Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি। ১৯৯১ সালের ২৪ জুলাই  ডঃ মনমোহন সিংয়ের এক ভাষণে ভারতের অর্থনীতির দিক বদল ঘটে গিয়েছিল। সেই স্মরণীয় ভাষণে তিনি ভিক্টর হুগোকে উদ্ধৃত করেন, ‘যে চিন্তার সময় উপস্থিত হয়েছে পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাকে থামাতে পারবে না।’ এই বিবৃতি বা ভাষণগুলি থেকে নতুন শাসকদের অভিপ্রায় উচ্চস্বরে এবং স্পষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি বিবৃতি, সেটির উদ্গাতার আসল উদ্দেশ্যটি গোপনও করতে পারে। জাল মহাপুরুষরা মিথ্যে বিবৃতি দেন। কিছু বিবৃতি নরেন্দ্র মোদিেক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যেমন—‘আমি প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেব’, ‘আমি বছরে ২ কোটি নতুন চাকরি সৃষ্টি করব’, ‘কৃষকদের আয় আমি দ্বিগুণ করে ছাড়ব’ প্রভৃতি। এগুলি নির্বাচনী ‘জুমলা’ হিসেবে হাসির খোরাকই হয়ে গিয়েছে। 
ভারতের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি—জাতীয় দল হিসেবেই গণ্য হয়। বিজেপির ইস্তাহার কমিটি তৈরি হয়েছে ৩০ মার্চ। অন্যদিকে, ৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহার। এই বিশেষ নিবন্ধে দুটি ইস্তাহারের তুলনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাতে আছে যে কেবল কংগ্রেসের ইস্তাহারটিই! তাই আমি কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্যের তালিকা রাখছি, পাঠক এবং ভোটাররা তার ভিত্তিতে ইস্তাহার দুটির তুলনা করতে পারবেন। 
ভারতের সংবিধান
কংগ্রেস বলেছে, ‘আমরা আবারও বলছি যে, ভারতের সংবিধানই অন্তহীন যাত্রায় আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক এবং সহচর থাকবে।’ বিজেপি সংবিধান মেনে চলবে না কি তার আমূল সংশোধন করবে, তা জানার জন্য মানুষ উদ্বেগের সঙ্গে অপেক্ষা করছে। এক দেশ, এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি),  নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (এটি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে) এবং অন্যান্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী ও বিভাজন সৃষ্টিকারী ধারণার প্রেক্ষিতেই এই প্রশ্ন উঠেছে। সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনস্টার নীতিগুলি তারা মেনে চলবে কি না সেটি বিজেপির স্পষ্ট করা উচিত।
আর্থ-সামাজিক ও জাতি গণনা, সংরক্ষণ
কংগ্রেস তার অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তারা দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক এবং জাতি গণনা (সোশিও-ইকনমিক অ্যান্ড কাস্ট সেন্সাস) করবে। তারা সংবিধান সংশোধন করবে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার জন্য। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (ইডব্লুএস) জন্য চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি সমস্ত জাতি এবং সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
কর্মসংস্থান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য পরিমাপসহ তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কংগ্রেস একটি ডাইভার্সিটি কমিশন তৈরি করবে। মানুষের অধিকারের মতো বৃহত্তর ইস্যুতে, দুটি দলের কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? এর জবাবে বিজেপির উচিত তাদের অবস্থানের ধোঁয়াশা কাটিয়ে ফেলা এবং এই বিষয়গুলিতে তাদের উদ্দেশ্য সাফ সাফ জানিয়ে দেওয়া। 
সংখ্যালঘু
ভারতে ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘু শ্রেণিরা রয়েছে। কংগ্রেস বলেছে তারা বিশ্বাস করে যে, ভারতের সমস্ত মানুষ সমানাধিকারের ভিত্তিতেই মানবাধিকার উপভোগ করবেন। তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণির আধিপত্যবাদ বা একনায়কত্বের কোনও স্থান নেই। বহুত্ববাদ এবং বৈচিত্র্যই ভারতের সারসত্য। কংগ্রেসের গায়ে ‘তোষণের’ তকমা সেঁটে দিয়েছে বিজেপি—এটি তাদের সুপরিচিত সংখ্যালঘু শ্রেণি বিরোধী অবস্থানের জন্য একটি সাংকেতিক শব্দ। বিজেপি কি সিএএ কার্যকর এবং ইউসিসি পাস করার ব্যাপারে তাদের সংকল্পটি ফের একবার জোরের সঙ্গে জানাবে? যেহেতু ধর্মীয় সংখ্যালঘু শ্রেণিগুলি এই আইন দুটিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করে, তাই তারা বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের জন্য উদ্বেগসহকারে অপেক্ষা করছে।
যুব ও চাকরি
জনসংখ্যার জন্য ভারতের যে সুবিধাগুলি ছিল তা ক্রমে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সন্তোষজনক গড়ের চেয়ে নিম্ন বৃদ্ধির হার (৫.৯ শতাংশ), ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের (জিডিপির ১৪ শতাংশ) থম মেরে থাকার পরিস্থিতি, কাজে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের নিম্ন হার (৫০ শতাংশ) এবং ব্যাপক বেকারত্ব ( স্নাতকদের মধ্যে ৪২ শতাংশ) এজন্য দায়ী। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে যে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে সেগুলি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তারা আরও কথা দিয়েছে—(১) শিক্ষানবিশ অধিকার আইন (রাইট টু অ্যাপ্রেনটিসশিপ অ্যাক্ট) তৈরি করবে। (২) কর্পোরেটদের জন্য একটি কর্মসংস্থান-সংযুক্ত প্রণোদনা প্রকল্প (এমপ্লয়মেন্ট-লিঙ্কড ইনসেনিটভ স্কিম বা ইএলআই) রূপায়ণ করবে, তার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে নতুন চাকরির বিরাট সুযোগ। (৩) মূলধন জোগানোর মাধ্যমে, স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে প্রোমোট করার জন্য একটি ফান্ড স্কিমও নেবে কংগ্রেস সরকার। এগুলি তরুণদের মধ্যে শুরুতেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য বিজেপি-এনডিএ সরকারের কোনও বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছিল না। অতএব এখানেই প্রশ্ন রাখতে চাই, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি আরও আকর্ষণীয় কোনও পরিকল্পনা সামনে রাখতে পারবে কি না।
মহিলা
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মহিলারা অংশগ্রহণ করেন সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে। তাঁরা প্রচারের ভাষণগুলি শোনেন এবং সেসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হন। যতটুকু কানে আসছে বা দেখা যাচ্ছে, তা থেকে মনে হয়—কংগ্রেসের মহালক্ষ্মী প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি (প্রতিটি গরিব পরিবারকে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা অনুদান), মনরেগায় শ্রমিকের  দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৪০০ টাকা, মহিলা ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবন এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মহিলারা, এমনকী কম বয়সি মেয়েরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। অন্যদিকে, বিজেপি তাদের ধর্মীয় (হিন্দুত্ব) আবেগের রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল বিজেপির স্বৈরাচার। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং ‘ভারত হল রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন’ এই যে সাংবিধানিক ঘোষণা—তাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বিজেপি। তাদের এক জাতি, এক নির্বাচনের তত্ত্ব ভীষণ সন্দেহজনক। এই তত্ত্ব—এক জাতি, এক নির্বাচন, এক সরকার, এক দল ও এক নেতার পথ প্রশস্ত করবে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার একটি অধ্যায়ের উপর ১২টি পয়েন্ট রয়েছে। বিজেপি কি এগুলির কোনও একটিরও বিষয়ে সহমত হতে পেরেছে? সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী প্রতিশ্রুতি হল—আইন তৈরির কিছু ক্ষেত্রকে যৌথ তালিকা থেকে রাজ্যের তালিকায় স্থানান্তর করার ব্যাপারে ঐকমত্য স্থাপন। এই ১২টি পয়েন্টের ভিত্তিতে এবার বিজেপির বিশ্বাসযোগ্যতার পরীক্ষা হবে। 
যেসব বিষয় নিয়ে আমি ভাবিত, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—সংবিধান, সংসদীয় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা এবং সাংবিধানিক নৈতিকতার প্রশ্নে যুযুধান দলগুলির প্রতিশ্রুতি। আমার ভোট সেই প্রার্থীরই পক্ষে থাকবে যিনি বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে এই নীতিগুলিকে সমর্থন করবেন এবং সেগুলির পালনে যত্নবান হবেন। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
15th  April, 2024
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...

শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...

গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের নিরিখে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM