমন্ত্র সারথি আর গুহককে বিদায় দিয়ে যেই না রামচন্দ্র গঙ্গাপারের অরণ্যসঙ্কুল ভূমিখণ্ডে পৌঁছান, তখনই খিদের চোটে আগে তিন রকমের হরিণ আর একটি শুয়োর মেরে ফেলেছিলেন— তৌ তত্র হত্বা চতুরো মহামৃগান্ বরাহমৃষ্যং পৃষতং মহারুরুম্। আদায় মেধ্যং ত্বরিতং বুভুক্ষিতৌ। খিদে বেশি লাগলে খাবারের জোগাড় কম থাকলে ভালো লাগে না— এই মনস্তত্ত্ব থেকেই হয়তো তিনজনের জন্য চারটে গোটা পশু মেরে ফেলেছিলেন দুই ভাই। কিন্তু পুরোটা তাঁরা খেতে পেরেছিলেন কি না, সে তথ্য আমরা বাল্মীকির কাছে পাইনি। ...দু’ভাই সীতাকে নিয়ে যেদিন চিত্রকূটে বাল্মীকির আশ্রমে পৌঁছলেন, সে দিনটা ছিল বনবাসের পঞ্চম দিন। জায়গাটাও রামের ভারী পছন্দ এবং তৎক্ষণাৎ লক্ষ্মণকে ডেকে তিনি বললেন কাঠ-পাতা দিয়ে একটি পর্ণকুটির তৈরি করতে। পর্ণকুটির তৈরি হলে সেই বনবাসের মধ্যেও রামের ইচ্ছে হল সামান্য একটি গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান করতে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের প্রথম অঙ্গ হিসেবে রাম ছোট ভাইকে বললেন— একটা হরিণ মেরে আনো আগে— মৃগং হত্বানয় শীঘ্রম্। হরিণের মাংস দিয়েই আজ আমাদের বাস্তুপূজা সারতে হবে— ঐণেয়ং মাংসমাহৃত্য শালাং যক্ষ্যামহে বয়ম্।’ এসব তথ্য তো বাল্মীকির রামায়ণে লিপিবদ্ধ রয়েছে। রামভক্তরা কি তা জানেন?
এ দেশে আমিষ-নিরামিষের বৈচিত্র্যের রসায়ন দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত। যে বাড়ির খাওয়া-দাওয়া মূলত আমিষ ঘরানার, সেখানেও সপ্তাহে একদিন কি দু-দিন নিরামিষ হয়। যাঁরা একান্তই নিরামিষ খান, তাঁরা ভুলেও আমিষের পথ মাড়ান না। খাবারের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এই স্বাধীনতা থাকা উচিত। এ নিয়ে কেউ কোনওদিন বিরোধিতাও করেনি। তবে, সম্প্রতি আমিষ এবং নিরামিষ দ্বন্দ্বের যে মাত্রা স্পর্শ করেছে, তা আদতে জাতভিত্তিক সমাজের ভাগাভাগির ফাটলকেই নতুন করে চিহ্নিত করছে। আর তাকে উস্কে দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই। সম্প্রতি ভোট প্রচারে নবরাত্রির সময় বা শ্রাবণ মাসে মাছ-মাংস খাওয়া বা তার ভিডিও নেট-দুনিয়ায় দেওয়াকে ‘মোগলদের মানসিকতা’ বলে আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রশ্ন উঠেছে, নবরাত্রি, শ্রাবণ মাসে দেশের একাংশের হিন্দুরা নিরামিষ খান বলে তাঁদের রুচি-পছন্দ মেনে বাকি অংশের মানুষকেও নিরামিষ খেতে হবে বা লুকিয়ে মাছ-মাংস খেতে হবে? ফেসবুক-টুইটারে প্রশ্ন উঠেছে, এরপরে কি দুর্গাপুজোর সময় মাংস খেয়ে ছবি দিলে সেটাও ‘মোগল মানসিকতা’ বলে নিন্দিত হবে? নাকি গোটা দেশের খাদ্য, পরিধান, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য মুছে দিয়ে মোদিজি সকলের উপরে নিজের পছন্দমাফিক রুচি-অভ্যাস চাপিয়ে দিতে চাইছেন? গুজরাতি সংস্কৃতি বাংলা মানবে কেন?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং গুজরাতে নিরামিষাশীরা জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি। বাকি গোটা দেশেই আমিষভোজীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের ৯৯ শতাংশই তো মাছ-মাংস বা ডিম খান। মনে হতেই পারে, পশ্চিম আর উত্তর-পশ্চিম ভারত কেমন যেন একদিকে আর এ দেশের বাকি রাজ্যগুলি বিপরীতে। তা সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে নিরামিষভোজীদের সংখ্যাগুরু বলে দাবি করে চলেছে। গেরুয়া শিবির আমিষাশীদের নিম্নবর্ণ কিংবা অহিন্দু বলে দেখাতে চায়। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্রয়েই নব নব রূপে ছুতমার্গের প্রকাশ ঘটছে। আমিষ-স্পর্শ বর্জন তেমনই রূপ। ‘আমিষ পরিহার’ থেকে কিছু অবিবেচক মানুষকে ‘আমিষাশী পরিহার’-এর দিকে কত সহজে ঠেলে দেওয়া যায়, গোরক্ষকদের তাণ্ডবেই তা প্রমাণিত। ২০১২-২০২৩ সময়কালে আশিরও বেশি ভারতীয় মহিষ বা আর কোনও মাংস আহারের জন্য খুন হয়েছেন। শিশুদের প্রোটিনের অভাব সত্ত্বেও বহু রাজ্যে স্কুলগুলি ঝুঁকছে নিরামিষের দিকে। দলিত মেয়েদের রান্না খেতে আপত্তি উঠছে।
মহম্মদ আখলাককে যেদিন ‘গোমাংস ভক্ষণকারী’ বলে পিটিয়ে মারা হয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম ব্যাপারটা ‘গোমাতা’ ও ‘বিধর্মী’কেন্দ্রিক। আসলে বিক্ষিপ্ত শক্তি দেখানোর সেটা ছিল শুরুয়াত। আখলাকের খুনিদের হাত লম্বা হতে হতে ‘সমধর্মী’-দের টুঁটিও চেপে ধরছে। আমিষ খাওয়াকে গো-বলয় আগেই অপরাধ সাব্যস্ত করেছিল। এখন গোটা ভারতেই ‘নিষেধাজ্ঞা’র চাপ। প্রস্তুতি চলছিলই— জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রদর্শনীতে আমিষ নিষেধ, গান্ধীজির জন্মদিনকে ‘নিরামিষ দিবস’ বলে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ভারতীয় রেলে আমিষ বন্ধ রাখার চেষ্টা। এই আমিষবিদ্বেষীর দল যখন যে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে, নিরামিষের দাবিতে হয়েছে জবরদস্তি। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও দিল্লির কিছু এলাকায় নবরাত্রিতে মাংস বিক্রি বন্ধের ফরমান জারি হয়েছে। আমেদাবাদের পথে এবং স্কুল ও ধর্মস্থানের কাছে সব মাংসের দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুগ্রামে বিশেষ দিনে মাংস বিক্রি নিষেধ। বরোদা, রাজকোটে মাংস বিক্রি করতে হলে তা লুকিয়ে করার ফরমান দেওয়া হয়েছে। নিরামিষ ‘আগ্রাসন’ থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও। ১২টি রাজ্যে মিড-ডে মিলে ডিম বাদ। পরিকল্পিতভাবেই আমিষবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বলা হচ্ছে— আমিষ নাকি মানুষকে হিংস্র বানায়!
বোঝা যায়, এই কঠোর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শুধু একটি ধর্মকেন্দ্রিক কট্টর মতবাদের পরিচয়ই দেয় না, এর পিছনে আছে কিছু গোঁড়া উচ্চবর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের আধিপত্য। সঙ্গে বেড়েছে অসহিষ্ণুতাও। মনোবিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কল দেখিয়েছিলেন, মানুষের ভিতরে একটা সুপ্ত ফ্যাসিবাদী মানসিকতা থাকে, বিভিন্ন সময় কেউ একটা তাকে জাগিয়ে তোলে। ঠিক যেমন, আগ্রাসী হিন্দুত্ব আজ দেশের মানুষের একটা বড় অংশের কাছে কাঙ্ক্ষিত। একদিকে নিজেকে নিপীড়িত মনে করা ও অন্যদিকে নিজেদের অস্বাভাবিক মূল্যবান ভাবার প্রবণতা— এই দু’টি হল ফ্যাসিবাদী চিন্তার দুই স্তম্ভ। বহু হিন্দুর মজ্জায় মজ্জায় এই মানসিকতার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই কারণেই গোরক্ষাকে কেন্দ্র করে গণপ্রহার, এমনকী হত্যাকাণ্ডের পরে অল্প কিছু উদার মনোভাবাপন্ন নাগরিক প্রতিবাদ করেছেন বটে, কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি। দেশজুড়ে এক গা-ছমছমে নীরবতা বহাল থেকেছে। নিজের রুচি ও পছন্দ মাফিক খাওয়ার অধিকার সংবিধানে স্বীকৃত— এ সব তথ্য ও যুক্তি হিন্দুদের একটা বড় অংশের কাছে অর্থহীন।
সেই তথাকথিত হিন্দুরা কি বাল্মীকির লেখা পড়েছেন? বাল্মীকি জানাচ্ছেন, ‘চিত্রকূট পাহাড়ের এক জায়গায় বসে পাহাড়-ছোঁয়া মন্দাকিনীর তরঙ্গশোভা দেখাতে দেখাতে রামচন্দ্র যে বিষয়ে সীতাকে প্রলোভিত করে তুলতে চাইছিলেন, সেটা কিন্তু সেই হরিণের মাংস— সীতাং মাংসেন ছন্দয়ন্। সীতা বোধ হয় আর খেতে চাইছিলেন না। রাম বললেন— একটু খেয়েই দেখো না। ইদং মেধ্যম্, ইদং স্বাদু।’ হিন্দুধর্মের স্বঘোষিত রক্ষাকারীদের জানা প্রয়োজন, হিন্দুধর্মে কখনওই কারও উপর খাদ্যাভ্যাস জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি! সাধারণত বৈষ্ণব শাস্ত্রে অহিংসাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর শাক্ত ও শৈবদের শাস্ত্রে আমিষাহারকে সমর্থন জানানো হয়েছে। পূজার আবশ্যকীয় অঙ্গরূপে বলিদান করতে বলা হয়েছে। বৈদিক যুগে বলিদান ও সোমরসপান যজ্ঞের আবশ্যকীয় অঙ্গ ছিল। রামচন্দ্র ও কৃষ্ণ উভয়েই মাংসাহারী ছিলেন। মহাবীর ও বুদ্ধ‌ও তাই। ভারতীয় ইতিহাসের গবেষকদের মতে, মূলত বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রভাবে ভারতীয় সমাজে সপ্তম-অষ্টম শতক থেকে অহিংসাকে অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আধুনিক বৈষ্ণবধর্ম বৌদ্ধ অহিংসার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। কিন্তু অন্যান্য শাখায় নিরামিষাহারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি! হিন্দু ধর্ম বরাবর বহুত্বে বিশ্বাস করে এসেছে। কিন্তু মোদি জমানায় তাকে একটি সঙ্কীর্ণ একরূপী অভিন্ন ব্র্যান্ড-এ পরিণত করা হচ্ছে। লক্ষ্য করুন, গেরুয়া ভক্তরা এখন নিজেদের ‘পিওর ভেজিটেরিয়ান’ বলে গর্ব অনুভব করেন। অথচ, এই শব্দবন্ধটির মধ্যেই ছুতমার্গের দ্যোতনা রয়েছে। ইংরেজির ‘পিওর’ শব্দটির অর্থ ‘পবিত্র’। এর অর্থ, ‘পিওর ভেজিটেরিয়ান’ শব্দের প্রয়োগ আসলে আমিষাশীকে ‘অপবিত্র’ বলে চিহ্নিত করার কৌশল!
ভিক্টর উলরিখ তাঁর সম্প্রতি প্রকাশিত ‘হিটলার: অ্যাসেন্ট’ নামে জীবনীগ্রন্থে দেখিয়েছেন, একনায়কের কদর্য বক্তৃতা এবং মতামতগুলি রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তৈরি করা হতো, যাতে সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়া যায়, জাগিয়ে তোলা যায় জনতার বিপুল প্রতিক্রিয়া। মোদিজি কি আমিষ ভক্ষণকারীদের ‘মোগলদের মানসিকতা’ বলে কোনও নজর কাড়তে পারলেন? নিরামিষাশী জনগণকে কি আমিষাশীদের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলতে পারলেন? গুজরাত, রাজস্থানের মতো বাংলায় কি তা সম্ভব? বাঙালিরা তো ‘আপ রুচি খানা’-তেই বিশ্বাসী!
18th  April, 2024
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

পার্লারে মোটা টাকার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাদের অন্ধকার জগতে নামানো হচ্ছে। একবার এই জগতে পা রখলে আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। বর্ধমান ও দুর্গাপুরে একটি চক্র তাদের বিপথে চালনা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রটি তাদের ...

শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM